ওই ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, অভিযুক্ত রওনক পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের মফিজার রহমানের ছেলে। তিনি নিজেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের সাথে প্রতারণা করেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় তিনি ভিন্ন ভিন্ন নাম ও বিভিন্ন বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করতেন। ২০১৫ সালে বিভিন্ন প্রকার সরকারি চাকরির দেয়ার কথা বলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রওনক।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানান, চাকরি না পেয়ে অনেক চেষ্টা করেও টাকা তুলতে পারেননি এবং টাকা চাইলে রেজাউল আলম রওনক বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতার সাথে তার পরিচয় রয়েছে বলে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আহমদ উল্লাহ আলীবর, মো. রুজেন আহমেদ ও পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের আওলাদ হোসেন বলেন, 'রেজাউল আলম রওনক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি চাকরি দেয়ার নামে আমাদের এলাকা থেকে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও আমরা ওই টাকা তুলতে পারিনি। টাকা চাইলে সে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রওনক বলেন, 'আমি আমার বুদ্ধি দিয়ে টাকা নিয়েছি। আমার চেহারা দেখে কেউ টাকা দেয় নাই। আমি ওই এলাকায় ব্যবসা করেছি মাত্র। আমি যদি তাদেরকে টাকা না দেই দুনিয়ার কেউ নেই আমার কাছ থেকে টাকা নিতে পারে। আমি টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করছি না। আমি পরিস্থিতির শিকার। স্থানীয় অনেকে ওই টাকার কমিশন খেয়েছে। টাকা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সময় হলে টাকা ফেরত দিয়ে দেব।'