নগরীর চর্থা এলাকায় শচীন দেব বর্মনের পৈত্রিক নিবাসে শিল্পী উত্তম গুহের তৈরি এ ম্যুরাল প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্রে বদলে যাবে কুমিল্লার মনপালের জনপদ
শচীন দেব বর্মণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এ ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এর আগে ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের মতো আরও বিনোদন কেন্দ্র পেতে যাচ্ছে ঢাকাবাসী
স্থানীয় সরকার বিভাগ-কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক আমির আলী চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা ও প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান পৌঁছে দেবে জিফাইভ
শচীন দেব বর্মণ
শচীন দেব বর্মণ বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী গানের কিংবদন্তীতুল্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গায়ক ও লোকসঙ্গীত শিল্পী। তিনি ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা নবদ্বীপচন্দ্র দেব বর্মণের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা শুরু করেন। তৎকালীন ত্রিপুরার অন্তর্গত কুমিল্লার রাজপরিবারের নয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। মা মণিপুর রাজবংশের মেয়ে নিরুপমা দেবী। দেব বর্মণ ১৯২০ সালে কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন। ১৯২২ সালের এইচএসসি পাস করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বিএ ভর্তি হন তিনি। ১৯২৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ তে ভর্তি হন। ১৯৪৪ সালে থেকে স্থায়ীভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগী ছিলেন দেব বর্মণ। ১৯৭৫ সালে প্যারালিটিক স্ট্রোক হয়ে কোমায় ছিলেন পাঁচ মাস। ৩১ অক্টোবর, ১৯৭৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শচীন দেব বর্মণকে এস ডি বর্মণ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। কিছুটা অনুনাসিক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি তার শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। প্রায় একশো বছর পার করেও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তার কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন বিন্দুমাত্র কমেনি।
আরও পড়ুন: খেলার মাঠ আর বিনোদন কেন্দ্রে বদলে যাবে কুমিল্লার মনপাল
কেবল সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নয়, গীতিকার হিসেবেও তিনি সার্থক। তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ছেলে রাহুল দেব বর্মণ ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার ছিলেন। তার ছাত্রী এবং পরবর্তীতে সহধর্মিনী মীরা দেব বর্মণ গীতিকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।