তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিরা মনে করেছিল আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাবে, খুনিরা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু আজকে প্রমাণিত হয়েছে ব্যক্তি মুজিবকে তারা হত্যা করতে পেরেছে, কিন্তু মুজিব আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।’
শনিবার দুপুরে ভোলা ওবায়দুল হক মহাবিদ্যালয় কলেজ মাঠে সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে আমরা নয় মাস যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর এই দেশ স্বাধীন করি। তারপর বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের দ্বায়িত্বভার গ্রহণ করেন।’
‘অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে যখন স্বাভাবিক করেছিলেন, তখনই ঘাতকের নির্মম গুলিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়,’ যোগ করেন তোফায়ল।
সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল বলেন, `সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে ছিল বলেই বেঁচে গিয়েছিল। যারা নিষ্পাপ রাসেলকে হত্যা করতে পারে তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুর কেউ যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আসতে পারে।‘
‘আমরা তার বড় কন্যার হাতে বঙ্গবন্ধুর রক্তে গড়া আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছিলাম। সেই পতাকা হাতে নিয়ে শেখ হাসিনা সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে সংগ্রাম করে বার বার জেলে গিয়ে মৃত্যুর কাছ থেকে গিয়ে মাথা নত করেননি,’ যোগ করেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। একটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আরেকটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলায় পরিণত করা। একটি বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করে যখন যাত্রা শুরু করেছিলেন তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। সেই বাকি স্বপ্নটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলেছি।’
তিনি করোনাকালীন সময়ে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সাধারণ মানুষজনের পাশে থেকে তাদের জন্য নেতা-কর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান।
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগসহ সভাপতি মো. দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য হামিদুল হক বাহালুল, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাক মইনুল হোসেন বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলাদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী নেওয়াজ পলাশ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আলোচনা শেষে শিশুদের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।