চাল
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
দেশের খাদ্য মজুত বাড়াতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল (বাসমতি নয়) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়।
ভারতের মেসার্স ভগদিয় ব্রদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল আনা হবে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৪.৭৭ ডলার। সে হিসেবে ৫০ হাজার টন চালের দাম পড়বে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ ডলার।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো আরও সাড়ে ১১ হাজার টন চাল
এর আগে, গত ১৪ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভি অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সে সময় প্রতি টন চালের দাম ধরা হয় ৪২৯.৫৫ ডলার। সে হিসেবে ৫০ হাজার টন চালের দাম ধরা হয় ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার।
তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোনচা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এমএস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এই চাল আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।
তারও আগে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানি অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে এবং ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে চালের মোট চাহিদা ৩৯ দশমিক ৭৮ লাখ টন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান থেকে আমদানির ৩৭২৫০ টন চাল দেশে এসেছে
১ দিন আগে
ভারত থেকে এলো আরও সাড়ে ১১ হাজার টন চাল
ভারত থেকে এমভি ডিডিএস মেরিনা জাহাজটি ১১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সিদ্ধচাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। সোমবার (২৪ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা, উন্মুক্ত দরপত্রের আওতায় (প্যাকেজ-২) ভারত থেকে সাড়ে ১১ হাজার টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ডিডিএস মেরিনা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম থেকে দেশে পৌঁছেছে ২৯ হাজার টন চাল
উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে। জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (৮ মার্চ) ভারত থেকে আমদানি করা ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি পিএইচইউ থানহ ৩৬ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
৪ দিন আগে
ভিয়েতনাম থেকে দেশে পৌঁছেছে ২৯ হাজার টন চাল
ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে এভি ওবিই ডিনারেস জাহাজ।
শনিবার (২২ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিক্ষপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জি-টু-জি চুক্তির আওতায় তৃতীয় ধাপে আতপ চাল নিয়ে জাহাজটি বন্দরে নোঙর করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় অবৈধ মজুতের ২৩৮ টন ধান-চাল উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি জি টু জি চুক্তি সম্পাদন করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। চুক্তির আওতায় মোট ১ লাখ টন চাল আমদানির কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুটি চালানে ৩০ হাজার ৩০০ টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে।
জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
৬ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান থেকে আমদানির ৩৭২৫০ টন চাল দেশে এসেছে
ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার ২৫০ টন চাল নিয়ে দুটি জাহাজা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে এসব চাল দেশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম।
তিনি বলেন, জি টু জি ভিত্তিতে পাকিস্তান থাকে আমদানির ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি এসআইবিআই এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের (প্যাকেজ-০৫) আওতায় ভারত থেকে আমদানির ১১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি এইচটি ইউনাইট জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ৫৩ বছর পর মোংলা বন্দরে আসছে পাকিস্তানের চাল
জাহাজ দুটিতে আনা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
২৩ দিন আগে
৩০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার: খাদ্য উপদেষ্টা
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ওএমএস ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আলী ইমাম মজুমদার।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতিবিনিময় সভাটি হয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য গুদামে আমন ধান দিচ্ছেন না বাগেরহাটের চাষিরা
উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপহার হিসেবে ১ কোটি নিম্নবিত্ত পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
রমজান মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ করা চাল যেন সঠিকভাবে বিতরণ করা হয়— সে বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য ঢাকা বিভাগের সব জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশে বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য মজুদ আছে। কোনো ঘাটতি নেই। তবে খাদ্যশস্য বিতরণে কিছুটা শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। এজন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেন তিনি।
সরকারের সুলভ এবং বিনামূল্যে দেওয়া খাদ্যশস্য সঠিক উপকারভোগীর নিকট সঠিক পরিমাণে পৌঁছানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা মজুমদার।
আরও পড়ুন: গোখাদ্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া, চাঁদপুরে কৃষকের মাথায় হাত
এসময় খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা বিভাগের সব জেলা প্রশাসকসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৯ দিন আগে
ভারত থেকে চাল আসছেই, তবুও দাম কমার লক্ষণ নেই যশোরে
ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় গত তিন মাসে আমদানি করা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৬৮ টন চাল। বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বেনাপোলসহ যশোরের বাজারগুলোতে দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো স্থানীয় বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে প্রকারভেদে চালের দাম আগের থেকে কেজিপ্রতি এক-দুই টাকা বেড়েছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চাল আমদানির তথ্য জানানো হয়।
চাল আমদানির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে চাল আমদানি করতে পারবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. লুৎফর রহমান সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে নন-বাসমতি সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে এলসি খোলার সময়সীমা আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে চালের দাম বেশি থাকায় আমদানি করা চালের দাম বেশি পড়ছে। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
অটোরাইস মিলমালিক ও ধান ব্যবসায়ীদের দাবিও এটি।
তবে ক্রেতাদের দাবি, দেশে বর্তমানে ধান-চালের কোনো সংকট নেই। মাসখানেক আগে কৃষকের ঘরে উঠেছে আমন ধান। তারপরও সাধারণ মানুষকে বেশি দামেই চাল কিনতে হচ্ছে। এতে অনেকে আর্থিক সংকটে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাগালের বাইরে চাল ও তেলের দাম
কম দামে চাল না কিনতে পেরে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। সিন্ডিকেট গড়ে ওঠায় দাম কমছে না বলে মনে করছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারির ব্যবস্থা না থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানান তারা।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, খেটে খাওয়া মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষকে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন নিত্যপণ্যের পাশাপাশি বাড়ছে চালের দামও। বাজারে এমন কোনো পণ্য নেই যে তার দাম সম্প্রতি বাড়েনি।
আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি তিন মাসে বেনাপোল দিয়ে ১৩ হাজার ৯৬৮ টন চাল আমদানি হয়েছে। সরকার গত ১৭ নভেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়। এ সময়ের মধ্যে আশানুরূপ আমদানি না হওয়ায় সময় বাড়িয়ে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। তাতেও দেশের বাজারে চালের দাম না কমায় ভারত থেকে আমদানির জন্য আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত এক মাস সময় বাড়িয়েছে সরকার।
তাই খুব শিগগিরই চালের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা।
নাভারণ বাজারের সবচেয়ে বড় চালের আড়ত চৌধুরী রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘মোটা চাল ৫১ টাকা ও স্বর্ণা মোটা চাল ৫৩ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে। নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে, আমদানিও স্বাভাবিক রয়েছে; তাই সামনে দাম কমবে।’
এবার অতিবৃষ্টির কারণে ধানের উৎপাদন কমেছে বলে চাল আমদানি করতে হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
সরেজমিনে বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার কয়েকটি রাইস মিলে গেলে মিল মালিকরা জানান, এবার আশানুরূপ ধান কিনতে পারেননি তারা। দাম বাড়ার আশায় কৃষক ধান মজুত করে রেখেছেন। ফলে বিভিন্ন জেলা ঘুরে ধান সংগ্রহ করতে হচ্ছে তাদের। আর এতে ধানের ক্রয়মূল্য বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে।
তারা বলেন, সব খরচ মিলিয়ে কেজিপ্রতি ধান থেকে চাল করতে খরচ পড়ে যাচ্ছে ৫০ টাকার উপরে। চিকন চালের ক্ষেত্রে তা গিয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৬৩ টাকা।
৪১ দিন আগে
খুলনায় নাগালের বাইরে চাল ও তেলের দাম
খুলনায় সবজির বাজার নিম্নমুখী থাকলেও নাগালের বাইরে সব ধরনের চাল ও ভোজ্য সয়াবিন তেলের দাম। বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার থাকলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না চাল ও তেলের দাম।
এদিকে চালের মূল্য কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৭ টাকা ও ভোজ্য সয়াবিন তেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩ টাকা বেড়েছে। এতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।
খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি নতুন আলু ২০ টাকা, মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি রসুন ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা, শীতকালীন শিম ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছ।
এছাড়া লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তবে লাগামহীন চালের দাম। প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬ থেকে ৭ টাকা। নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল (স্বর্ণা) ৫৪ টাকা, আঠাশ বালাম ৬৫ টাকা, মিনিকেট ভালোমানের ৭৫ টাকা, মিনিকেট নিম্নমানের ৬৫ টাকা, বাসমতি ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা, কালোজিরা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অর্ধেকে নেমে গেছে সবজির দাম, দুশ্চিন্তায় কৃষক
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে মূল্য তালিকায় চূড়ায় রয়েছে ভোজ্য সয়াবিন তেলের দাম। ভোজ্য সয়াবিন বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৭৫ টাকা দরে। যা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য লুজ সয়াবিন।
খুচরা বাজারে কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৯৫ টাকা দরে। অথচ গেল বছর ২০ নভেম্বর নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ভোজ্য সয়াবিন বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৬০ টাকা দরে। যা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭২ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লুজ সয়াবিন।
নগরীর অ্যাপ্রোচ রোডস্থ কেসিসি সুপার মার্কেটে আসা ক্রেতা মো. আবু জাফর শেখে বলেন, অভিযান অব্যাহত থাকলেও কমছে না চাল ও সয়াবিন তেলের দাম। ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। একাধিক ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারাও একই মতামত ব্যক্ত করেন।
৫৬ দিন আগে
ভারত থেকে দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে এলো চালের প্রথম চালান
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানির প্রথম চালান বাংলাদেশে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২ হাজার ৪৫০ টন চাল রেলবন্দরের ইয়ার্ডে পৌঁছায়। চালগুলো ভারতের বন্দর দিয়ে ৪২ ওয়াগনে করে বাংলাদেশে আসে।
এ সময় ভারতের রেলের পরিচালক সাগতম বালাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দর্শনা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু।
আরও পড়ুৃন: ভারত থেকে চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে আরও একটি জাহাজ
তিনি বলেন, ঢাকার পুরানা পল্টনের মেসার্স মজুমদার অ্যাগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এ চাল আমদানি করেছে। প্রতি টন চালের মূল্য ৪৯০ ডলার। কলকাতার ৭/১ লর্ড সিনহা রোডের সৌভিক এক্সপোর্ট লিমিটেড এ চাল রপ্তানি করেছে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান জানান, কাস্টমস পরীক্ষণ ও শুল্কায়নের পর এ চাল ঈশ্বরদী ও সিরাজগঞ্জে বুকিং হবে। সেখান থেকে ট্রাকযোগে আমদানিকারক চাল পরিবহন করবেন।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে বাংলাদেশ সরকার এক লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে। দর্শনা বন্দর দিয়ে এ চালের প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করল।
৭২ দিন আগে
চাল আমদানিতে শুল্ক কমল
চাল আমদানির ওপর শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক হ্রাস এবং আগাম কর প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো, দেশের আপামর জনগণের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর চিন্তা করছে সরকার
রবিবার (২০ অক্টোবর) এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চালের ওপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, বিদ্যমান রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চাল আমদানিতে শুল্ক-করাদি হ্রাস করার ফলে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ১৪ দশমিক ৪০ টাকা কমবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক হ্রাস এবং আগাম কর প্রত্যাহারের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে, দেশের আপামর জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি
১৫৯ দিন আগে
চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব। বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।’
রবিবার (৭ জুলাই) সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই, চালও নেই: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা দিয়ে- ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ আর উৎপাদন বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা।’
উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে ভর্তুকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।’
এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: জীবনে বড় হতে হলে বইকে আপন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
২৬৪ দিন আগে