ফরিদপুর
ফরিদপুর হয়েই চলবে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস
অবশেষে এলাকাবাসীর দাবির মুখে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেসের রুট আপাতত পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ট্রেন দুটি বেনাপোল ও খুলনা থেকে ছেড়ে রাজবাড়ী, ফরিদপুর ভাঙ্গা স্টেশন হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।
মঙ্গলবার একই দাবিতে রাজবাড়ী ও ফরিদপুর রেলস্টেশনে জেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি সমন্বয়ক আরবার ইতু বলেন, বিগত সরকারের সময় এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করার পর সেটি লাভজনক অবস্থায় যায়। প্রতিদিনই আপডাউন ট্রেনের সিট ফাঁকা থাকে না। তাহলে কেন এই রুটের ট্রেন পরিবর্তন করতে হবে। ফরিদপুর রাজবাড়ি কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের জেলার মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই কোনোভাবেই এ রুটের ট্রেন দুইটিকে বাতিল করা চলবে না। প্রয়োজনে অন্য রুটে নতুন ট্রেন সংযোজন সংযোজন করা হোক।
ফরিদপুর রেলওয়ের সহকারী স্টেশনমাস্টার সুজাত আলী সরদার বলেন, ‘সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদেরকে এখন পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, আন অফিসিয়ালি আমরা জানতে পেরেছি যে এই রুটের বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় রুটিন অনুযায়ী বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
এর আগে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ‘রাজবাড়ী এক্সপ্রেস-১০৫’ ট্রেন রাজবাড়ী রেলস্টেশনে আটকে বিক্ষোভ করেন। একই দাবিতে রবিবার ‘মধুমতী এক্সপ্রেস’ ও ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে ফরিদপুর-রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামের দুইটি ট্রেন চলাচল শুরু করে। এতে অল্প সময়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার সুযোগ হয় ফরিদপুরসহ আশপাশের কয়েক জেলার মানুষের।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু
১ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ২৫ রোগী।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম বিপ্লব (১৭)। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলাতে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ১ নভেম্বর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরে এ পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন ১০১৭ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন ৯২৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১০৩ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৬৬
ফরিদপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে তারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, কোনো রোগীর মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা জানিয়েছেন, ‘সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী জেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশনা দিয়েছি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারিদের নির্দেশনা রয়েছে সেটি মেনে চলার। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এর বাইরেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়াতে সভা ও সেমিনার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ৩০০ জনের মৃত্যু
২ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের সালথায় ব্যবসায়ী ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রদল নেতা মো. হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব-১০ ফরিদপুর।
গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমান (৩৫) সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামের সাহিদ মাতুব্বরের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১ নভেম্বর) গভীর রাতে ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে সালথার ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৯ ধরনের অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফিজুর হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলে তাকে সালথা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১১ আগস্ট রাত ১০টায় নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সালথার গোপালীয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. ইয়ার আলীর ওপর হামলা চালায় হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইয়ার আলীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তার আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান।
পরবর্তীতে ঢামেক চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩ সেপ্টেম্বর ইয়ার আলী মারা যান। এ ঘটনায় ইয়ার আলীর ছেলে রাসেল শেখ বাদী হয়ে হাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর থেকে হাফিজুর আত্মগোপনে চলে যান।
শনিবার বিকেলে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ী ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুরকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফাঁদ পেতে বন্যহাতির হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার শহীদুল কারাগারে
২ সপ্তাহ আগে
ইজিবাইক চালককে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ইজিবাইক চালক বাবুল হোসেন হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২ জন হলেন- ফরিদপুরের খাসকান্দির শহিদ শেখ ও গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুরের নজরুল শেখ। এছাড়া ফরিদপুর গোবিন্দপুর গ্রামের রাব্বি খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের সময় শহিদ উপস্থিত থাকলেও অপর ২ জন পলাতক রয়েছেন।
গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুর উপজেলার আবু বক্করের ছেলে বাবুল হোসেন একজন ইজিবাইক চালক ছিলেন।
জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২১ মার্চ মোকছেদপুর থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে ফরিদপুরে আসেন বাবুল। পরে ২৩ মার্চ বেড়িবাঁধ এলাকায় বাবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় বাবুলের ভাই দেলোয়ার বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাক্ষী ও শুনানি শেষে আদালত রবিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়াব আলী মৃধা বলেন, ইজিবাইক চালক বাবুল হোসেন হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
২ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুরে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ২৭
ফরিদপুরের মল্লিকপুরে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ২৭ জন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোর চারটার দিকে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের মল্লিকপুর এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের সরা গ্রামের আবু বক্কর (৫৫), জাবাইল গ্রামের বাবু (৪০), মাগুরার বরই গ্রামের পিকুল।
আরও পড়ুন: সিলেটে সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ২৪
এছাড়া বাসের সুপারভাইজার মো. মহসিন (৩৫) ও হেলপার নাহিদ (১৯)। তাদের বাড়ি শ্যামনগরের চন্ডিপুর ও বাজার গ্রামে।
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা আব্দুল্লাপুর থেকে ঝিনাইদহগামী গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের সঙ্গে খাগড়াছড়ি পরিবহন নামে অপর একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ২৭ জন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহমুদুজ্জামান বলেন, ভোরে ৩০ থেকে ৩২ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ২৭ জনকে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা ও পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা ও আহত ১৭ জনকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। এছাড়াও কেন একই জায়গায় বার বার দুর্ঘটনা হয়, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত টিম গঠন করা হবে।
পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, গাড়ি দুটি অধিক গতিতে ছিল, চালকদের চোখেও ছিল ঘুম, আর এ কারণেই হয়তো নিজস্ব লেন চেঞ্জ হয়ে যাওয়ায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
১ মাস আগে
ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত, আহত ২০
ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোরে সদরের মল্লিকপুরে করিমপুর জোড়া সেতুর কাছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এসময় আহত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি। এর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক চালক নিহত
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানান, ঢাকার আব্দুল্লাপুর থেকে ছেড়ে আসা ঝিনাইদহগামী গ্রীন এক্সপ্রেস বাসের সঙ্গে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে ছেড়ে আসা খাগড়াছড়ি পরিবহন বাসের মুখোমুখি এ সংঘর্ষ হয়।
নিহতদের সবাই খাগড়াছড়ি পরিবহনের যাত্রী ছিল।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যৌথভাবে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালায়।
দুর্ঘটনায় জড়িত বাস দুটি করিমপুর হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাসচাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু
১ মাস আগে
ফরিদপুরে মদ্যপানে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মদ্যপানে স্বপ্না বাওয়ালি নামে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু ঘটেছে। এনিয়ে গত দুই দিনে মদপানে ৩ নারীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্বপ্না বাওয়ালি (১৭) গাজীরটেকের চর অযোধ্যা গ্রামের পঞ্চানন বাওয়ালির মেয়ে এবং চরঅযোধ্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু
পুলিশ জানায়, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে স্বপ্নার অসুস্থতার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মদ্যপানের কথা স্বীকার করে।
তবে কখন কাদের সঙ্গে সে মদ্যপান করেছে তা জানায়নি। পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবিদ হোসেন বলেন, মদ্যপানে স্বপ্না নামে এক কিশোরীর মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়া ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে তার ইসিজি করা হলে তাকে মৃত পাওয়া যায়।
স্বপ্নার বোন সুস্মিতা বাওয়ালির বলেন, রবিবার বিকাল থেকে ঘন ঘন পায়খানা ও বমি হওয়ার পর স্বপ্নাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফফার বলেন, মদ্যপানে স্বপ্নার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রিদপুরে মদ্যপানে পূজা বিশ্বাস ও রত্না সাহা নামে দুই কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়।
পূজা (২০) মাগুরার শালিকা উপজেলার দেবিলা গ্রামের সাধন বিশ্বাসের মেয়ে এবং রত্না (২৬) উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমগ্রামের রতন কুমারের মেয়ে। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে পড়ুয়া ওই দুই শিক্ষার্থী আলিপুরের কানাই মাতবার মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
মদ্যপানে তিন নারীর মৃত্যু প্রসঙ্গে ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সহসভাপতি আইনজীবী শ্রীপ্রা গোস্বামী বলেন, কোনো অপমৃত্যু কাম্য নয়। যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অ্যালকোহল বিক্রয় হতো তাহলে এসব দুর্ঘটনা ঘটত না।
যেকোনো উৎসবের সময় বাজারে কেন এসব বিষাক্ত অ্যালকোহল সহজলভ্য হয় সেটি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অতিরিক্ত মদ্যপানে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
১ মাস আগে
ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু
ফরিদপুরে মদ্যপানে পূজা বিশ্বাস ও রত্না সাহা নামে দুই কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে শহরের আলিপুরের কানাই মাতবার মোড় এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পূজা (২০) মাগুরার শালিকা উপজেলার দেবিলা গ্রামের সাধন বিশ্বাসের মেয়ে এবং রত্না (২৬) উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমগ্রামের রতন কুমারের মেয়ে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে দুই জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত আটক
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে পড়ুয়া ওই দুই শিক্ষার্থী আলিপুরের কানাই মাতবার মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
একই বাসায় থাকা বিথী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় পূজা দেখে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন পূজা আর রত্না। ক্রমশ অবস্থায় অবনতি হলে তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নিহতদের একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় ও আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদ উজ্জামান বলেন, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হসপিটাল থেকে জানানো হয়েছে দুই নারীর মদ্যপানে মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হসপিটালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
১ মাস আগে
ফরিদপুরে শেখ হাসিনাসহ আ. লীগের ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
ফরিদপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের ১২৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কোতোয়ালি থানায় মামুদপুর এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. মুজাহিদুল ইসলাম মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
এ মামলায় আরও ৩শ থেকে ৪শ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানান, এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ১২৫ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ও অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মুজাহিদুল ইসলামের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে অংশ নেয়। আন্দোলনের এক মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা চালালে অন্যান্যদের সঙ্গে তার মেয়েও আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কলেজে ভর্তি করা হয়। এই হামলার পেছনে মূল উস্কানি দাতা হিসেবে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার সহযোগীরা।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেখ হাসিনাসহ ৫৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১ মাস আগে
ফরিদপুরের শিক্ষার্থীদের বাসে হাফ ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত
সপ্তাহের ৭ দিনই ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা পাবেন।
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নতুন বাস স্ট্যান্ডে সমিতির কার্যালয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসময় ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যৌথভাবে শিক্ষার্থীদের বাসের ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার।
তিনি বলেন, তবে ঈদের ১০ দিন আগে ও ১০ দিন পরে এবং দুর্গা পূজার ৫ দিন আগে ও ৫ দিন পরের সময়টুকু এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি বজলুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শামীম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরবার নাদিম ইতু, সাইফ খান, মেহেদী হাসান, সোহেল রানা, সিফাত হাসান খান, রাফসান হিমেল, শাহরিয়ার রফিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
১ মাস আগে