ফেনী
বিপৎসীমার ওপরে মুহুরীর পানি, ফেনীর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত
ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক ও ফুলগাজী বাজার প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার থেকে ফুলগাজী কাঁচা বাজার-সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে ফের দেখা দিয়েছে বন্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি-সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মালিপাথর, নিলক্ষ্মী ও পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দক্ষিণ শালধর এলাকার মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। গত বছরের ভাঙা স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে এবার ভাঙন দেখা দিয়েছে।’
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হারুন মজুমদার বলেন, ‘বাঁধ ভাঙার কথা জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। লোকালয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।’
উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী আবু হেনা মেহেদী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। পুরো আমন মৌসুমে ৩০০ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হবে। তবে আমন ধান রোপণের আরও মাসখানেক দেরি থাকায় ক্ষতির তেমন সম্ভাবনা নেই।’
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহরিয়ার হাসান বলেন, ‘গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টি থাকায় নদীতে পানির চাপ বেড়েছে। সোমবার দুপুর থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর পানির চাপ আরও বাড়ায় ফুলগাজী বাজারসহ আশপাশে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাঁধের বিভিন্ন অংশ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।’
পানি বাড়লে বাঁধের আরও কয়েকটি অংশে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
বন্যার আশঙ্কায় মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চল ছাড়ছে বাসিন্দারা
ফেনীতে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার, আটক ২ নারী
ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে করিম উল্যাহ ওরফে কালামিয়া (৬৫) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার ভোরে উপজেলার বাঁশপাড়া এলাকার বাজারের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত করিম উল্যাহ উপজেলা পৌরসভার বাঁশপাড়া গ্রামের জমাদারবাড়ির রাজা মিয়ার ছেলে। তার ছাগলনাইয়া বাজারে একটি কনফেকশনারি দোকান রয়েছে।
নিহত করিম উল্যাহর ছেলের বউ নুরের নাহার জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টায় তার শ্বশুর দোকান থেকে বাড়ি না ফিরে আসায় তার নম্বরে একাধিক বার ফোন করা হয়।
ফোন না ধরায় তারা নিজেরা দোকানে যান। দোকান খোলা থাকলেও করিম উল্যাহ ছিলেন না। পরে নিজেরাই দোকান বন্ধ করেন।
তিনি আরও জানান, তার শ্বশুরের সঙ্গে কারোকোনো বিরোধ ছিল না।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলেই পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। এ ছাড়া লাশের মাথাসহ শরীরে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
ফেনীতে নছিমন উল্টে নিহত ১, আহত ৯
ফেনীতে নছিমন (স্থানীয় যানবাহন) উল্টে এক যুবক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৯ জন।মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার রামপুর রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক জাকির হোসেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বাসিন্দা এবং পেশায় শ্রমিক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারের নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়ে নছিমনটি ফেনীর লেমুয়া এলাকা থেকে উপজেলা সদরে যাচ্ছিল। রামপুর রাস্তার মাথা এলাকায় একটি চাকা বিস্ফোরণের পর নছিমনটি উল্টে যায়।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ১০ জনকে উদ্ধার করে ফেনী সদর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানের চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গণপিটুনিতে নিহত প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত যুবক বিকাশ
ফেনী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রুহুল মহসিন বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, দুর্ঘটনায় একজন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস উল্টে নিহত ৫
ফেনীতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেনীতে বজ্রপাতে মাহাদী হাসান ও শাহীন মাহমুদ অভি নামে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৯ মে) ছাগলনাইয়ার উত্তর কুহুমা গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু
নিহত মাহাদী হাসান ছাগলনাইয়ার উত্তর কুহুমা গ্রামের প্রবাসী আতিকুর রহমান মজুমদারের ছেলে। মাহাদী এবার এসএসসি পাস করে প্রথম বর্ষে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
নিহত শাহীন মাহমুদ অভি নিজকুঞ্জরা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্র এবং একই উপজেলার দক্ষিণ লাঙ্গল মোড়ার ফজলুল করিমের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহতাব উদ্দিন মজুমদার বলেন, মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন মাহাদী। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ছাগলনাইয়া এবং পরে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, বজ্রপাতে দুই তরুনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। মাঠে গরু আনার জন্য গেলে বজ্রপাতে তারা মৃত্যুবরণ করেন। লাশ দাফনে প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবার।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে বজ্রপাতে মাটিকাটা শ্রমিক নিহত
সিলেটে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ রেকর্ড
ফেনীতে চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরচাপায় ছেলেসহ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু
তিনি বলেন, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেলায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
তিনি বলেন, সারাদিন আকাশ মেঘলা ছিল। রাতেও বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপোল অংশে মহাসড়কের পাশের কয়েকটি স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। মহাসড়কের এ অংশে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
তিনি বলেন, প্রথমে স্থানীয়রা ও পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে মহাসড়ক থেকে গাছ কেটে সরানোর পর সড়কে চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের সামনে সড়কে গাছ ভেঙে পড়ায় ফেনীর সঙ্গে ছাগলনাইয়ার সড়ক যোগাযোগ প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
এদিকে গত কয়েক দিনের গরমের পর বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। মাঠের ফসল ঘরে তোলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কৃষক।
পরশুরাম উপজেলার বীরচন্দ্র নগর গ্রামের কৃষক আজহারুল হক বলেন, মাঠের বোরো ধান ঘরে তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন বৃষ্টি চিন্তায় ফেলেছে। ভালো ফলন হলেও ফসল বাড়ি আনতে পারব কি না জানি না। বৃষ্টিতে এখনই জমিতে পানি জমে গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শিলাবৃষ্টি-কালবৈশাখীর তাণ্ডব
ফেনীতে চুরির দায়ে মাকে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় টাকা চুরির অভিযোগে মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ছেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মঈন উদ্দিন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
শনিবার বিকালে উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রলির ধাক্কায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, চালক আটক
নিহত নুর মোহাম্মদ নোয়াখালীর সুধারাম থানার আন্দার চর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। বাথানিয়া গ্রামে এক বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন ছাগলনাইয়ার বাথানিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
এদিকে খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ।
নুর মোহাম্মদের মা বিবি খতিজা জানান, চার বছর আগে নুর মোহাম্মদকে ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনর বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে দিয়ে যান তিনি। তার মাসিক বেতন ধরা হয়েছিল দুই হাজার টাকা। চার বছরে তাকে কখনো ছুটি দিত না ওই পরিবার। সেই ক্ষোভ থেকে গেল ২৭ রমজানে বাসা থেকে ৮০ হাজার টাকা ভর্তি একটি খাম নিয়ে নোয়াখালীর বাড়ি চলে যান নুর মোহাম্মদ। বাড়ি যাওয়ার পর থেকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিতে থাকেন ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অব্যাহত হুমকিতে ঈদের পরদিন তিনি ছেলেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে হাজির হন এবং চুরি করে নেওয়া টাকা ফেরত দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ট্রলির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, বাড়ি ঢোকা মাত্রই ব্যাংক কর্মকর্তার চারভাই মিলে তার ছেলেকে মারধর শুরু করেন। বাধা দিলে তাকেও মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন তারা। সারা রাত দফায় দফায় তার ছেলেকে মারধর করা হয়। এ ছাড়া পরদিনও তার ছেলেকে মারধর করা হয়। এরপর শনিবার বিকালে মারধরে মারা যান তার ছেলে নুর মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, আমার ছেলের যদি কোনো অন্যায় থাকতো, তাহলে তাকে পুলিশে দিতো। আমি তাদের কাছে আমার ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। তবু তাদের মন গলেনি। এভাবে নির্যাতন করে, সারারাত ধরে পেটাতে পেটাতে আমার ছেলেকে মেরে ফেলল। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসি আরও বলেন, নিহতের পিঠ, কোমর, হাত, পাসহ পুরো শরীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে ব্যাংক, দোকানপাট-আদালত
তিনি বলেন, এ ঘটনায় রবিবার মা বিবি খতিজা ছাগলনাইয়া থানার ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। তিনি মারধরের কথা স্বীকার করেছেন।
ফেনীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: দুই গেটম্যান বরখাস্ত
ফেনীর মুহুরীগঞ্জে বালুবোঝাই ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় দুই গেটম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) রিটন চাকমা।
বরখাস্ত দুইজন হলেন- মো. সাইফুল ও মো. রাশেদ খান। তাদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনিসুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবদুল হানিফ, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান নির্জর, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমানডেন্ট রেজানুর রহমান, রেলওয়ের বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন এবং বিভাগীয় টেলিযোগাযোগ ও সংকেত প্রকৌশলী জাহেদ আরেফিন তন্ময়।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। দুর্ঘটনার সময় সিগন্যাল বারটি ফেলা হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন ক্রসিং এ চট্টগ্রামগামী একটি মেইল ট্রেন বালুবাহী ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়। এরমধ্যে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে থাকা তিনযাত্রী যুবক, ট্রাক চালক, সহকারী ও চালকের ছেলে মারা যান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
ফেনীতে বালুবাহী ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ২
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বালুবাহী ট্রাকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সাড়ে ৮টার দিকে মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ট্রাকটি রেললাইন পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
নিহত মো. মিজান বরিশালের উজিরপুর কাউয়ারাহা গ্রামের আবুল হাওলাদারের ছেলে এবং অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রামগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনটি সকালে মুহুরীগজ্ঞে এলাকায় পৌঁছলে লাইনে উঠা একটি ট্রাককে ধাক্কা দিলে এ সময় ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হন।
ঘটনার পর থেকে গেটম্যান মো. সাইফুল পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ই/৩২(১)নং রেলগেইটে সকালে গেইটম্যান দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন না। আর এই কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান বলেন, বালুবাহী ট্রাক রেলক্রসিং করার সময় ট্রাকের পেছনের অংশে ট্রেনের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু
ঝিনাইদহে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে একরাম উদ্দিন নামে এক বাবুর্চি নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।
নিহত একরাম উদ্দিন নোয়াখালীর সুধারাম থানার পশ্চিম মাইজচড়া গ্রামের মনসুর আহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু
তিনি ফেনী শহরতলীর জামেয়া রশিদিয়া মাদরাসায় বাবুচির কাজ করতেন।
জিআরপি পুলিশ জানায়, ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায় চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে কালিদহ রেল স্টেশনের পূর্বদিকে স্টিলব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ভাই জামেয়া রশিদিয়া মাদরাসার শিক্ষক ইমাম উদ্দিন জানান, তার ছোট ভাই একরাম ৫-৬ মাস জামেয়া রশিদিয়া মাদরাসায় বাবুর্চির কাজ করতেন। সকালে ঘুরতে বের হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।
ফেনী জিআরপি পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে একরামের বড় ভাই এসে লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় লাকসাম জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
ফেনীতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য
ফেনী শহরের অলিগলিতে, উপজেলার গ্রামাঞ্চলে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। হত্যা, চুরি, ছিনতাই, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা, যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে উঠতি বয়সী এসব কিশোররা।
এদের অনেকের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। ‘বড় ভাইয়েরা’এলাকায় প্রভাব বিস্তার, বিপক্ষের নেতা-কর্মীকে ধমকানো-শাসানো, জমিজমা বাগিয়ে নেওয়াসহ নানা স্বার্থ উদ্ধারে কিশোর গ্যাং লালন করা হয় বলে জানা গেছে। ফলে পরিবার বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চেষ্টা করেও তাদের ফেরানো যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেনী জেলায় অন্তত ১০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। ‘বড় ভাইদের’ আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা এখন বেপরোয়া, ভয়ংকর। এদের রাজত্ব জেলা শহর থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। বড় বড় হাটবাজার ঘিরেও এদের প্রভাব। মাদকের জগতেও রয়েছে বিচরণ। সংঘবদ্ধ হয়ে ছিনতাই, নারী উত্ত্যক্ত, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, হানাহানি থেকে শুরু করে খুনোখুনিতেও জড়িয়ে পড়েছে এরা।
আরও পড়ুন: যশোরে অস্ত্রসহ ‘কিশোর গ্যাং’য়ের ৯ সদস্য আটক
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতাদের পাল্লা ভারী করতেই মূলত কিশোর গ্যাং সদস্যদের ডাকা হয়। ফেনীতে ‘কসাই’, ‘হিমিল’, ‘শান্ত’, ‘জেকে’, ‘পিটু’, ‘চাকমা জাবেদ’সহ একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতার কথা শোনা যায়। উঠতি বয়সী তরুনদের এ ভয়ংকর রূপ ভাবিয়ে তুলেছে অভিভাবক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
বৃহস্পতিবার ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুর এলাকা থেকে এসডিকে গ্রুপের প্রধান মো. রাব্বি, মো. তৌহিদুল ওরফে সাগর, মো. ফখরুলকে আটক করা হয়। ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন তারা।
তারা প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে স্থানীয় এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নিজেদের মধ্যে মারামারি, অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা গেছে। আটকের সংখ্যা বেশি হলেও কয়েকজন পরীক্ষার্থী হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসডিকে গ্রুপের এক সদস্য জানান, ‘নেতাদের কোনো প্রয়োজন হলে তারা বড় ভাইদের বলেন। আর বড় ভাইরা আমাদের নিয়ে অপারেশন কমপ্লিট করেন। এক্ষেত্রে সদস্যরা কিছু টাকা পায়।’
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক করা হলে তাদের ছাড়ানোর জন্য বড়ভাই বা নেতাদের কল আসে বলে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
ফেনী গার্লস স্কুল এবং মহিলা কলেজের সামনে ছাত্রীকে একদল বখাটে উত্ত্যক্ত করে। অপরদিকে, ফেনীর জিয়া মহিলা কলেজ, ফেনী সরকারি কলেজ, মহিপাল সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের প্রতিনিয়তই কিছু বখাটে কিশোর দাঁড়িয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। এসব কিশোর গ্যাং ধরতে ইতোমধ্যে ফেনী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
সম্প্রতি ফেনীতে ঘটে যাওয়া বখাটেদের কয়েকটি ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচগাছিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা; ফালাহিয়ায় সহিংসতা।
এদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের আঘাতে কিছুদিন আগে জায়লস্কর ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামে সজীব নামে এক ছেলে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া শহরতলির আল জামিয়াতুল কামিল মাদরাসায় একদল বখাটে কিশোর তাণ্ডব চালায়। এ সময় পুলিশ খবর পেয়ে মাদরাসায় অভিযান পরিচালনা করলে তারা পালিয়ে যায়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হায়দার ক্লিনিকের পাশে খালি জায়গায় কিশোর গ্যাং ‘এফসিবি’ মারামারির একটি দৃশ্য ভাইরাল হয়। ভিডিও ফুটেজে ফেনী মডেল হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আমিরুল হুদা মুবিনকে পিটিয়ে আহত ও পা ধরে ক্ষমা চাওয়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। রাতে নির্যাতনের শিকার কিশোরের মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পিকনিকের বাস থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য আটক
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফেনীর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফেনী শহরের স্কুলগুলোতে ও পাড়াকেন্দ্রিক সক্রিয় রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের একাধিক গ্রুপ। এরা শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। এক গ্রুপের সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটলে প্রতিশোধ নিতে কালক্ষেপণ করে না অন্য গ্রুপের সদস্যরা। এদের স্কুলব্যাগে চাপাতি, পকেটে থাকে ক্ষুর। আধিপত্য বিস্তার, ছোট ভাই-বড় ভাই ও প্রেম-সংক্রান্ত বিষয়সহ ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হলেই মারামারিতে লিপ্ত হয়। এরা স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে।’
ফেনী পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা ওয়াজি উল্লাহ জানান, ‘প্রকাশ্যে চলে সিগারেট, মদ-গাঁজা সেবনসহ নানান অপকর্ম। তাদের দৌরাত্ম্যে বন্ধ থাকে মার্কেটের বেশিরভাগ দোকান। ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না দোকান মালিকরা। কিশোর গ্যাংয়ের কারণে দোকান মালিকরা অতিষ্ঠ। দিন দিন কাস্টমার কমে যাচ্ছে। সকাল-বিকাল প্রতিদিন মারামারি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিকাল থেকে রাতের ১০টা পর্যন্ত তাদের আসর জমে।’
ফেনী জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, ‘শিশু ও কিশোর অপরাধ এবং কিশোর গ্যাং দমনে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে সমাজকে আরও সচেতন হতে হবে। অভিভাবকদেরও শিশু-কিশোরদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সবসময় কাজ করছে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ শেষে সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীদের রাস্তাঘাটে আড্ডা না দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ২ কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ১৬, অস্ত্র-ককটেল জব্দ