ফরিদপুর
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় কমিশনের সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এ কথা জানান।
কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জেষ্ঠ্য সচিব বলেন, ‘কমিশনের মেজর সুপারিশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে- ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে বিভাগ করা হোক। ওই এলাকার দাবির প্রেক্ষিতে আমরা দুটি বিভাগ করার পরামর্শ দিচ্ছি।’
‘এই দুটি বিভাগ করতে গেলে দুই একটা জেলা এই বিভাগ থেকে ওই বিভাগে দিতে হবে। সেটি আমরা ম্যাপ করে দিয়েছি। একটি ম্যাপ দেখলেই বুঝা যাবে- সামনে দশটি বিভাগ, কোন জেলাকে কোন জায়গায় দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে আবারও কড়াকড়ি
তিনি বলেন, ‘সব বিভাগকে টাচ (স্পর্শ) করা হয়নি। এখানে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামকে টাচ করা হয়েছে, যাতে কুমিল্লা, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ সেরকম হয়। আমরা (সুপারিশ) দিয়েছি, সরকার যদি মনে করে যে দশটা বিভাগ করবে, ফাইন।’
মোখলেস উর রহমান আরও বলেন, ‘জনগণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও অনেক এমন সুপারিশ আমরা করেছি। একই বিষয় কত হাজার মানুষ সাপোর্ট করেছে, কত হাজার লোক চাহিদা দিয়েছে- এ বিষয়ে আমরা গুগলে ক্লাস্টার করেছি।’
১২ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কের নওপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফরিদপুর পশ্চিম আলিপুরের বাসিন্দা মামুনুর রহমান ও তার বন্ধু চরভদ্রাসন এলাকার খলাবাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ গুপি শেখ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
স্থানীয়রা জানান, ফরিদপুর থেকে মোটরসাইকেলে করে দুই বন্ধু ভাঙ্গায় যাওয়ার পথে ওভারটেক করতে গিয়ে একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে মামুনুর রহমান নিহত হন। পরে আহত মোহাম্মদ গুপি শেখকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১ দিন আগে
মারধরের পর জ্যান্ত পুঁতে স্কুলছাত্রকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
ফরিদপুরে জিহাদ নামে এক স্কুলছাত্রকে রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে মারধরের পর কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) শহরের আলীপুরে একটি সংবাদপত্র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই ছাত্রের পরিবার।
ফরিদপুর সদরের বড় মাধবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তাক মাতুব্বরের ছেলে জিহাদ। সে কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
জিহাদের বাবা বলেন, জিহাদ ওয়াজ শুনতে গেলে এলাকার বখাটে কিশোর তাকে ধরে মারধর করে। পরে একটি কবরস্থানে নিয়ে কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে হত্যাচেষ্টা করে। এসময় তারা পাঁচলাখ টাকাও নিয়ে আসতে বলে।
এ ঘটনার পরে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বখাটে কিশোর জিহাদকে মারতে মারতে কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি কবরস্থানে।
সেখানে এক তরুণকে কোদাল দিয়ে গর্ত খুড়তে দেখা যায়। এসময় জিহাদকে ওই যুবক বলে- ‘তোকে জবাই করমু না, জ্যান্ত পুঁতুম। কি কবি ক? জায়গা পছন্দ কর।’ এরপর কেউ একজন সেখানে কিশোরকে ফোন ধরিয়ে দেওয়ার পরে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। এর কিছুক্ষণ পর যুবকটি জিহাদকে ছেড়ে দিয়ে বলে- ‘বাইচা গেলি আইজকার মতো।’ তারপর তাকে সজোরে কিলঘুষি মারতে থাকে তারা।
আরও পড়ুন: হত্যাচেষ্টা মামলায় যবিপ্রবির কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
জিহাদের মা মারিয়া আকতার বলেন, ‘বাড়িতে পৌঁছে ভয়ে তার ছেলে বমি করে দেয়। রাতেই তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে নিয়ে যাই। প্রচণ্ড ভয়ে তার পিত্তি গলে যাওয়ার দশা। সে ট্রমায় আক্রান্ত হয়ে গেছে।’
জিহাদ বলেন, কয়েক দিন আগে তার চাচাতো ভাইদের বাড়ির পেছনে নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে শোরগোল করতে থাকা একদল বখাটের কছে উচু স্বরে জানতে চেয়েছিল তারা কারা। এই অপরাধে ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথমে তাকে একদফায় মারধর করা হয়। এরপর শনিবার রাতে বাবার কাছ থেকে হালিম খাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে ওয়াজের মাঠে যাচ্ছিল সে। তখন ওই যুবকেরা তাকে দোকান থেকে সিগারেট কিনে আনতে বলে আর তারপর তার সিগারেট কেনার ভিডিও করে। তখন তার বাবাকে সিগারেট কেনার ভিডিও দেখিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে নেয়।
এ ঘটনায় তার বাবা মোস্তাক মাতুব্বর বাদী হয়ে রবিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিফাত (২৪), মাসুম (২৩), মারুফ (২০), আরাফাত (২০), সজল (২২), সাকিলসহ (১৯) আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, অভিযোগটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানও চালিয়েছে।
দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশ সাদাপোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না: উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমার মোড় এলাকা থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মেহেদী হাসান ডিক্রিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত।
এর আগে নিক্সনের আরেক ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাস, গ্রেপ্তার ৩
দীর্ঘদিন ধরে ডিক্রিরচর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু তোলার অভিযোগ রয়েছে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। তাকে হত্যা মামলায় আপাতত গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে তাকে অপর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, হত্যা মামলার বাদী ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা রুমন শেখ। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিঅ্যান্ডবিঘাট টোল প্লাজার সামনে বিএনপি প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের পক্ষে পোস্টার লাগান ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা হিরু শেখ। এ সময় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মেহেদী হাসানকে আসামি করে সম্প্রতি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন হিরুর ছেলে রুমন শেখ। এছাড়া শহরের কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা আজাদ শেখ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির আহমেদ বলেন, ‘মেহেদী হাসানকে রবিবার (১ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে পুলিশের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হবে।’
উল্লেখ,ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খালিদ হোসাইন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ১ কোটি সাত লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকা অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় দুদক এ মামলাটি রুজু করা হয়।
আরও পড়ুন: রাবিতে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
২ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুরে অগ্নিদগ্ধ দুই শিশুর ঢামেকে মৃত্যু
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুরা গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিশুরা হলো- ওই গ্রামের ছিদ্দিক মুন্সীর ছেলে ইসমাইল মুন্সি (৪) ও আসাদ মুন্সীর ছেলে ইয়াসিন মুন্সি (৩)।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে দুই শিশুর শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার ইসমাইল মুন্সি ও সোয়া ৯টায় ইয়াসিন মুন্সির মৃত্যু হয়।
অগ্নিদগ্ধ শিশুদের চাচা উজ্জ্বল হোসেন জানান, ইয়াসিন ও ইসমাইল রবিবার দুপুরে রান্না ঘরে খেলতে যায়। বাড়িতে বাবা-মা কেউ না থাকায় তারা কিছু পাটের খড়ি রান্নার চুলার মধ্যে দিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাটখড়ির বেড়ায় লেগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।
তখন দুই শিশু ভয় পেয়ে রান্নাঘরের পাশে গোসলখানায় আশ্রয় নেয়। রান্না ঘর পুড়ে যাওয়ার পর গোসলখানায় আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে আগুন রান্না ঘর ও গোসলখানাসহ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন আগুন নিভাতে চেষ্টা করলেও তখনও জানতো না শিশু দুটি বাথরুমে আটকা পড়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শিশু দুটির চিৎকার শুনতে পায়। মুমূর্ষু অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ দুই শিশুকে ভাঙ্গা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে শিশু দুইটির মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৌলি চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধ ইয়াসিনের ৬৮ ভাগ এবং ইসমাইলের ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
৪ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুর হয়েই চলবে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস
অবশেষে এলাকাবাসীর দাবির মুখে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেসের রুট আপাতত পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ট্রেন দুটি বেনাপোল ও খুলনা থেকে ছেড়ে রাজবাড়ী, ফরিদপুর ভাঙ্গা স্টেশন হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।
মঙ্গলবার একই দাবিতে রাজবাড়ী ও ফরিদপুর রেলস্টেশনে জেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি সমন্বয়ক আরবার ইতু বলেন, বিগত সরকারের সময় এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করার পর সেটি লাভজনক অবস্থায় যায়। প্রতিদিনই আপডাউন ট্রেনের সিট ফাঁকা থাকে না। তাহলে কেন এই রুটের ট্রেন পরিবর্তন করতে হবে। ফরিদপুর রাজবাড়ি কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের জেলার মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই কোনোভাবেই এ রুটের ট্রেন দুইটিকে বাতিল করা চলবে না। প্রয়োজনে অন্য রুটে নতুন ট্রেন সংযোজন সংযোজন করা হোক।
ফরিদপুর রেলওয়ের সহকারী স্টেশনমাস্টার সুজাত আলী সরদার বলেন, ‘সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদেরকে এখন পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, আন অফিসিয়ালি আমরা জানতে পেরেছি যে এই রুটের বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় রুটিন অনুযায়ী বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
এর আগে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ‘রাজবাড়ী এক্সপ্রেস-১০৫’ ট্রেন রাজবাড়ী রেলস্টেশনে আটকে বিক্ষোভ করেন। একই দাবিতে রবিবার ‘মধুমতী এক্সপ্রেস’ ও ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে ফরিদপুর-রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামের দুইটি ট্রেন চলাচল শুরু করে। এতে অল্প সময়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার সুযোগ হয় ফরিদপুরসহ আশপাশের কয়েক জেলার মানুষের।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু
১ মাস আগে
ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ২৫ রোগী।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম বিপ্লব (১৭)। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলাতে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ১ নভেম্বর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরে এ পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন ১০১৭ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন ৯২৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১০৩ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৬৬
ফরিদপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে তারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, কোনো রোগীর মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা জানিয়েছেন, ‘সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী জেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশনা দিয়েছি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারিদের নির্দেশনা রয়েছে সেটি মেনে চলার। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এর বাইরেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়াতে সভা ও সেমিনার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ৩০০ জনের মৃত্যু
১ মাস আগে
ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের সালথায় ব্যবসায়ী ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রদল নেতা মো. হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব-১০ ফরিদপুর।
গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমান (৩৫) সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামের সাহিদ মাতুব্বরের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১ নভেম্বর) গভীর রাতে ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে সালথার ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৯ ধরনের অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফিজুর হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলে তাকে সালথা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১১ আগস্ট রাত ১০টায় নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সালথার গোপালীয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. ইয়ার আলীর ওপর হামলা চালায় হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইয়ার আলীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তার আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান।
পরবর্তীতে ঢামেক চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩ সেপ্টেম্বর ইয়ার আলী মারা যান। এ ঘটনায় ইয়ার আলীর ছেলে রাসেল শেখ বাদী হয়ে হাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর থেকে হাফিজুর আত্মগোপনে চলে যান।
শনিবার বিকেলে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ী ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুরকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফাঁদ পেতে বন্যহাতির হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার শহীদুল কারাগারে
১ মাস আগে
ইজিবাইক চালককে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ইজিবাইক চালক বাবুল হোসেন হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২ জন হলেন- ফরিদপুরের খাসকান্দির শহিদ শেখ ও গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুরের নজরুল শেখ। এছাড়া ফরিদপুর গোবিন্দপুর গ্রামের রাব্বি খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের সময় শহিদ উপস্থিত থাকলেও অপর ২ জন পলাতক রয়েছেন।
গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুর উপজেলার আবু বক্করের ছেলে বাবুল হোসেন একজন ইজিবাইক চালক ছিলেন।
জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২১ মার্চ মোকছেদপুর থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে ফরিদপুরে আসেন বাবুল। পরে ২৩ মার্চ বেড়িবাঁধ এলাকায় বাবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় বাবুলের ভাই দেলোয়ার বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাক্ষী ও শুনানি শেষে আদালত রবিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়াব আলী মৃধা বলেন, ইজিবাইক চালক বাবুল হোসেন হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
১ মাস আগে
ফরিদপুরে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ২৭
ফরিদপুরের মল্লিকপুরে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ২৭ জন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোর চারটার দিকে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের মল্লিকপুর এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের সরা গ্রামের আবু বক্কর (৫৫), জাবাইল গ্রামের বাবু (৪০), মাগুরার বরই গ্রামের পিকুল।
আরও পড়ুন: সিলেটে সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ২৪
এছাড়া বাসের সুপারভাইজার মো. মহসিন (৩৫) ও হেলপার নাহিদ (১৯)। তাদের বাড়ি শ্যামনগরের চন্ডিপুর ও বাজার গ্রামে।
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা আব্দুল্লাপুর থেকে ঝিনাইদহগামী গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের সঙ্গে খাগড়াছড়ি পরিবহন নামে অপর একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ২৭ জন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহমুদুজ্জামান বলেন, ভোরে ৩০ থেকে ৩২ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ২৭ জনকে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা ও পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা ও আহত ১৭ জনকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। এছাড়াও কেন একই জায়গায় বার বার দুর্ঘটনা হয়, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত টিম গঠন করা হবে।
পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, গাড়ি দুটি অধিক গতিতে ছিল, চালকদের চোখেও ছিল ঘুম, আর এ কারণেই হয়তো নিজস্ব লেন চেঞ্জ হয়ে যাওয়ায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
২ মাস আগে