সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওইসব মৃত গাছ পথচারীদের জীবনের ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। কারণ গাছ ভেঙে যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্র জানায়, বিগত ১৯৮০ দশকে একটি এনজিওর মাধ্যমে উপজেলার প্রধান সড়ক ও রাস্তাগুলোর দু’পাশে মেহগিনি, শিরিশ ও শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করে ছিল উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। সেইসব চারা গাছ এখন বৃক্ষে পরিনত হয়ে উপজেলা জুড়ে সামাজিক বনায়ন সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি ওই সামাজিক বনায়নের গাছ দেখভাল করতে নিয়োজিত রয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা। তারপরও এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা প্রকাশ্যে ও গোপনে সামাজিক বনায়নের গাছ নিধন করছে। তার সাথে গত দুই বছর যাবত উপজেলার সড়কগুলোর পাশে বেড়ে ওঠা শিশু গাছ মরতে শুরু করেছে। আর রাস্তার পাশে মৃত গাছগুলো অপসারণের কোনো উদ্যোগ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের না থাকায় পথচারিদের জন্য জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো সময় গাছ ভেঙে পড়ে পথচারিদের জীবনহানি ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, কি পরিমাণ শিশুগাছ মারা গেছে বা মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে সরকারিভাবে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইতোমধ্যে উপজেলার প্রধান সড়কগুলোর পাশে থাকা প্রায় ২ শতাধিক শিশু গাছের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, প্রায় শতাধিক শিশুগাছ মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবির কুমার বিশ্বাস বলেন,‘ডাই-ব্যাক নামক এক প্রকার রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুগাছগুলো মরে যাচ্ছে। আর ওই রোগে আক্রান্ত হলে সে গাছ বাঁচানোর জন্য কোনো ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থাও নেই। কাজেই রোগাক্রান্ত গাছ কেটে ফেলাই হচ্ছে এর সমাধান।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো.আবুবকর ছিদ্দিক জানান, উপজেলার সড়কগুলোর পাশের শিশু গাছ মরে যাওয়ার বিষয়টি জেনেছি। ইউএনওর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.নাজমুল হুদা জানান, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে নিয়ে সরকারি বিধি মেনেই ওইসব মৃত গাছ অপসারণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।