চাল
চাল, গম আমদানি: ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম এলসি মার্জিন রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাজারদর সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যাংকগুলোকে চাল ও গম আমদানিতে ন্যূনতম এলসি মার্জিন (নগদ অগ্রিম) রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আজ তা সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম স্তরে এলসি মার্জিন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দিন, চাল ও খাদ্য সামগ্রী নিন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ বর্জ্যমুক্ত করতে বিদ্যানন্দের উদ্যোগ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাতের কারণে চাল, গম এবং ফসলের দাম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখছে। ফলস্বরূপ, বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহন খরচ বেড়েছে, যা স্থানীয় বাজারে দামকে প্রভাবিত করে।’
চাল ও গমের আমদানি ও সরবরাহ চ্যানেল স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম এলসি মার্জিন রাখতে বলেছে।
রমজান মাসে তাদের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলার সময় আমদানিকারকদের কাছ থেকে ন্যূনতম নগদ অগ্রিম নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও নির্দেশ দিয়েছে।
রমজানে সাধারণত ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, মশলা ও খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে জিনিসপত্রের দামও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে এলসি মার্জিন কমানো হয়েছে
বিদেশি মুদ্রা আদায়ে এলসি মার্জিন বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সীতাকুণ্ডে ওএমএস’র চাল কিনতে গিয়ে ভিড়ের চাপে নারীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কমদামে খোলা বাজারের (ওএমএস) চাল কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে ভিড়ের চাপে মারা গেছেন এক নারী। সোমবার দুপুরে উপজেলার পৌর সদরের কলেজ রোড সংলগ্ন ডিলার গোলাম রব্বানীর দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিখা মালাকার (৩৮) নোয়াখালীর তপন মালাকার এর স্ত্রী। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার নিজতালুক এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তার স্বামী একজন দিনমজুর।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পৌর প্যানেল মেয়র হারাধন চৌধুরী বাবু।
আরও পড়ুন: তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআই সদস্য নিহত: আইএসপিআর
তিনি বলেন, টিসিবির বিক্রি করা চাল কিনতে লাইনে দাঁড়ানোর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ক্রেতাদের ভিড়ের চাপে পড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিখা মালাকার। উপস্থিত লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাল কিনতে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে কয়েকজন ওএমএসের চাল কিনতে ডিলার রব্বানীর দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়ান। লাইনে দাঁড়ানোর কিছুক্ষণ পর ক্রমশই লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে চাল শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় হুড়োহুড়ি শুরু করেন তারা। এতে ভিড়ের চাপে পড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিখা।
ডিলার গোলাম রব্বানী বলেন,‘সকাল ৯টা থেকে খোলা বাজারে চাল দেয়ার নিয়ম হলেও লোকজন ৮টায় দোকানের সামনে এসে ভিড় জমান। চাল বিতরণের আগে তাদের সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু দুপুরের দিকে চাল শেষ হয়ে যাওয়ায় মিথ্যা গুজবে তারা হুড়োহুড়ি শুরু করেন। এতে ভিড়ের চাপে পড়ে ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। ভিড়ের চাপে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঠাকুরগাঁওয়ে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২
চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
জনগণকে চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে ফোর্টিফাইড চালের বাণিজ্যিক যাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আরো যে নীতিগুলো আছে তার সবগুলোতেই পুষ্টি নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষি গবেষকেরা উন্নজাতের জাত উদ্ভাবন করায় দানাদার খাবারসহ মাছ মাংসে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের চাল থেকে আগে প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাওয়া যেত। তখন মাছ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলাম না। এখন কেন চালে অনুপুষ্টি মিশাতে হচ্ছে তা ভেবে দেখতে হবে।
আরও পড়ুন: যা মজুদ আছে তাতে খাদ্যসংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
মানুষ পুষ্টিহীন সিল্কি চাল খেতে পছন্দ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন এর ফলে মানুষের মাঝে পুষ্টিহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চকচকে চাল না খেতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। চকচকে চালকে না বলতে হবে। চাল চকচকে করতে গিয়ে বছরে প্রায় ১৬/১৭ লাখ মেট্রিকটন ঘাটতি হয়। আবার চাল হয়ে যায় পুষ্টিহীন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন,পুষ্টিচাল যাতে সাধারণ মানুষ বাজার থেকে ক্রয় করতে পারে সেজন্য পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তাদের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ছাড়া পুষ্টিচাল ভোক্তা পর্যায়ে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে না। এসময় তিনি বেসরকারি চাল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোগী হওয়ার এবং দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
খাদ্য মন্ত্রণালরর সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন ও জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী বাংলাদেশ এর রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনট্যাটিভ ও কান্ট্রি ডিরেক্টও ডম স্কেলপেলি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধন ঘোষণার পরে খাদ্যমন্ত্রী পুষ্টিচালের বিভিন্ন স্টলে ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, পুষ্টি চালে যুক্ত করা হয়েছে আয়রণ, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১,ফলিক এসিড।সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে এই চাল সহজলভ্য করার জন্য আপাতত ৫টি প্রতিষ্ঠান ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিক্রয় কেন্দ্র ও সুপার শপে সরববরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে তারা ঢাকা মহানগরের মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কাওরান বাজার, আগোরা ও স্বপ্ন সুপারশপ, চালডাল ও মেট্রিক্স বাজার অনলাইন মার্কেটসমুহে পরীক্ষামূলক বাজারজাত করেছে।
আরও পড়ুন: সরকার ৩ লাখ টন ধান ও ৫ লাখ টন চাল কিনবে: খাদ্যমন্ত্রী
বিশ্বে খাদ্য শস্যের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
খুলনায় ১৪ মেট্রিক টন ওএমএসের চাল উদ্ধার
সরকারি বরাদ্দ ওএমএসের ১৪ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) খুলনা নগরীর বড় বাজারের নামসর্বস্ব একটি গোডাউন থেকে এই চাল উদ্ধার করা হয়।
এসময় গোডাউনের মালিক নাদিম আহমেদ ও কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৩০০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার
উদ্ধার হওয়া চালের বর্তমান বাজার মূল্য চার লাখ ২০ হাজার টাকা।
র্যাব-৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র সরকারি বরাদ্দ ওএমএসের চাল গোপনে বাজারে বিক্রি করে আসছে।
বিভিন্ন মাধ্যমে খবরের ভিত্তিতে বড় বাজারের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে চাল উদ্ধার করা হয়।
তারা কিভাবে এসব চাল বিক্রি করছে, কারা তাদেরকে সরকারি চাল পাইয়ে দিতে সহায়তা করছে সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ভিজিএফের চাল উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় ওএমএস’র ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার: আটক ১
সরকার ৩ লাখ টন ধান ও ৫ লাখ টন চাল কিনবে: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার আমন ধান ও চালের দাম ও লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, এ বছর তিন লাখ মেট্রিক টন আমন ধান ও পাঁচ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কেনা হবে।
আরও পড়ুন: জনগণকে পলিশ চাল না খাওয়ার পরামর্শ খাদ্যমন্ত্রীর
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি জানান, এ বছর আমন ধানও চালের সরকারি সংগ্রহ মূল্যও ঠিক করা হয়। চলতি বছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ২৮ টাকা এবং চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪২টাকা।
এসময় কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে খাদ্য শস্যের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
যা মজুদ আছে তাতে খাদ্যসংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
যা মজুদ আছে তাতে খাদ্যসংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে তিনি খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না।
সম্প্রতি ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নওগাঁ-১ আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য এই মন্ত্রী বলেন, দেশের কোনো জমি যাতে অনাবাদি না থাকে তার জন্য তার মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমের পরই আসছে বোরো মৌসুম। আমরা পদক্ষেপ নেব যাতে সব চাষযোগ্য জমিতে বোরো চাষ হয়। আমরা ইতোমধ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয়কে বলেছি আসন্ন বোরো মৌসুমে যথাযথ সেচের ব্যবস্থা করতে।’
মন্ত্রী বলেন, আগামী ফসলের মৌসুমে কৃষকরা যাতে সর্বোচ্চ উৎপাদনের জন্য তাদের জমি চাষ করতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সংসদ সদস্যকে তাদের নির্বাচনী এলাকায় সতর্ক থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন, যেকোনো সংকট এড়াতে সরকার কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উর্বর জমিতে অসংখ্য ফসলের চাষ হয়। আমরা পাই আমন, আউশ ও বোরো। যদিও এ বছর বৃষ্টিপাত কম বা না হওয়ায় খরার মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, পরে জুলাই-আগস্টের বৃষ্টিপাত আমাদের ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। কিছু ফসল আছে, যেগুলো রোপণ করতে দেরি হয়েছে। তাই সেগুলোর ঘাটতি হতে পারে। সব মিলিয়ে যে কোনো ধরনের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় আমরা অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি।’
দেশে বর্তমানে কী পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে সে সম্পর্কে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন যে প্রত্যেককে খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কাছে ১৭ লাখ টন চাল মজুদ রয়েছে। আরও পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টন চাল পাইপলাইনে রয়েছে। এছাড়া শিগগিরই মিয়ানমার থেকে ৩০ হাজার টন চাল নিয়ে একটি জাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ আমাদের কাছে মোট ২০ লাখ টন চাল মজুদ থাকবে।’
তিনি বলেন, দেশের খাদ্য চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
সাধারণত সবসময় ১০ থেকে ১২ লাখ টন চালের মজুদ থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে যে খাদ্য মজুদ রয়েছে তা খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস), পরীক্ষামূলক ত্রাণ (টিআর) এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্যসহ (কাবিখা) বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে ব্যয় করা হয়। এই মজুদ ফুরিয়ে গেলে আমরা খাদ্য আমদানি করব।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের এর থেকেও বেশি মজুদ আছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাধারণত ভারত থেকে আমদানি করলেও এখন মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে ছাড়পত্র পেয়েছি। আমাদের কাছে কম্বোডিয়া থেকে চাল আমদানির অফার রয়েছে। আমরা চাল আমদানির জন্য আরও উৎস খুঁজছি। খাদ্য সংকট দেখা দিলে আমরা এই দেশগুলো থেকে খাদ্য আমদানি করে যেকোনো সংকট মোকাবিলা করতে পারব।’
মন্ত্রী বলেন, আমদানিকারকদের সরকারি কোষাগারে মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স পরিশোধ করে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই সুযোগ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
তিনি বলেন, যদি দেখি যে কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন তাহলে আমরা এই এসআরও (সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ) বাড়াব।
বর্তমান বিদ্যুতের সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকলে অবশ্যই কৃষি কাজ ব্যাহত হবে। বিশেষ করে সেচের সময় এটি বেশি প্রয়োজন। এতে ধান উৎপাদন কম হবে। তবে এ বিষয়টি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ না। এটি কৃষি মন্ত্রণালয় দেখবে। আশা করি এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় সেচ মৌসমে কার্যকরী ব্যবস্হা নিবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রনালয় ও সংশ্লিস্ট সংস্থা সমন্বয় করে মনিটরিং করা হবে।
জনগণকে পলিশ চাল না খাওয়ার পরামর্শ খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্য আমদানি কমাতে জনগণকে পলিশ (মেশিনের সাহায্যে মসৃণ করা) করা চাল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্ব আজকে বিপদে পড়েছে। যেখানে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্যসংস্থাসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা বলছে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হতে পারে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা আছেন বলে আমরা ভাগ্যবান: খাদ্যমন্ত্রী
তখন সেই বিপদের ছায়া বাংলাদেশের মতো দেশে পড়বে না তা তো আশা করা যায় না। কারণ আমরা আমদানি নির্ভরশীল দেশ। তবে কৃষিতে যদি আমরা সঠিকভাবে আবাদ করি আর যদি পলিশ করা চাল খাওয়া কমাতে পারি, তাহলে কিন্তু আমাদের খাদ্য আমদানির প্রয়োজন নেই।
চাল পলিশ করার কারণে চালের খাদ্যাংশ নষ্ট হয় বলে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পলিশ করার জন্য বা চাল সিল্কি কিংবা মসৃণ করার জন্য চালের বাইরের কিছু অংশ নষ্ট হয়।
প্রতি ১০০ মেট্রিক টন চালে ৫ মেট্রিক চাল কমে যায়। এই হিসেবে চার কোটি মেট্রিক টন চালে ২০-২২ মেট্রিক টন চাল হাওয়া হয়ে যায়। এই খাদ্যাংশটুকু ভাত, সুজি কিংবা আটা কোনোভাবেই ব্যবহার করা যায় না।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে বিশ্বের কিছু কিছু দেশে দুর্ভিক্ষের আলামত দেখা দিয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ এখনও মাথ উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তারপরেও মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সেই কষ্ট দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছে। নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করছেন।
আর একটি মহল বলার চেষ্টা করছে এই ক্রাইসিস শুধু বাংলাদেশের। সরকার চেষ্টা করছে কিভাবে মানুষকে ভালো রাখা যায়। আর তারা চেষ্টা করছে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তাদেরকে নৈতিকতা, মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নিজেকে বিকশিত করতে হলে সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে কোন কাজ হবে না। নৈতিকতার শিক্ষা না থাকলে যেমন ভাল মানুষ হওয়া যাবে না। আজ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নত কম্পিউটার ল্যাব ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে পৃথিবী আজ আমাদের হাতের মুঠোয়- আর এসবের কৃতিত্বের দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুব সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং ও নেশার জগত থেকে বিরত থেকে দেশের কল্যাণে এবং খেলাধুলায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকসহ অন্যরা। পরে মন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সংকট মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: খাদ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আছেন বলে আমরা ভাগ্যবান: খাদ্যমন্ত্রী
সুবর্ণচরে পাচারকালে রোহিঙ্গাদের ২ ট্রাক চাল জব্দ, আটক ৩
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ দুই ট্রাক চাল জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাতিয়ার ভূমিহীন বাজার থেকে সুবর্ণচরে পাচারের সময় উপজেলার মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজার ও তোতার বাজার এলাকা থেকে এই চাল বোঝাই ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ট্রাক চালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে জব্দ করা চাল কত টন হবে তা এখনও পরিমাপ করা হয়নি।
আটকরা হলেন- চালের মালিক দাবিদার সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর চরজুবলি গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে মনির হোসেন(৩৮), গাড়ি দুটির চালক একই উপজেলার চর আমান উল্যাহর শাহাদাত হোসেন শামীম (২৬), চরমজিদ গ্রামের ওসামন গনি (২৫)।
মঙ্গলবার সকালে চাল জব্দের তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
জানা গেছে, সোমবার বিকালের কোন একসময় ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ‘ফোর্সিবলি ডিসপ্লেসড মিয়ানমার ন্যাশনালস’(এফডিএমএন) -এর রিলিফের চালগুলো ট্রলার যোগে মেঘনা নদী হয়ে হাতিয়ার জনতার ঘাটে নিয়ে আসা হয়। পরে তারা ভূমিহীন বাজারে এনে কিছু বস্তা পরিবর্তন করে রাতে ট্রাক যোগে পাচারের উদ্দেশ্যে সুবর্ণচরের দিকে নিয়ে আসে। ওই স্থান থেকে বিষয়টি গ্রাম পুলিশ নূর করিমকে জানানো হয়। তথ্যটি পেয়ে রাতে মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজারে অবস্থান নেন নূর করিম। রাত ১টার দিকে প্রথমে একটি ট্রাক ভূমিহীন বাজার থেকে আসতে দেখেন তিনি। বাজারের ভিতরে ঢুকলে ট্রাকটি গতিরোধ করার চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত বাজার পার হয়ে যায় ট্রাকটি। পরে সে বিষয়টি চরজব্বার থানায় জানালে উপপরিদর্শক (এসআই) নূর নবী তোতার বাজার এলাকায় ওই ট্রাকটি আটক করে।
পরে আরও একটি ট্রাক একই স্থান হয়ে আসলে গ্রাম পুলিশ নূর করিম স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে নিয়ে ওই ট্রাকটির গতিরোধ করে চালসহ পুলিশকে সোপর্দ করে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সরকারি রিলিফের চাল জব্দের ঘটনায় আটককৃত ৩জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সাংবাদিক হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫০টি স্বর্ণের বার জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে আঙ্গুল তুলে মিল মালিকদের দিকে: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার ও মিল মালিকেরা পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, মিল মালিকেরা কখন, কোথায় এবং কতটুকু চাল বিক্রি করেন তারা (মিল মালিক) ছাড়া কেউ জানেনা। খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সোজা আঙ্গুল তুলে মিল মালিকদের দিকে। তখন মিল মালিকরা চুপ করে থাকেন, কোন প্রতিবাদ করেন না। এর ফলে সবার মধ্যে ধারণা কাজ করে যে মিল মালিকরা দাম বাড়াচ্ছে।
শনিবার দুপুরে ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে বাংলাদেশ অটো মেজর এ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে মিলগেটে বিক্রিত চালের দাম দেয়া থাকলে খুচরা বিক্রেতা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে চালের দাম বেশি নিতে পারবে না।
এসময় তেলের দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে কেজি প্রতি ৫/৬ টাকা চালের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করেন।
চুক্তি করেও যারা সরকারি গুদামে চাল সরবারহ করতে পারেনি তারা যদি যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন তাহলে বিবেচনা করা হবে।
তবে চাল প্রকিউরমেন্টে সরকারকে সহায়তাকারী আর অসহায়তাকারী মিল মালিককে সমানভাবে পরিমাপ করা হবে না বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
সরকারি ধান চাল সংগ্রহে কম মূল্য দেয়া হয় এমন এক বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ১১ টি মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দাম নির্ধারণ হয় এবং সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে করা হয়।
বোরো সংগ্রহে ধান চালের দাম সঠিক ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে কারণে কৃষক নায্যমূল্য পেয়েছে প্রকিউরমেন্ট ও শতভাগের বেশি হয়েছে। আমন সংগ্রহ সময়ে ডিজেল, সার ও বিদ্যুতের দাম বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল-আটা বিক্রি: খাদ্যমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে ২ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
মিয়ানমার থেকে দুই লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে কমিটি খাদ্য সরকারি পর্যায়ে চুক্তির আওতায় এ অনুমোদন দেয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এই আমদানি প্রক্রিয়ায় মোট ব্যয় হবে ৯০ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে প্রতি টন চালের মূল্য পড়বে ৪৬৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
এছাড়া মন্তিসভা কমিটি এক লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির প্রস্তাবনার অনুমোদন দেয়।
আরও পড়ুন: যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল-আটা বিক্রি: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন(বিএডিসি)-এর মাধ্যমে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন এমওপি সার, সৌদি আরবের মদিনা থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার, তিউনিশিয়া থেকে ২৫ হাজার মেট্রিকটন টিএসপি সার আমদানি করবে।
এখন পর্যন্ত সারের দাম সংক্রান্ত কোন তথ্য সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়নি।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী