তিনি বলেন, ‘কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না। গত ১০ অক্টোবর রাজশাহীতে কমিশনার হয়ে এসেছি। প্রয়োজন হলে ১০ দিনেই রাজশাহী ছেড়ে চলে যাব, তবুও কোনো অপরাধীকে ছাড় দেব না। ধর্ষণ, মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংসহ সব অপকর্মকারীর মূল উৎপাটন করাই হবে আমার শপথ।’
শনিবার রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ‘নারী নির্যাতন ও ধর্ষণবিরোধী’ বিট কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনার এসব কথা বলেন।
আরএমপির বিভিন্ন বিট পুলিশিং কমিটির সদস্যরা নারী নির্যাতনবিরোধী এ সমাবেশে যোগ দেন।
আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, ‘দায়িত্ব নিয়ে কিশোর গ্যাং, মাদক ও ইভটিজিং প্রতিরোধে অভিযান শুরু করেছি। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দেখবেন রাস্তার ধারে কিশোর গ্যাংদের আড্ডা নেই। বখাটেরা ইভটিজিং করতে ভয় পাচ্ছে। এসব অপকর্ম নির্মূলে আমরা আরও কঠোর হব। আরএমপি এলাকা সম্পূর্ণ সিসি টিভির আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুতই এটির বাস্তবায়ন হবে।’
তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সব বাবা-মায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘আপনার সন্তান প্রতিদিন সন্ধ্যার পর কোথায় যায় সেটি খোঁজ নিন। কার সাথে মেশে সেটির প্রতি নজর দিন। এরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ। তাদের নৈতিক শিক্ষা দিন। মুসলিমরা আপনার সন্তানকে নামাজ-কুরআন শিক্ষা দিন, অন্য ধর্মাবলাম্বীরা আপনাদের সন্তানকে ধর্মীয় গ্রন্থ পড়তে উৎসাহিত করুন। তারা নৈতিকতা শিখবে।’
আরএমপি বোয়ালিয়া জোনের উপ-কমিশনার সাজিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সুজায়েত ইসলাম ও সালমা বেগম।
এদিকে, রাজশাহীর কাটাখালি থানা পুলিশের ৭ নম্বর বিটের আয়োজনে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নে জয়পুর দারুল ইসলাম দাখিল মাদরাসার সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।