দাফন
দাফনের ১২ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন
ফেনীর দাগনভূঞায় দাফনের ১২ দিন পর কবর থেকে আবদুল গফুর মিয়া নামে এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
বুধবার (১২ জুন) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমানের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার জেলার গফুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) রাসেল মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশটি উত্তোলনের নির্দেশ দেন দাগনভূঞা আমলি আদালত।
জানা যায়, গত ২৯ মে জেলার দাগনভূঞা পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের অভিরামপুর এলাকায় ছয় তলা একটি ভবন দখল করতে তাণ্ডব চালায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ওই সময় হামলাকারীরা ভবনটির বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যসের লাইন কেটে দেয়। এতে আহত মালিক আবদুল গফুর ভূঞা গত ১ জুন মারা যাওয়ার পর ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
গত ৪ জুন নিহতের ছেলে রিয়াদ হোসেন একই উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দাগনভূঞা আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দাগনভূঞা আমলি আদালতের বিচারক ফারহানা লোকমান মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য দাগনভূঞা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, আদালতের নির্দেশে হত্যা মামলা এফআইআর করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল হাশিম, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. আসিফ ইনতেছার, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, নিহত গফুরের ছেলে লিয়াকত হোসেন রাজু, রাকিব হোসেন ও রিয়াদ হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: রংপুরে দাফনের সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে তরুণীর লাশ উত্তোলন
সিরাজগঞ্জে দাফনের ৪ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
৬ মাস আগে
রংপুরে দাফনের সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে তরুণীর লাশ উত্তোলন
দাফনের সাড়ে ছয় মাস পর আদালতের আদেশে এক তরুণীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকালে নগরীর খাসবাগ এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ ওঠায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মৃত বর্ষা হোসাইন বর্না (২০) ওই এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে। বর্না আউট সোর্সিংয়ের কাজ করতেন।
তার মা শাহিনা বেগম ও বাবা বেলাল হোসেন দুই সন্তান বর্ষা ও বাঁধনকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে দাফনের ৪ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
পুলিশ জানায়, বর্নার সঙ্গে একই এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে জিয়াদ হোসেনের (২৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে বর্নার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় জিহাদ। এতে বর্না অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি জিয়াদ ও তার পরিবারকে জানানো হলে তারা বর্নার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলে। কিন্তু বর্না রাজি না হওয়ায় তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। একপর্যায়ে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে আত্মহত্যা করেন বর্না।
এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়।
পরবর্তীতে রংপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ছয় জনকে আসামি করে বর্নার মা শাহিনা বেগম মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-জিয়াদ হোসেন, ছবি বেগম, মনি বেগম, সিরাজউদ্দিন, সাজু মিয়া ও মো. রিফাত।
এদিকে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে ১২ জানুয়ারি পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
এসময় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মলিহা খানম ও মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুরের সিআইডির পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
প্রেমিকার বাড়ির সামনে মৃত্যুর ৩৬ দিন পর প্রেমিকের লাশ উত্তোলন
১ বছর আগে
সিলেটে ছেলের দাফনের পর বাবার মৃত্যু
সিলেটের ওসমানীনগরে ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে বৃদ্ধ বাবার মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। ফারুক মিয়া (৭৫) উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের উত্তর মজলিশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ছেলের দাফন শেষে বাড়িতে এসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
জানা গেছে, গত রবিবার বিকালে গলায় ফাঁস দিয়ে ফারুক মিয়ার ছেলে আলী আকবর (২৮) আত্মহত্যা করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার দুপুরে লাশ বাড়িতে আনা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে নিজ হাতে আলী আকবরের বাবা ফারুক মিয়া পুত্রের দাফন সম্পন্ন করেন। এরপর বাড়িতে এসে তিনি অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারুক মিয়ার ভাগিনা আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার মামা ফারুক মিয়া দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। এর আগেও তিনি দুইবার হার্ট অ্যাটাক করেছেন। এছাড়া ছয় মাস পূর্বে ফারুক মিয়ার স্ত্রীরও মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
তাজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য খালেদ আহমদ খুকু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি তিনি হার্টের রোগী ছিলেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মিলনের মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে নারায়ণগঞ্জের অগ্নিদগ্ধের মৃত্যু
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন
হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী, আত্মীয় স্বজন ও শুভানুধ্যায়িদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নগরের জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেয়া হয়। পরে তাকে নগরীর দামপাড়ার গরীবুল্লাহ শাহ মাজারের কবরাস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, বিএনপি নেতা মীর নাছির ও মহানগর, উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার (৬ ফেব্রুযারি) সকালে আওয়ামী লীগের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম জানাজার পর বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে নিজ এলাকা বোয়ালখালীর গোমদণ্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোছলেম উদ্দিন আহমদের দ্বিতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বোয়ালখালীর হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময়ও তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
দ্বিতীয় জানাজা শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মরদেহ নগরের আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে তার মরদেহ নগরের লালখান বাজারের বাস ভবনে রাখা হয়।
এর আগে এদিন বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ও চার মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন মারা গেছেন
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে বাবার লাশ দাফনে বাঁধা সন্তানদের!
চট্টগ্রামে পেনশনের রেখে যাওয়া টাকার ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে মৃত বাবার লাশ দাফন করতে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন আপন সন্তানরা।
জেলার কর্ণফুলী থানার বড়উঠান ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, পদ্মা অয়েল কোম্পানির সাবেক কর্মকর্তা মনির আহমদ (৬৫) শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেয়ার পর দাফনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার আপন সন্তানরা।
বাবার পেনশনের ৫০ লাখ টাকা ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সন্তানরা। তারা এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাবার লাশ দাফন করবে না বলে জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাংক থেকে বাবার লাশ উদ্ধার, ছেলেসহ আটক ২
এতে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে পড়েছিল মনির আহমদের লাশ।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানে সালিশি বৈঠকও ডাকা হলেও তাতেও সমাধান না হলে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় থানা পুলিশ।
বাবার লাশ দাফনে সন্তানদের বাঁধাদানের ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, মনির আহমদের অবসরের টাকা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মেজ মেয়ে বেবী আক্তারের সঙ্গে অন্য ভাইবোনদের বিরোধ চলছিল। শনিবার তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর এ নিয়ে রবিবার সকালে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে সামাজিক বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এতেও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে মনির আহমদের লাশ তিন দিন ধরে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে পড়ে রয়েছে।
জানতে চাইলে মৃত মনির আহমদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবা পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। অবসরে এসে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন। আমার মেজ বোন বেবী আক্তার আমার বাবাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এবি ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে ৩০ লাখ টাকা তোলেন। আমার ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী আলমগীর দেশে আসার জন্য রওনা হয়েছে। সে আসার পর টাকার সমঝোতার পর বাবার দাফন করা হবে।
বড় উঠান ইউপি সদস্য মো. সাইফুদ্দিন বলেন, মনির আহমদের অবসরের টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে ফেলার অভিযোগ এনে ভাইবোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। লাশ এখনও পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে।
তবে বেবী আক্তার অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমার বাবার অবসরের কোনো টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করিনি। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মনির আহমদের ছোট মেয়ে লিপি আক্তার জানান, আমার বাবা ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমরা তিন বোন মিলে বাবার চিকিৎসা খরচ বহন করছি। এক ভাইও কোনো সহযোগিতা করেনি। অবসরের টাকার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে অবসরের টাকার বিষয় তুলে বাবার লাশ দাফন করতে দিচ্ছে না।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। বাবার অবসরের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, বৃদ্ধের রেখে যাওয়া অবসরের টাকার জন্য তার সন্তানদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের মাধ্যমে বৃদ্ধের সন্তানদের মাঝে সৃষ্ট বিবাদ নিরসন করা হয়েছে।
সোমবার লাশ দাফনের কথা রয়েছে। লাশ দাফনের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান বৃদ্ধের সন্তানদের নিয়ে বসে একটি ব্যবস্থা করবেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছেলের মামলায় মৃত্যুর একমাস পর কবর থেকে বাবার লাশ তুলে ময়নাতদন্ত!
বাবার লাশ দাফনে সন্তানদের বাধা, পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন
১ বছর আগে
চিরনিদ্রায় শায়িত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি
গাইবান্ধায় পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলার সাঘাটা উপজেলার গাটিয়া গ্রামে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে দুপুর ২টার দিকে সশস্ত্র বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে গাইবান্ধার বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তার মরদেহ আনা হয়।
নিউইয়র্ক থেকে ফজলে রাব্বির মরদেহ নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
তার মরদেহ সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয় যেখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় সরকার তাকে গার্ড অব অনার দেয়।
এরপর তার মরদেহ দাফনের আগে অন্য নামাজে জানাজার জন্য গোটিয়া গ্রামে তার পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডেপুটি স্পিকারকে তার গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দুই ছেলের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি ২২ জুলাই নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে বিকাল ৩.৫৫ মিনিটে (নিউইয়র্ক সময়) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৬ বছর।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি তার তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।
তিনি একজন স্বনামধন্য সংগঠক ছিলেন এবং বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে অনেক অবদান রেখেছেন।
ফজলে রাব্বি ১৯৮০ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ভলান্টারি স্টেরিলাইজেশন (বিএভিএস), গাইবান্ধার চেয়ারপার্সন ছিলেন।
তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি একজন স্বনামধন্য সংগঠক, যিনি বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে অনেক অবদান রেখেছেন। ফজলে রাব্বী ১৯৪৬ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং ১৯৭৮-৭৯ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা বারের নির্বাচিত সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী জনগণের আইনজীবী ছিলেন: শেখ তাপস
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে
২ বছর আগে
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নিউইয়র্ক থেকে ফজলে রাব্বির মরদেহ নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সশস্ত্র বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তার মরদেহ ঢাকা থেকে গাইবান্ধার সাঘাটার বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই
শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাখা হবে সেখানে বিকাল ৩টার দিকে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর তার মরদেহ গোটিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয় অনুসারে, বিকাল ৫টার দিকে সরকারের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার শেষে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দুই ছেলের কবরের পাশে ডেপুটি স্পিকারকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি ২২ জুলাই নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে (নিউইয়র্ক সময়) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন তিনি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মৃত্যুকালে তিন মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।
তিনি একজন স্বনামধন্য সংগঠক ছিলেন এবং বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়তে অনেক অবদান রেখেছিলেন।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি ১৯৮০ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ভলান্টারি স্টেরিলাইজেশন (বিএভিএস), গাইবান্ধার চেয়ারপারসন ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
ফজলে রাব্বি ১৯৪৬ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯- ৮৬ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা বার এর নির্বাচিত সম্পাদক ছিলেন।
২ বছর আগে
জামিনে এসে ছেলের জানাযায় রনির বাবা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত অগ্নিযোদ্ধা (ফায়ার ফাইটার) রমজানুল ইসলাম রনির (২২) শেরপুরে নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে ‘গার্ড অব অনার’দেয়া হয় এবং লাশের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বালুরঘাট এলাকায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রমজানুল ইসলাম রনির লাশ এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় চোখের জলে এই ফায়ার ফাইটারকে শেষ বিদায় জানান সহকর্মী ও প্রতিবেশীরা।
এদিকে আদালত থেকে জামিন পেয়ে জানাযা ও দাফন কাজে শরীক হন কারাগারে থাকা রনির বাবা আকরাম হোসেন আংগুর মিয়া। একটি হত্যা মামলায় তিনি গত তিনি মাস ধরে জেলহাজতে আছেন। রনির মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার আদালতের বিচারক তার সাত দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম রেজা বলেন, রনির ঘটনাটি বেদনাদায়ক, এই পেশাটাই এমন চ্যালেঞ্জের। সর্বদাই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। রনিই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি বিরাট ক্ষতি হয়েছে। সরকার যেন রনির পরিবারের প্রতি দৃষ্টি রাখেন এই আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের শীতলপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সীতাকুণ্ড দমকল বিভাগে কর্মরত শেরপুরের সন্তান ফায়ারফাইটার রমজানুল ইসলাম রনি। রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার স্ত্রী ও সহকর্মীরা তার লাশ শনাক্ত করেন।
২ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে দাফনের ৪ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দাফনের চার মাস সাত দিন পর কবর থেকে গৃহবধূ মরিয়মের (১৯) লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে পিবিআই পুলিশ বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমানের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করে।
নিহত মরিয়ম বেলকুচি উপজেলার তামাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের শামসুল হক মোল্লার মেয়ে।
পিবিআই পুলিশের ইন্সপেক্টর গোলাম কিবরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,নিহত মরিয়মের সঙ্গে কয়েক বছর আগে একই এলাকার তামাই কুয়েতপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে তাকে নানারকম নির্যাতনও করা হতো।
আরও পড়ুন: মণিরামপুরে ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
গোলাম কিবরিয়া জানান,গত ১৮ অক্টোবর সকালে স্বামীর ঘর থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় এবং তার লাশ ময়নাতদন্তের পর ওইদিন বিকালে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। সে আত্নহত্যা করেছে মর্মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসে।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে তার মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে ১২ ডিসেম্বর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মেয়ের জামাই আব্দুর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আদালত এ মামলা শুনানি শেষে পিবিআই পুলিশকে তার লাশ কবর থেকে উত্তোলনের পর আবারও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ সময় বেলকুচি উপজেলা হাসপাতালের ডা. মো.তারেক আজিজ, বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফাসহ পিবিআই পুলিশের অনান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
বরিশালে ট্রলারডুবি: ৩ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
২ বছর আগে
বাবার লাশ দাফনে সন্তানদের বাধা, পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন
ফেনীর দাগনভূঞায় সম্পত্তি ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে হাজী আবু আহমেদ নামে এক ব্যক্তির লাশ দাফনে বাধা দিয়েছে সম্পত্তি বঞ্চিত সন্তানেরা। বুধবার মৃত্যুর ১৪ ঘন্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে নিহতের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজী আবু আহমেদ মাস্টার (৯০) বুধবার দিবাগত রাত দুইটায় দাগনভূঞা পৌর শহরের নিজ বাড়িতে বাধর্ক্যজনিত কারণে মারা যান।
তিনি উপজেলার উদরাজপুর গ্রামের মনু হাজী বাড়ীর মৃত বজলের রহমানের ছেলে।
তার সাত ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে চার ছেলে ও দুই মেয়েকে তার কোনো সম্পত্তি তিনি দেননি। তার সমস্ত সম্পত্তি তিনি স্ত্রী ও বাকি তিন ছেলেকে রেজিস্ট্রি করে দেন। ওই দিন রাতে আবু আহমেদ মারা গেলে তার লাশ দাফনে বাধা দেয় সম্পত্তি বঞ্চিত সন্তানেরা। এসময় উভয় পক্ষের মাঝে সম্পত্তি নিয়ে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মেয়েকে হত্যার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
প্রতিবেশীরা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করলে সেখান থেকে দাগনভূঞা থানাকে এই ঘটনা জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও নিহতের সন্তানদের নিয়ে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বৈঠকে বসে সম্পত্তির বিষয়টি পরবর্তিতে সামাধান করার আশ্বাস দেন। এরপর পুলিশি পাহারায় মৃত্যুর ১৪ ঘন্টার পর পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়।
দাগনভূইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, লাশ দাফনে বাধা দেয়ার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ নিয়ে যাই। উভয় পক্ষের মাঝে বড় ধরনের অঘটনের সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও নিহতের স্বজনের উপস্থিতিতে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। সম্পত্তির বিষয় নিয়ে পরবর্তিতে সকলকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সামাধান করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শিশু হত্যা: মাকে আসামি করে বাবার মামলা
কর্ণফুলি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বাবা-ছেলে নিখোঁজ
২ বছর আগে