পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাতে কেউ না থাকার সুযোগে স্থানীয় ফরহাদ হোসেন নামের এক যুবক বাড়িতে ঢুকে ওই স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে। এ ঘটনার পর রাতেই ওই ছাত্রী বিষপান করে। পরে রবিবার রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রবিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে রাতেই অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ড উপজেলার আবদুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা শহরের আরামপাড়ার বাসিন্দা তার দুলাভাই মুজাহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারের বাড়িতে থাকতেন। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পাশের দোকান কর্মচারী ফরহাদ হোসেন ওই বাড়িতে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয় এক নৈশপ্রহরী ছুটে আসলে ফরহাদ পালিয়ে যায়।
স্কুলছাত্রীর দুলাভাইয়ের বরাত দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ জানান, ঘটনার পর লজ্জায় রাতেই স্কুলছাত্রী বাড়িতে থাকা বিষপান করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় রবিবার নিহত স্কুলছাত্রীর দুলাভাই মুজাহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত আসামি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হানুড়বাড়াদী গ্রামের আশানুর রহমানের ছেলে দোকান কর্মচারী ফরহাদ হোসেনকে রাতেই নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার তাকে আদালতে সোর্পদ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন, জানান তিনি।