ফরিদপুর শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারে ইউএনবি প্রতিনিধি গিয়ে দেখেন, মঙ্গলবার সকালে মিনিকেট চাল (গ্রেড ১) ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা রবিবার বিক্রি হয়েছে ৪২ টাকায়।
এছাড়া কাজল লতা ৩৮ টাকার পরিবর্তে ৮ টাকা বেড়ে ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৪ টাকায়, বাসমতি ৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ টাকা এবং মোটা চাল ৩৫ টাকার পরিবর্তে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে কাজল লতার দাম প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ৪০০ টাকা করে বেড়েছে।
চালের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে শরীয়তুল্লাহ বাজারের চাউল ব্যবসায়ী রিপন গাইন ইউএনবিকে জানান, মোকাম থেকেই দাম বাড়ানো হয়েছে।
চাল ক্রেতা হানিফ শেখ বলেন, প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ৮ টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে। ‘কেন মৌসুমের সময়ে দাম বাড়বে?’ প্রশ্ন করেন তিনি।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর দেখে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার রবিবার বলেন, পেঁয়াজের মতো চালের দাম নিয়ে যেন সমস্যা না হয়।
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র থেকে জেনেছি যে গত কয়েক দিনে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে, আমাদের মজুত এখনও অনেক। পেঁয়াজের মতো চালের দাম নিয়ে যেন কোনো সমস্যা না হয়।’
খাদ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে চাল-মিল মালিকদের সাথে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম নিয়ে অযথা কেলেঙ্কারি হয়েছে...চালের সাথে যাতে এমন না হয়।’