শুক্রবার সকালে দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেদের চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে হাইমচর ও মতলব উত্তর উপজেলা টাস্কফোর্সের সদস্যরা মেঘনায় ইলিশ শিকার অবস্থায় এসব জেলেদের আটক করেন।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আসাদুল বাকী বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে হাইমচর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিগ্যান চাকমা ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুজন জেলেকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নেহাশীষ দাশ আরেক ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাতজন জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড এবং একজনকে ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। আটক জেলেরা সবাই স্থানীয়।
তিনি আরও বলেন, এসব অভিযানে প্রায় এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ৮ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এবং জব্দকৃত ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও মাদরাসায় বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর সদরের আলুর বাজারের কাছে মেঘনায় মা ইলিশ নিধনের দায়ে আরও চার জেলেকে আটক করেছে চাঁদপুর সদরের আলু বাজার নৌপুলিশ ফাঁড়ি। জেলেরা সবাই শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের আলুর বাজার এলাকায় মা ইলিশ নিধনের সময় চার জেলেকে জাল ও নৌকাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- শরীয়তপুরের সখিপুরের সিরাজ মিজির ছেলে মো. কালু মিজি (২১), একই এলাকার জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে মো. রাব্বি শেখ (২০), আলী হোসেন বাবুর্চীর ছেলে মো. জাফর ইসলাম (২০) ও ফারুক মিয়ার ছেলে মো. শাহাদাত (১৯)।
আলু বাজার নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. পারভেজ জানান, সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মা ইলিশ নিধনের সময় চার জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ১৫ কেজি ইলিশ মাছ ও একটি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটকদের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসার সফিউদ্দীন জানান, আদালতের মাধ্যমে আটকদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।