সরকারি চাকরি
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের দশম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার আবেদন জানিয়ে আন্দোলন করছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি মেয়েদের ৩৭ বছর ও ছেলেদের ৩৫ বছর করার সুপারিশ করেছিল।
আরও পড়ুন: সরকাসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে: কমিটির আহ্বায়করি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিশনের
৩ সপ্তাহ আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিশনের
অবশেষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
পুরুষদের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর এবং নারীদের জন্য ৩৭ বছরের সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনের সংস্কারের বিষয়ে প্রথম বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
প্রতিবেশী একটি দেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারীদের প্রবেশের বয়সসীমা ৩৭ বছর পর্যন্ত সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে তারা আরও বেশি সুযোগ পায়।
তিনি আরও বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের পরবর্তী সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হবে এবং সরকার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
মুয়ীদ বলেন, ‘কোনো গ্রেডের জন্য আলাদাভাবে বলা হয়নি, সার্বিকভাবে সব সরকারি চাকরির বিষয়ে বলা হয়েছে। অবসরের বিষয়ে কোনো কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। আগের মতোই আছে। এখন যারা চাকরিতে ঢুকবেন তাদের অবসর নিতে অনেক সময় লাগবে। এ বিষয়ে পরে সরকার চিন্তা করবে। যারা এখন চাকরিতে আছে তারাই আগামী ৭-৮ বছরে অবসরে যাবেন। তারা আগের নিয়মেই অবসরে যাবেন।’
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে: কমিটির আহ্বায়ক
তিনি বলেন, প্রশাসনের সংস্কারের বিষয়ে প্রথম বৈঠক ছিল। পরিচিতি পর্ব হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। দুই মাস পর একটা কাঠামোতে আসবে বলে মনে করি। তারপর একটা রূপ দেখতে পারি।
সংস্কারের ক্ষেত্রে এখনো অগ্রাধিকার ঠিক করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলোচনা চলছে। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ দেওয়ার।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত ৭ দিনের মধ্যে: আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক
১ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে: কমিটির আহ্বায়ক
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে আন্দোলন চলছে। এটার ভিত্তিতে সরকার আমাদের ৫ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্য প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত ৭ দিনের মধ্যে: আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক
তিনি বলেন, ‘বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
কী যৌক্তিকতা আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।’
চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকও করেন।
ওই দিনই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। সাবেক সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সদস্য সচিব। এছাড়া সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে চলছে তীব্র আন্দোলন, দুই সদস্যের কমিটি গঠন
১ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত ৭ দিনের মধ্যে: আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর প্রত্যাশী আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ।
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রাসেল মাহমুদ।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য টিম করে দিয়েছিলেন। সেই টিমের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের কথা শুনেছেন৷ তারা বলেছেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটা যৌক্তিক সমাধান দেবেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে চলছে তীব্র আন্দোলন, দুই সদস্যের কমিটি গঠন
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার খবর গুজব: জনপ্রশাসন সচিব
১ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রাজধানীর রমনা পার্ক এলাকায় পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বিক্ষোভকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের দিকে মিছিল করার চেষ্টা করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সোমবার সকাল থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছে জড়ো হওয়া কয়েকশ বিক্ষোভকারী দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ঠেলে এগুতে থাকলে সংঘর্ষ চরমে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দিকে সরে যেতে থাকলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে চলছে তীব্র আন্দোলন, দুই সদস্যের কমিটি গঠন
একাধিক বিক্ষোভকারী অভিযোগ করেন, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ছাড়াও পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, বারবার এলাকা ছাড়ার অনুরোধ করা হলেও বিক্ষোভকারীরা তা উপেক্ষা করায় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হন তারা।
এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকার শাহবাগে সমাবেত হয় বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থী এবং সাম্প্রতিক স্নাতকসহ বিক্ষোভকারীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট বিঘ্ন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দীর্ঘায়িত একাডেমিক সেশনকে অনেকের বর্তমান বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চাকরির বয়সসীমা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান 'নিরাপদ সড়ক চাই'র প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ থেকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রমনা পার্ক এলাকায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সরকারি বাসভবনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। সেসময় পুলিশ বাধা দেওয়ায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার খবর গুজব: জনপ্রশাসন সচিব
১ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে চলছে তীব্র আন্দোলন, দুই সদস্যের কমিটি গঠন
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে রাজধানীতে বিক্ষোভ চলছে। এরই মধ্যে বিষয়টি পর্যালোচনা ও পরিবর্তনের সুপারিশ করতে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার।
সোমবার ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সদস্য সচিব হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একজন সিনিয়র সচিব দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার খবর গুজব: জনপ্রশাসন সচিব
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমান বয়সসীমা এবং সরকারি চাকরি সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
এর আগে সকালে রাজধানীর রমনা পার্কে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া কয়েকশ চাকরিপ্রার্থীকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ করার দাবিতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে একদল তরুণ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা যমুনার গেটের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ তাদের পথ রোধ করে। এসময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কর্মকর্তারা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে।
সরকারি চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিতর্কিত অবস্থা বিরাজ করছে। ক্রমেই এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে অনেকে বলেছেন বিভিন্ন কারণে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষায় বিলম্বের কারণে সরকারি চাকরির ৩০ বছর বয়সসীমা খুব প্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
১ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার খবর গুজব: জনপ্রশাসন সচিব
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার খবর গুজব।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির হিসাব জমাদান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সব কর্মচারীকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে: জনপ্রশাসন সচিব
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হচ্ছে- বিষয়টি নিয়ে অনেক জায়গায় নিউজ হচ্ছে। একটা দরখাস্ত এসেছে, আপনারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার একটাই উত্তর- গুজবে কান দেবেন না। আমি এক কথায় বলে দিলাম, গুজবে কান দেবেন না।’
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরআগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠি দেন।
আরও পড়ুন: আইন ও বিচার বিভাগের পূর্ণ সচিবের দায়িত্ব পেলেন গোলাম রব্বানী
ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে: নবনিযুক্ত সচিব
১ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার বেলা ১১টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সংহতি প্রকাশ করতে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে সরকারি চাকরির নিয়োগে কত অনিয়ম হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলা অভিধানের মতো হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমরা যে আন্দোলনের অংশ ছিলাম তা শুধু সরকার উৎখাতের আন্দোলন ছিল না। আমরা বলেছি, এটা দেশ পরিবর্তনের আন্দোলন, দুঃশাসন পরিবর্তনের আন্দোলন। আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল দেশ থেকে বৈষম্য দূর করা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবকিছু সুন্দরভাবে সামলানোর চেষ্টা করছে। আমি মনে করি, আমাদের দেশ বদলাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা: হাইকোর্টের রায় বহাল
২ মাস আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছাত্রদলের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এই ঘোষণা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ছাত্রদল সভাপতি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবদলের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ
তিনি বলেন, ‘১৫ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে থাকবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ (মঙ্গলবার) থেকে কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে সর্বদা রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছে।’
একইসঙ্গে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার মূল উৎস বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ’ সরকারকে উচ্ছেদ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাভিত্তিক সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রদল সভাপতি।
পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘কটূক্তিমূলক’ বক্তব্য এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জুলাই) দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেদিন থেকে আন্দোলন শুরু করেছে, সেদিন থেকেই ছাত্রদল তাদের পাশে আছে।’
তবে এই আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই আন্দোলনে ছাত্রদল সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে আছে। কিন্তু আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা ও সম্পৃক্ততা নেই, যাতে কেউ ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে না পারে।’
রাকিব বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ছাত্রদল কোনো কৃতিত্ব নিতে চায় না। আমরা চাই এই যৌক্তিক আন্দোলন একটি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনুক। আমরাও চাই এই বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত হোক এবং শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হোক।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন নাছির বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিষ্ঠুর ও নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রদেরও মারধর করেছে ছাত্রলীগ। এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনই নয়, ফৌজদারি অপরাধও বটে।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
৪ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বুধবার (৩ জুলাই) সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পিরোজপুর থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. শামীম শাহনেওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা অনেকাংশে বাড়বে। ফলে নিয়োগে প্রতিযোগিতা বাড়তে পারে। এটি ৩০ বছরের কম বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট না থাকায় বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসি থেকে শুরু করে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে ২২ থেকে ২৩ বছরে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় তারা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পরও চাকরিতে আবেদন করার জন্য কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ বছর সময় পান।
তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থীর বয়সসীমা ৩০ বছরের মধ্যে আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১ থেকে ২ বছর সময় লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের ন্যূনতম বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি আসলে ওটার কাছাকাছি বিষয়।’
সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিবেদন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বয়স ও লিঙ্গভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সি (২৩-২৫ শতাংশ) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ (৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং তার থেকে বেশি বয়সিদের গ্রুপে (২৯ বছরের বেশি) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা সর্বনিম্ন (১ দশমিক ৭১ শতাংশ)।
মন্ত্রী আরও বলেন, অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করায় স্বাভাবিকভাবেই শূন্যপদের সংখ্যা কমেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বেশি হবে।
বয়সসীমা বাড়ানো হলে বর্তমানে যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি তারা এ সুযোগ পাবেন। এতে ৩০ বছরের কম বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: পাটের ব্যাগ বাজারে এনে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে: পাটমন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৪ মাস আগে