শনিবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘মোদিকে লালকার্ড প্রদর্শন’ কর্মসূচি ও সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বক্তব্যে ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক সৈকত আরিফ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির অন্যতম নীতি হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা কিন্তু আমরা অত্যন্ত আশ্চর্যের সাথে লক্ষ্য করছি আমাদের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদিকে অতিথি করা হচ্ছে। এর মধ্যে দিয়ে সরকার মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে মৌলিক চেতনা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার তার গদি টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সাথে বিভিন্ন অদীনতামূলক চুক্তি করছে। আমরা অবিলম্বে সকল চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানাই ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদিকে অতিথি তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানাই।’
আরও পড়ুন: টিকা উপহার শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় সম্পর্কের নিদর্শন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাসিনা-মোদি শীর্ষ বৈঠক ২৭ মার্চ হতে পারে
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মোদির আগমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সম্মানকে অক্ষুণ্ন রাখতে আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তার আগমনকে রুখে দেয়ার চেষ্টা করব। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে কাদের অতিথি করা হবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে সহস্রাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।’ সীমান্তে ফেলানী হত্যাসহ সব ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে জাহিদ সুজন বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন আসছে সফরে আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট তিস্তা চুক্তিসহ আমাদের নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো চুক্তি নিয়েই কথা বলবেন না। এই জনসমর্থনহীন সরকার তার গদি টিকিয়ে রাখতে ভারতের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা দেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানাই এই স্বৈরাচারী সরকারের পতনের দাবিতে আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করব মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে।’
আরও পড়ুন: মোদি টুঙ্গিপাড়া সফর করতে পারেন ২৬ মার্চ
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান রিচার্ডের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো.সজীব, সংগঠক সজীব ওয়াফী প্রমুখ।