রাজশাহী
৪২ ফুটেও খোঁজ মেলেনি, সাজিদকে উদ্ধারে যতটুকু দরকার খুঁড়বে ফায়ার সার্ভিস
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধানে রাত পেরিয়ে সকাল, সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে ৪২ ফিট খুঁড়েও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাকে উদ্ধার করতে যতটুকু খোঁড়া দরকার, খোঁড়া হবে বলে জানয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় ২৪ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয়রাও কাটিয়েছেন নির্ঘুম রাত।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। খনন চলছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রাশাসন ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট অবিরাম উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সাজিদ ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের যে গর্তে পড়ে গেছে, তার পাশে বড় গর্ত খুঁড়ে সেখান থেকে সুড়ঙ্গ পথে তার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সেখানেও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি তার। এখনো বিভিন্ন কৌশলে চেষ্টা চলছে শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধারের।
শিশুটির অবস্থান শনাক্তে সেই গর্তে ফায়ার সার্ভিস ফেলেছিল বিশেষ ক্যামেরা। কিন্তু ৩৫ ফুট যাওয়ার পর ক্যামেরা আটকে গেলেও দেখা মেলেনি সাজিদের। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা, হয়তো ৪২ ফুটের নিচেই রয়েছে শিশুটি। পুরোটা সময় অক্সিজেন সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় ফায়ার সার্ভিস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুর্ঘটনার পর পাইপের ভেতর থেকে শিশুটির সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। তবে দীর্ঘ সময় পার হওয়ায় শিশুটি এখনো বেঁচে আছে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
তবে স্থানীয়দের ধারণা, এই এলাকা খরাপ্রবণ হওয়ায় পানির স্তর ১৩০ থেকে ১৪০ ফুট নিচে। তাই ৪০ ফুট নয়, আরেও নিচে চলে গেছে সাজিদ।
৬ দিন আগে
২২ ঘণ্টায় ৪০ ফুট খুঁড়েও খোঁজ মেলেনি শিশু সাজিদের
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে রাতে থেকে সকাল পর্যন্ত ৪০ ফিট খুঁড়েও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটি আরও নিচে চলে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২২ ঘণ্টা পার হলেও তার নড়াচড়ার কোনো আলামত পায়নি ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয়রাও কাটিয়েছেন নির্ঘুম রাত।
আজ সকালে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। খনন চলছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রাশাসন ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতা করছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট অবিরাম উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সাজিদ ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের যে গর্তে পড়ে গেছে তার পাশে বড় গর্ত খুঁড়ে সেখান থেকে সুড়ঙ্গ পথে তার কাছাকাছি যাওয়া হয়েছে। তবে সেখানেও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি তার। এখনো বিভিন্ন কৌশলে চেষ্টা চলছে শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধারের। শিশুটির অবস্থান শনাক্তে সেই গর্তে ফায়ার সার্ভিস ফেলেছিল বিশেষ ক্যামেরা। কিন্তু ৩৫ ফুট যাওয়ার পর আটকে যায় ক্যামেরা। এর মধ্যে সাজিদের দেখা মেলেনি।
ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের ধারণা, হয়তো ৪০ ফুট নিচেই রয়েছে সাজিদ। এই সময়ে পাইপের মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে বলেও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পর পাইপের ভেতর থেকে শিশুটির সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। তবে দীর্ঘ সময় পার হওয়ায় শিশুটি এখনও বেঁচে আছে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
তবে স্থানীয়দের ধারণা, এই এলাকা খরাপ্রবণ হওয়ায় পানির স্তর ১৩০ থেকে ১৪০ ফুট নিচে। স্থানীয়রা ধরণা করছেন, ৪০ ফুট নয়, আরেও নিচে চলে গেছে সাজিদ।
এর আগে, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর পরপরই উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস। সাজিদ ওই এলাকার মোহাম্মদ রাকিবের ছেলে।
৬ দিন আগে
রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ
রাজশাহীর নিউমার্কেট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে সবুজ কুমার অধিকারী (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ওয়ে হোম নামের ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল তার দেহ।
সবুজের বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার আটঘরিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম বিমল চন্দ্র অধিকারী। তিনি বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, এদ দিন আগে (শুক্রবার) ওই হোটেলের একটি কক্ষে উঠেছিলেন সবুজ। শনিবারই তার চেক-আউট করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি কক্ষ ত্যাগ না করায় হোটেলের কর্মীরা ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিলে তারা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ফায়ার সার্ভিস গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন। পরিবারের সদস্যরা এলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
১৭ দিন আগে
শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সব যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। তবে শুধুমাত্র একতা ট্রান্সপোর্টের বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। অনেকেই বিকল্প উপায়ে ভ্রমণের চেষ্টা করলেও পর্যাপ্ত বাস না থাকায় বিপাকে পড়েছেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস স্টাফদের বেতন অস্বাভাবিকভাবে কম। বর্তমানে ন্যাশনাল ট্রাভেলস চালকদের প্রতি ট্রিপে মাত্র ১১০০ টাকা, সুপারভাইজারদের ৫০০ টাকা এবং সহকারিদের ৪০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়। শ্রমিকরা এই বেতন বাড়িয়ে অন্তত দুই হাজার টাকা করার দাবি তুলেছেন।
বেতন না বাড়ানো পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা রুটে অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অবরোধে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমাদের একই বেতন দেওয়া হচ্ছে। গত ২৩ আগস্ট আমরা শুধু ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বাস চলাচল বন্ধ করেছিলাম। তখন কর্তৃপক্ষ দুই দিনের মধ্যে বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দেয়। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এবার অন্য সব বাস শ্রমিকরাও আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। একতা ট্রান্সপোর্ট ছাড়া সব বাস বন্ধ থাকবে যতক্ষণ না আমাদের দাবি পূরণ হয়।’
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, ‘শ্রমিকরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। মালিকরা ১০০ টাকা বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে আমরা শ্রমিকরা খুব দ্রুত মালিকদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’
১০০ দিন আগে
বেপরোয়া অটোরিকশার ধাক্কায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত
বেপরোয়া গতির একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. ইফতেখারুল ইসলাম। ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় তার বাড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ইফতেখারুল।
পুলিশ জানিয়েছে, এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বিনোদপুর বাজারে যাচ্ছিলেন ইফতেখারুল। এ সময় একটি অটোরিকশা হঠাৎ ইউটার্ন নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে (ব্রেক ফেল) তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
আরও পড়ুন: উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক নিহত
তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ইফতেখারুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিনোদপুর গেটের দিকে মোটরসাইকেলে আসছিলেন ইফতেখারুল ও তার বন্ধু। ঠিক তখনই অটোরিকশাটি হুট করে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে নেয়, এ কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাবির ইংরেজি বিভাগের সভাপতি ড. মো. মনিমুল ইসলাম বলেন, ‘মোটরসাইকেলে থাকা দুজনই ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। বিনোদপুর কাঁচাবাজারের দিক থেকে একটি অটোরিকশা ইউটার্ন নেওয়ার সময় হঠাৎ ব্রেক ফেল করে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে পেছনে বসা ইফতেখারুল পড়ে গিয়ে মারা যায়।’
রাজশাহী নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিক ওই অটোরিকশার চালককে আটক করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
১০৪ দিন আগে
রাজশাহীতে ট্রাকের ধাক্কায় সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি খাদে, আহত ১০
রাজশাহীর মোহনপুরে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়িকে পেছন থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে দুইটি যানবাহন রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এতে আটজন সেনাসদস্যসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর মডেল টাউনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ট্রাকের চালক ও তার সহকারীও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের ৪ জন নিহত
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী সিএমএইচ এবং দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘মোহনপুর মডেল টাউনের সামনে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়িকে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সেনাবাহিনীর টহলরত গাড়ি ও ট্রাক রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।’
১১৩ দিন আগে
রাজশাহীতে আলোচিত এসআই মাহবুব হাসানকে সংঘবদ্ধ পিটুনি
ভুক্তভোগী ও উত্তেজিত জনতার হাতে সংঘবদ্ধ পিটুনির শিকার হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) বরখাস্ত হওয়া আলোচিত উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হাসান।
উপপরিদর্শক মাহবুব হাসানের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষকেও আটক করে চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) মধ্যরাতে রাজশাহী নগরের হাজির মোড় এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। এরপর সংঘবদ্ধভাবে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি মাসুদ এসআই মাহবুব হাসান আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মাহবুব হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে দলীয় প্রভাবে তিনি পুলিশে চাকরি পান এবং আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) পোস্টিং নেন। এ সময় তিনি বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল ও শিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও পঙ্গু করেছেন।
তবে শুধু রাজনৈতিক বিরোধীরাই নয়, সাধারণ মানুষও তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
মাহবুব হাসানের বিরুদ্ধে করা একটি মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর এসআই মাহবুব হাসান সাদা পোশাকে নগরের শিমলাবাগান এলাকা থেকে রাজীব আলী রাতুল (৩১) নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে যান। এরপর রাজীবের বাবাকে ফোন করে জানানো হয়, তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা না দিলে ছেলেকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে। ভয়ে শিমলাবাগানে গিয়ে মাহবুব হাসানের হাতে পাঁচ লাখ টাকা তুলে দেন বাবা মাসুদ রানা। এ সময় মাহবুব হাসান রাজীবের বাবাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন এবং রাজীবকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু পরদিন রাজীবকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
দীর্ঘ ১৬ মাস কারাভোগ করার পর জামিন পান রাজীব। এর এক মাস আগে নগরের রেলগেট এলাকায় মাহবুব হাসানের সঙ্গে দেখা হলে তিনি টাকা ফেরত চান। তখন মাহবুব হাসান মারমুখী আচরণ করে বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ করেছেন। টাকা চাইলে মেরে ফেলা হবে বলে ভুক্তভোগীকে ভয় দেখান।
এ ছাড়া গত বছর গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহীতে দুজন শহীদ হন—আলী রায়হান ও সাকিব আনজুম। ডিবির বরখাস্ত হওয়া এসআই মাহবুব হাসান দুটি হত্যা মামলারও আসামি।
১১৫ দিন আগে
রাজশাহীতে এক পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীর পবা উপজেলায় ঋণের চাপে এবং অভাবের তাড়নায় দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মিনারুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে পারিলা ইউনিয়নের বামনশেখর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ (শুক্রবার) সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন— মিনারুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (দেড় বছর)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদয়ালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। তার ঋণ রয়েছে ছিল জানা গেছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, পরিবারের চারজন সদস্যই মারা গেছেন। এর মধ্যে এক ঘরে মা ও মেয়ে এবং অন্য ঘরে ছেলে ও বাবা মিনারুল ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলেন। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
চিরকুটে মিনারুল লিখেছেন, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলেমেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো।’
‘কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’
১২৪ দিন আগে
কোচ পছন্দ না হওয়ায় বিক্ষোভ, রাজশাহী থেকে ১ ঘণ্টা পর ছাড়ল বিশেষ ট্রেন
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বরাদ্দ দেওয়া বিশেষ ট্রেনের কোচ পছন্দ না হওয়ায় রাজশাহী রেল স্টেশনে বিক্ষোভ করেছেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগ্রহীরা। তার প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্বের পর ঢাকার উদ্দেশে স্টেশন ছাড়ে ওই বিশেষ ট্রেনটি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সোয়া ৭টার দিকে বিশেষ ট্রেন যাত্রা উপযোগী নয় দাবি করে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মের রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগ্রহীরা। বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় তারা রাজশাহী রেল স্টেশনে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি ট্রেনটি আটকে দেন।
আন্দোলনের মুখে জুলাই যোদ্ধাদের ঢাকাগামী বিশেষ ট্রেন ৭টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে ৮টা ১৩ মিনিটে ছেড়ে যায়। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন ৭টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও আন্দোলনের মুখে ছেড়ে যায় ৮টা ২৫ মিনিটে।
রাজশাহী, পাবনা, ঈশ্বরদী, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ স্টেশন থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে ওই বিশেষ ট্রেনটির।
আরও পড়ুন: অধিকাংশ খালি আসন নিয়েই ফরিদপুর ছাড়ল স্পেশাল ট্রেন
আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, বিশেষ ট্রেন হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া কোচ ও ইঞ্জিন অনেক পুরনো ও লোকাল মানের। এতে গাদাগাদি করে বসার মতো পরিবেশ তৈরি হয়। দ্রুতগতিতে ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব নয় বুঝতে পেরে তারা ভালো মানের ট্রেনের দাবিতে রেলপথে অবস্থান নেন।
এরপর একপক্ষ রেল বিভাগের বরাদ্দ দেওয়া বিশেষ ট্রেনে চড়ে ঢাকা রওনা দেন। অন্যপক্ষ সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা রওনা হন।
এ বিষয়ে রাজশাহী স্টেশন ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যে ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেগুলো যথেষ্ট মানসম্মত। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি ছিল।’
১৩৪ দিন আগে
রাজশাহীতে পাইলট তৌকিরের দাফন সম্পন্ন
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণ হারানো বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার(২২ জুলাই) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে জানাযা শেষে পাশেই সপুরা কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে ঢাকায় তার জানাযা সম্পন্ন হয়। বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের পাইলট ছিলেন তিনি।
নিহত তৌকিরের মামা রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার মৃত্যুর খবর শোনার পর তৌকিরের পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় নেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় প্রথম জানাজা শেষে হেলিকপ্টারে তার লাশ রাজশাহীতে নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দফায় রাজশাহী উপশহর ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা হয়। এরপর বিকালে সপুরা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি আরও জানান, তৌকিরের মৃত্যুতে শোকের আবহ পুরো রাজশাহী নগরীজুড়ে। সকাল থেকেই ভাড়া বাসায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন স্বজনরা। তৌকিরের বন্ধু-বান্ধবসহ পরিচিতরা তার রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
জেলা প্রশাসন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দোয়ার আয়োজন করেছে।
১৪৮ দিন আগে