জেলায় বেশি অসহায় অবস্থার মুখে রয়েছে মধ্যবিত্তরা। তাদের জন্য গত ৪ এপ্রিল থেকে ফরিদপুর যুবলীগের ব্যবস্থাপনায় শুরু হয়েছে স্বল্প মূল্যে নিত্যপণ্যের ভ্রাম্যমাণ বাজার। হটলাইনে ফোনের মাধ্যমেও সার্ভিস চার্জ ছাড়াই ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে এসব সামগ্রী।
জেলা যুবলীগের সভাপতি এএইচএম ফোয়াদের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সুবিধাভোগীরা।
এছাড়া, ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ দুর্যোগে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদেরসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সাথে কাজ করছেন।
সদর আসনের সংসদ সদস্যের ব্যবস্থাপনায় শহর আওয়ামী লীগের মাধ্যমে গত ৭ এপ্রিল পৌরসভায় কর্মহীন ও হতদরিদ্রদের মাঝে ৫ কেজি চাল, ৩ কেজি আটা, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি লবণ ও একটি সাবান বিতরণ শুরু হয়। এছাড়া, করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিতদের সুরক্ষায় ৫০০ পিপিই ও এন৯৫ মাস্কসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন তার নির্বাচনী এলাকা বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গায় দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেছেন। সেই সাথে বোয়ালমালীর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন নিজ উদ্যোগে হতদরিদ্রদের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। একই এলাকায় কাঞ্চন মুন্সি ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থপনায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগঠনটির কর্মীরা খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন তার নির্বাচনী এলাকায় গত এক মাস যাবত নিজ হাতে করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ততদের নগদ অর্থসহ খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছেন।
ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তার ছেলে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী মায়ের অনুপস্থিতি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িছেন। একই আসনে বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল ও আওয়ামী লীগ নেতা জামাল হোসেন মিয়া খাদ্য সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে এগিয়ে এসেছেন।
এছাড়া, জেলা শহরের বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক সহায়তার কাজে অংশ নিয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘সরকারিভাবে পর্যাপ্ত খাদ্য বরাদ্দ রয়েছে। খাদ্য সহায়তার কোনো ঘাটতি নেই। জেলার সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঠিক প্রক্রিয়ায় দুস্থদের মাঝে সরকারি সহায়তা বিতরণের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’