শুক্রবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার পথে স্মৃতিস্তম্ভের কাছেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
তবে হামলায় ড. কামালের কোনো ক্ষতি হয়নি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া উইং সদস্য লতিফুল বারি হামীম জানান, ড. কামাল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক ও রেজা কিবরিয়াকে সাথে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে ড. কামাল বাড়ি ফেরার জন্য স্মৃতিস্তম্ভের গেটের কাছে পৌঁছালে তার গাড়িতে স্থানীয় ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আসলামুল হকের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান, যোগ করেন লতিফুল বারি হামীম।
তিনি আরও জানান, সরকারি দলের লোকেরা আ স ম আব্দুর রব, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও ঢাকা-১৪ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক সাজুকে বহনকারী গাড়িতেও হামলা চালায়। এসময় আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে সাজু ও রবের গাড়িচালকসহ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন।
রবের গাড়িচালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ড. কামাল বলেন, তারা একটি শোষণমুক্ত ভালো সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলার জন্য কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছেন এবং লুটপাট চালাচ্ছেন তাদের কবল থেকে দেশকে অবশ্যই মুক্ত করতে হবে।
তবে এসময় একজন সাংবাদিক জামায়াতের বিষয়ে ড. কামালকে তার অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, ‘কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্ন করতে? (শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে) এখানে শহীদদের কথা চিন্তা কর।’