খুলনার সুন্দরবন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে লাইসেন্সবিহীন সব করাতকল উচ্ছেদে বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।
এ সময় তিনি বর্ষায় নদী ভাঙনের শুরুতেই ভাঙন প্রতিরোধে চেয়ারম্যানদের সুপারিশে সরকারি অর্থের অপচয়রোধে জিও ব্যাগ ও রিজার্ভ ফান্ডের প্রস্তুতি রাখার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি অনুরোধ জানান। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে লবণচরা রাস্তাটি চলাচল উপযোগী করা ও চলমান কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করতে বলেন।
রবিবার দুপুরে নিজ সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির আগস্ট মাসের সভা তিনি এসব অনুরোধ জানান।
বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ওএমএসের চাল প্রদানে উপকারভোগী নির্বাচনে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বেড়েছে হরিণ শিকার
সভায় খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, বর্তমানে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। যারা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি তাদের দ্রুত বুস্টার ডোজ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এখন আমন মৌসুম। সেচ সুবিধা নিশ্চিত এবং অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে কৃষকের সুবিধার কথা চিন্তা করে কয়রা ও পাইকগাছার স্লুইচগেট সচল রাখা প্রয়োজন। এজন্য তিনি সভাপতির দৃষ্টি আর্কষণ করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে চিত্রা হরিণ উদ্ধার, সুন্দরবনে অবমুক্ত
সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদিকুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তানভীর আহমদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।