মেহের আফরোজ শাওন
অভিনেত্রী শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি করে গত ১৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন।
এর আগে মঙ্গলবার আসামিদেরকে (২২ এপ্রিল) আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
সমন পেয়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে— ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, মেহের আফরোজ শাওনের ভাই মাহিন, বোন শিঞ্জন ও সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপপরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন। ১২ আসামির মধ্যে পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপপরিদর্শক শাহ আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
অপর ১০ আসামি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত, যা গতকাল বুধবার জানাজানি হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাওনের পিতা মোহাম্মদ আলী আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে নিশি ইসলামকে বিয়ে করে। পরে নিশি জানতে পারেন, মোহাম্মদ আলী আগেই বিয়ে করেছেন। তার আগের সংসারে একটি ছেলে ও তিনটি কন্যা সন্তান আছে।
গত ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের কথা গোপন রাখার জন্য চাপ দেন। ৪ মার্চ মোহাম্মদ আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন।
তখন মোহাম্মদ আলীর আগের স্ত্রীকে দেখে প্রতারণার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পান বাদী।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পেয়েছেন শাওন ও সোহানা সাবা
এ সময় অন্য আসামিরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে সই নেওয়ার চেষ্টা করেন। সই দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন বাদীকে মারধর করেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান।
ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানে শাওনসহ অন্য আসামিরা নিশিকে মারধর করেন।
ডিবিপ্রধান হারুনের নির্দেশে বাড্ডা থানার ওসি বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নেন। বাদীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে তাকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে।
১১ দিন আগে
এবার ডিবি হেফাজতে সোহানা সাবা
অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এরআগে অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। রাজধানীর ধানমণ্ডির নিজ বাসা থেকে সন্ধ্যায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজতে মেহের আফরোজ শাওন
তালেবুর রহমান জানান, মেহের আফরোজ শাওনকে তার নিজ বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য করার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিল ডিবি।
৮৭ দিন আগে
ডিবি হেফাজতে মেহের আফরোজ শাওন
অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।
রাজধানীর ধানমণ্ডির নিজ বাসা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) তালেবুর রহমান ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মেহের আফরোজ শাওনকে তার নিজ বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য করার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিল ডিবি।
৮৭ দিন আগে
দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশের কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমা। সেখানে ‘নিশাদ’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তারপর থেকে গান ও নাটকের মাধ্যমে বেশ কিছুবার দর্শকদের সামনে এলেও বড় পর্দা থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। অবশেষে ১৭ বছরের দীর্ঘ বিরতি ভেঙে ‘নীল জোছনা’ শিরোনামের চলচ্চিত্র দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় ফিরছেন শাওন।
কেমন হতে যাচ্ছে সিনেমার গল্প, আর এই নির্মাণে শাওনের সঙ্গী হচ্ছেন কারা- চলুন জেনে নেয়া যাক।
বিনোদন জগতে শাওনের পদচারণা
বিনোদন জগতে শাওনের শুরুটা ছিল ১৯৮৯ সালে ইবনে মিজান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আলাল দুলাল’-এ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে তিনি অভিনয় করেছিলেন তৎকালীন খ্যাতিমান নায়িকা সুচরিতার ছোটবেলার চরিত্রে। তবে তিনি আলোচনায় আসেন শিশু শিল্পীদের জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’তে বিজয়ী হওয়ার পর। তার নামের সঙ্গে একাধারে জুড়ে ছিল নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী।
আরো পড়ুন: ইতালির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হলো 'ময়না'
ছোটপর্দায় শাওনের অভিষেক হয় ১৯৯৬ সালের ধারাবাহিক নাটক ‘নক্ষত্রের রাত’-এর মাধ্যমে। ধারাবাহিকটি নির্মাণ করেছিলেন প্রথিতযশা নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদ। ১৯৯৯ সালে তার কালজয়ী ধারাবাহিক ‘আজ রবিবার’-এ শাওনের ‘তিতলি’ চরিত্রটি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। এরপর থেকে হুমায়ুন আহমেদের নাট্যদলের নিয়মিত একজন হয়ে যান শাওন। সে বছরই রম্য নাটক ‘সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড’-এ মিতু চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
শুধু নাটকেই নয়, প্রখ্যাত নির্মাতার চলচ্চিত্রগুলোতেও সমান বিচরণ ছিল এই মেধাবী তারকার। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় প্রধান নায়িকা ‘কুসুম’-এর ভূমিকায় দেখা যায় শাওনকে। এরপর থেকে ‘দুই দুয়ারী’ (২০০১)-তে ‘তরু’, ‘চন্দ্রকথা’ (২০০৩)-য় ‘চন্দ্র’, এবং ‘শ্যামল ছায়া’ (২০০৪) সিনেমার ‘আশালতা’ চরিত্রগুলো দর্শক ও সমালোচক মহলে বেশ সমাদৃত হয়।
২০০৪ সালের দর্শকনন্দিত ধারাবাহিক নাটক ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’তে তিনি ‘পুষ্প’ চরিত্রে অভিনয় করেন।
হুমায়ুন আহমেদের নির্দেশনায় শাওনের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ২০০৮ সালের ‘আমার আছে জল’, আর সর্বশেষ নাটক ছিল ২০১১ সালের ‘স্বর্ণকলস’।
আরো পড়ুন: কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে যে কারণে এত আলোচনা
২০১২ সালে হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে তার বেশ কিছু রচনা পরিচালনা করেন শাওন।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০১১ সালের নাটক ‘স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ’, ২০১৪ সালের ‘বিভ্রম’, এবং ২০১৬ সালের চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’। ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমায় ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেওয়ার সুবাদে তিনি শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।
‘নীল জোছনা’ সিনেমার কথকতা
সিনেমার গল্প
চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য নির্মিত হয়েছে মোশতাক আহমেদের ‘নীল জোছনার জীবন’ উপন্যাস অবলম্বনে, যেটি মুলত একটি প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক কাহিনী নিয়ে রচিত।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র লায়লা, যে অতীত ও ভবিষ্যত দেখতে পারে। আর এই বিষয়টি আতঙ্কিত করে তুলেছে তার স্বামী আমিনকে। কেননা সে জানতে পেরেছে খুব শিগগিরই লায়লার ফাঁসি হতে যাচ্ছে, আর কথাটি বলেছে স্বয়ং লায়লা নিজে। আমিন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না, কেন তার স্ত্রীর ফাঁসি হবে; সে তো কোনো অপরাধ করেনি!
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এর বাংলাদেশি সিনেমা
চরম উদ্বিগ্নতার মুহুর্তে তারা শরণাপন্ন হয় মনস্তাত্ত্বিক ড. তরফদারের। গভীর পর্যবেক্ষণে তিনি খেয়াল করেন যে, লায়লা প্রায়ই একটি গান গুনগুন করে। আর এই গানের উৎসটি ডাক্তারকে সন্ধান দেয় এক অদ্ভূত বিমূর্ত জীবনের, যার নাম নীল জোছনা।
লায়লার অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার পেছনে এই নীল জোছনাই দায়ী। আবার এই নীল জোছনাই তাকে ফাঁসির দিকে ধাবিত করছে।
ডাক্তার টের পান, লায়লার জীবন প্রবাহ পৃথিবীর আর দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক নয়। এরপরও তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকেন মেয়েটির ভয়াবহ পরিণতির গতিপথ পাল্টানোর জন্য।
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এর কিছু চমকপ্রদ বাংলা নাটক
চলচ্চিত্রের নির্মাণ ও কলাকুশলি
৬ বছর আগে ২০১৮ সালের শেষ দিকে সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ফাখরুল আরেফিন খানের পরিচালনায়। মহামারী করোনাসহ নানা কারণে শুটিংয়ের কাজ বারবার পিছিয়ে যায়। অতঃপর চলতি বছরের মে মাস থেকে সফলভাবে সিনেমাটির শুটিং চলছে।
‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ এবং ‘জেকে ১৯৭১’-এর পর ফাখরুল আরেফিন খানের চতুর্থ সিনেমা ‘নীল জোছনা’। এর আগে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আল বদর’ (২০১১)-এর জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
চলচ্চিত্রে শাওনকে দেখা যাবে শহুরে এক নারীর চরিত্রে। সিনেমার আলাদা চমক হিসেবে থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পাওলি দাম। এছাড়া অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন- ইন্তেখাব দিনার, তারিক আনাম খান, এস এম নাঈম ও পার্থ বড়ুয়া।
আরো পড়ুন: আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
ছবির ক্যামেরাম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন রানা দাশগুপ্ত। সাকি ব্যানার্জির সংগীত পরিচালনায় ছবিতে গান থাকবে মোট তিনটি। এগুলোর মধ্যে মৌলিক গান দুটি, যেগুলোর গীতিকার লয়দীপ ও মাহমুদ শাওন।
পরিশেষ
মনস্তাত্ত্বিক গল্পের চলচ্চিত্র দিয়ে শাওনের প্রত্যাবর্তন হুমায়ুন-ভক্তদের জন্য নতুন করে থ্রিলার নির্ভর কাজ দেখার ইন্ধন যোগাচ্ছে। ২১ শতকের প্রথম দশকে বিনোদন জগতের বিভিন্ন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার মাধ্যমে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একটি আলাদা জায়গা তৈরি করেছিলেন শাওন। তবে ‘নীল জোছনা’র মাধ্যমে সেই জনপ্রিয়তার পুনরুত্থান ঘটবে কি না, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে চলচ্চিত্রটির মুক্তির দিন পর্যন্ত।
তবে ফাখরুল আরেফিন খানের বিগত ভিন্ন ধারার কাজের সুবাদে বাংলাদেশি সিনেমা জগতে নতুন কিছু সংযোজনের সম্ভাবনা তৈরি করছে চলচ্চিত্রটি।
মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
৩০৪ দিন আগে
নানা আয়োজনে নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন
প্রয়াত জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মদিন কেক কেটে, মোমবাতি জালিয়ে, কবর জিয়ারত ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নুহাশ পল্লীতে পালন করা হয়েছে। জননন্দিত এই লেখকের নিজ হাতে গড়া দৃষ্টিনন্দন ওই পল্লীতে শ্রদ্ধা জানাতে আর ভালবাসার প্রকাশ ঘটাতে দিনভর আসতে থাকেন নানা বয়সী লোকজন।
সকাল থেকেই দূরদূরান্ত থেকে নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন ভক্তরা দলে দলে আসতে থাকেন নুহাশপল্লীতে। সেখানে এসে তারা প্রিয় লেখককে জানিয়েছেন শ্রদ্ধা। ভেসেছেন আবেগে।
যারা হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে থেকেছেন, কাজ করেছেন, কিংবা তাঁর লেখা প্রকাশ করেছেন তারাও স্মৃতি বিজড়িত স্থানে এসে আপ্লুত হয়েছেন।
হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তাঁর দুই সন্তানসহ স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে কবরে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে কেক কেটে শামিল হন জন্মোৎসবে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে স্মরণ
জন্মদিনে ভোরে সন্তান নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশ পল্লীতে যান মেহের আফরোজ শাওন।নিষাদ-নিনিতও বাবার কবরে ফুল দেয় এবং অন্যদের সঙ্গে তারা বাবার জন্য দোয়া করে। এর আগে প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশ পল্লীর পক্ষ থেকে একটি কেক কাটা হয় এবং কবরের চারপাশে, নুহাশ পল্লীর প্রবেশ পথে, ভেতরের বিভিন্ন পথে, পল্লীর ভেতরে হুমায়ূন আহমেদ যে সব জয়গায় বসতেন সে সব জায়গায় মোমবাতি জ্বালানো হয়। দিনভর নানা বয়সী লোকজন আসতে থাকে নুহাশপল্লীতে। এভাবেই বছর ঘুরে আবারও জন্মদিন আসবে, যুগ যুগ ধরে তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালির হৃদয়ে।
কেক কাটার পর শাওন জানান, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে যেন সঠিক ভাবে চর্চা করা হয়। হুমায়ূন আহমেদের যারা পাঠক- ভক্ত রয়েছেন, তারা যেন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হুমায়ূন আহমেদের লেখা তাঁর কর্ম তুলে ধরেন। সেটাই হবে তার বড় প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরীর আর নেই, প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জীবনাবসান
১২৬৮ দিন আগে
নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে শুক্রবার নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
১৬৩৩ দিন আগে
হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে ২ ছেলেকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে শাওন
গাজীপুরের পিরুজালীর নুহাশপল্লীতে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
১৭৫০ দিন আগে