বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে জহিরুল ইসলাম জিয়া ও বিবি জহুরা ছয় লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে পড়ান মাওলানা আক্তার হোসেন। বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন নিকাহ রেজিস্টার আব্দুর রহিম।
এর আগে, সকালে পরিবার পরিজন নিয়ে কারাগারে আসেন বিবি জহুরা ও কারাবন্দী জিয়ার পরিবার।
কারাগারের সুপার আনোয়ারুল করিম বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে তাদের সম্মতিক্রমে কারাবন্দী জিয়া ও বিবি জহুরার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।’
এ সময় জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে উভয় পরিবারের সম্মতির স্বাক্ষর নেয়া হয়।
নির্দেশনা অনুয়ায়ী বিয়ের কাবিনসহ যাবতীয় তথ্য হাইকোর্টে প্রেরণ করা হবে।
বিয়ে সম্পন্নের পর কারাফটকে বিবি জহুরা বলেন, ‘আদালতের আদেশে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি, আমার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুন্দর সংসার জীবন গড়তে আমি সবার দোয়া চাই এবং একই সাথে আমার স্বামীর দ্রুত মুক্তি চাই।’
জহুরার বাবা আব্দুল হাই ও জিয়ার বাবা আবু সুফিয়ান বলেন, ‘কুচক্রি মহলের চক্রান্তে আমরা বিভ্রান্ত ছিলাম। আদালতের আদেশে ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা তারা উভয়ে দাম্পত্য জীবনে সুখি হবে।’
উল্লেখ, সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম চররবেশ গ্রামের জিয়ার সাথে প্রতিবেশী জহুরার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু পরে ২৭ মে জহুরা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ জিয়াকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করে। পুলিশের তদন্তে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩০ জুন আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত ১ নভেম্বর আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী তার কারাবন্দী মক্কেল জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ জিয়াকে বিয়ের করার শর্তে জামিন দিতে সম্মত হয়। হাইকোটের আদেশ ১১ নভেম্বর জেলা কারাগারে পৌঁছে।