নড়াইল
নড়াইলে মধুমতি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ
নড়াইলে মধুমতি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে লোহাগড়া উপজেলা কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মধুমতি নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ মুসা বিশ্বাস (৩০) ঘাঘা গ্রামের নবীর বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: গোমতী নদীতে নৌকাডুবিতে ২ যুবক নিখোঁজ
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে ঘাঘা গ্রামের মুসা বিশ্বাস ও একই গ্রামের মোহাম্মদ নাদিম মোল্যা মধুমতি নদীতে মাছ ধরতে যায়। নাদিম ডুব দিয়ে মাছ ধরে উপরে উঠে আসলেও মুসা আর ফিরে আসেনি। পরে স্থানীয়রা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে লোহাগড়া ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দেয়।
সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে খুলনা ডুবুরি দলকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলনা থেকে হুমায়ন কবিরের নেতৃত্বে একদল ডুবুরি কয়েক ঘণ্টা ব্যাপী চেষ্টা করে উদ্ধারে সফল না হতে পেরে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন।
নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মাহাবুব আলম বলেন, বিকালে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে খুলনা থেকে ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে এসে রাতে কয়েক ঘণ্টা ব্যাপী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ যুবকের কোনো সন্ধান মেলেনি।
শুক্রবার সকালে উদ্ধার কাজ শুরু করলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যুবককে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৮ দিন ধরে যুবক নিখোঁজ
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
নড়াইলে ছাত্রীকে শারীরিকভাবে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
নড়াইলে একটি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হয়রানির অভিযোগে এক সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলায় এই উত্যক্ত ও বরখাস্তের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ স্থানীয় অভিভাবক ও সুশীল সমাজ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে তুলারাম-শেখহাটি সড়কে বিদ্যালয়ের সামনে ঝাড়ু মিছিল করে।
এতে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সহকারী অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র অধিকারী, আওয়ামী লীগ নেতা অসীম কুমার পাল ও বিপ্রদা প্রসন্ন মল্লিক, সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুদির কুমার পাল।
তাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত কুমার গোস্বামী পড়ানোর নামে ছাত্রীদের শারীরিকভাবে হয়রানি ও উত্যক্ত করছিলেন।
১৮ জানুয়ারি বিকালে ওই শিক্ষক এক ছাত্রীকে স্কুলের দোতলায় একটি বিচ্ছিন্ন কক্ষে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে হয়রানি করেন।
পরে নির্যাতিতা বিষয়টি তার বন্ধু ও মাকে জানান।
কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়ার পর বাড়িতে ফেরার সময় গোস্বামী তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার অজুহাতে ডেকে নিয়ে হয়রানি করেন।
এমনকি নির্যাতনের কাউকে কিছু বললে তাকে পরীক্ষায় ফেল করার হুমকিও দিয়েছিলেন বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, গত ২২ জানুয়ারি তার মা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যুবককে তুলে এনে ববি ছাত্রদের মারধর!
প্রধান শিক্ষক মন্ডল জানান, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রতন ভৌমিকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গোস্বামীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইউএনবি গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আত্মরক্ষা করে বলেন, তার বিরোধীরা তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি অভিযুক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে উত্যক্তের অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে
মধুমতি সেতুতে যান চলাচল শুরুর পর কালনাঘাট এলাকায় নেই পূর্বের ব্যস্ততা
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মধুমতি নদীর কালনাঘাট ছিল জাঁকজমকপূর্ণ এবং হাঁকডাকে মুখর থাকতো পারঘাটা, সঙ্গে যশোর-খুলনাগামী বাস স্ট্যান্ডও।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হতো এই ঘাট দিয়ে। কিন্তু কালনা ঘাটে মধুমতি সেতু নির্মানের পর এখন সেখানে শুনশান নীরবতা। স্বপ্নের কালনা সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে হারিয়ে গেছে ঘাটের চিরচেনা সেই রূপ। বাস টার্মিনালে বা খেয়াঘাটের কোথাও নেই যাত্রীদের পদচারণা। নেই লঞ্চ চালক ও বাসের হেলপারের ডাকাডাকি। ফেরিঘাট এলাকায় এখন আর কোনো বাস স্ট্যান্ড নেই। নেই কোনো পারাপারের খেয়া নৌকা। ফেরি পার হতে আসে না কোনো যানবাহন। ঘাটের ফেরিগুলো অলস পড়ে আছে। এক কথায় বলা যায়- মুখ থুবড়ে পড়েছে অর্ধশত বছরের ব্যস্ততম সেই ঘাট।
বৃহস্পতিবার সকালে কালনা ঘাট এলাকায় গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এতো দিন মধুমতি নদীতে দাপিয়ে বেড়াতো শতাধিক পারের নৌকা ও যানবাহন পারাপারের চারটা ফেরি। ঘাটের দোকানগুলো অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গেছে। ফাঁকা পড়ে আছে সারি সারি খাবারের দোকান। কেউ কেউ মহাসড়কের পাশেই অস্থায়ীভাবে ঝালমুড়ি বা ফুচকা-চটপটির দোকান দিয়েছে। যে কোনো সময়ে তা উচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে। তবে মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় খুশি ঘাট সংশ্লিষ্ট সবাই। কালনা ঘাটের খেয়া নৌকার মাঝি আনোয়ার হোসেন জানান, গত ১০ অক্টোবর মধুমতি সেতু চালু হওয়াতে মনটা আনন্দে ভরে গেছে, আমরা অনেক খুশি হয়েছি। বহু বছর ধরে যাত্রীদের নানা ভোগান্তি চোখের সামনেই দেখেছি। যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করেছে, সে ভোগান্তি এখন আর নেই।
তিনি আরও বলেন, আনন্দের পাশাপাশি আমাদের বোবা কান্নাও আছে। কেননা এখন ঘাটে যাত্রী নেই, আমাদের জীবিকার কোনো ব্যবস্থাও নেই। এতো বছর এই ঘাটে নৌকায় যাত্রী পারাপার করেছি, সেই মায়ায় এখনও ঘাটে আসি। কিন্তু সেতু উদ্বোধনের পরদিন অর্থ্যাৎ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পর থেকে এখন আর কেউ নৌকায় পার হতে আসে না। এখন সেতু দিয়ে যানবাহনের সঙ্গে পায়ে হেঁটেও মানুষ চলাচল করছে। সেতু চালু হওয়ার পর থেকে সেতু দর্শণার্থীরা ছাড়া পার হতে কেউ আর ঘাটে আসছে না। বর্তমানে আমরা আমাদের জীবিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। তবে আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই আমাদের জীবিকার যেন কোনো ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য স্বাধীনতা পূর্বকালে কালনাঘাট বর্তমান স্থান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে ছিল। স্বাধীনতার পর লোহাগড়া থেকে কালনা ঘাট পর্যন্ত সড়ক নির্মানের ফলে কালনাঘাট বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করা হয় এবং কালনায় ফেরিঘাট স্থাপন করা হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হতো এই ঘাট দিয়ে। মধুমতি সেতু চালু হওয়ার পর এ ঘাটের নৌকাগুলির অধিকাংশই অন্যত্র চলে গেছে। যশোর খুলনাগামী বাস গুলি সেতু পার হয়ে ভাটিয়াপাড়া মোড় থেকে ছেড়ে আসছে। অর্থ্যাৎ সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে হারিয়ে গেছে কালনা ঘাটের চিরচেনা সেই রূপ।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
নড়াইলে দুই সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
নড়াইলে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক মা দুই সন্তানসহ বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) শহরের ভাওয়াখালীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আশংকাজনক অবস্থায় তিনজনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সাতক্ষীরা জেলার মিঠু শেখের স্ত্রী শিউলি বেগম (৩২), রাব্বি (৭) ও ইলমা (৪) দুই সন্তানের জননী।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা, ৯৯৯-এ কল পেয়ে উদ্ধার
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, মিঠু সম্প্রতি অন্য এক নারীকে বিয়ে করে শিউলিকে পারিবারিক খরচের জন্য টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে বুধবার শিউলিকে বেদম মারধর করে মিঠু। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই সন্তানসহ তিনি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। জুসের সঙ্গে প্রথমে দুই সন্তানকে বিষপান করিয়ে পরে নিজে বিষপান করে। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনার পর থেকে মিঠু ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, ভওয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশু সন্তান রাব্বিকে (৭) স্কুল থেকে ডেকে এনে মা শিউলি বেগম তাকে এবং ছোট বোন ইলমাকে (৪) জুসের সঙ্গে বিষপান করান। আশংকজনক অবস্থায় প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে ছেলে রাব্বি কিছুটা সুস্থ হলেও বোন ইলমা ও মা শিউলি বেগম স্বাভাবিক হতে পারেননি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
নড়াইলে ট্রলির ধাক্কায় মাদরাসাছাত্র নিহত
নড়াইলের কালিয়ায় বালিবোঝাই ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে ইসমাইল শেখ নামে এক মাদরাসা ছাত্র নিহত হয়েছে। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নড়াইল-কালিয়া সড়কের আটলিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসমাইল শেখ কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ফুরকান শেখের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ট্রলির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইসমাইল শেখ সাইকেল চালিয়ে বাড়ির পাশে রাস্তায় উঠার সময় নড়াইল অভিমুখী একটি বেপরোয়া গতির বালিবোঝাই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়। তখন ইসমাইল সড়কে ছিটকে পড়ে ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে স্থানীয়রা ট্রলিটিকে আটক করলেও চালক ট্রলিটি ফেলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জানান, ঘাতক ট্রলিটিকে আটক করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রূপসায় ইটবাহী ট্রলির ধাক্কায় কলেজের অধ্যক্ষ নিহত
ট্রলির ধাক্কায় পাঁচ বছরের শিশু নিহত
নড়াইলের নবগঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সর্বশেষ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বড়দিয়া ফেরিঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এ নিয়ে এই নৌকাডুবির ঘটনায় চারজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
নিহত মাহমুদ শেখ (৪৫) কালিয়া গ্রামের খালেক শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নবগঙ্গা নদী গর্ভে ১শ একর ফসলি জমি
জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নবগঙ্গা নদীর বাহিরডাঙ্গা খেয়াঘাট থেকে ১৪-১৫ যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বাহিরডাঙ্গা ঘাটে যাচ্ছিল। মাঝনদীতে যাওয়ার পর নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় বাহিরডাঙ্গা গ্রামের ইমামুল মণ্ডলের মেয়ে ও উপজেলার বাবুপুর গ্রামের আ. জলিলের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও তার ছেলে নাসিম (২) এর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও চারজন নিখোঁজ ছিলেন।
নড়াইল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক মো. মাহবুব আলম বলেন, খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দল শনিবার নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো নদীতে উদ্ধারকাজ শুরু করে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে।
এছাড়া মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা দিকে বড়দিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে মাহমুদ শেখের লাশটি উদ্ধার করে। এ নিয়ে নিখোঁজ চারজনেরই লাশ উদ্ধার করা হলো।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নবগঙ্গায় নৌকাডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু
নবগঙ্গা নদী গর্ভে ১শ একর ফসলি জমি
নড়াইলে নৌকাডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এতে এই নৌকাডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে। এখনও আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনায় নৌকাডুবিতে মা-ছেলের মৃত্যু
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমিম আলম।
রবিবার (১ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া নৌকায় থাকা নিখোঁজ লাবুকে (৩২) উদ্ধার করে খুলনার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত লাবু কালিয়া বাবুপুর গ্রামের টুকু চৌকিদারের ছেলে। তিনি হামিদপুর ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরে দুপুর ১টার দিকে জোকর চর গ্রামের মতিয়ার শেখের ছেলে খানজে শেখ (৫৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন-কালিয়া উপজেলার বাহিরডাঙ্গা গ্রামের এনামুল মন্ডলের ছেলে রয়েল মন্ডল (২৭), এনামুল মন্ডলের বড় মেয়ে জামাতা ও কালিয়া গ্রামের মৃত খালেক শেখের ছেলে মাহমুদ শেখ (৪১)।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমিম আলম বলেন, নিখোঁজ দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে ডুবরি দল।
তিনি আরও বলেন, লাশ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। নৌ পুলিশ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবগঙ্গা নদীর বাহিরডাঙ্গা খেয়াঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-মা নাজমা বেগম (২৮) ও ছেলে তাছিম শেখ (২)।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৪৭ দিনের মাথায় আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দায় নৌকাডুবিতে জেলের মৃত্যু
সেপটিক ট্যাংকে মিলল মাদরাসাছাত্রের লাশ
নড়াইল সদর উপজেলায় নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংক থেকে এক মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে সদরের ভদ্রবিলা ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম সরকেলডাঙ্গা হাসানিয়া কওমী মাদরাসার নির্মাণাধীন সেফটি ট্যাংকিতে তার লাশ পাওয়া যায়।
আবদুল্লাহ গাজী (১০) উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম সরকেলডাঙ্গা হাসানিয়া কওমী মাদরাসার কেরাত বিভাগের ছাত্র এবং কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়নের চাঁচুড়ী গ্রামের ইনছান গাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, আবদুল্লাহ এশার নামাজ জামায়াতে শেষ করে প্রতিবেশি এক বাড়িতে রাতের খাবার খেতে যায়। কিন্তু রাত ১০টায়ও ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে এতিমখানার নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের তার লাশ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মাদরাসার নূরানি শিক্ষক মাওলানা মহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্ররা আমার কাছে এসে জানায় রাতের খাবার খেয়ে আবদুল্লাহ আসেনি। তারপর তাকে খুঁজতে মাদরাসা থেকে ২০ গজ পশ্চিমে নির্মাণাধীন একটি ট্যাংকের মধ্যে তার লাশ পাওয়া যায়।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। শনিবার ভোরে ওই ছাত্রের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তার শরীরে সামান্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তবে তা কাউকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট নয়। তার ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মিস্ত্রিকে উদ্ধারে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ ভ্যানচালকের মৃত্যু
সেপটিক ট্যাংকে দমবন্ধ হয়ে ২ শ্রমিকের করুণ মৃত্যু!
নড়াইলে 'গরু চোর' সন্দেহে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইল সদর উপজেলায় গরু চোর সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বীড়গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে নড়াইল-গোবরা সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ স্টেশনের উত্তর পাশের শস্যক্ষেত থেকে এবং দক্ষিণ পার্শ্বের মেহগনি বাগানের মধ্যে পড়ে থাকা লাশ দুটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সুপারি গাছে বেঁধে শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন- বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার দাড়িয়া বারইডাঙ্গা গ্রামের গফুর শেখের ছেলে আসাদুল শেখ (৩৬)। অপর ব্যক্তির নাম-ঠিকানা জানা যায় নি।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এক মাসের মধ্যে বীড়গ্রামের সুশেন বিশ্বাসের একটি, উজিরপুর গ্রামের রাম বিশ্বাসের পাঁচটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। ওই ঘটনার পর থেকে দুই গ্রামের লোকজন গরু চোর ধরতে নিয়মিত পাহারা দিত।
রবিবার দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ৩টার দিকে বীড়গ্রামের রেবো বিশ্বাসের বাড়ি চোরেরা গরু চুরি করতে গেলে বাড়ির মালিক চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে চোরদের ধাওয়া দেয়।
গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে চোর দলের তিন থেকে চার জন পালিয়ে যায়। এ সময় গরু চোর সন্দেহে আসাদুল শেখ ও অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ধরে লোকজন গনপিটুনি দিয়ে নড়াইল-গোবরা সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই ব্যক্তি মারা যায়।
স্থানীয় কলোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আশীষ কুমার বিশ্বাস ও একাধিক ব্যক্তি জানান, ইউনিয়নের বীড়গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামে দিনের বেলায় ফেরিওয়ালা সেজে এরা কম্বল, থালা-বাটি ও অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে খোঁজখবর নিয়ে রাতের বেলা চুরি কাজে লিপ্ত হতো। বীড়গ্রামের সুশেন বিশ্বাসের একটি, উজিরপুর গ্রামের রাম বিশ্বাসের পাঁচটি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে গ্রামের লোকজন পাহারা দেয়া শুরু করে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে গরুর বর্জ্য অপসারণ নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা!
ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ!
নড়াইলে ৫ ইটভাটায় অভিযান, ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাঁচটি ‘অবৈধ’ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে প্রায় ১৬ লাখ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর ও পাটকেলবাড়িয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশের সব অবৈধ ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খুলনার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আশিফুর রহমানের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর, নড়াইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামাল মেহেদীসহ পুলিশ ও আনছার বাহিনীর সহায়তায় কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর ও পাটকেলবাড়িয়ায় সরকারকর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ ড্রাম চিমনীর ইট ভাটা সমূহের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এ সময় পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় ও ইট ভাটা অবৈধ হওয়ায় ঐ এলাকার পাঁচটি ইট ভাটাকে স্কেভেটর ও ট্রাকটরের সাহায্যে চিমনি, চুল্লী সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে ও প্রায় ১৬ লাখ কাঁচা ইট সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর, নড়াইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামাল মেহেদী জানান, নড়াইল জেলায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ ইট ভাটা সমূহের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর এর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ১৪০টি ইটভাটার ৯৪টি অনুমোদনহীন
কুষ্টিয়ায় ৭ অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো আদালত