মঙ্গলবার বিকালে শহরের জাহান প্রাইভেট হাসপাতালে জোড়া মাথার শিশুটির জন্ম হয়। দুটি মাথা বাদে শিশুটির দুটি হাত, দুটি পাসহ অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক আছে।
সোনালি বেগম মাগুরা সদরের জগদল গ্রামের কৃষক পলাশ মোল্লার স্ত্রী।
শিশুটির মা ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। শিশুটিকে বর্তমানে মাগুরা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৪ হাত-পা বিশিষ্ট শিশুর জন্ম, আধা ঘণ্টা পর মৃত্যু
পলাশের পরিবার ও ক্লিনিক সূত্রে জানা যায়, গর্ভের সন্তানের জটিলতা রয়েছে জেনে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুই সপ্তাহ আগে সোনালীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান পলাশ । তখন হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগ থেকে ছয় সপ্তাহ পর সোনালীকে হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী পলাশ তার স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরায় চলে আসেন। কিন্তু মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে সোনালীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সদর হাসপাতাল রোডের জাহান প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিকালে অস্ত্রোপচারে কন্যা শিশুটির জন্ম হয়।
ক্লিনিকের মালিক ডা. মাসুদুল হক বলেন, শিশুটি সুস্থ আছে। তবে মা অসুস্থ। জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ পান করেছে।
আরও পড়ুন: যশোরে জোড়া লাগা যমজ কন্যা শিশুর জন্ম
চৌগাছায় জোড়া লাগানো দুই শিশুর জন্ম!
তিনি বলেন, উন্নত চিকিৎসা ছাড়া এদের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য অভিভাবককে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, দুই মাথা নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুর চিকিৎসা ও জীবন রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক বাবা পলাশ।
আরও পড়ুন: প্রতি ১৬ সেকেন্ডে ১টি মৃত শিশুর জন্ম: জাতিসংঘের যৌথ প্রতিবেদন
পলাশ মোল্যা জানান, নবজাতক তার দ্বিতীয় সন্তান। তিনি একজন অতিদরিদ্র কৃষক। তার পক্ষে এই শিশুর চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে তিনি চরম দুশ্চিন্তার মধ্য আছেন। তাই সদ্যোজাত দুই মাথাওয়ালা শিশুকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার ও দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।