শনিবার বাদ আছর কুমিল্লা টাউনহল মাঠে নামাজের জানাজা শেষে তাকে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ভাষা সৈনিক অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাত ১টা ৪৭ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। শনিবার সকালে ঢাকা থেকে তার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাজলিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামের বাড়িতে সকাল ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৯৭ বছর বয়সী এই ভাষা সৈনিকের মরদেহ দ্বিতীয় জানাজা ও শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কুমিল্লা টাউনহল মাঠে আনা হয়।
সেখানে আহমেদ আলীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আইনজীবী সমিতি এবং নগরের সর্বস্তরের জনগণ।
জানাজার নামাজে সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল বাসেত মজুমদার, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাইজার মো. ফারাবী, কুমিল্লা জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং কুমিল্লার আইনজীবী সমিতির সদস্যরাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, আহমেদ আলী ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনে বৃহত্তর কুমিল্লা-৫ আসনের (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) এমএলএ নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এ সহচর ১৯৫৩ সালে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আইনজীবী সমিতির প্রথম নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।