শনিবার দিবাগত রাতে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রেজা।
নিহতের বাবা ইউনুস মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর রাতে নগরীর হামিদ খান সড়ক থেকে আমার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের এস আই মহিউদ্দিন। ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হলে রেজা সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ১ জানুয়ারি রাতে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর ২ জানুয়ারি গভীর রাতে সে মারা যায়।’
স্বীকারোক্তি আদায়ে এসআইয়ের নির্যাতনের অভিযোগ
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ডিবি পুলিশের এস আই মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত ২৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় গাঁজা ও মাদকের ইঞ্জেকশনসহ গ্রেপ্তারের পর রাত পৌনে ১২টার দিকে রেজাউল করিম রেজাকে কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পরদিন ৩০ ডিসেম্বর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে আগেও মাদক মামলা ছিল এবং তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।’
বরিশাল কারাগারের জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর রেজাউলকে অসুস্থ অবস্থায় গ্রহণ করি আমরা। তার দুই পায়ের সংযোগস্থল থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ১ জানুয়ারি রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।’
পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর তদন্ত ২ সপ্তাহে শেষ হচ্ছে
এদিকে হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মৃত রেজাউলের শরীরের নিম্নাংশে শক্ত কোনো কিছু দিয়ে উপর্যপুরি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে 'পুলিশি নির্যাতনে' নিহত রায়হানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন