জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের ‘জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস’ বাড়ানোর জন্য বই কিনতে ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের তালিকা করা হয়। সেই তালিকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামেরই ২৯টি বই স্থান পেয়েছিল। কিন্তু সমালোচনার মুখে পরে বাতিল হচ্ছে সেই বিতর্কিত তালিকা।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ‘এই তালিকা বাতিল করে দিয়েছি। নতুন তালিকা করার জন্য আমি কমিটি করবো। তালিকা করবো নাকি হেডলাইনে করবো, সেটা আমি মিটিং করে নির্ধারণ করবো। আপাতত তালিকা বাতিল করে দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কার্যক্রম না নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘এছাড়া তাড়াতাড়ি জানিয়ে দেব, এক সপ্তাহের মধ্যে হয়তো আমরা হেড দিয়ে দেব, ইতিহাস, সাহিত্য, কবিতা-এ রকম করে দেব। ওরা ওদের মতো করে ফিলাপ করবে রুচিশীল বই।
আরও পড়ুন:নতুন অফিস সূচি ‘স্থায়ী নয়’: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন,‘হাজার-হাজার বই। তালিকা করতে গেলে কারটা দেব, কারটা দেব না, কোন প্রকাশকের যাবে, কোন প্রকাশের যাবে না? এটা একটা সেনসিটিভ এরিয়া। এছাড়া একটা কমিটি গঠন করে দেব যাতে তারা পর্যালোচনা করে সাজেস্ট করতে পারে, কোন পক্রিয়ায় আমরা তাদের বই কেনার জন্য সাজেস্ট করবো।’
এর আগে রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকা তালিকা সোমবার পরীক্ষার পর সংশোধন কিংবা বাতিল করা হবে।
আরও পড়ুন:পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান
সরকার অফিসের সময় কমাতে বা ভার্চুয়াল অফিস চালু করতে পারে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী