ফেনী
ফেনীতে ট্রাকচাপায় অটোরিকশাচালক ও যাত্রী নিহত
ফেনীতে ট্রাকের চাপায় ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এরা হলেন— উপজেলার দক্ষিণ চানপুর গ্রামের অটোরিকশাচালক নজরুল ইসলাম ও অটোরিকশার যাত্রী দুধমুখা এলাকার রাজিব।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের বসুরহাট সড়কের শরীফপুরেএ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় অটোরিকশার নারী যাত্রী নিহত
স্থানীয়রা জানান, নতুন পোল এলপিজি সিএনজি পাম্পের সামনে একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন অটোরিকশাচালক নজরুল ইসলাম। এছাড়া আহত অবস্থায় অটোরিকশার যাত্রী রাজিবকে দাগনভূঁইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘অটোরিকশা ও ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৬ দিন আগে
ধনীদের আস্থা ব্র্যান্ডে, ফেনীতে ফুটপাতেই ভরসা গরিবের
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। ঈদ উপলক্ষে সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যেই চলছে প্রস্তুতি। ঈদ এলেই মানুষের চাঞ্চল্য সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে পোশাকের বিপণি বিতানগুলোতে। ঈদের মাসখানেক আগে থেকেই দোকানে দোকানে ভিড় পড়ে যায়। ফেনীতে এবারও তার ব্যতিক্রম নেই।
তবে আর্থিক সামর্থ্যের চরম বাস্তবতা ফুটে ওঠে এই সময়ে। জমকালো শপিং মল, সাধারণ মার্কেটের দোকান আর ফুটপাতের পোশাকের দোকান— তিন ধরনের বিপণি বিতানে দৃষ্টি দিলেই স্পষ্ট হয়ে যায় ধনী-গরিবের পার্থক্য; কে কতটা বিত্তশালী।
ঈদের কেনাকাটায় এবারও ধনীদের পছন্দ অভিজাত শপিং মল ও নামি-দামি ব্র্যান্ডগুলো। মধ্যবিত্তদের মধ্যে রুচিশীল কেউ কেউ সেসব জায়গা থেকে কেনাকাটা করে থাকেন বটে, তবে বেশিরভাগেরই গন্তব্য সুপার মার্কেটের পোশাকের দোকান। আর দরিদ্র শ্রেণির ভরসা সেখানে ফুটপাতের দোকানগুলোতেই। সামর্থ্যের মধ্যে নিজেদের পছন্দের কাপড়-চোপড়, গয়না, জুতা, স্যান্ডেল ও অন্য প্রসাধনীসহ অন্যান্য পণ্য কিনতে ভিড় করছেন ফুটপাত ও খোলা জায়গায় বসানো অস্থায়ী দোকানগুলোতে।
ঈদের আগে ক্রেতা আকৃষ্ট করতে হরেক রকম রঙ-ঢঙের বাতি আর বাহারি রকমের শৈলীতে আকর্ষণীয় করে সাজানো হয়েছে শহরের গ্র্যান্ড হক টাওয়ার, শহিদ হোসেন উদ্দিন বিপণি বিতান, গার্ডেন সিটি, তমিজিয়া মার্কেট, এসি মার্কেট, বড় বাজার ও শহিদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের নামিদামি ব্র্যান্ডের শোরুমগুলো। রমজানের শুরু থেকেই সেসব শোরুমে ক্রেতার ভিড় বাড়লেও ২০ রমজানের পর থেকে বেচাকেনার ধুম পড়ে গেছে। ঈদের আগমুহূর্তে পা ফেলার জায়গা নেই ফুটপাতসহ অন্যান্য পোশাকের দোকানগুলোতেও।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ছাড়াই ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে জামাকাপড়, জুতা, গেঞ্জিসহ বিভিন্ন পণ্যের সমাহার সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ‘এক্সপোর্টের শার্ট লন, মাত্র আড়াইশ টাকা’, ‘পাঞ্জাবি লন, মাত্র তিনশ টাকা’, ‘প্যান্ট লন, গেঞ্জি লন’, ‘দেইখ্যা লন, বাইচ্ছা লন’, ‘এক দাম, এক রেট’—বিক্রেতাদের এমন হাঁকডাকে জমে উঠেছে ফেনীর রাজাঝিদিঘী এলাকার ফুটপাতের ঈদ বাজার।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের ভিড়ও। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিজাত বিপণি বিতানগুলোতে বিত্তবানদের কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। নিম্নবিত্তরা এসব বিতানের আলোকসজ্জা দেখেই চোখ জুড়ান, সেখান থেকে কেনাকাটার সামর্থ্য তাদের বেশিরভাগেরই নেই।
ঈদের বাজারে সব ধরনের দোকানেই বিক্রি হচ্ছে নারীদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি, সালওয়ার-কামিজ; আর পুরুষদের জন্য ঈদে বাঙালির ঐতিহ্য পাঞ্জাবি-পায়জামা ছাড়াও শার্ট, টি-শার্ট ও প্যান্টের পসরা সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের জন্য রঙিন জামাকাপড়, খেলনা ও ঈদ স্পেশাল গিফট আইটেমও বিক্রি হচ্ছে।
এ সময় চোখে পড়ে বিশেষ একটি জিনিস, অর্থাভাব থাকলেও ঈদের বাজারে এসে তার সবটাই বিদায় করে দিয়েছেন নিম্নবিত্তরা। সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সাধের ঈদ করার চেষ্টায় মুখভরা হাসিতে সন্তানদের জামাকাপড় কিনে দিচ্ছেন তারা।
১৯ দিন আগে
ফেনীতে ছাত্রদল নেতার ঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
ফেনীর দাগনভূঞায় মো. আশরাফুল হাসান জাবেদ নামের এক ছাত্রদল নেতার বাড়ি থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ককটেল তৈরির ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষ থেকে এসব সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই অভিযান চালান।
বিষয়টি যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।
মো. আশরাফুল হাসান জাবেদ ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক।
যৌথ বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, শনিবার সকালে ওই যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তার শয়নকক্ষের খাটের পাটাতনের নিচ থেকে এসব সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আগুন, পানির উৎসের অভাবে নিয়ন্ত্রণে জটিলতা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফেনীর উপপরিচালক সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘ওই ঘরে মাদক রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালাই। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং মাদক ও ককটেল তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এর আগেই বিষয়টি টের ঘর ছেড়ে পেয়ে পালিয়ে যায় অপকর্মের হোতা মো. আশরাফুল হাসান জাবেদ। পরে তাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।’
২৫ দিন আগে
ফেনীতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
ফেনীতে এফডিআরের টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে মারধর করে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রিয়াদ উল করিমের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে শহরের একাডেমি রোডের ব্যাংকটির উপশাখায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাতে থানায় এ নিয়ে সমঝোতা হয় বলে ব্যাংক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরে এফডিআরের টাকা তুলতে সেখানে যান জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রিয়াদ উল করিম। এসময় টাকা প্রদানে বিলম্ব হলে ওমর ফারুক নামে ব্যাংকের এক জুনিয়র অফিসারের ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। এসময় দলীয় প্রভাব দেখিয়ে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে হুমকি ও অপদস্থ করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, অত্যন্ত বিনয়ীভাবে তাকে শিগগিরই টাকা প্রদানের বিষয়টি বলেছিলাম। এজন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি হঠাৎ করে আমাকে গালিগালাজ শুরু করেন। এটি ঠিক হচ্ছে না বলাতে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নাকে মারাত্মক আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এর আগেও তিনি ব্যাংকে এলে দলীয় পরিচয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতেন।
আরও পড়ুন: ঝগড়া করায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
অভিযোগ প্রসঙ্গে ছাত্রদল নেতা রিয়াদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বেশ কয়েকমাস ধরে ব্যাংকে গিয়েও এফডিআরের টাকা তুলতে পারছিলাম না। ব্যাংক কর্মকর্তারা বারবার সময় চেয়ে নিচ্ছিলেন। গতকাল টাকার জন্য সেখানে গেলে কথা কাটাকাটি হয়েছে, তাকে মারধর করিনি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে শোনা গেছে, ওমর ফারুককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন রিয়াদ। ভিডিওতে রিয়াদকে ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে 'ঈদের আগে টাকা দিবি, না হয় হাত ঠ্যাং ভাঙি গুড়া করি হালামু' বলতে শোনা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক কাউছার আহমেদ চৌধুরী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকে কিছু সমস্যা চলছে। তবে গ্রাহকের টাকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সোমবার ওই ব্যক্তির সঞ্চয়ী হিসাবে জমাকৃত সব টাকা প্রদান করা হয়। পরবর্তী এফডিআরের ৯ লাখ টাকা প্রদানের জন্য তার কাছে সময় চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ব্যাংক কর্মকর্তার ওপর হামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন বলেন, ব্যক্তিগত বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে কেউ যদি সংগঠনের নাম ব্যবহারের চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে এমন কর্মকাণ্ডকে কখনো প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তার ওপর হামলার বিষয়ে দুপক্ষ বসেছিল। তাদের মধ্যে সমোঝোতা হয়েছে।
৩০ দিন আগে
ফেনীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলা
ফেনীতে সংবাদ প্রকাশ করায় ওমর ফারুক নামের এক সংবাদকর্মীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির সংবাদ প্রকাশের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সিলোনীয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন সালেহ আহমেদের দোকানের সামনে ফারুকের ওপর হামলা করেন কয়েকজন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এছাড়া হামলাকারীরা ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওমর ফারুক।
তিনি দৈনিক ইনকিলাবের ফেনী সংবাদদাতা।
খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আহত সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করেন পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের হামলায় ওমর ফারুক ঘাড়, মাথা, বুক ও কোমরে আঘাত পেয়েছেন।’
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।’
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার নেতৃত্বে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার বাড়িতে হামলা
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ হামলায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ ঘটনায় রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফেনী প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ফেনী জেলা শাখা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রস্তুতিও চলছে।
গত ৪ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ‘ফেনীতে হত্যা মামলার আসামি তাঁতী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বালু লুটের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক ওমর ফারুক। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়—বালু লুটে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন জেলা যুবদল নেতা শিপন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামাই ফারুক, ইউনিয়ন তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা শ্রমীক দল নেতা মামুন, সদর উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সেক্রেটারী রাফিকসহ অনেকেই। এর পরেই তার ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
৪৯ দিন আগে
ফেনীতে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে ৫ শ্রমিক নিহত
ফেনীর হাফেজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় কাভার্ডভ্যানের সাথে পিকআপের সংঘর্ষে অন্তত ৫ নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মহিপাল হাইওয়ে মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এছাড়াও আরও ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
জানা গেছে, পিকআপটিতে ২০ জনের মতো শ্রমিক ছিলেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে তারা ফেনীতে কাজ করছিলেন। আজ কাজ শেষ করে নিজেদের বাসার দিকে তারা ফিরছিলেন, তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
৫৮ দিন আগে
ফেনীতে সাবেক এমপিদের বাড়ি ও আ.লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাসুদ চৌধুরীর বাড়িসহ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেনীর পৌরসভার বারাহীপুরের বাড়ি ও শহরের স্টেশন রোড এলাকায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, ফেসবুক গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে হামলার ঘোষণা দেয়। ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় তারা ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে নাসিমের বাড়ির দিকে রওনা দেন। সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর পরে ফেনী রেলস্টেশন রোডের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে স্থানীয়রাও অংশ নেয়। এছাড়া মাসুদ চৌধুরীর সোনাগাজী গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। তবে সব জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ছাত্র প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন শাকিল বলেন, ‘বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডি-৩২ গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্ধ্যায় প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিপ্লবী ছাত্র সমাজ ও আহত ভাইরা মিলে আজকে এখানে কর্মসূচি পালন করি।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ‘পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।’
এর আগে, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নাসিমের ফেনীর বাসভবন ও স্টেশন রোডের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
৬৯ দিন আগে
ফেনীতে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ গেল তিন যুবকের
ফেনীর দাগনভূঞায় উপজেলায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত হয়েছেন তিন যুবক।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেকের বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। পরে ফেনীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর বসুরহাট উপজেলার জুগিদিয়া গ্রামের কৃষ্ণ ঘোষের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী অন্তর ঘোষ (১৮), বেগমগঞ্জ থানার আলিপুর গ্রামের কৃষ্ণ গোপালের ছেলে সৌরভ (২৩) ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের মনোরঞ্জন বৈষ্ণবের ছেলে দেবু বৈষ্ণব (২১)।
প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি অটোরিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, রাত ৮টার দিকে তিন যুবক একটি মোটরসাইকেলে ফেনী থেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পথে বেকেরবাজার সংলগ্ন আশ্রাফপুর এলাকায় পৌঁছালে সড়কের পাশে থাকা ছ'মিলের গাছের সঙ্গে দ্রুত গতির মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। পরে সড়কে পড়ে গেলে দুজনের ওপর দিয়ে একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে সৌরভ ও দেবুর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ বন্ধুর
এছাড়া গুরুতর অবস্থায় অন্তরকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত অন্তর ঘোষের মাশি (খালা) পিয়াঙ্কা ঘোষ জানান, তারা তিন বন্ধু পূজা দেখতে নোয়াখালী থেকে ফেনীতে এসেছিল। পূজা দেখে বাড়ি ফেরার পথে দাগনভূঞায় দুর্ঘটনায় তারা মারা যায়। তার বোনের একমাত্র ছেলের (অন্তর) এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন তারা।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. সুজন জানান, হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়েছে। জরুরি বিভাগে আনার পর তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মহিপাল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে। অন্য একজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: রক্ত দিতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, ২ ভাই নিহত
৭২ দিন আগে
ফেনীতে যুবকের হাতবিহীন লাশ উদ্ধার, স্ত্রীর দাবি হত্যা
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় হানিফ নামের এক যুবকের দুই হাতবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার উত্তর ছয়ঘরিয়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত হানিফ শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর ছয়ঘরিয়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের অভিযোগ, করিম (জুনা) নামে এক ব্যক্তি তার স্বামীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে দুই হাত কেটে হত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পথশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
ছাগলনাইয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে হত্যার তথ্য নিশ্চিত করা গেছে। নিহতের লাশ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
৮৫ দিন আগে
ফেনীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে বাঁশবোঝাই ট্রাকচালকের কাছে চাঁদাবাজির সময় দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় তাদের সাসপেন্ড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন—ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শুক্কুর এবং কনস্টেবল জাহিদ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরের ট্রাংক রোডে দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশ উপপরিদর্শক শুক্কুর ও কনস্টেবল জাহিদ ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রিজভী, সৌরভ হোসেন ও ইমরান হোসেন হাতেনাতে আটক করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা সিএনজি অটোরিকশাচালকের মাধ্যমে চা পানের কথা বলে ২০০ টাকা চাঁদা আদায় করছেন বলে স্বীকার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, বাঁশবোঝাই একটি ট্রাক থেকে এক সিএনজি অটোরিকশাচালক কিছু নিচ্ছিলেন দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তখন চালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে পাশে থাকা কনস্টেবল জাহিদ বলেন, গরিব মানুষ, ১০০-২০০ টাকা নিলে সমস্যা কি? তার এই ধরনের মন্তব্যে উপস্থিত সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সিএনজিচালক বলেন, এসআই শুক্কুর ও কনস্টেবল জাহিদ তাকে গ্যাস বিল বাবদ ২০০ টাকা নিতে বলেছেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
দুই পুলিশ সদস্য ফেনী জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ দেশের দূতাবাস থেকে পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার
৮৬ দিন আগে