ভোট শুরু হওয়ার ৬ ঘন্টা পর রবিবার দুপুর ২টার দিকে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেয়া এবং কর্মী ও সমর্থকদের কেন্দ্রে আসতে বাঁধাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. সাইদ নিয়াজ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোটের আগের রাতে আমার নেতা-কর্মী, এজেন্ট এবং সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। সকালে অনেক কেন্দ্রে আমার এজেন্টেদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। কোন কোন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।’
‘আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা বিভিন্ন কেন্দ্র দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে ইভিএমে বোতাম টিপে নিজেরাই ভোট দিয়েছে,’ অভিযোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী খাঁন হাবিবুর রহমানের কাছে এ অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উৎসবমুখর এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং নিশ্চিত পরাজয় জেনেই নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিএনপি প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।’
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ জানান, সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলাকালে সকালে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ফোন করে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সন্তোষও প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। আর নির্বাচন চলাকালে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।’
এর আগে, মেয়র পদে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রবিবার চতুর্থ ধাপে ৫৫টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ কোনো বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ২৯টি পৌরসভায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকি ২৬টি পৌরসভায় প্রচলিত ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হবে।
নির্বাচনে, ৫৫ জন মেয়র, সংরক্ষিত আসন থেকে ১৬৭ জন নারী কাউন্সিলর এবং ৫০১ জন সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচনী দৌড়ে রয়েছেন মোট ২১৭ জন মেয়র প্রার্থী, ৬১৮ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ২০৭০ জন সাধারণ কাউন্সিলর।