জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ফের হামলা, অগ্নিসংযোগ
কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফের হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তাদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সমাবেশ শেষে তারা গণঅধিকার পরিষদের পল্টন কার্যালয়ে ফিরে যান। এর অল্প সময় পরেই জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পড়ুন: মৌচাকে লড়ির ধাক্কায় শিশুসহ ৫ জন আহত
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, শাহবাগে যারা সমাবেশ করেছে, তারাই এ ঘটনার জন্য দায়ী।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট একই কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছিল।
৯০ দিন আগে
জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে চলমান তদন্তের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউএনবিকে তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং দলের ভেতরে ‘পদ বাণিজ্যের’ মাধ্যমে কাদের অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন— এমন অভিযোগে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এ দম্পতির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের বিনিময়ে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছিল। এর মূল সুবিধাভোগী ছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না হওয়ায় অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে সংসদ সদস্য হন শেরীফা কাদের।
আরও পড়ুন: জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, জিএম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদ বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন যা পরবর্তীতে বিদেশে পাচার করা হয়। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে এতে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা পদ বাণিজ্যের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন অভিযোগ, কাদের ভিন্ন ভিন্ন নামে সিঙ্গাপুর, লন্ডন ও সিডনিতে অর্থপাচার করেছেন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, জিএম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। এছাড়া তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে লালমনিরহাট ও ঢাকায় জমি এবং ফ্ল্যাট অন্তর্ভুক্ত।
১৯৯৬ সাল থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া কাদের বর্তমানে সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
৯১ দিন আগে
সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যারা কাজ করছেন, তারা এলিয়েন: জিএম কাদের
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে বাদ দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব করছে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ‘এটি কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। (আসন্ন) নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারাই প্রয়োজন মতো সংস্কার করবেন। এখন যারা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন, তারা তো এলিয়েন। তারা অন্য গ্রহ থেকে এসেছেন।’
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে বর্ধিত সভার দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে জিএম কাদের ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া এই দেশের মঙ্গল হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। গ্রহণযোগ্যতা না পেলে দেশে বিনিয়োগ হবে না, কর্মসংস্থান হবে না, শুধু বেকারত্ব বাড়বে। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলেও কেউ এখানে বিনিয়োগ করবে না।’
‘দেশের কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে, কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। যারা আলুর দাম কম দেখে খুশি হচ্ছেন, তারা কৃষকের কান্না দেখেননি। এখন রেমিট্যান্স আসছে, রেমিটেন্সের ওপর একটা দেশ চলতে পারে না। দেশের মানুষের হাতে টাকা নেই, সরকারের হাতেও টাকা নেই। মানুষের ব্যবসা নেই, ট্যাক্স দেবে কে? মানুষ ট্যাক্স দিতে পারছে না, তাই সরকার মালামালও আমদানি করতে পারছে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কিন শুল্কনীতিতে (দেশের) রপ্তানি খাতের অবস্থা কেমন হবে, আমরা জানি না। আইএমএফ টাকা দেবে কিনা তাও পরিষ্কার নয়। এ অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলে রাস্তায় রাস্তায় লুটতরাজ চলবে। আপনি বেতন দিতে না পারলে পুলিশ অথবা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের কথা শুনবে কেন?’
‘শান্তির জন্যই অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে এবটি বৈধ সরকার আনতে হবে। পুলিশ কিছুটা বিএনপি, কিছুটা জামায়াতের কথা শুনে হা-হুঁতাশ করছে। এমন বাস্তবতায় নির্বাচন দিলে সবাই পিটিয়ে পাটিয়ে নির্বাচন করবে। এমন নির্বাচন বৈধতা পাবে না। সকল সমস্যা সামধানের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে। সরকারকে বৈধ করতেই সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, ‘সরকার একটি দল গঠন করেছে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সংস্কার চালাচ্ছে। যেনতেনভাবে নির্বাচনে তাদের পাস করাবেন, তা কি হাসিনার নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে? শেখ হাসিনা সবকিছু হাতে নিয়েও থাকতে পারল না, আপনারা কত দিন থাকতে পারবেন? যাদের নির্বাচন থেকে বাদ দেবেন, তারা ঘরে বসে আঙ্গুল চুষবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ গড়তে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলতে হবে। সবাই মিলে আধপেট খেয়ে হলেও দেশ গড়তে হবে। আমরা সবাই একত্রিত হয়েছিলাম, বর্তমান সরকার জাতিকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে, যেন দেশের অর্ধেক লোক বাদ দিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারে।’
আরও পড়ুন: আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের
‘ফ্যাসিবাদ থেকে যারা শিক্ষা নিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদ হয়েছেন, আপনাদেরও পতন হবে। ফ্যাসিবাদের দোসররা মারতে আসবে, পুলিশ তাদের সহায়তা করবে। তারপরও প্রতিবাদ করতেই হবে। নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ লোক প্রতিবাদ করবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।
২২৮ দিন আগে
জাতীয় পার্টির শনিবারের সমাবেশ স্থগিত
কাকরাইলে ডিএমপির সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করায় কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় পার্টি।
শুক্রবার(১ নভেম্বর) রাতে জাপা প্রধানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি জানিয়েছে, পরবর্তী সময়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ শনিবার কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এর আগে শুক্রবার সকালে জাপা চেয়াম্যান জানান, হামলার পরও আগামীকাল পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ পরিকল্পনা অনুযায়ী হবে। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই রাজধানীর কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করে ডিএমপি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট পরা ও লাঠিসোঁটা হাতে একদল ব্যক্তি মূল ফটক দিয়ে জাপা কার্যালয়ে প্রবেশ করে। স্লোগান দিতে দিতে তারা ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং এরপর ভবনের সামনের অংশ ও ভেতরের কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের
৩৯৮ দিন আগে
মাইলসের শাফিন আহমেদ: পপসংগীতের আকাশে চির উজ্জ্বল নক্ষত্র
সংগীতের পথে জীবনের প্রথম পদক্ষেপ, আবার সেই পথেই শেষ। কথাটি যেন অবিকল মিলে গেছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড সংগীত শিল্পী শাফিন আহমেদের সঙ্গে। গত ২০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি কনসার্টে অংশ নিতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চার দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৪ জুলাই ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন শাফিন আহমেদ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও কিডনিসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। চলুন, দেশ বরেণ্য এই পপ-তারকার বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ব্যক্তি জীবনে শাফিন আহমেদ
শাফিন আহমেদ ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মা দেশের স্বনামধন্য সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্ত। স্বভাবতই শাফিনের বেড়ে ওঠাটা হয়েছে গানের মাঝেই। পারিবারিক গন্ডিতে তার ডাক নাম ‘মুনা’। এ ছাড়া সংগীতাঙ্গনের যারা তাকে ছোটবেলা থেকে চেনে তারা দেখা হলে প্রথমেই ‘মুনা’ নামেই ডাকতেন।
শাফিন আহমেদের গানের হাতেখড়ি হয় তারা বাবা-মায়ের কাছেই। বাবার কাছে তালিম নিয়েছেন উচ্চাঙ্গ সংগীতের, আর মা শিখিয়েছেন নজরুলগীতি। তার আনুষ্ঠানিক গানের শুরুটা হয়েছিল মাত্র ৯ বছর বয়সে। পরে বড়ভাই হামিন আহমেদসহ দুই ভাই পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। সে সময় তার সামনে উন্মোচিত হয়েছিল পাশ্চাত্য সংগীতের বিস্তৃত পরিসর। আর এই অঙ্কুরেই শুরু হয় তার ব্যান্ড সংগীতের যাত্রা।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
সংগীতাঙ্গনে শাফিন আহমেদ
১৯৭৯ সালে মাইল্স ব্যান্ড প্রতিষ্ঠার পর হামিন ও শাফিন দুজনেই যুক্ত হন ব্যান্ড দলের সঙ্গে। বেজ গিটার বাজানোর পাশাপাশি দলের প্রধান গায়ক ছিলেন শাফিন।
শুরুর দিকে তারা ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে (বর্তমান ঢাকা শেরাটন) নিয়মিত গান করতেন। তখন তাদের মনোনিবেশ ছিল শুধুমাত্র ইংরেজি গানের প্রতি। ব্যান্ড প্রতিষ্ঠার পর মাইলসের প্রথম অ্যালবামটির সবগুলো গানই ছিল ইংরেজিতে।
১৯৮২ সালে ত্রিশ মিনিটের একটা ইন্সট্রুমেন্টাল শো’র জন্য বিটিভির পক্ষ থেকে ডাক আসে। তখন মাইলসের সেরা ছয়টি সুর রেকর্ড করে পাঠানো হয় বিটিভিতে। এই রেকর্ডগুলো টানা দুই বছর ভোর ৬টা থকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছিল বিটিভির সিগনেচার মিউজিক হিসেবে।
১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয় মাইলসের প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’। সেই থেকে একের পর এক সৃষ্টি হতে থাকে কালজয়ী সব গান। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় গানগুলো হলো- ‘ফিরিয়ে দাও আমারি প্রেম’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘চাঁদ তাঁরা সূর্য’, ‘নীলা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘পাথুরে নদীর জলে’, ‘ধিকি ধিকি’, এবং ‘সে কোন দরদিয়া’। চার যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে এখনও এই গানগুলো দেশ জুড়ে সমান জনপ্রিয়। এগুলোসহ মাইল্সের প্রায় ৯০ শতাংশ গানের ভোকাল ছিলেন শাফিন।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সক্ষমতার চিত্র
৪৯৫ দিন আগে
পাহাড় সামলাতে ব্যর্থ সরকার: জি এম কাদের
পাহাড় সামলাতে সরকার ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের।
তিনি বলেন, পাহাড়ের সামান্য ঘটনায় যদি সরকার হিমশিম খায়, তাহলে দেশে বড় ধরনের বিপদ হলে জনগণ দাঁড়ানোর রাস্তা খুঁজে পাবে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকালে রংপুর সার্কিট হাউসে তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের হামলা নতুন কিছু নয়। এর আগেও হয়েছে, সেটি আবার সমাধানও হয়েছে। কিন্তু এবারের ঘটনা একেবারেই আলাদা।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও খুনসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এতে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি বাহিনীর সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে। কিন্তু কাজের ব্যাপারে জবাবদিহি নেই। যে যার ইচ্ছে মতো কাজ করছে।
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র ভেঙেছে।
তিনি বলেন, মানুষ তার অধিকার হারিয়েছে। জাতীয় পার্টি চেষ্টা করছে অধিকার নিয়ে কথা বলার। কিন্তু সরকার ভেতর থেকে কলকাঠি নেড়ে দলকে দুই ভাগ করার চেষ্টা করছে।
কাদের বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা চলছে। জাতীয় পার্টিকে ধরে রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদেরও শক্ত অবস্থান তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলাউদ্দিন মিয়া মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
রংপুর-৩ আসনে জাপার মনোনয়ন ফরম নিলেন জিএম কাদের
৬০৬ দিন আগে
ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভরায়কে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি
জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়কে সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দলের যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দুই জ্যেষ্ঠ নেতাকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন।
তবে দলের এই দুই হেভিওয়েট নেতাকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
৬৯২ দিন আগে
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় গোয়ালন্দ জাপার সভাপতিসহ ২ নেতাকে অব্যাহতি
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি হামিদুল হক বাবলু ও জেলা কমিটির যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক মো. মনির হোসেনকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে রাজবাড়ী-১ সংসদীয় আসন গঠিত। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা জাপা সভাপতি আইনজীবী খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু।
দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সভায় দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত ২৬ ডিসেম্বর হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী
সভাপতি খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান মোমিন ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন।
এতে বলা হয়, রাজবাড়ী-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালালেও হামিদুল হক বাবলু ও মো. মনির হোসেনকে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আইনজীবী ইমদাদুল হক বিশ্বাসের পক্ষে তারা নিয়মিত প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
যা সম্পূর্ণভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অন্যতম কারণ। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ২৬ ডিসেম্বর এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হামিদুল হক বাবলু ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেনকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. লিয়াকত হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তাদেরকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতির জন্য জাতীয় পার্টির সুপারিশ কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীর হামলার অভিযোগ
৭০২ দিন আগে
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী রুহুল আমিন হাসপাতালে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহুল আমিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরাগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি সিসিইউতে চিকিসাধীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাবেক এমপি রুহুল আমিনের ভাতিজা রানা পারভেজ।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতাল আনা হলে প্রথম তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ইসিজি রিপোর্টে তার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়ে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন সাবেক এমপি রুহুল আমিন। এই আসন থেকে ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাপা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে: জিএম কাদের
৭০৩ দিন আগে
জাপা কোনো ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন করছে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকতে হয়, তা না হলে ভালো নির্বাচন হয় না। তবে এটার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আমাদের হাতে ছিল না।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখন কোনো দোটানার মধ্যে নেই। আশা ও আগ্রহ নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। আমরা আশাবাদী হতে চাই। আমাদের একটা ধারণা, আর যাই হোক আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর কোনো ঝুঁকি নেই।
কাজেই আমাদের, জনগণকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবেন। এখন জনগণ অংশগ্রহণ করবে কি না সেটা তাদের বিষয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত নির্বাচনী কর্মী সভায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য তিনি দুই দিনের সফরে রংপুরে এসেছেন।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি রাজনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনে এসেছে। ভবিষ্যতে আমরা যদি মনে করি সেটা কার্যকর হচ্ছে না, আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে না, তখন আমরা আমাদের পার্টির ফোরামে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানো ঝুঁকি এই মুহূর্তে নেই। কাজেই আমরা মনে করছি নির্বাচনটা ভালো করার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। নির্বাচনে যাওয়ার শর্ত এবং সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী ও দলের অনৈক্য দূর করার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় থাকা জাতীয় পার্টির জন্য লাভজনক। তবে আমাদের অপশনও আছে, যদি দেখি আমাদের শর্ত মতে কার্যক্রম হচ্ছে না, তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করব।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার জিএম কাদেরের
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় পার্টির প্রত্যাশা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমাদের ডিমান্ড হলো প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। পেশীশক্তি এবং অর্থের ব্যবহার ও প্রভাব থেকে নির্বাচনকে মুক্ত রাখতে হবে। নির্বাচন বিধিমালা মেনে চলতে হবে। এটা যদি তারা মেনে না চলেন তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, আমরা পার্লামেন্টে থাকার জন্য নির্বাচন করছি। আমরা কোনো ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন করছি না। এটা কোনো মহাজোট হচ্ছে না। বিভিন্ন দলের ধারণা তৈরি হয়েছে আমরা জোট করেছি। আমাদের ক্যান্ডিডেটরাও অনেকেই ভুল করছেন। এটা ইলেকশন কমিশনের দেখা উচিত ছিল। আমরা আগে মহাজোটে ছিলাম কিন্তু এখন আর নেই। এই নির্বাচন মহাজোটের নির্বাচন হচ্ছে না। আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেই ধরনের কোনো চুক্তিও করিনি।
পার্টির মহাসচিবের নির্বাচনী পোস্টারে ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ লেখা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি এটা চুন্নু করেনি। তার একজন ভক্ত ওই পোস্টার ছাপিয়েছে। যিনি ছাপিয়েছেন তিনি চুন্নুর ভক্ত এবং আওয়ামী লীগ করে। চুন্নু সাহেব ওই পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার জন্য তার ভক্তকে অনুরোধও করেছেন। আমাদের অনেক প্রার্থী এমন ভুল করেছেন।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে ‘হত্যার হুমকি’, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ!
৭১২ দিন আগে