রাজশাহী
রাজশাহীতে বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাসচাপায় আশরাফুল ও নাজমুল নামে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের অভয়া-কামারপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে চা বাগান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর কাজীপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম এবং একই গ্রামের নাজমুল হক।
গোদাগাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মাহবুবুর রহমান নয়ন বলেন, মোটরসাইকেল করে আশরাফুল ও নাজমুল রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে প্রাণ হারান ওই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী।
গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, লাশ দুটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। নিহতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় নিখোঁজের ৫১ ঘণ্টা পর পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার
১ সপ্তাহ আগে
রাজশাহীতে বিদ্যুতায়িত-পুকুরে ডুবে ২ জনের মৃত্যু
রাজশাহীর তানোরে বিদ্যুতায়িত হয়ে আবুল বাসার ও পুকুরের পানিতে ডুবে বকুল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টেবর) রাতে মুন্ডুমালা বাজার এলাকায় এবং শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে সাদিপুর এলাকায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিদ্যুতের ফাঁদে বন্যহাতির মৃত্যু, আটক ১
আবুল বাসার (৫৫) মুন্ডুমালা গ্রামের মৃত ইউনুস আলী সরদারের ছেলে এবং বকুল হোসেন (১৬) ওই এলাকার মৃত মোস্তফা আলীর ছেলে।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মুন্ডুমালা বাজার এলাকায় আবুল বাসার নিজের মার্কেটে পানির পাম্প চালু করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান।
তিনি আরও বলেন, অপরদিকে শুক্রবার উপজেলার সাদিপুর এলাকায় বকুল হোসেন পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মারা গেছে।
দুইজনের প্রাণহানির ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: মতলবে পানিতে ডুবে যমজ ২ ভাইয়ের মৃত্যু
৩ সপ্তাহ আগে
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্যসহ নিহত ২
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার সঙ্গে ভুটভুটির (ইঞ্জিন চালিত ভ্যান) মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার দাসপাড়া গ্রামের মমতাজুল ইসলামের ছেলে মো. পলাশ (২১) ও রানীনগর উপজেলার তালিমপুর গ্রামের মৃত তোতা হাজির ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৪০)। এদের মধ্যে পলাশ সেনাবাহিনীর সৈনিক ও আব্দুল কুদ্দুস মসজিদের ইমাম। তারা দুইজন সিএনজির যাত্রী ছিল।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, নওগাঁগামী সিএনজি অটোরিকশা মোহনপুর উপজেলার সইপাড়ায় পৌঁছলে একটি মাহেন্দ্রাকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিন চালিত ভুটভুটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সিএনজি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে সিএনজির যাত্রী পলাশের মাথায়, ডান হাত, মুখ, ডান পায়ে এবং আব্দুল কুদ্দুসের মাথা ও ডান হাতে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভুটভুটি চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
৩ সপ্তাহ আগে
রাজশাহীতে বাসচাপায় শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে মায়ের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে নামার সময় বাসচাপায় মারিয়া আক্তার যুঁথি (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ভদ্রা মোড়ে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ভদ্রা এলাকায় বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকচাপায় নারী শ্রমিকের মৃত্যু
মারিয়া নগরীর মেহেরচণ্ডী এলাকার হাসান মোল্লার সন্তান।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, মায়ের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে নামার সময় বাসচাপায় মারিয়া নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। তবে বাস ও চালককে আটক করা যায়নি। সিসি ক্যামেরা দেখে বাসটি শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩১২
৩ সপ্তাহ আগে
রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু
রাজশাহী মহানগরীতে মীম নামে যুবলীগের এক কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত মীম (২৫) রাজশাহী মহানগরীর রামচন্দ্রপুর এলাকার আব্দুল মোমিনের ছেলে।
জানা গেছে, শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রেখে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। হাসপাতালের ট্রলিম্যানরা তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন। সেখানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল বলে জানান চিকিৎসকরা।
মীম গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর দুই হাতে গুলি চালানো যুবলীগ নেতা রুবেলের নিকটাত্মীয় ও সহযোগী ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) তাজমুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে যতদূর জানা গেছে, নিহত মীম যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে পুলিশ। শিগগিরই পুরো ঘটনা জানা যাবে।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
৩ সপ্তাহ আগে
রাজশাহীতে অটোচালককে হত্যার পরে মাটিচাপা, আটক তিন
রাজশাহী এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় অটোরিকশা ছিনতাই করে চালককে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাতে ভুগরইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
সোমবার (২১ অক্টোবর) কলাই খেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত অটোরিকশা চালক সিরাজুল ইসলাম (৬৫) নওগাঁর মহাদেবপুরের কাঞ্চন গ্রামের বাসিন্দা।
হত্যার অভিযোগে আটকরা হলেন- রাতুল, ফিরোজ ও শুভ। তিনজনের বাড়িই রাজশাহীতে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকতার বলেন, আটক তিনজন সিরাজুলকে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গিয়ে তারা অটোরিকশাটি বিক্রির চেষ্টা করে। সেসময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উঠে আসে।
তিনি বলেন, বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশকে জানানো হলে ওই তিনজনের দেখানো স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। কলাই খেতে মাটিচাপা দিয়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল সিরাজুলের লাশ। এর আগে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা।
ওসি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
১ মাস আগে
রাজশাহীতে কৃষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বাড়ির পাশের আমগাছ থেকে আবুল হোসেন (৫৫) নামের এক কৃষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল হোসেন ওই গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের দুই ছেলেসন্তান রয়েছে।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া-কলহ লেগেই থাকত আবুল হোসেনের। কয়েক দিন ধরেই দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি। রবিবার ভোরে বাড়ির পাশে আমগাছের ডালের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখা যায় আবুল হোসেনকে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
রাজশাহীর পুঠিয়া মন্দির কমপ্লেক্স ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
শত বছরের ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতিফলক দেশের মন্দিরগুলো। এগুলোর কোনো কোনোটির স্থাপত্য সৌন্দর্য্য অভিভূত করে দর্শনার্থীদের। কোনো কোনোটির ধ্বংসাবশেষ মনে করিয়ে দেয় একে ঘিরে শত শত চড়াই-উৎরাইয়ের কিংবদন্তির কথা। এসব বৈচিত্র্যপূর্ণ অনুভূতির সবগুলো একসঙ্গে এসে ধরা দেবে রাজশাহীর পুঠিয়া মন্দির কমপ্লেক্স ভ্রমণে গেলে। কারণ দেশের ভেতর এই একমাত্র অঞ্চলে সর্বাধিক সংখ্যক মন্দিরের সন্নিবেশ ঘটেছে। অল্প দূরত্বে থাকা ছোট-বড় স্থাপনাগুলো ধারণ করে রয়েছে গোটা একটি শতাব্দীকে।
চলুন, দেশের এই প্রত্নতাত্ত্বিক দর্শনীয় স্থানটিতে ভ্রমণ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পুঠিয়া মন্দির কমপ্লেক্সের অবস্থান
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেকগুলো পুরাতন মন্দিরের সমন্বয়ে গঠিত এই কমপ্লেক্সটির অবস্থান রাজশাহীর পুঠিয়ায়। রাজশাহী থেকে নাটোর অভিমুখী মহাসড়কের কাছে বিশাল পরিসর জুড়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে ছড়িয়ে আছে মন্দিরগুলো। জায়গাটি পড়ছে রাজশাহীর ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং নাটোর থেকে ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে।
পুঠিয়া মন্দিরগুলোর ইতিহাস
১৭ শতকের এই অঞ্চলের প্রভাবশালী রাজবংশের নাম পুঠিয়া, যাদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছিল এই মন্দিরগুলো। ১৮ এবং ১৯ শতক জুড়ে তাদের শাসনামলে নির্মিত হওয়ায় পুঠিয়া রাজবংশের নামেই অভিহিত হয় এই মন্দিরগুলো। ধর্মীয় কার্যাবলির পাশাপাশি এগুলো ব্যবহৃত হতো তৎকালীন জমিদারের প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে।
পুঠিয়া অধ্যুষিত এলাকা ছিল ব্রিটিশ বাংলার দ্বিতীয় বৃহত্তম সাম্রাজ্য। ১৭৭৮ সালে ভুবনেন্দ্র নারায়ণের নির্দেশে নির্মাণ করা হয় দোল মন্দির। ১৭৯০ থেকে ১৮০০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত হয় চৌচালা ছোট গোবিন্দ মন্দির। ১৮২৩-এ রাণী ভুবনময়ী দেবী শিব সাগরের উপকণ্ঠে গড়ে তোলেন ভুবনেশ্বর শিব মন্দির। পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দিরের গোড়াপত্তন হয় ১৯ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে।
আরো পড়ুন: দিনাজপুরের রামসাগর দীঘি ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বর্তমানে পর্যটকদের নিকট সর্বাধিক জনপ্রিয় পুঠিয়া রাজবাড়ি নির্মাণকাল ১৮৯৫ সাল। তৎকালীন পুঠিয়ার রানী হেমন্ত কুমারী দেবী তার শাশুড়ি শরৎ সুন্দরী দেবীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ করেছিলেন মন্দিরটি। সে সময় স্থানীয়ভাবে এটিকে পাঁচআনি প্রাসাদ নামে ডাকা হত।
ঢাকা থেকে রাজশাহীর পুঠিয়া মন্দির কমপ্লেক্স যাওয়ার উপায়
সড়কপথে বাসে যেতে হলে ঢাকার কল্যাণপুর, গাবতলী, মহাখালী, বা আব্দুল্লাহপুর থেকে রাজশাহীগামী বাসে উঠতে হবে। এসি কোচগুলোতে সম্ভাব্য ভাড়া মাথাপিছু ৯০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর নন-এসিতে ভাড়া পড়তে পারে জনপ্রতি ৭১০ থেকে ৭৫০ টাকা।
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন সময়ে রাজশাহীর উদ্দেশে যাত্রা করে। এগুলোতে শ্রেণিভেদে ভাড়া নিতে পারে সর্বনিম্ন ৩৪০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৭৩ টাকা পর্যন্ত।
দ্রুত সময়ে পৌঁছানোর জন্য উত্তরা বিমান বন্দর থেকে আকাশপথেও যাওয়া যেতে পারে। তবে এই যাত্রাপথে ভাড়া বেশ ব্যয়বহুল; জনপ্রতি প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: সুন্দরবনের কটকা সমুদ্র সৈকত: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক ভ্রমণ খরচ
বাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড নেমে যাওয়া যায়। তারপর সেখান থেকে মন্দির কমপ্লেক্সের দূরত্ব ৫ থেকে ১০ মিনিটের পায়ে হাঁটা পথ।
ট্রেন বা বিমানের ক্ষেত্রে স্টেশন বা বিমানবন্দর থেকে লোকাল বাসে করে পুঠিয়ায় যেতে হবে। এছাড়া নাটোরগামী আন্তঃনগর বাস বা রিজার্ভ গাড়িতে করেও পুঠিয়া যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
পুঠিয়া মন্দির কমপ্লেক্স ভ্রমণে কি কি দেখবেন
এখানকার পুরাকীর্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে পাঁচআনি রাজবাড়ী বা পুঠিয়া রাজবাড়ী, চারআনি রাজবাড়ী এবং ১৩টি মন্দির।
এগুলো হলো- বড় শিব মন্দির, রথ মন্দির, দোল মন্দির, পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দির, ছোট আহ্নিক মন্দির, বড় আহ্নিক মন্দির, গোপাল মন্দির, ছোট গোবিন্দ মন্দির, কৃষ্ণপুর গোবিন্দ মন্দির, কৃষ্ণপুর শিব মন্দির, কেষ্ট ক্ষ্যাপার মঠ, বড় গোপাল মন্দির ও জগদ্ধাত্রী মন্দির।
অধিকাংশ মন্দিরেরই বিশেষত্ব হচ্ছে সূক্ষ্ম পোড়ামাটির ফলক। জোড় বাংলা স্থাপত্য রীতির সাদৃশ্য থাকলেও এগুলোতে বিদেশি নকশারও মিশেল ঘটেছে। যেমন প্রধান পর্যটন আকর্ষণ পুঠিয়ার রাজবাড়িটিতে অনুসরণ করা হয়েছে ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্য রীতি। কক্ষের দেওয়াল ও দরজায়, কাঠের কাজে, ভবনের সম্মুখের স্তম্ভ, অলংকরনে লতাপাতা ও ফুলের চিত্রকর্ম। এখানে গতানুগতিক হিন্দু স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রেনেসাঁ যুগের ইউরোপীয় নকশা। একটি বিশালাকার লেকের চারপাশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মন্দিরগুলোর মাঝে রয়েছে একটি নান্দনিক সবুজ চত্বর।
আরো পড়ুন: বর্ষাকালে সুউচ্চ ঝর্ণা-পাহাড়ে হাইকিং ও ট্রেকিং: ঝুঁকির কারণ ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
পঞ্চ রত্ন গোবিন্দ মন্দিরকে বড় গোবিন্দ মন্দিরও বলা হয়ে থাকে। এর দেওয়ালে চমৎকার পোড়ামাটির অলঙ্করণে প্রকাশ পেয়েছে কৃষ্ণ এবং রাধার ঐশ্বরিক প্রণয়। দরজার দুপাশ ও ভবনের চারপাশের কর্ণারেও পোড়ামাটির ফলকের জয়জয়কার। এগুলোতে ফুটে আছে যুদ্ধের কাহিনী এবং বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবীর চিত্র।
চৌচালা ছোট গোবিন্দ মন্দির নির্মাণে অনুসরণ করা হয়েছে চার চালা শৈলী। দক্ষিণের সম্মুখ ভাগটিতে দেখা যায় ব্যাপক পোড়ামাটির কাজ। এই অঙ্কনের বিষয়বস্তু হচ্ছে বিষ্ণুর দশ অবতার, ফুলের নকশা, জ্যামিতিক আঁকিবুকি এবং তৎকালীন নাগরিক জীবনাচরণ।
ভুবনেশ্বর বা পঞ্চরত্ন শিব মন্দিরটি বাংলাদেশের বৃহত্তম শিব মন্দির। এর সজ্জায় ব্যবহৃত পাঁচটি চূড়া মূলত পূর্ব ভারতে প্রচলিত মনোমুগ্ধকর পঞ্চ রত্ন শৈলীকে প্রতিনিধিত্ব করে। পাঁচটির মধ্যে চারটি চূড়ার প্রত্যেকটিতে রয়েছে ছোট ছোট ১৭টি উপ-চূড়া। কেন্দ্রীয় বৃহত্তর চূড়াটিতে উপ-চূড়ার সংখ্যা ১০৮।
ছোট শিব মন্দিরের অবস্থান পুঠিয়া রাজবাড়ীর ঠিক পিছনে। চার চালা স্থাপত্য শৈলীতে গড়া ছোট এই মন্দিরের সামনের অংশটি ঢেকে আছে পোড়ামাটির ভারী অলঙ্করণে।
ভুবনেশ্বর শিব মন্দিরের পাশেই রয়েছে রথ মন্দির, যেটি অন্য নাম জগন্নাথ মন্দির। দ্বিতল এই স্থাপনাটির কাঠামো অষ্টভুজাকৃতির। দরজার চৌকাঠে ব্যবহার করা হয়েছে বেলে পাথর, যেটি চমৎকার অলঙ্করণে সজ্জিত।
আরো পড়ুন: কলকাতায় কেনাকাটার জনপ্রিয় স্থান
পুঠিয়া রাজবাড়ির সামনের মাঠ পেরিয়ে গেলেই পড়ে দোল মন্দির। এর নিচতলার প্রত্যেক দেওয়ালে সাতটি করে ২৮টি দরজা রয়েছে। দোতলায় পাঁচটি করে ২০টি, তিন তলায় তিনটি করে ১২টি এবং চতুর্থ তলায় একটি করে চারটি দরজা। সব মিলিয়ে প্রবেশের জন্য মোট দরজার সংখ্যা ৬৪। এ কারণে স্থানীয়রা মন্দিরটি নাম দিয়েছে হাজারদুয়ারী। পুরো কমপ্লেক্সে শুধু এই মন্দিরে কোনো প্রতিমা বা পূজার ঘর নেই। সে কারণে এখানে পুরোহিত বা পূজারিদেরও খুব একটা আনাগোনা দেখা যায় না।
পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দিরের কাছেই ছোট আহ্নিক মন্দিরে ব্যবহার করা হয়েছে দো চালা শৈলী। পুরোটা পাতলা ইট ও চুনসুরকিতে বানানো হলেও মন্দিরের কর্ণার ও কার্নিশগুলো রাঙানো হয়েছে পোড়ামাটির চিত্রফলকে। ভেতরের চার দেওয়ালে চারটি পদ্ম এবং পূর্ব দেওয়ালের বাইরের দিকে পোড়ামাটির কারুকাজে জীবজন্তু ও লতা-পাতার সঙ্গে অঙ্কিত হয়েছে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবনলীলা।
অন্যদিকে, বড় আহ্নিক মন্দিরে নকশাটি বাংলার মন্দির স্থাপত্যের একটি অভূতপূর্ব মিশ্র রূপ। এখানে দুই পাশে দুটি চার চালা কাঠামো, আর কেন্দ্রীয় ভাগে দেওয়া হয়েছে দোচালা শৈলী।
পাশাপাশি অবস্থিত বড় আহ্নিক মন্দির, গোপাল মন্দির, ও ছোট গোবিন্দ মন্দির মূলত চারআনি জমিদারবাড়ীর অংশ।
পোড়ামাটির নান্দনিক চিত্রকর্ম আরও দেখা যায় কৃষ্ণপুর গোবিন্দ মন্দিরে, যাকে স্থানীয়রা সালামের মঠ নামে ডাকে। এছাড়া খিতিশ চন্দ্রের মঠ বা কৃষ্ণপুর শিব মন্দিরটিতেও রয়েছে পোড়ামাটির অপূর্ব চিত্রফলক।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতের ডাবল এন্ট্রি ভিসা পাওয়ার উপায়
২ মাস আগে
রাবিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
রাজশাহীতে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য। তিনি নগরীর বুধপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে তার ওপর হামলা চালানো হয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় থানায় সোপর্দ করা হয়। সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে শনিবার রাতে বিনোদপুর বাজারে মাসুদের ওপর হামলা হয়। পরে একদল শিক্ষার্থী তাকে প্রথমে মতিহার থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু মতিহার থানায় ৫ আগস্টের সহিংসতার কোনো মামলা না থাকায় তাকে বোয়ালিয়া থানায় সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মাসুদ। তার শারীরিক অবস্থা দেখে সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। এখন পরিবার চাইলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বোয়ালিয়া থানা হাজতে শুয়ে থাকা অবস্থায় মাসুদ বলেন, ‘আমি বিনোদপুরে ওষুধ নিতে এসেছিলাম। আমি ছাত্রলীগ করতাম ওই জন্য ধরেছে।’
মাসুদকে যখন আনা হয়, তখন বোয়ালিয়া থানায় ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার। ৫ আগস্ট এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দুই যুবককে ধরে থানায় এনেছিলেন তিনি।
মাসুদের মৃত্যুর খবর শুনে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমরা যে দুজনকে নিয়ে গিয়েছিলাম, তাদের নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। তার মধ্যেই আহত অবস্থায় একজনকে আনতে দেখলাম। কিন্তু কারা তাকে এনেছিল তা চিনতে পারিনি। পুলিশের এটা ভালোভাবে দেখা উচিত ছিল।’
জানা গেছে, দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর নিজের দুর্দশার কথা জানিয়ে একটি চাকরি চেয়ে ২০২২ সালের শেষের দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লেখেন মাসুদ। এরপর ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মীর তাফেয়া সিদ্দিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠানো চিঠিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার পদে আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে নিয়োগ দিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে স্টোর অফিসার পদে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নিয়োগপত্র পেয়ে ২২ ডিসেম্বর চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। সেই থেকে এ পদেই চাকরি করতেন তিনি।
২ মাস আগে
রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় লিটনসহ ৪২ জনের নামে মামলা
রাজশাহীতে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৪২ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ আগস্ট) রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত সাকিবের বাবা মাইনুল হক।
নিহত সাকিবের বাড়ি নগরীর রাণীনগর এলাকায়। তিনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নজিবুল বশর ভান্ডারী, পুলিশের এসপি ও ওসিসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, গোদাগাড়ী, পবা ও পুঠিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল, ফারুক হোসেন ডাবলু ও জিএম হিরা বাচ্চু, রাসিকের ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ টেকন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফায়সাল আহমেদ রুনু, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল গালিব, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব।
অন্য আসামিরা হলেন- রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত, যুবলীগ নেতা জহিরুল হক রুবেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাইমুল ইসলাম নাইম, রাবি ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, পঞ্চপটি এলাকার জীবর, শাকিল, পাঁচআনি মাঠ এলাকার রোজেল, বুধপাড়ার রাব্বেল, আলাউদ্দিন আলাল, মাসুদ পারভেজ, লালন শেখ, মির্জাপুর পশ্চিমপাড়ার অনিক মাহমুদ বনি, মোজাপুর এলাকার দিনার, কাজলা এলাকার যুবলীগ নেতা খায়রুল বাশার সুগার, হরিয়ানের নলখোলা এলাকার জেবর আলী, ইয়াসিন আলী, পবার পারিলা এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বদেশ, খড়খড়ি বালানগরের জুয়েল, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলীর ছেলে হৃদয়, শেখের চকের ফরহাদ হোসেন, রাজ, গুজানগরের মোস্তফা, উপশহরের লস্কর বাবু, নওদাপাড়ার রনি, রাজা ও বোসপাড়ার শক্তি।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে। আর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে ৪২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।’
আসামিদের গ্রেপ্তারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে থানায় হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪০ হাজার
২ মাস আগে