যাত্রীদের নিরাপদে বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারের জন্য কেরানীগঞ্জের ইস্পাহানি, চরমিরেরবাগ ঘাট ও রাজধানী শ্যামবাজার মসজিদ ঘাট এবং নবাববাড়ি ঘাট এলাকায় চারটি পল্টুন বসিয়ে ওয়াটার বাস চালু করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
শুক্রবার ভার্চুয়ালভাবে ওয়াটার বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গত দেড় বছরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় অবৈধ ২৩টি খেয়াঘাট থেকে প্রতিদিন ৩০০ ডিঙ্গি নৌকা চলাচলের সময় লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে ৩৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এনিয়ে গণমাধ্যমে বেশ লেখালেখি হলে ২০১৯ সালে সরকার অবৈধ ওই ২৩ খেয়াঘাট বন্ধ করে ওয়াটার বাস চালু কারার নির্দেশ দেয়।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএর ওয়াটার বাস চালু করার প্রতিবাদে অবৈধ ১১টি খেয়াঘাটের মাঝিরা প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের নৌকা চলাচল বন্ধ রেখেছে। এতে অন্যান্য নৌকা ঘাটের সাধারণ যাত্রীরা বিপদে পড়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদী বন্দর যুগ্ন পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, নৌকার মাঝিরা তাদের নৌকা চলাচল বন্ধ রাখায় বিআইডব্লিউটিএ ও এলাকাবাসী যৌথ ব্যবস্থাপনায় ও সহযোগিতায় কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ থেকে খোলামুড়া পর্যন্ত ৫২ ঘাট থেকে ওয়াটার বাসের পাশাপাশি ইঞ্জিন চালিত বোর্ড চলাচল অব্যাহত রয়েছে।