দাফন
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনা: কুষ্টিয়ায় পাশাপাশি দাফন একই পরিবারের চারজনকে
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আটজন নিহত হন। নিহত আটজনের মধ্যে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ধর্মদহ গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজন ও গাড়িচালক। নিহত অপর দুইজন তাদের স্বজন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর দুইটার দিকে দৌলতপুরের ধর্মদহ ফরাজীপাড়া গোরস্থানে একই পরিবারের চারজনের একসঙ্গে জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় গ্রামের হাজারো মুসল্লি অংশ নেন।
দুর্ঘটনায় নিহত জাহিদুল ইসলামের দুই ছেলে সোহান ও সাগর সিঙ্গাপুর থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১০টার দিকে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছানোর পর দুপুর ২টার দিকে একসঙ্গে পরিবারের চারজনের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), তার ভাই শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আন্না (৫৫),তার ভাই মিজানুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০), নিহত জাহিদুলের বোন প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০), একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাহাব হোসেন (৩৫), মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং মেয়ে সীমা খাতুন (৩৫)।
নিহতরা মাইক্রোবাসে করে বাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জে অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাচ্ছিলেন।
নিহত জাহিদুল, তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন, ভাইয়ের স্ত্রী আন্না ও আনুর লাশ বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামে পৌঁছায়। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের তৈরি হয়। পরিবার, স্বজন ও স্থানীয়দের শোক আর কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
একই গ্রামের বাসিন্দা ও নিহত গাড়িচালক সাহাবের লাশও বুধবার রাতে ধর্মদহ গ্রামে পৌঁছায়। এরপর স্থানীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে জাহিদুল ইসলামের বোন ও পার্শ্ববর্তী প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০), জাহিদুলের শ্বাশুড়ি ও শ্যালিকা অর্থাৎ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং মেয়ে সীমা খাতুনের(৩৫) লাশ তাদের নিজ নিজ গ্রামে আনা হয় বুধবার রাতে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
নিহত জাহিদুলের চাচাতো ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জানারুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল ৭টার দিকে মাইক্রোবাসে করে সিরাজগঞ্জে রোগী দেখতে যাচ্ছিলেন সবাই। জাহিদুলের ছেলে সোহানের অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় ট্রাকের ধাক্কায় আটজন মারা গেছেন। ধর্মদহ গ্রামের পাঁচজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন মাইক্রোবাসের চালক। বাকি চারজন একই পরিবারের সদস্য। এছাড়াও নিহত জাহিদুলের বোন প্রাগপুর গ্রামের ইতি, গাংনীর বসতবাড়িয়া গ্রামের জাহিদুলের শাশুড়ি ও শ্যালিকা মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮
জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের তরমুজ পাম্প এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। বাকি দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ওই দুজনেরও মৃত্যু হয়।
১৩৩ দিন আগে
রাজশাহীতে পাইলট তৌকিরের দাফন সম্পন্ন
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণ হারানো বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার(২২ জুলাই) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে জানাযা শেষে পাশেই সপুরা কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে ঢাকায় তার জানাযা সম্পন্ন হয়। বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের পাইলট ছিলেন তিনি।
নিহত তৌকিরের মামা রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার মৃত্যুর খবর শোনার পর তৌকিরের পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় নেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় প্রথম জানাজা শেষে হেলিকপ্টারে তার লাশ রাজশাহীতে নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দফায় রাজশাহী উপশহর ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা হয়। এরপর বিকালে সপুরা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি আরও জানান, তৌকিরের মৃত্যুতে শোকের আবহ পুরো রাজশাহী নগরীজুড়ে। সকাল থেকেই ভাড়া বাসায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন স্বজনরা। তৌকিরের বন্ধু-বান্ধবসহ পরিচিতরা তার রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
জেলা প্রশাসন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দোয়ার আয়োজন করেছে।
১৩৫ দিন আগে
দাফনের আগে জানা গেল ‘মৃত ব্যক্তি’ জীবিত
সিলেটে এক ব্যক্তিকে দাফনের আগমুহূর্তে জানা গেছে যে তিনি জীবিত; হাসপাতাল থেকে যে লাশ নিয়ে আসা হয়েছে সেটি তার নয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রবিবার (২২ জুন) সকালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর সুলতানপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম (এতিছানগর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
যে ব্যাক্তির দাফন নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে তার নাম সাবু আহমদ। তিনি জকিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২১ জুন) রাতে ফেসবুকে ছবি দেখে সাবুর ছোট ভাই বাবুল আহমদ জানতে পারেন, তার ভাইয়ের লাশ জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এরপর ভাইয়ের লাশ মনে করে অজ্ঞাতনামা ওই লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন বাবুল। এরপর তিনি লাশের দাফন ও কবর খোড়ার ঠিক আগমুহূর্তে জানতে পারেন সাবু জীবিত আছেন।
বাবুল বলেন, আমার বড় ভাই সাবু একজন মানসিক রোগী। গত এক সপ্তাহ ধরে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে (শনিবার) ফেসবুকে ছবি দেখে মনে হয়েছিল সে মারা গেছে। তাই আমরা হাসপাতালে গিয়ে লাশটি নিয়ে এসে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।ৎ
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যুবক নিহত
তিনি বলেন, তবে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে আমাদের এক পরিচিতজন জানান, আমার ভাই বেঁচে আছেন এবং স্থানীয় গঙ্গাজল বাজারে আছেন।
তিনি আরও জানান, ভাই জীবিত আছেন জানতে পেরে তিনি হাসপাতালে ওই লাশটি ফেরত দিতে চান। তবে জকিগঞ্জ জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের নেতা মিজানুর রহমানের অনুরোধে সেটি দাফনের জন্য নিয়ে আসেন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘একজন অজ্ঞাত-পরিচয়ের লোক চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাড়িতে নিয়ে লাশের দাফন-কাফন ও কবর খোঁড়ার ঠিক আগমুহূর্তে মৃত সাবু আহমদ জীবিত আছেন বলে আমরা শুনেছি।
এদিকে, জানাজার ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন জানান, রবিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় এতিছানগর জামে মসজিদে জানাজা শেষে বাবুর বাজার-সংলগ্ন কবরস্থানে লাশটি দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, ‘আমি থানার ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলে মানবিক দিক বিবেচনা করে লাশের জানাজা পড়াই এবং দাফনের জন্য বলি।’
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মো. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করার পর আমরা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় লাশ সিলেটে পাঠানোর উদ্যোগ নেই। ঠিক তখনই তার ভাই ও আত্মীয়স্বজন পরিচয়ে লোকজন এসে লাশটি নিয়ে যান। এখন শুনছি ওই ব্যক্তি নাকি তাদের কেউ নন।’
১৬৫ দিন আগে
রবিবার সিলেটে মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরীকে দাফন করা হবে: মেয়ে সামিরা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরীর লাশ ঢাকা মেডিকেল থেকে আগামী রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সিলেট নিয়ে আসা হবে।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার বাবার লাশ সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে।
রবিবার(২৯ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বাদ আছর লাশ কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজারে প্রয়াত হারিছ চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত ‘শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানা’র আঙ্গিনায় নির্ধারিত স্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: ডিএনএ মিলেছে, হারিছ চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ
সামিরা চৌধুরী জানান, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে ওই সময় আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানল ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে তার পরিচয় গোপন করে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদরাসা প্রাঙ্গণে তাকে দাফন করা হয়।
পরে কন্যা সামিরার এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। কবর থেকে লাশ তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডি নমুনা সংগ্রহ করে এবং লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে লাশটি হারিছ চৌধুরীর নিশ্চিত হওয়ার পর তার লাশ সিলেটে দাফন করার পদক্ষেপ নেয় পরিবার।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে ফের দাফন হবে হারিছ চৌধুরীর লাশ, দেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা
৩৪৩ দিন আগে
দাফনের ১২ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন
ফেনীর দাগনভূঞায় দাফনের ১২ দিন পর কবর থেকে আবদুল গফুর মিয়া নামে এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
বুধবার (১২ জুন) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমানের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার জেলার গফুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) রাসেল মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশটি উত্তোলনের নির্দেশ দেন দাগনভূঞা আমলি আদালত।
জানা যায়, গত ২৯ মে জেলার দাগনভূঞা পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের অভিরামপুর এলাকায় ছয় তলা একটি ভবন দখল করতে তাণ্ডব চালায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ওই সময় হামলাকারীরা ভবনটির বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যসের লাইন কেটে দেয়। এতে আহত মালিক আবদুল গফুর ভূঞা গত ১ জুন মারা যাওয়ার পর ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
গত ৪ জুন নিহতের ছেলে রিয়াদ হোসেন একই উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দাগনভূঞা আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দাগনভূঞা আমলি আদালতের বিচারক ফারহানা লোকমান মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য দাগনভূঞা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, আদালতের নির্দেশে হত্যা মামলা এফআইআর করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল হাশিম, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. আসিফ ইনতেছার, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, নিহত গফুরের ছেলে লিয়াকত হোসেন রাজু, রাকিব হোসেন ও রিয়াদ হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: রংপুরে দাফনের সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে তরুণীর লাশ উত্তোলন
সিরাজগঞ্জে দাফনের ৪ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
৫৪০ দিন আগে
রংপুরে দাফনের সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে তরুণীর লাশ উত্তোলন
দাফনের সাড়ে ছয় মাস পর আদালতের আদেশে এক তরুণীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকালে নগরীর খাসবাগ এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ ওঠায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মৃত বর্ষা হোসাইন বর্না (২০) ওই এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে। বর্না আউট সোর্সিংয়ের কাজ করতেন।
তার মা শাহিনা বেগম ও বাবা বেলাল হোসেন দুই সন্তান বর্ষা ও বাঁধনকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে দাফনের ৪ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
পুলিশ জানায়, বর্নার সঙ্গে একই এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে জিয়াদ হোসেনের (২৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে বর্নার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় জিহাদ। এতে বর্না অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি জিয়াদ ও তার পরিবারকে জানানো হলে তারা বর্নার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলে। কিন্তু বর্না রাজি না হওয়ায় তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। একপর্যায়ে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে আত্মহত্যা করেন বর্না।
এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়।
পরবর্তীতে রংপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ছয় জনকে আসামি করে বর্নার মা শাহিনা বেগম মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-জিয়াদ হোসেন, ছবি বেগম, মনি বেগম, সিরাজউদ্দিন, সাজু মিয়া ও মো. রিফাত।
এদিকে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে ১২ জানুয়ারি পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
এসময় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মলিহা খানম ও মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুরের সিআইডির পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
প্রেমিকার বাড়ির সামনে মৃত্যুর ৩৬ দিন পর প্রেমিকের লাশ উত্তোলন
৯৯০ দিন আগে
সিলেটে ছেলের দাফনের পর বাবার মৃত্যু
সিলেটের ওসমানীনগরে ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে বৃদ্ধ বাবার মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। ফারুক মিয়া (৭৫) উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের উত্তর মজলিশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ছেলের দাফন শেষে বাড়িতে এসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
জানা গেছে, গত রবিবার বিকালে গলায় ফাঁস দিয়ে ফারুক মিয়ার ছেলে আলী আকবর (২৮) আত্মহত্যা করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার দুপুরে লাশ বাড়িতে আনা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে নিজ হাতে আলী আকবরের বাবা ফারুক মিয়া পুত্রের দাফন সম্পন্ন করেন। এরপর বাড়িতে এসে তিনি অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারুক মিয়ার ভাগিনা আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার মামা ফারুক মিয়া দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। এর আগেও তিনি দুইবার হার্ট অ্যাটাক করেছেন। এছাড়া ছয় মাস পূর্বে ফারুক মিয়ার স্ত্রীরও মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
তাজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য খালেদ আহমদ খুকু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি তিনি হার্টের রোগী ছিলেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মিলনের মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে নারায়ণগঞ্জের অগ্নিদগ্ধের মৃত্যু
১০১১ দিন আগে
চট্টগ্রামে সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন
হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী, আত্মীয় স্বজন ও শুভানুধ্যায়িদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নগরের জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেয়া হয়। পরে তাকে নগরীর দামপাড়ার গরীবুল্লাহ শাহ মাজারের কবরাস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, বিএনপি নেতা মীর নাছির ও মহানগর, উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার (৬ ফেব্রুযারি) সকালে আওয়ামী লীগের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম জানাজার পর বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে নিজ এলাকা বোয়ালখালীর গোমদণ্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোছলেম উদ্দিন আহমদের দ্বিতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বোয়ালখালীর হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময়ও তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
দ্বিতীয় জানাজা শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মরদেহ নগরের আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে তার মরদেহ নগরের লালখান বাজারের বাস ভবনে রাখা হয়।
এর আগে এদিন বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ও চার মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন মারা গেছেন
১০৩২ দিন আগে
চট্টগ্রামে বাবার লাশ দাফনে বাঁধা সন্তানদের!
চট্টগ্রামে পেনশনের রেখে যাওয়া টাকার ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে মৃত বাবার লাশ দাফন করতে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন আপন সন্তানরা।
জেলার কর্ণফুলী থানার বড়উঠান ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, পদ্মা অয়েল কোম্পানির সাবেক কর্মকর্তা মনির আহমদ (৬৫) শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেয়ার পর দাফনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার আপন সন্তানরা।
বাবার পেনশনের ৫০ লাখ টাকা ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সন্তানরা। তারা এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাবার লাশ দাফন করবে না বলে জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাংক থেকে বাবার লাশ উদ্ধার, ছেলেসহ আটক ২
এতে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে পড়েছিল মনির আহমদের লাশ।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানে সালিশি বৈঠকও ডাকা হলেও তাতেও সমাধান না হলে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় থানা পুলিশ।
বাবার লাশ দাফনে সন্তানদের বাঁধাদানের ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, মনির আহমদের অবসরের টাকা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মেজ মেয়ে বেবী আক্তারের সঙ্গে অন্য ভাইবোনদের বিরোধ চলছিল। শনিবার তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর এ নিয়ে রবিবার সকালে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে সামাজিক বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এতেও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে মনির আহমদের লাশ তিন দিন ধরে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে পড়ে রয়েছে।
জানতে চাইলে মৃত মনির আহমদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবা পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। অবসরে এসে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন। আমার মেজ বোন বেবী আক্তার আমার বাবাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এবি ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে ৩০ লাখ টাকা তোলেন। আমার ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী আলমগীর দেশে আসার জন্য রওনা হয়েছে। সে আসার পর টাকার সমঝোতার পর বাবার দাফন করা হবে।
বড় উঠান ইউপি সদস্য মো. সাইফুদ্দিন বলেন, মনির আহমদের অবসরের টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে ফেলার অভিযোগ এনে ভাইবোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। লাশ এখনও পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে।
তবে বেবী আক্তার অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমার বাবার অবসরের কোনো টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করিনি। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মনির আহমদের ছোট মেয়ে লিপি আক্তার জানান, আমার বাবা ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমরা তিন বোন মিলে বাবার চিকিৎসা খরচ বহন করছি। এক ভাইও কোনো সহযোগিতা করেনি। অবসরের টাকার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে অবসরের টাকার বিষয় তুলে বাবার লাশ দাফন করতে দিচ্ছে না।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। বাবার অবসরের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, বৃদ্ধের রেখে যাওয়া অবসরের টাকার জন্য তার সন্তানদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের মাধ্যমে বৃদ্ধের সন্তানদের মাঝে সৃষ্ট বিবাদ নিরসন করা হয়েছে।
সোমবার লাশ দাফনের কথা রয়েছে। লাশ দাফনের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান বৃদ্ধের সন্তানদের নিয়ে বসে একটি ব্যবস্থা করবেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছেলের মামলায় মৃত্যুর একমাস পর কবর থেকে বাবার লাশ তুলে ময়নাতদন্ত!
বাবার লাশ দাফনে সন্তানদের বাধা, পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন
১০৭৫ দিন আগে
চিরনিদ্রায় শায়িত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি
গাইবান্ধায় পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলার সাঘাটা উপজেলার গাটিয়া গ্রামে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে দুপুর ২টার দিকে সশস্ত্র বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে গাইবান্ধার বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তার মরদেহ আনা হয়।
নিউইয়র্ক থেকে ফজলে রাব্বির মরদেহ নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
তার মরদেহ সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয় যেখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় সরকার তাকে গার্ড অব অনার দেয়।
এরপর তার মরদেহ দাফনের আগে অন্য নামাজে জানাজার জন্য গোটিয়া গ্রামে তার পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডেপুটি স্পিকারকে তার গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দুই ছেলের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি ২২ জুলাই নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে বিকাল ৩.৫৫ মিনিটে (নিউইয়র্ক সময়) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৬ বছর।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি তার তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।
তিনি একজন স্বনামধন্য সংগঠক ছিলেন এবং বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে অনেক অবদান রেখেছেন।
ফজলে রাব্বি ১৯৮০ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ভলান্টারি স্টেরিলাইজেশন (বিএভিএস), গাইবান্ধার চেয়ারপার্সন ছিলেন।
তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি একজন স্বনামধন্য সংগঠক, যিনি বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে অনেক অবদান রেখেছেন। ফজলে রাব্বী ১৯৪৬ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং ১৯৭৮-৭৯ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা বারের নির্বাচিত সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী জনগণের আইনজীবী ছিলেন: শেখ তাপস
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে
১২২৮ দিন আগে