তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন ও সুশাসনের অভাবে দেশে খুন, ধর্ষণ এবং অনাচার-অবিচার বেড়ে গেছে। আইনের ফাঁক দিয়ে প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যায়, আর সেকারণেই অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়। আইনের শাসনে কিছুটা ঘাটতি আছে বলেই মানুষ নিজ হাতে আইন তুলে নিচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্ষণের প্রতিবাদ জানাতে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছে। এর চেয়ে লজ্জার কিছু নেই।’
দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে নবগঠিত সাংস্কৃতিক পার্টির পরিচিতি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় দুঃখ ও বিস্ময় প্রকাশ করে কাদের বলেন, লালমনিরহাটে বুড়িমারি এলাকায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় চেয়েও বাঁচতে পারেনি সে।
তিনি বলেন, যদি ছেলেটি অপরাধী হয় সেজন্য দেশে আইন আছে- তাকে আইনের মুখোমুখি করা যেত। অপরাধ প্রমাণ হলে প্রচলিত আইনেই তাকে শাস্তি দেয়া যেত। তিনি এই নির্মম ও নৃসংশ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
জি এম কাদের আরও বলেন, দেশে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার অভাব স্পষ্ট। রাজপথে দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু যেন নিত্য-নৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, সর্বস্তরে জবাবদিহিতার অভাবে সুশাসনে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।
জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক এবং জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদেরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিসতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আকতার , আলমগীর শিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর।
এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, ড. মো. নুরুল আজাহার শামীম, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, নিগার রাণী সুলতান প্রমুখ।