খুলনা জেলা কারাগার থেকে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মুক্তি পান বলে কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন।
স্ত্রী ও দেড় বছরের শিশু কন্যাকে হত্যার দায়ে ২০০০ সালের ২৫ জুন মৃত্যুদণ্ড হয় জাহিদের। তারপর থেকে তিনি কারাগারের কনডেম সেলে টানা ২০ বছর ধরে মৃত্যুর প্রহর গুণছিলেন।
কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাহিদকে ২৫ আগস্ট খালাসের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সেখান থেকে বাগেরহাট আদালতে তার খালাসের নির্দেশ পাঠানো হয়। ওই নির্দেশনা সোমবার খুলনা কারাগারে এসে পৌঁছে বলে জানান সুপার ওমর ফারুক।
মুক্তির পর জাহিদ বলেন, কনডেম সেলে প্রতি মুহূর্তেই তিনি মৃত্যু কামনা করতেন। তবে কখনও ভাবতেই পারেননি কোনোদিন মুক্তি পাবেন। মুক্তির জন্য তিনি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন এবং যারা তার মুক্তির জন্য সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
১৯৯৪ সালে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার উত্তরপাড়ার ময়েন উদ্দিনের মেয়ে রহিমার সাথে খুলনার রূপসা উপজেলার নারিকেলি চাঁদপুরের ইলিয়াছ শেখের ছেলে জাহিদ শেখের বিয়ে হয়। ১৯৯৭ সালের ১৬ জানুয়ারি বিকালে রহিমার মা আনজিরা বেগম ঘরে খাটের ওপর কাঁথা ও লেপের নিচে বাচ্চাসহ রহিমার লাশ পান।
এ ঘটনায় রহিমার বাবা ময়েন উদ্দিন বাদী হয়ে পর দিন ফকিরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০০০ সালের ২৫ জুন বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামি জাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৩১ জুলাই ফাঁসির রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। তবে গত ২৫ আগস্ট আপিলের শুনানি শেষে তাকে খালাস দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।