স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবহেলায় বেশ কয়েক বছর ধরে তিনজন চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
সূত্র জানায়, যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১০ বছর ধরে চিকিৎসকরা অনুপস্থিত। তবুও পদগুলো শূন্য ঘোষণা করেনি এবং বদলি নিয়োগও দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রাপ্তি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মৃদুল কান্তি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ২০১৪ সাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
একইভাবে মেডিকেল অফিসার সায়মা নাহিদ শান্তা ২০২১ সাল থেকে এবং মেডিকেল অফিসার গোলাম রসুল ২০১৯ সাল থেকে অনুপস্থিত।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রশাসন থেকে বারবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, কিংবা পদ শূন্যও ঘোষণা করেনি।
চিকিৎসক সংকটের কারণে বিদ্যমান চিকিৎসকরা জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
হাসপাতালে ৩২টি পদের মধ্যে ১৬ জন সক্রিয় চিকিৎসক রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে তিনজন দীর্ঘদিন অনুপস্থিত, দুজন ডেপুটেশনে এবং দুজন প্রশাসনিক পদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ট্রেইনি চিকিৎসকদের শাহবাগ অবরোধ
এদিকে অতিরিক্ত রোগীর চাপের কারণে বিদ্যমান চিকিৎসকরাও বদলি চাইছেন।
সম্প্রতি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, বহির্বিভাগে রোগীর লম্বা লাইন।
বহির্বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাইদুর রহমান ইমন বলেন, ‘রোগীর উপচেপড়া ভিড় এখানে নিত্যদিনের ঘটনা। রোগীর সংখ্যা বিদ্যমান চিকিৎসকদের অনুপাতের চেয়ে অনেক বেশি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহসানুল মিজান রুমি বলেন, ‘আমি সম্প্রতি এই হাসপাতালে যোগদান করেছি এবং ইতোমধ্যে অনুপস্থিত তিনজন চিকিৎসকের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।’
আরও পড়ুন: মানবিক জাতি গঠনে চিকিৎসকদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের