চাঁদপুর
২০ বছর পর পরিষ্কার করা হচ্ছে চাঁদপুরের এসবি খাল
২০ বছর পর চাঁদপুরের এসবি খালের জঞ্জাল ও আবর্জনা মুক্ত করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক জেলায় একটি খাল পরিষ্কার করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এসবি খালটি নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া চাঁদপুরের এই এসবি খালটি মেঘনা নদী থেকে শুরু হয়ে শহরের মধ্যখান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ডাকাতিয়ায় মিলেছে।
আরও পড়ুন: আগামী প্রজন্মকে দূষণমুক্ত নদী-খাল দেখাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে খালটি শহরে মুন্সেফপাড়া এলাকার অংশে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
এতে বিডি ক্লিন, রেড ক্রিসেন্ট, নবজাগরণ গোল্ডেন ফাউন্ডেশন ও পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ প্রায় দেড় শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করে।
পরিচ্ছন্ন কাজে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ গোল্ডেন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জানান, শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের এই সংগঠন।
তাদের কাজের একটি অংশই হচ্ছে শহর পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে সহায়তা করা। এই কাজে তাদের সংগঠনের ৪৫ জন সদস্য অংশ নিছে।
বিডি ক্লিন, চাঁদপুরের সদস্য মিথিলা বলেন, শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল এসবি খাল। শহরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার জন্য আমাদের সদস্যরা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশ নিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, এটি আমাদের জাতীয় যুব দিবসের একটি কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির আলোকে সারাদেশে একটি করে খাল পরিষ্কার করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে চাঁদপুরের এসবি খালটিকে নির্ধারণ করেছি। ডাকাতিয়া ও মেঘনার সংযোগ পর্যন্ত পরিষ্কার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই কাজে পৌরবাসীর সহযোগিতা চাচ্ছি এবং পাশাপাশি তাদের সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ছাত্র ও যুবসমাজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। কিন্তু এটিকে ধরে রাখার কাজ হচ্ছে পৌরবাসীর। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ ১৫ দিন চলমান থাকবে। এরপর এই কাজটির তত্ত্বাবধান করবে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া আগামীতে খালের অবৈধ দখলও উদ্ধার করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ নিহত ৮
২ সপ্তাহ আগে
চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলেকে ৬ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া ৭ কিশোর জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং আটক এক জেলেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯৪ জেলের কারাদণ্ড
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিরা হলেন- আমির হোসেন গাজী, হারুন ঢালী, মো. জাহাঙ্গীর, রিয়াদ রাঢ়ি, রমজান ব্যাপারী, হৃদয় মোল্লা, রিপন খান, মো. ফয়সাল, জনি ব্যাপারী, আল-আমীন মোল্লা, বাদশা হাওলাদার. কিরন খান, ওমর ফাটল রাঢ়ি, নাজমুল হাসান।
আর দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ইব্রাহিমের।
মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া কিশোর জেলেরা হলেন- মো. সোহেল, মো. হাবীব, শামীম, কাজল, পারভেজ, ওমর ও মো. হাসিব।
আটক জেলেদের বাড়ি সদরের টিলাবাড়ি, বহরিয়া ও গোবিন্দিয়া গ্রামে।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রমে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ২২ জেলেকে আটকসহ ১০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দ করা কারেন্টজাল কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে এনে পুড়িয়ে ফেলে এবং ইলিশ মাছ দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ২ জনের কারাদণ্ড
২ সপ্তাহ আগে
চাঁদপুরে ডাকাতিয়ায় তেলবাহী জাহাজে আগুন, দগ্ধ ৬
চাঁদপুর শহরের ডাকাতিয়া নদীতে ‘এমভি সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষে আগুনে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকালের দিকে পদ্মা অয়েল কোম্পানির জেটির পাশের ডাকাতিয়া নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে জাহাজে থাকা ৬ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- জাহাজের শ্রমিক রুবেল, গোলাপ, জিলানী, মাসুদ, গিয়াস উদ্দিন ও মধু মিয়া।
আরও পড়ুন: নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন: গ্রেপ্তার ২
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (উত্তর) চাঁদপুরের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ আলম ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ওই নদীর পদ্মা ওয়েল কোম্পানির জেটির পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ‘এমভি সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ও কোস্টগার্ড এক ঘণ্টার চেষ্টায় বিকাল সোয়া ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৬ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই জাহাজে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
আহত মধু মিয়া ও জিলানী জানান, গত শুক্রবার আমরা চাঁদপুর পদ্মা ডিপোতে আসছি। পুরো ট্যাংকারে পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে আসা হয়। ট্যাংকারের পেছনে ইঞ্জিনকক্ষে হঠাৎ জেনারেটর বিস্ফোরণ হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়লে আমরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এরপর সাঁতরে কূলে উঠি।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আকলিমা জাহান ইউএনবিকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আহত গোলাপ নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার ৫০ থেকে ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। বাকি ৫ জনের অবস্থা উন্নতি হওয়ায় তাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টায়ার কারখানায় আগুন
৩ সপ্তাহ আগে
বিল্ডিং কোড অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণ, অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম না থাকায় বাড়ছে উদ্বেগ
ইলিশের বাড়ি নামে প্রসিদ্ধ চাঁদপুর। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বেশ এগিয়ে আছে এই শহর। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত হতে থাকলেও শহরে ঘটছে রেকর্ডসংখ্যক অগ্নিদুর্ঘটনা। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম না থাকায় ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ।
গত জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাড়ে নয় মাসে ৩২১টিরও বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে চাঁদপুরে। প্রায় প্রতি মাসেই গড়ে ২৪-৪৫টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
এসব ঘটনায় নিহত না হলেও আহতাবস্থায় জীবনযাপন করছেন অনেকে। পুড়ে ছাই হয়েছে কোটি টাকার সম্পদ। নিঃস্ব হয়েছেন হাজারো মানুষ।
এ সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও অন্যান্য দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮৪টি। এতে মারা গেছে ৩৯ জন, আহত হয়েছেন শতাধিক।
চাঁদপুর জেলা শহরে ৩টিসহ জেলায় ১০টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। নৌপথের যানবাহনে অগ্নিকাণ্ড ও নৌদুর্ঘটনা রোধে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চাঁদপুর নৌ ফায়ার স্টেশনও।
১০টি ফায়ার সার্ভিস থাকলেও একটিতেও নেই প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম।
কয়েক দশক ধরে চাঁদপুর জেলা সদরসহ উপজেলার ফায়ার স্টেশনগুলো কোনোটাতেই ৫ তলার উপরে যাওয়ার মতো কোনো মই নেই।
কয়েক মাস আগেও হাজীগঞ্জে একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগলে সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়েন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
চাঁদপুর শহরের একটি বহুতল ভবনের বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগুন লাগলে কী অবস্থা হবে, কীভাবে উদ্ধার পাব তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। ধোঁয়ায় সব অন্ধকার হয়ে যায়। এ অবস্থায় তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নামাও যায় না। আবার ছাদেও যাওয়া যায় না কারণ বেশির ভাগ ভবনেরই ছাদের গেটে থাকে তালা দেওয়া থাকে।
এসব আকাশছোঁয়া ভবনে অগ্নিদুর্ঘটনায় বিপদে পড়েন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে নারায়ণগঞ্জের বাণিজ্যিক কেন্দ্র নয়ামাটি
চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এম শামসুদ্দোহা বলেন, ‘আমাদের পৌরসভায় সাত তলার উপরে ভবন নির্মাণের কোনো অনুমতি নেই। তবুও অনেকে নিয়ম ভঙ্গ করে ৮-৯-১০ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন বা করছেন- যা আইনের লঙ্ঘন। আমরা শিগগিরই এ ব্যাপারে অ্যাকশনে যাব।’
অগ্নিনির্বাপণের সরঞ্জাম সংকটের পাশাপাশি তীব্র হয়ে উঠেছে পানির সংকট। জেলা শহরের শতাধিক বড়-মাঝারি পুকুর, দীঘি, ডোবা, দীঘি-নালা ও জলাভূমি ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবন। যে কারণে কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কাছাকাছি পানির উৎস খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
জেলা শহরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত প্রাচীনতম শহরের বর্জ্য অপসারণের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত প্রায় ৩ কিলোমিটারব্যাপী এস বি খাল। শহরের শতশত বাসাবাড়ি, দোকানপাট, ক্লিনিকের বর্জ্য এই খাল দিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে যায়। একসময় অগ্নিদুর্ঘটনায় পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে এই জলাধারটি বেশ উপকারে আসত। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কারের অভাবে এ খালটিও এখন মৃতপ্রায়। ময়লা-আর্বজনা ও দখলের রাজত্বে সংকীর্ণ হয়ে আসছে খালটি। প্রায় ৫০-৬০ বছর আগেও এ খাল দিয়ে পণ্যবাহী নৌকা চলত। আর এখন এই খাল থেকে পানি নেওয়ার মতোও অবস্থা নেই।
এভাবে দখল ও ভরাট চলতে থাকলে আর কয়েক বছর পর জেলা শহরে কোনো জলাধারই থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন শহরের অন্যতম প্রবীণ প্রকৌশলী আব্দুর রব, অধ্যাপক মাছুম বিল্লাহ, পরিবেশবাদী মাসুদ আলমও সমাজসচেতন ব্যক্তিরা।
চাঁদপুর সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার স্টেশনের সহকারী উপপরিচালক মোরশেদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘জেলার ১০টি ফায়ার স্টেশনে ১৪০ জন ফায়ার ফাইটার কর্মরত আছেন। আছে লজিস্টিক সাপোর্টও। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় উঁচু মইয়ের অভাবে। বড় বড় ভবনে আগুন লাগলে ৫ তলার উপরে উঠা যায় না। আগুন নেভাতে ও উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটে।’
সংকটময় পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কুমিল্লা ফায়ার স্টেশনের সহযোগিতা নিতে হয় বলে জানান এই উপপরিচালক।
আরও পড়ুন: জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
চাঁদপুরে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১
চাঁদপুরে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. আলী গাজী নামে অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অটোরিকশার যাত্রী মো. উজির আলী।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলার ধেররা তালুকদার মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে গুলিতে ডাকাত নিহত, গ্রামবাসীসহ আহত ৩
নিহত মো. আলী সদর উপজেলার খলিশাডুলি ফয়সাল ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন গাজী বাড়ির মৃত সলেমান গাজীর ছেলে।
আর আহত উজির আলীর বাড়ি নাটোর জেলায়। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলায় জাগরণ সংস্থার মাঠ কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, আইদি পরিবহনের বাসটি চাঁদপুর থেকে হাজীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে আসলে চাঁদপুরগামী সিএনজি চালিত অটোরিকশা মুখিমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা চালক নিহত এবং একজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। আর অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, চালকের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সিএনজি ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চান রাষ্ট্রপতি: বিএনপি
৩ সপ্তাহ আগে
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে হাজীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী মহিন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ অক্টোবর) চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান এই রায় দেন।
মরিয়ম বেগম (২৫) হাজীগঞ্জের মোল্লাডহর মিজি বাড়ির নেয়ামত উল্লাহ মিজির মেয়ে এবং মহিন উদ্দিন (৩৫) একই উপজেলার পূর্ব কাজিরগাঁও গ্রামের মোহন গাজী বাড়ীর লিয়াকত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ব্যবসা ও বিদেশ যাওয়ার নামে স্ত্রী মরিয়মকে দিয়ে যৌতুক হিসেবে শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা চায় মহিন উদ্দিন। এসব নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে বৈঠক হয়। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কোনো এক সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মহিন উদ্দিন মরিয়মকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি বলেন, ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পাই। সেখানে গিয়ে ঘরে পাতলা কাঁথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মেয়ের লাশ পাই। পরে পুলিশ এসে সুরতহাল তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়।
পরে ৭ নভেম্বর মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি হাজীগঞ্জ থানায় জামাতা মহিন উদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করে।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই চাঁদপুরের তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম। এতে মামলার ৫ জন আসামির মধ্যে মহিন উদ্দিন ছাড়া ৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, প্রায় ৭ বছর চলমান মামলায় আদালত ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
৩ সপ্তাহ আগে
চাঁদপুরে ২০০ কেজি ইলিশ জব্দসহ ২২ জেলে আটক
চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনার অভয়াশ্রমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ২২ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই দুই নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব জেলেকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে মাছ ধরার ৫টি নৌকা, বিপুল জাল ও প্রায় ২০০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলের কারাদণ্ড
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সরকারি পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ ইউএনবি বলেন, আটক ২২ জেলের মধ্যে ১৫ জনকে মৎস্য সংরক্ষণ আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।
অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ জনকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা এবং কিশোর হওয়ায় অন্য ২ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মাছ ধরার ইঞ্জিনচালিত ৫টি নৌকা নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে জব্দ করা ইলিশ গরিবদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে ইলিশ নিধনের দায়ে শনিবার ২২ জনসহ গত ১৩ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত শতাধিক জেলেকে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড আটক করেছে।
গত ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে আগামী ৩ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরের পদ্মা, মেঘনাসহ দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময় ইলিশ শিকার, ক্রয় বিক্রয়, পরিবহন এবং মজুদও নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯৪ জেলের কারাদণ্ড
৪ সপ্তাহ আগে
চাঁদপুরে মুষলধারে বৃষ্টি, জনজীবন স্থবির
চাঁদপুরে গত ২-৩দিন ধরেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও বজ্রপাত অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারাদিন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
একই সঙ্গে ঝড়ো বাতাসের তীব্রতা এবং পদ্মা-মেঘনা নদীর স্রোত ও ঢেউ বেড়েছে।
জেলা শহরের রাস্তাঘাটের অসংখ্য গর্তে জমে আছে বৃষ্টিরপানি। শহরের ব্যস্ততম কুমিল্লা রোড, ট্রাক রোড ও পুরানবাজার-দোকানঘর রোডে লোকজন ও যানবাহন চলাচল একেবারেই কমে গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভোর থেকেই বৃষ্টি, বাতাসের মানেরও উন্নতি
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সকাল ১০টার পরে খুলেছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে আবার তা বন্ধ করে ফেলে। অনেকটা ঘর বন্দি হয়ে পড়েছে লোকজন।
তবে উভয় সংকটে পড়েছেন দিনমজুররা। একদিকে আবহাওয়া বৈরী, অন্যদিকে রোজগার না করলে থাকতে হবে অভুক্ত।
সদরের অটোরিকশাচালক নুরুল ইসলাম (৩৫) বলেন, বৃষ্টির কারণে কোনো দিকে যেতে পারছি না। অনেক অটোরিকশাচালকই বৃষ্টির কারণে ঘর থেকেও বের হতে পারছে না।
সদরের বাগাদি ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কলা বিক্রেতা আ. রহিম মিজি ও কাওসার খান বলেন, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকায় এর আগের টানা বৃষ্টিতে মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিছুদিন বৃষ্টি কম থাকায় পানি বাড়ি- ঘর থেকে নেমে যায়। এখন আবার আগের অবস্থা - মানে নতুন করে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। আগের বার ফসল ও মাছের খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পুরানবাজারে মেঘনা নদী পাড়ের বাসিন্দা সুখরঞ্জন দাস বলেন, ‘বৃষ্টির জন্য কামে যেতে পারিনি। টানা বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতায় নদীতে ঢেউ বেড়েছে। আমরাও আতঙ্কিত। কখন যে নদীভাঙ্গন শুরু হয় ! মেঘনাও নদী উত্তাল। গত পরশু শেষ রাতে ৪০/৫০ বার ঠাটা (বজ্রপাত) পড়ে। সেই আতঙ্কে জেলেরা নদীতে নামেনি।’
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মান ‘ভালো’
শহরের ব্যস্ততম পুরান বাজার বাণিজ্যিক এলাকার ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলাম ও বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি। দুপুর হলেও অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছে না। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সড়কও অনেকটা ফাঁকা। ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমেছে ধস।
চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনে ও দূর পাল্লার বাসেও যাত্রী সংখ্যা খুবই কম বলে জানান বাসচালক ফারুক দেওয়ান।
একই কথা জানালেন বাস মালিক ফেরদাউস ও শফিক ভুইয়া ।
এদিকে, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চাঁদপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয় শুরু হয়েছে। শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬- ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। গভীর রাতেও নিয়মিত চলে লোডশেডিং।
ওদিকে চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. শোয়েব ইউএনবিকে বলেন, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
২ মাস আগে
চাঁদপুরে লরিচাপায় ঢাকা কলেজের ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গোমতী-মেঘনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় লরিচাপায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী তানভীর ও জাহিদ নিহত হয়েছেন।
মোটরসাইকেল করে ঢাকা থেকে কচুয়া আসার সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় উপজেলার পালগিরি গ্রামে জানাজা শেষে শিক্ষার্থীদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
তানভীর হোসেন রনি গোহট উত্তর ইউনিয়নের পালগিরি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে এবং একই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে জাহিদ হাসান জিপু।
তানভীর হোসেন রনি ও জাহিদ হাসান জিপু ঢাকা কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। তারা দুইজন সম্পর্কে খালাতো ভাই।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহতদের স্বজন মোস্তাফিজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, মোটরসাইকেল করে ঢাকা থেকে কচুয়া আসছিলেন রনি ও জিপু। পথে গজারিয়া এলাকার পাখির মোড় সেতুর ওপর ওঠার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরিচাপায় ঘটনাস্থলেই রনির মৃত্যু হয়। আহত জিপুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভবেরচর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রাক্টরচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
২ মাস আগে
চাঁদপুরের ৬ উপজেলায় ৪৪টি কালভার্টসহ ১৯২ গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত
চাঁদপুরে বন্যায় ও অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে ৪৪টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে কচুয়া, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, সদর ও হাইমচর উপজেলায় ১৯২ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে প্রাথমিক ক্ষতি প্রায় ৪০ কোটি টাকা। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের পিপলকড়া গ্রামের কৃষক শহীদ উল্লাহ বলেন, বানের পানিতে সড়কের পাশাপাশি আমাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সড়কে গর্ত হওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ।
শাহরাস্তি উপজেলার উনকিলা গ্রামের মনির হোসেন বলেন, এলাকায় বানের পানিতে বহু সড়ক তলিয়েছে। এসব সড়ক ভেঙে এখন বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তবে কিছু সড়ক আগে থেকে ভাঙা ছিল। এখন আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে ধানের চারা দেবে বাকৃবি
সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ঢালীরঘাট-ফরক্কাবাদ সড়কের বাসিন্দা আব্বাস মিয়া, কলেজ ছাত্র কিরন পাটোয়ারি ও মফিজুল ইসলাম খান ইউএনবিকে জানান, টানা বৃষ্টির কারণে সড়ক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি মাটি নরম হয়ে বড় বড় গাছ উল্টে পড়েছে। দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানিকরাজ গ্রামের মোক্তার হোসেন ও মদনেরগাঁও গ্রামের বিল্লাল হোসেন গাজী জানান, টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কের দুই পাশের অংশগুলো বেশি ভেঙেছে। কিছু এলাকায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী ইউএনবিকে বলেন, এ বন্যায় জেলায় আমন ফসল, বীজতলা, পানখেত, আখখেত, শাক-সবজি, ফলফলাদি ও গাছ-গাছালির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৭ কোটি টাকা।
কৃষি বিভাগের কৃষিবিদ মোবারক হোসেন বলেন, এ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৪৮ হাজার। এ জেলায় কোনো কৃষকের শস্য বিমাও নেই।
পৌরসভার নির্বাহি প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, চাঁদপুরে অতিবৃষ্টির কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বেহাল। ফলে জনভোগান্তি চরমে।
আরও পড়ুন: সরকার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে, শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন
২ মাস আগে