শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের মালিক হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর জনগণকে অবশ্যই ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে, যাতে বিশ্বাসযোগ্যভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’
‘গণমাধ্যম এবং জনগণ আশঙ্কা করছে যে নির্বাচনে নানাভাবে বাধা আসতে পারে। সেই বাধাগুলো সরকার বা যে কেউ দিক না কেন, সবাইকে সতর্ক থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া রক্ষা করতে হবে। কোনো ধরনের হুমকি এলে জনগণকে সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
নির্বাচনের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, আপনারা নিশ্চিত করবেন যেন আপনাদের সব প্রতিবেশী বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারেন।
তিনি বলেন, তারা চান জনগণ যেন সক্রিয়ভাবে দেশ শাসনে অংশ নিতে পারে। ভোট দেয়ার পরেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। ভোট দেয়ার সময় সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচন করা এটি একটি বড় দায়িত্ব।
ঐক্যফ্রন্ট প্রধান আরও বলেন, দেশের মালিক হিসেবে জনগণ সঠিকভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন না করলে পুরো জাতি সুশাসন, সাংবিধানিক শাসন এবং মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। একে দায়িত্ব বিবেচনা করে প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে।
দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, ‘আমি দেশবাসীর প্রতি ১৯৭১ সালের বিজয় অর্জনের মতো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। আমি বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অপরিহার্য অংশ। যদি জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারেন তাহলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সেরা এবং যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে ঐক্যফ্রন্টের সব শরিকরা সচেতন।