সংসদ সদস্য
ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার
সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সোমবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের সময় অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর থানায় এখনও আসামি রাখার যথাযথ ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই সুমনকে পল্লবী থানায় নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী ইমরান গ্রেপ্তার
বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের আগে ব্যারিস্টার সুমন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বলেন, 'আমি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি। আদালতে দেখা হবে। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।’
গত ৭ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন সুমন।
আরও পড়ুন: সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার গ্রেপ্তার
২ মাস আগে
নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করলেন সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
শনিবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেন সুমন। বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরে বাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদ আলী।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: দুটি ভিডিও সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ
জিডিতে সুমন গত ২৭ জুন দিবাগত রাত ২টার দিকে চুনারিঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি কল পাওয়ার কথা জানান।
সুমন লিখেছেন, ওসি তাকে জানান, অজ্ঞাত পরিচয় চার-পাঁচজনের একটি শক্তিশালী দল তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। সুমনকে রাতে বাইরে বের না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন তিনি।
জিডিতে সুমন আরও উল্লেখ করেন, ওই গ্রুপের সদস্যদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি তাদের নাম প্রকাশ করেননি। এ কারণে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির প্রতিবাদ করব, সংসদে নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলব: ব্যারিস্টার সুমন
হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
৫ মাস আগে
রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে বা অজ্ঞতা থেকে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সংবিধানের ১২৩, ১৪৮ ও ৫৬ অনুচ্ছেদের ঊদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বলছেন এখন সংসদ সদস্য সংখ্যা ৬৪৮, তারা সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করছেন না। উদ্দেশ্যমূলক কিংবা রাজনৈতিক কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য তারা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। আর যদি সেটা না হয় তাহলে, তাদের সংবিধানের এইসব অনুচ্ছেদ সমন্ধে সম্যক জ্ঞান নেই।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তারা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’ আর আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা ওই তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।আনিসুল হক জানান, ৩০ জানুয়ারি থেকেই নতুন সংসদ সদস্যরা এমপি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নতুন সংসদের অধিবেশন বসার পর বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে।
১১ মাস আগে
নতুন মন্ত্রিসভায় ৩ নারী সংসদ সদস্য
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথ নিতে যাওয়া নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন ৩ জন নারী সংসদ সদস্যের। যার মধ্যে একজন মন্ত্রী ও দু’জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
৩৬ জনের নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী, ১১ প্রতিমন্ত্রী। যার মধ্যে দু’জন নারীসহ ২০ জনই নতুন।
১১ জন প্রতিমন্ত্রীর তালিকায় জায়গা হলো দু’জন নারী সংসদ সদস্যের। দু’জনই এবারের মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ।
দীপু মনি
চাঁদপুর-৩ আসনে নির্বাচনে লড়েছেন ৭ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দিপু মনি ১৬৫টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৯ হাজার ৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিজয়ী দিপু মনির সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর সামসুল আলম ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ২৪ হাজার ১৮৩ ভোট।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে ১১ জানুয়ারি
রুমানা আলী
গাজীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে ২৪ হাজার ৫২২ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রুমানা আলী।
রুমানা আলী নির্বাচনে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ। তিনি ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৭৪ ভোট।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
সিমিন হোসেন রিমি
গাজীপুর-৪ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসারউদ্দিন আহমদ খান ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট পেয়েছেন।
বিজয়ী সিমিন হোসেন রিমি হচ্ছেন এই আসনে আগেকার সংসদ সদস্য তানজিম আহমদ সোহেল তাজের বড় বোন।
রিমি ও সোহেল তাজের বাবা বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা
১১ মাস আগে
শপথ নিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনে পৌঁছানোর পর সকাল ১১টার দিকে সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।
সংবিধানের ১৪৮ (২ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে, সরকারি গেজেটে নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৩ দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে, অন্যথায় তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে ১১ জানুয়ারি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ২৯৮ জন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের বিবরণসহ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।
নওগাঁ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানকার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আসনটিতে নির্বাচনের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের কারণে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বুধবার
১১ মাস আগে
ওরা আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, দেশে অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকে আখড়া করতে চাচ্ছে। যেমনটা ফিলিস্তিনে আখড়া করেছিল। ওরা আমাদের দেশের জায়গা চায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়। শেখ হাসিনা একা এগুলোকে মোকাবিলা করছেন। আমাদের সবাইকে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নয়তো এর আগে ব্রিটিশদের গোলামি করেছি ২০০ বছর। এবার গোলামি থেকে মুক্তি পাবেন না, দেশ ঝাঁঝরা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নাসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রশংসা শামীম ওসমানের
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের আগে সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি গণসংযোগে অংশ নেন।
তিনি বলেন, আমি গতবারও ভোট চাইনি, এবারও চাইব না। আমি মনে করি আপনার জ্ঞান আমার চেয়ে বেশি। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ আপনি জানেন। আমার কাজ আমি করে যাব, কবুল করবেন আল্লাহ। পৃথিবীর সব মানুষ আমার পক্ষে থাকলেও আল্লাহ বিপক্ষে থাকলে আমি কিছুই করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি এই এলাকায়। আমি কিছু করিনি। আল্লাহর হুকুমে শেখ হাসিনার উসিলায় আমরা এগুলো করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: শামীম ওসমান
১ বছর আগে
সংসদ সদস্য নদভীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তলব
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, আপনি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসন- ২৯২, চট্টগ্রাম ১৫ এ আওয়ামী লীগ মনোনীত এ নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী। আপনার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব এ মর্মে অভিযোগ করেছেন যে, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে দেওদিঘী বাজারে আপনার কর্মী আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন তার সমর্থকদের গাড়িসহ আটক করে দীর্ঘসময় তাদের আটকে রাখে এবং কয়েকজনকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সিটের নিচ থেকে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৪টায় আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাওয়ার সময় সাতকানিয়া কেরাণীহাটে আপনার লোকজন নানা অশালীন অঙ্গভঙ্গী ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে শাসাতে থাকে। তারা আব্দুল মোতালেবের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দৃষ্টিকটু ও আক্রমনাত্মক আচরণ করেছে। তারা স্লোগান ও বক্তৃতায় আব্দুল মোতালেবের ভবিষ্যতে ক্ষয়ক্ষতি করবে মর্মে আস্ফালন করেছে।
তদুপরি, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আপনি সাতকানিয়ায় একটি সমাবেশে নানা প্রতিশ্রুতি ও অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আপনার বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩, ৬ (ক), ৭ (২) (৪), ১৭ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
এমতাবস্থায় উপরোল্লোখিত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে তা শনিবারের (২ ডিসেম্বর) মধ্যে ব্যাখা করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
জানা গেছে সংসদ সদস্য নদভী তার প্রতিনিধির মাধ্যমে শনিবার বিকালে তার বক্তব্য জমা দেন।
এই বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী এমপির বক্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। পাশাপাশি তার ছবি পোড়ানো হয়েছে।
ঝাড়ু মিছিল ও ছবিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার পেছনে সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর অনুসারীরা রয়েছেন বলে সাংবাদিকদের দাবি করেছিলেন এম এ মোতালেব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়ের দায়ের কোপে প্রাণ গেল বাবার!
চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
১ বছর আগে
আ. লীগের ৬৯ জন সংসদ সদস্য এবার মনোনয়ন পাননি
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি ক্ষমতাসীন দলের ৬৯ জন সংসদ সদস্য।
সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- মো. মাজাহারুল হক প্রধান (পঞ্চগড়-১), মো. দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), এইচএন আশেকুর রহমান (রংপুর-৫), এম এ মতিন (কুড়িগ্রাম-৩), মো. জাকির হোসেন (কুড়িগ্রাম-৪), মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (গাইবান্ধা-৪), মো. হাবিবর রহমান (বগুড়া-৫), মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন তরফদার (নওগাঁ-৩);
মো. এমাদ উদ্দিন পিকে (নওগাঁ-৪), মো. আয়েন উদ্দিন (রাজশাহী- ৩), এনামুল হক (রাজশাহী-৪), মো. মনসুর রহমান (রাজশাহী-৫), মো. হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ-২), মেরিনা জাহান (সিরাজগঞ্জ-৬), মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস (পাবনা-৪), মো. মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান (মেহেরপুর-২), মো. শফিকুল আজম খান (ঝিনাইদহ-৩);
মো. নাসির উদ্দিন (যশোর-২), রণজিৎ কুমার রায় (যশোর-৪), মো. সাইফুজ্জামান (মাগুরা-১), মো. আমিরুল আলম (মাগুরা-১), মো. আলম মিলন (বাগেরহাট-৪), পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১), বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), মো. আখতারুজ্জামান (খুলনা-৬), মীর মোশতাক আহমেদ রবি (সাতক্ষীরা-২), এস.এম. জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা-৪), শওকত হাসানুর রহমান (রিমন) (বরগুনা-২) মো. শাহে আলম (বরিশাল-২), পঙ্কজ নাথ (বরিশাল-৪); আতাউর রহমান খান (টাঙ্গাইল-৩), মোহাম্মদ হাসান ইমাম খান (টাঙ্গাইল-৪), মো. সানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-১), মো. মুরাদ হাসান (জামালপুর-৪), মো. মোজাফফর হোসেন (জামালপুর-৫), এ.কে.এম. ফজলুল হক (শেরপুর-৩), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-৩), কে এম খালিদ (ময়মনসিংহ-৫), আনোয়ারুল আবেদীন খান (ময়মনসিংহ-৯), মনু মজুমদার (নেত্রকোনা-১) ও ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (নেত্রকোনা-৫)।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ২৯৮ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ আওয়ামী লীগের
বাকিরা হলেন- নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), এ এম নাঈমুর রহমান (মানিকগঞ্জ-১), মো. কাজী মনিরুল ইসলাম (ঢাকা-৫), হাজী মো. সেলিম (ঢাকা-৭), মো. শফিউল ইসলাম (ঢাকা-১০), এ কে এম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১) মো. সাদেক খান (ঢাকা-১৩), আগা খান মিন্টু (ঢাকা-১৪), মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন (গাজীপুর-৩), জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন (নরসিংদী-৩), মঞ্জুর হোসেন (ফরিদপুর) -১), খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), মোয়াজ্জাম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), জয়া সেনগুপ্ত (সুনামগঞ্জ-২);
হাফিজ আহমেদ মজুমদার (সিলেট-৫), নেছার আহমেদ (মৌলভীবাজার-৩), গাজী মো. শাহনেওয়াজ (হবিগঞ্জ-১), মো. আব্দুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), মোহাম্মদ এবাদুল করিম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া (কুমিল্লা-১), নাসিমুল আলম চৌধুরী (কুমিল্লা-৮), ডা. মহিউদ্দিন খান আলমগীর (চাঁদপুর-১), মো. নুরুল আমিন (চাঁদপুর-২), আয়েশা ফেরদৌস (নোয়াখালী-৬), ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪), শামসুল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২) ও জাফর আলম (কক্সবাজার-১)।
তবে দুইজন সংসদ সদস্য নিজের ছেলের জন্য দলের মনোনয়ন চাননি।
রবিবার বিকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এখন প্রার্থী ঘোষণা করেনি ক্ষমতাসীন দল।
বিদায়ী একাদশ জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৬২ জন সংসদ সদস্য ছিল। যেখানে জাতীয় পার্টির (জাপা) ২৩ জন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রত্যেক দল থেকে তিনজন করে, গণফোরাম ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি থেকে দুইজন করে, জাতীয় পার্টি-জেপি ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন প্রত্যেকটি থেকে একজন করে এবং তিনজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন মাশরাফি ও সাকিব
ঢাকায় ৯টি আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দিয়েছে আ.লীগ
১ বছর আগে
পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়া মারা গেছেন
পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়া মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
শাহজাহান মিয়ার ছেলে আইনজীবী তারিকুজ্জামান মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শোক পালন করছে বাংলাদেশ
উল্লেখ্য, বিকাল ৩টায় সংসদ ভবনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর রাসেল স্কয়ার বালুর মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পটুয়াখালী পৌর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: মারা গেছেন এসকোয়্যার গ্রুপের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন
১ বছর আগে
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাজাহান কামালের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শনিবার শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের মৃত্যু
শাজাহান কামাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শাহজাহান কামাল প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালে প্রায় এক বছর তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে