চাঁদপুর
চাঁদপুরে আগুনে পুড়ল ১৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আহত ১০
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিখ্যাত মুন্সিরহাট বাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে ১৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোর সোয়া ৭টার দিকে বাবুরহাট-মতলব পেন্নাই সড়কের পাশে দোকানগুলোতে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দেড় ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
স্থানীয়রা জানান, নবির নামের একজনের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্তেই তা পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নবীরের হার্ডওয়ার দোকান, শরীফের রঙয়ের দোকান, অনিলের ফার্মেসী, গণেশের স্বর্ণের দোকান, মুক্তার হার্ডওয়ারের দোকান, আলমের মুদি দোকান, ফারুকের টিনের দোকান, রহিমের ফার্মেসী ও কুমিল্লা মিষ্টান্ন ভান্ডার আগুনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
এছাড়াও বাকি দোকানগুলোর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত আরও ১০ জন আহত হন। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: নাজিম উদ্দিন রোডের ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, আহত ১৮
২ দিন আগে
চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে মা-ছেলেসহ নিহত ৩
চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ও বালিয়া ইউনিয়নে পৃথক দুটি ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন— চান্দ্রা ইউনিয়নের খাদিজা আক্তার (৩০) ও তার ছেলে আবু বকর (৭) এবং বালিয়া ইউনিয়নের শিশু মাকসুদা (২)।
নিহত খাদিজা স্বজনরা জানান, গতকাল স্বামী লোকমানসহ দুই ছেলেকে নিয়ে চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। তারা ঢাকায় থাকেন, আজই (বুধবার) তাদের ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
স্বজনরা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে দুই ছেলেকে নিয়ে খাদিজা গোসল করতে নামেন তাদের বাড়ির পুকুরে। তারা কেউই সাঁতার জানতেন না।
পুকুরে নামার পড়ে দুই ছেলেই পানিতে তলিয়ে গেলে মা বড় ছেলেকে উদ্ধার করে। পরে ছোট ছেলে আবু বকরকে উদ্ধার করতে খাদিজা আবার ডুব দিলে দুজনেই পানিতে তলিয়ে যান। পরে বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বিল্লাল রহমান তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
অন্যদিকে, সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া গ্রামে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের লোকদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে মাকসুদা নামে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ওসি মো. বাহার মিয়া ইউএনবিকে জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৪ দিন আগে
৪০০ কিলোমিটার সাঁতরিয়ে চাঁদপুরে রফিকুল, গন্তব্য বঙ্গোপসাগর
দীর্ঘ ৪০০ কিলোমিটার নৌপথ সাঁতরিয়ে চাঁদপুরে পৌঁছেছেন সাহসী সাঁতারু রফিকুল ইসলাম। তার লক্ষ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত যাওয়া। কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকা ঝুনকারচর থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেছেন। এই যাত্রায় চাঁদপুরে পৌঁছাতে তার সময় লেগেছে ১৯ দিন।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম একজন সাহসী ও উদ্যমী সাঁতারু। তার আরেকটি বিশেষ পরিচয় হলো তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদারের স্বামী। তিনিও তার সঙ্গে রয়েছেন।
চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে শনিবার (২২ মার্চ ) বিকালে সাঁতারু রফিকুল ইসলাম সাঁতার কেটে মেঘনা পাড়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান চাঁদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ, বিশ্ব ভ্রমণকারী তানভীর অপুসহ চাঁদপুরবাসী।
সাঁতারু রফিকুল ইউএনবিকে জানান, অভিযাত্রী সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজ করা হয় অ্যাডভেঞ্চার ও রোমাঞ্চকর বিষয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘শোক থেকে শক্তি’ স্বাধীনতা দিবসের এ অর্জনের শক্তি হিসেবে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার নৌপথ সাঁতরিয়ে অতিক্রম করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে তিনি নদীতে ঝাপ দেন, শুরু করেন সাঁতার। আজ শনিবার তার ১ মাস ১ দিন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধলেশ্বরী নদীতে সাঁতার শেখাতে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে বাবাও নিখোঁজ
তিনি আরও বলেন, আজ শনিবার শরীয়তপুরের সুরেশ্বর চরআত্রা এলাকা থেকে সকাল ৭টায় রওনা করে বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর মোলহেডে এসে পৌঁছেন তিনি।
এ সময় তিনি ২২ কিলোমিটার নদী পথ সাঁতরে আসেন। দেখা গেলো তিনি বেশ চাঙা ও উদ্যমী। (মরালী বুস্ট আপ)
তিনি আরও বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আজ ২২ মার্চ শনিবার দিন পর্যন্ত তিনি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার নদী পথ সাঁতার কেটেছেন।
এর মধ্যে— কুড়িগ্রামের চিলমারী, যমুনা সেতু , পদ্মা-মেঘনাসহ অনেক নদী পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম রবিবার ভোরে চাঁদপুর থেকে রওনা করবেন ১৫০ কিলোমিটার নৌ পথ পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে। তার সঙ্গে রয়েছেন সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণাদানকারী এভারেষ্ট বিজয়ী সহধর্মীনি নিশাত মজুমদার, সহযাত্রী ফারুকসহ গ্রেট ডেলটা (কুড়িগ্রাম থেকে শুরু হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগর ) অভিযাত্রী সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
সাহসী এই সাঁতারু আরও বলেন, নদীমাতৃক আমাদের এই দেশ। এদেশে অনেক ছোট, বড় নদী রয়েছে। সাঁতার কাটতে কাটতে চেনা যায় নদীর পারের সহজ সরল মানুষদের। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সকলের দোয়াও কামনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলের যুদ্ধে জয়ী হলেও জীবনযুদ্ধে পরাজিত সাঁতারু তাহেরা
২১ দিন আগে
চাঁদপুরে গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ১৭ দোকান, আহত ১৫
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৭টি দোকান পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে হাজীগঞ্জ পৌর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে— ফটোকপির দোকান, প্রিন্টার ও কম্পিউটার মেশিন ও ২০ জন দলিল লেখকের ১০ হাজার দলিল। এছাড়া আরও রয়েছে জুডিশিয়াল স্টাম্প, স্যানিটারি টাইলসের দোকানসহ ফাস্টফুড ও কনফেকশনারি দোকান।
স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হওয়ার পর তা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাত পৌনে ২টার দিকে হাজীগঞ্জ সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘণ্টায় চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আগুন, পানির উৎসের অভাবে নিয়ন্ত্রণে জটিলতা
আগুন নেভাতে গিয়ে একজন ফায়ার ফাইটারসহ ১৫ জন স্থানীয় আহত হয়েছেন।
দেবব্রত মণ্ডল ইউএনবিকে বলেন, ‘খুব সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।’
২২ দিন আগে
চাঁদপুরের হাইমচরে তৈরি হচ্ছে জামদানি শাড়ি
শাড়িতে নারী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি নারীদের বসনে বিভিন্ন ধরনের পোশাক জড়ালেও শাড়ি এখনো পছন্দের শীর্ষে। এর মধ্যে বেনারসি, কাতান, জামদানি, মসলিন, সিল্ক অন্যতম। তবে এসব শাড়ি তৈরির জন্য গড়ে উঠেছে শিল্প ও কারখানা। তবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পেও এসব শাড়ির কোনো কোনোটির উৎপাদন হয়ে থাকে দেশে।
চাঁদপুর হাইমচরের এক উদ্যমী যুবক রনি পাটওয়ারী। তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজ বাড়িতে জামদানি শাড়ি তৈরি করছেন। তার এই উদ্যোগ উপজেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী পশ্চিম চর কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা রনি পাটোয়ারী। নিজ এলাকা ছাড়িয়ে এই জামদানি শাড়ি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে মরিয়া এই উদ্যোক্তা।
সরজমিনে দেখা যায়, ‘নিজের একটি দো'চালা টিনের ঘরে ক্ষুদ্র পরিসরে জামদানি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। উদ্যমী যুবক রনি।
রনির বাবা বিল্লাল পাটওয়ারী ইউএনবিকে বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিক অভাব-অনটনে পড়ে রনি হাইমচর ছেড়ে পাড়ি জমায় নারায়ণগঞ্জে। সেখানে ২০ বছরে নানান প্রতিষ্ঠানে কাজ করে ধীরে ধীরে জামদানি কাপড় বুনার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও নিপুনতা রপ্ত করেন। পরে নিজ গ্রামে ফিরে উদ্যোক্তা হয়ে উৎপাদন করতে থাকেন জামদানি শাড়ি। এখন নিজ ক্ষুদ্র শিল্প নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভাবের তাড়নায় প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা বেশি এগোতে পারেননি তিনি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও এখন এই শাড়ি তৈরি বা বুনা ও বিক্রি করে সংসার চালিয়ে নিচ্ছেন রনি। ছেলের এই দক্ষতা ও উদ্যোগে নিজেদের অনেক আনন্দের কথা হাসিমুখে জানালেন বৃদ্ধ বাবা বিল্লাল।
রনির মা সালমা বেগম ও বাবা বলেন, সুতা, নাটাই, কাঠের ফ্রেম, সিজার, কেচিসহ নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে একা হাতে এক একটি জামদানি তৈরি করতে রনির ৩ থেকে ৪ দিন সময় লেগে যায়। তাই নানা প্রান্ত থেকে শাড়ির অর্ডার আসলেও তা তাদের হাতে তুলে দিতে ওর সময় লেগে যাচ্ছে।
জামদানি শাড়ি তৈরির উদ্যোক্তা রনি পাটওয়ারী ইউএনবিকে বলেন, এ কাজটিতে আরও অনেকের কর্মসংস্থান তৈরির প্রত্যাশা রয়েছে তার। এজন্য প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি সাহায্য সহয়তা। যদি তারা সহযোগিতায় এগিয়ে আসতো, তাহলে এখানে আরও অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো।
২৯ দিন আগে
চাঁদপুর সদরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৩ অবৈধ ইটভাটা
চাঁদপুর সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ তিনটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই তিনটি ইটভাটা হলো— মেসার্স আফজালুর রহমান ব্রিকস ফিল্ড, মেসার্স বিআরএস ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ও মেসার্স এএমএস ব্রিকস।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান সরকার এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটা ভাঙার প্রতিবাদে সাভারে মহাসড়ক অবরোধ
চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্প থেকে পাঠনো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে করা হয়। এ সময় লাইসেন্সবিহীনভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসসহ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ‘এর আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৯টি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাঁদপুর জেলায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
৩০ দিন আগে
খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরের কচুয়ায় খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে কচুয়া পৌরসভাধীন কড়ইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলো— উপজেলার কড়ইয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক আলমের ছেলে মেহেদী হাছান (৫) ও মাসুদ বাবুর্চির ছেলে জাবেদ (৫)।
শিশু জাবেদের বাবা মাসুদ বলেন, ‘দুপুরে জাবেদ তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের কোনো খোঁজ ছিল না। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে গোসল করতে গিয়ে তাদের দুজনকে পানিতে ভেসে উঠতে দেখেন মেহেদী হাছানের ফুফু।’
‘এমন দৃশ্যে তিনি চিৎকার করতে থাকেন। তখন আশপাশের লোকজন আমাদের খবর দিলে দ্রুত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে দেখি আমার ছেলে জাবেদ আর নাই।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নদীতে ডুবে ৩ কলেজছাত্র নিখোঁজ, একজনের লাশ উদ্ধার
হাসানের বাবা আলম বলেন, ‘আমার ছেলে হাছান জাবেদের সঙ্গে খেলা করছিল। আমার বোন গোসল করতে গিয়ে তাদের পানিতে ভেসেতে দেখে। পরে হাছান ও জাবেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নাই বলেও জানান উভয় শিশুর বাবা।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জাহিদ হোসাইন ইউএনবিকে বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
৩০ দিন আগে
চাঁদপুরে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৬
চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া এলাকার একটি ভবনের চতুর্থ তলায় চুলার গ্যাস লিকেজে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে সেহেরির খাবার গরম করার সময় গ্যাসের চুলা লিকেজ হয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হন পরিবারটি।
দগ্ধরা হচ্ছেন—বড় স্টেশন মাছ ঘাটের ব্যবসায়ী আবদুর রহমান (৫০), তার মা খাদিজা (৬০), স্ত্রী শানু (৪০), ছোট ছেলে মাহিন (১৬), ইমাম হোসেন (৩০) এবং ছেলের বউ নুসরাত নিবা (১৬) ।
পাশের ফ্ল্যাটের কলেজ শিক্ষার্থী জিহান ও তার মা কুলসুমা বেগম জানান, ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে সেহরির জন্য খাবার গরম করার জন্য চুলা জ্বালানোর সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের ফ্ল্যাটের লোকজন দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৮
বাড়ির মালিক জাকির হোসেন জানান, ‘বিস্ফোরণে শোয়ার দুটি খাট পুড়ে যায়, রুমগুলো অন্ধকার হয়ে যায়। দ্রুত ঘরের ভিতরের সবাই দরজা ভেঙে বের হয়ে আসেন। আশপাশের লোকজন দ্রুত গ্যাস লাইন বন্ধ করে দেন ও দগ্ধদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গুরুতর দগ্ধ চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসান ফয়সল হোসেন ও হাসপাতালের সুপার ডা. মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় পাঠানো চারজনের শরীর প্রায় ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। তবে এরা শঙ্কামুক্ত নন।’
৩৫ দিন আগে
চাঁদপুরে ভাগ্নিকে পৈশাচিক ‘নির্যাতন’, মামা-মামি আটক
চাঁদপুরে ভাই রাজিয়া ও বোন রিফাতকে দেখাশোনার জন্য আনা ভাগ্নি রুজিনাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে মামা-মামির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকালে চাঁদপুর শহরের মাদরাসা রোডের মামা রুবেল মোল্লার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মামা-মামিকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন— ওই বাড়ির রুবেল মোল্লা ও তার স্ত্রী রোকেয়া। রুবেল ঢাকায় বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
নির্যাতনের শিকার রুজিনা চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের আলী আহম্মদ ভুঁইয়ার মেয়ে। র্নিযাতিত রুজিনা রুবেলের আপন ভাগ্নি।
স্থানীয়রা জানায়, আপন মামাতো বোন শিশু রাজিয়া ও মামাতো ভাই প্রতিবন্ধী রিফাতকে দেখাশুনা করার জন্য গত ৬ মাস পূর্বে রুজিনাকে (২০) আনা হয় চাঁদপুর শহরের মাদরাসা রোডের মামা রুবেল মোল্লার বাসায়। আনার পর থেকে কারণে-অকারণে ভুল ধরে রুজিনার ওপর অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতন চালায় মামি রোকেয়া বেগম। নির্যাতন সইতে না পেরে মামার বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রুজিনা। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ এসে মামা ও মামিকে আটক করে।
ওই এলাকার বাসিন্দা শিক্ষার্থী মোরশেদ আলম ও ফরহাদ হোসেন জানান, রুজিনা রাস্তার পাশে কান্না করতে থাকে। সে জানায়— তাকে কথায় কথায় নির্যাতন করা হয়, এজন্য মামার বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে। পরে তার অবস্থা দেখে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কাউসার রুবেল মোল্লা ও তার স্ত্রী রোকেয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: বাবার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদের প্রতিবাদ করায় কিশোরীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
রুজিনা বলেন, ‘গত ৬ মাস পূর্বে তাকে মামার বাসায় কাজ করার জন্য আনা হয়। কাজ করার সময় কারণে-অকারণে তার মামি মারধর করতেন। কোনো ভুল হলেই মারধর করতেন ও গালমন্দ করতেন। কাজ করলে ভুল হতেও পারে। আমাকে পুঁতা, কাঠ ও দা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। গত ৪ মাস এইভাবে মারধর করে।’
‘মামা কয়েকবার ওষুধ এনে দিয়েছে, কিন্তু জখম ভালো হয় না।’
৩৭ দিন আগে
চাঁদপুরে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: ২৫ দোকান ভস্মীভূত, আহত ২০
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ভিংগুলিয়া এলাকায় একটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। এ সময় আগুন নেভানোর চেষ্টায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাতে ভিংগুলিয়া এলাকায় কে ভি এন হাই স্কুলের সামনের মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এত সময় মুদি দোকান, রেস্তোরাঁ, সেলুন ও কাঠের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ওমর ফারুক ইউএনবিকে বলেন, ‘দোকানে রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। টাকা পয়সাও ছিলো। আগুনে সবই শেষ। অন্য ব্যবসায়ীদেরও একই অবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘মার্কেটের দোকানগুলো টিনশেডের তৈরি, তাই আগুন দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’
এ ঘটনায় প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: মতলব বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৫ দোকান ভস্মীভূত, আহত ১৫
হাইমচর ফায়ার স্টেশন অফিসার রতন শেখের নেতৃত্বে হাইমচর ফায়ার স্টেশনের ফাইটাররা দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
রতন শেখ ইউএনবিকে বলেন, ‘আগুনের সুত্রপাত কীভাবে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ফারুকসহ অন্য ব্যবসায়ীদের ধারণা, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।
৪০ দিন আগে