দিনটি উপলক্ষে জনপ্রিয় এ কথা সাহিত্যিকের কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল।
শুক্রবার সকাল থেকেই হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা তাদের প্রিয় লেখকের কবরে ফুল দেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। ভক্তরা দিনভর তাদের প্রিয় লেখকের হাতে গড়া নুহাশ পল্লী ঘুরে ঘুরে দেখেন।
এর আগে, রাত ১২টা ১ মিনিটে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে নুহাশ পল্লীতে হাজারো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে পল্লীকে আলোকিত করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাতেই হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশ পল্লীতে আসেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি দুই ছেলেকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এ সময় নুহাশ পল্লীর কর্মচারী ও অসংখ্য হুমায়ূন ভক্ত উপস্থিত ছিলেন।
কবর জিয়ারত শেষে নুহাশ পল্লীর হোয়াইট হাউসের পাশে স্থাপিত হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরালের সামনে আপেল তলায় লেখকের জন্মদিনের কেক কাটেন তার দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত।
এ সময় মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘প্রতি ১০ বছর পর পর আমাদের সামনে নতুন প্রজন্ম আসে। এখনকার কিশোর-কিশোরী যারা ১০ বছর আগে ছোট ছিল তারা হয়ত হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে পড়াশোনা করেনি। এখন তারা করোনাকালে প্রচুর বই পড়ছে, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে পড়া শুরু করেছে এবং নতুন করে হুমায়ূন আহমেদকে উপলব্ধি করতে পারছে। তরুণ যারা নতুন হুমায়ূন আহমেদকে পড়ছে, তারা ৮০ দশকের উপন্যাস এ ২০২০ সালে এসে পড়ে হুমায়ূন আহমেদকে ভালোবাসছে। তার লেখার ভেতরকার রস, বোধ ও মানবিকতার সাথে পরিচিত হচ্ছে। এ বছর এটা আমার কাছে নতুন উপলব্ধি।’
হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একাধারে লেখক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।