তিনি বলেছেন, ‘সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন আর বিএনপির বক্তব্য একই সূত্রে গাঁথা। ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বক্তব্য আর টিআইবির প্রতিবেদনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নির্বাচন নিয়ে পরাজিত পক্ষকে কথা বলার সুযোগ করে দিতেই টিআইবি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামে দেওয়ানজি পুকুরপারস্থ নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও ভোট জালিয়াতের তথ্য তুলে ধরে মঙ্গলবার ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা- টিআইবি। প্রতিবেদনে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন ‘বিতর্কিত’ উল্লেখ করে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারেনি। নির্বাচনের সময় তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ যেমন- পর্যবেক্ষক ও সংবাদমাধ্যমের জন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, মোবাইলের জন্য ফোর-জি ও থ্রি-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ ও জরুরি ব্যতিত মোটরচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে টিআইবির এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, একপেশে ও রাজনৈতিক। অন্যান্য সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও অনেকটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানগণ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবারের নির্বাচন প্রসংশিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে কয়েকটি সংস্থা আছে যারা সব সময় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কাজ করে। টিআইবিও এসব সংস্থার মধ্যে একটি। তারা এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে গবেষণা করে দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছিল কিন্তু তা প্রমাণ করতে পারেনি। তাদের উচিত ছিল ভুল প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।‘
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনে বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়টি উঠে আসেনি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এটি একটি একপেশে প্রতিবেদন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এ রকম বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ না করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে টিআইবির প্রতি অনুরোধ জানান সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এ মন্ত্রী।