রবিবার সকাল ১০টা ২০মিনিটে লালমননিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা কমলাপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশে গনপরিবহন বন্ধ করে সরকার। এতে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় রুটের ১৪ জোরা ট্রেন চলাচল বন্ধ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অবশেষে দীর্ঘ দুই মাস পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে প্রথম পর্যায়ে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের শারীরিক দূরুত্ব বজায় রেখে রবিবার নির্ধারীত সময়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন।
যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। সেখানেও নির্ধারণ করা হয়েছে শারীরিক দূরুত্ব। চাহিদা থাকলেও স্বাস্থ্য বিধির কারণে পুরো ট্রেনটি অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এ ছাড়াও রেলওয়ে প্লাটফর্ম গেটে প্রবেশের আগে ডিজিটাল থার্মোমিটারে তাপমাত্রা পরিমাপ ও শতভাগ মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাত্রীদের জন্য ট্রেনে পর্যাপ্ত সাবান, পানি ও স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে।
যাত্রী সারেরা বেগম বলেন, ‘নির্ধারিত মূল্যে অনলাইনে টিকিট করেছি। পাশের সিট ফাঁকা হলেও টিকিট মূল্য বাড়ানো হয়নি। এছাড়া ট্রেনটি শতভাগ হকার ও ভিক্ষুকমুক্ত। এমন পরিবেশ আগামী দিনেও বজায় রাখলে করোনা সংক্রমণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।’
বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস কুমার দাস বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মেনে অনলাইনে টিকিট বিক্রি করে লালমনি এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করেছে। একই সাথে যাত্রীদের জন্য ট্রেনে পর্যাপ্ত পরিমানে সাবান পানি ও স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। প্রতিটি স্টেশনে যাত্রীদের তাপমাত্রা ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পৃথক করা হয়েছে ট্রেনে প্রবেশ ও বাহির পথ। পাশের সিট অবিক্রিত রেখে শারীরিক দূরুত্ব রাখা হয়েছে। সকল নির্দেশনা মেনেই যাত্রা শুরু হয়েছে ট্রেনের।’