ফেনী
ফেনীতে কাভার্ডভ্যান-পিকআপ সংঘর্ষে দম্পতিসহ নিহত ৩
ফেনীর সদরে কাভার্ডভ্যান-পিকআপের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরিগঞ্জ কাজির দিঘি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সোয়ারামপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে শিমুল (৩০) ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন (২৮) এবং কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের বাকের মিয়ার ছেলে পিকআপ চালক আবু সাঈদ (২৯)।
আহতরা হলেন- পিকআপে থাকা শিমুলের শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন (৬৫) ও পিকআপ চালকের সহকারী কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাকার মো. সাগর (২২)।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কমলাপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
জেলার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর লিডার উজ্জ্বল বড়ুয়া জানান, বাসা পরিবর্তনের জন্য মালামাল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক দম্পতি ও পিকআপ চালক। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের বড়পোল থেকে পিকআপে বাসার মালামাল নিয়ে কুমিল্লার দেবিদ্বার যাচ্ছিলেন শিমুল ও ইয়াসমিন দম্পতি।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রায়হান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরতর আহত হয়েছেন দুইজন। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কাভার্ডভ্যান-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত
ফেনীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হোমিও চিকিৎসকের মৃত্যু
ফেনীর সোনাগাজীতে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক হোমিও চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এ হামলা তার তিন সহোদর আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. মিজানুর রহমান (৪৫) ছাড়াইতকান্দি গ্রামের কালা সোবহানের বাড়ির মৃত নূরুল হুদার ছেলে এবং মনগাজী বাজারের হোমিও চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঈদের নামাজ পর মোনাজাতের সময় মুসুল্লির মৃত্যু
এ হামলার আহত তিন সহোদর হলেন- আবদুল হাই (৪৮), আবু তৈয়ব (৫০) ও আবদুল গোফরান (৫৫)।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, মৃত নূরুল হুদার ছেলে মিজানুর রহমান ও তার ভাইদের সঙ্গে একই বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন ও তার পরিবারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মিজি বাড়ির সামনে গেলে আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, আবুল খায়েরের ছেলে মাঈন উদ্দিন মামুন ও সবুজের ছেলে বাবলুর ১৫-২০ জন দুর্বৃত্ত মিজানুর রহমানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার ওপর হামলার খবর শুনে তার তিন সহোদর আবদুল হাই, আবু তৈয়ব ও আবদুল গোফরান এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে মিজানুর রহমানকে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত
রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল খায়েরকে ৩০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। বুধবার (৩ মে) দিনগত রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী র্যাব-৭ এর কোম্পানী কমান্ডার মো. সাদেকুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামি খায়ের ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ বলভপুর গ্রামের অলি আহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি পরিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
জানা যায়, আসামি খায়ের ১৯৯৩ সালে নিজ ভাইকে কুপিয়ে হত্যার পর থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে নাম পাল্টিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
র্যাব জানায়, ১৯৯৩ সালের ২৭ জুন বল্লভপুরের নিজ বাড়িতে জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বড় ভাই আবু তাহেরকে কুপিয়ে হত্যা করে আবুল খায়ের ও আবদুল কাদের। এ ঘটনায় নিহতের বোন আমেনা বেগম বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেন।
পরে ওই মামলায় আদালত দুই সহোদর আবুল খায়ের ও আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজেদের নাম পাল্টিয়ে বসবাস শুরু করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে আবুল খায়ের নিজের নাম মিজান দাবি করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার সংবাদ সম্মেলনে জানান, দীর্ঘদিন পর্যন্ত র্যাব আবুল খায়েরকে নজরদারিতে ও আবদুল কাদেরকে গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। বুধবার রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি নিজের নাম আবুল খায়ের বলে স্বীকার করেন। একইসঙ্গে তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে নাম পাল্টিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফেনীস্থ র্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল হাসান সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
পলাশবাড়ি পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার
৩ বছর পর ফের চালু হচ্ছে ফেনীর ছাগলনাইয়া সীমান্ত হাট
দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ৯ মে থেকে আবারও চালু হচ্ছে ফেনীর ছাগলনাইয়া-শ্রীনগর (ভারত) সীমান্ত হাট। বুধবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধায় বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক দাশের নেতৃত্বে ছাগলনাইয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাশ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায়সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা এবং ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অসীম সাহার নেতৃত্বে সে দেশের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ফেনীর ছাগলনাইয়ার মধুগ্রাম ও ভারতের শ্রীনগর সীমান্তে ২০১৫ সালে চালু হয়েছিল দেশের এ তৃতীয় সীমান্ত হাট। বাংলাদেশ-ভারতের ২৭ জন করে ৫৪ জন ব্যবসায়ী মালামাল নিয়ে প্রতি মঙ্গলবার দেশীয় পণ্য বিক্রি করবেন।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ৩ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় সীমান্ত হাট। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় দুই দেশের ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ হাটটি ব্যবসার জন্য যেমন চাঙ্গা ছিল, তেমনি পণ্য বেচাকেনার পাশাপাশি দুই বাংলার মিলন মেলা বসতো। হাটকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার দরিদ্র মানুষ গড়ে তুলছিলেন জীবন-জীবিকা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এরইমধ্যে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে হাটের বিভিন্ন অংশ। তবে পুনরায় হাটটি চালুর খবরে খুশি হাটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে মিষ্টি উপহার দিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
সীমান্তহাট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, সীমান্ত হাট চালু হলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।
তবে ভারতীয় ক্রেতা প্রবেশে বাঁধা দেওয়া, ভারতে এদেশীয় পণ্য ৩ থেকে ৫ কেজির ওপর নিতে না দেওয়া, ভারতের প্রশাসনের অসহযোগীতা, বাংলাদেশী অসাধু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রচুর ভারতীয় পণ্য এদেশে প্রবেশ এবং তাদের দ্বারা (অসাধু ব্যবসায়ী) হাটের দেশীয় ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তাহীনতা, হাটে বিশৃঙখলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তা সমাধানের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে বলেছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত, চোরাচালান প্রতিরোধ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হয়রানি বন্ধে হাটে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় সভায়।
সীমান্ত হাটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহাজান বলেন, হাটের নির্দ্দিষ্ট পণ্যের বাইরে ভারতীয় সকল প্রসাধনী বিক্রি হয়। তবে বাংলাদেশি বাজারে মাছ, শুটরি, বেকারি ও প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি হয়।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক দাশ বলেন, সীমান্ত হাট পূর্বের নীতিমালাতেই পরিচালিত হবে। প্রতি মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হাট বসবে। হাট বসার আগের দিন ছাগলনাইয়া নির্বাহী কর্মকর্তা ১ হাজার ক্রেতার প্রবেশ টিকেট বিক্রি করা হবে। প্রতি দেশের ২৭ জন করে ৫৪ জন নির্ধারিত বিক্রেতা যার যার দেশের পণ্য বিক্রি করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাঘ সংরক্ষণে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
শুধু সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়: বিজিবি
ফেনীতে বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে মামলা, আটক ১
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় পল্লী বিদ্যুতের জোনাল কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত এবং মুঠোফোনে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি প্রদানের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তির নাম রাকিবুল হাসান শুভ (২৬)। তিনি উপজেলার পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামের সুবেদারী রাস্তার মাথা নামক এলাকার বাসিদা ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
মঙ্গলবার ( ১৮ এপ্রিল) বিকালে তাকে আটক করে ছাগলনাইয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ছাগনাইয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর আবারও এক ব্যক্তি কার্যালয়ের সরকারি ফোন নম্বরে কল দিয়ে পরবর্তীতে আরও বড় ধরনের হামলা, ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জানে আলম এ হুমকির বিষয় তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করেন।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই অজ্ঞাত ফোনের মালিককে শনাক্ত করে তাকে আটক করেন। তবে ওই নম্বরের সিমটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে আরও অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই সিমটি উদ্ধার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানে আলম জানান, পিক আওয়ারে উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২০ মেঘাওয়াট। কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হয় ছয় মেগাওয়াট বা সাত মেগাওয়াট। যা গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতিটি এলাকায় দিনে সাত বা সাড়ে সাত ঘন্টা বিদ্যুৎ দেওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত পৌনে ৮টায় লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা উপজেলা সদরে মিছিল বের করে এবং এক পর্যায়ে অতর্কিত বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় কার্যালয়ের ফটক ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কিছু প্রয়োজনীয় নথি নষ্ট করা হয়। ফলে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার আদালতে আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ
ফেনীতে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ফেনীর ছাগলাইয়ায় অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। রাতে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রথমে একটি মিছিল করে এবং পরে অভিযোগ কেন্দ্রের মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র, ইলেকট্রিসিটির লাইন ও এসিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ লোকজন পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে ভুগছে ঢাকা, মোমবাতি কারিগরদের মুখে হাসি
ছাগলনাইয়া বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল মতিন জানান, এখন ঈদের মৌসুম। কেনাকাটার সময়। পুরো দিন বিদ্যুৎ থাকে না। সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় আমরা অতিষ্ঠ। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কোনো সময় নেই। সারাদিন গড়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।
ছাগলনাইয়া বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. জানে আলম জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে বিক্ষুব্ধ দুই সহস্রাধিক জনতা বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র, দরজা ও জানালার কাঁচ ভাঙচুর করেছে।
ফেনীতে সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার আদালতে আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ
ফেনীতে মাদকের মামলায় ১৫ বছরের সাজা পাওয়া পুলিশের বরখাস্ত পলাতক কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশের বরখাস্ত ওই কর্মকর্তার নাম মো. বিল্লাল হোসেন প্রকাশ বেলাল (৪০)। তিনি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জিরুইন মতিন মেম্বারের বাড়ির আবদুল মতিনের ছেলে এবং তৎকালীন কক্সবাজার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই)।
গত ৬ মার্চ মাদকের মামলায় বিল্লালসহ ১৩ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
রায়ে মো. বিল্লাল হোসেনসহ ছয় জনকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদালতে হাজির হয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং তিনি ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছেন বলেও দাবি করেন।
তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও তাকে জামিন দেয়া হলে তিনি পালাবেন না। তার পক্ষে জামিন আবেদন শুনানি করেন ফেনীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ফেনীতে গত ৬ মার্চ বহুল আলোচিত এই মাদকের (ইয়াবা) মামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য, একজন আইনজীবী, একজন আইনজীবী সহকারীসহ ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয় জনকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওযা হয়।
ছয় জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং একজনকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়াও, তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা হারে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডদেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, একই মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা এসবির উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমানের প্রাইভেটকার চালক জাবেদ আলীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ জন আসামির মধ্যে আট আটজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপোল এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের এএসআই মাহফুজুর রহমান ও তার গাড়িচালক জাবেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা।
এ ঘটনায় র্যাবের নায়েক সুবেদার মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় চারজনের নামে একটি মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৫ মে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন ফেনী মডেল থানার তৎকালীন সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মদ।
মামলা চলাকালেই রুবেল সরকার নামের একজন আসামি মারা যান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী কারাগারে
ধর্ষণ মামলায় পাবনা-২ এর সাবেক এমপি আরজু কারাগারে
রাসায়নিক রঙে তৈরি হয় মশলা, আটক ৪
ফেনীতে রাসায়নিক রঙ দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মসলা বাজারজাত করার অপরাধে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলাসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব-৭।
বুধবার দুপুরে ফেনী র্যাব-৭ কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
আটক ব্যক্তিরা হলেন-ফেনীর সহদেবপুর এলাকার টুটুল সাহা (৫৫), নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার হরিপুর গ্রামের জোসনা আক্তার (৪৮), লক্ষীপুর জেলার চরভুতা গ্রামের রহিমা বেগম (৪০) এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মুসাপুর গ্রামের বিউটি খাতুন (৩৮)।
র্যাব-৭ চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কতিপয় ব্যক্তি ফেনী শহরের মেসার্স তন্ময় ট্রেডার্স এবং জহির উদ্দিন ভূঁইয়ার মশলার মিলে রমজান উপলক্ষে ভেজাল মশলা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ ও প্রস্তুত করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে।
এসময় মশলা মিল ঘরের ভিতর তল্লাশি চালিয়ে আটটি প্লাস্টিকের বস্তায় মোট ৪৪০ কেজি রাসায়নিক রঙ মিশ্রিত হলুদ-মরিচের গুড়া ও সাতটি প্লাস্টিকের বস্তায় ১২০ কেজি রঙ জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে অসৎ উপায় অবলম্বন করে হলুদ, মরিচের গুঁড়ার সঙ্গে, রঙ ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রণ করে ভেজাল মশলা তৈরি করে। ওই ভেজাল মশলা ফেনীর বিভিন্ন বাজার ছাড়াও, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রয় করে আসছে বলে স্বীকার করে। এছাড়া আটক ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফেনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্বর্ণসহ ২ 'পাচারকারী' আটক
কক্সবাজারে পর্যটককে ছুরিকাঘাত, আটক ৫
১৭ বছর ধরে পলাতক জেএমবি সদস্য ফেনীতে গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০১৭ সালে বরিশালে নাশকতার পরিকল্পনাকারী হিসেবে পলাতক ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১০
নজরদারি ব্যবস্থা ব্যবহার করে পুলিশের একটি দল ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা থেকে মো. এমদাদুল হককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান (এটিইউ-এর মিডিয়া ও সচেতনতা বিভাগ) জানান, বরিশাল কোতোয়ালি থানায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৭ বছর পর সন্ধ্যায় ফেনী সদর উপজেলার সার্কিট হাউস এলাকা থেকে এমদাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন।
মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন এবং ২০১০ সালে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে অবৈধভাবে চার বছর অবস্থান করেন।
২০১৪ সালে দেশে ফিরতে বাধ্য হওয়ার পরও আত্মগোপনে ছিলেন এমদাদুল।
আসলাম জানান, তিনি মাদ্রাসায় শিক্ষাদান এবং মসজিদে দৈনিক নামাজের নেতৃত্ব দেয়ার ছদ্মবেশে জঙ্গিবাদসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: তিন দিনের রিমান্ডে গ্রেপ্তার ৩ ভবন মালিক
ফেনীতে মাদক মামলায় পুলিশ-আইনজীবীসহ ১৩ জনের কারাদণ্ড
ফেনীতে ছয় লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় তিন পুলিশ সদস্য ও এক আইনজীবীসহ ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) দ্বিজেন্দ্র কুমার কংস বণিক।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফয়েজুল হক মিলকী, আনোয়ারুল ইসলাম ফারুক, জাহিদ হোসেন কমল, মীর মোশাররফ হোসেন মানিক ও তাজুল ইসলাম ভূঁঞা।
১৩ আসামির মধ্যে ছয়জনকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, ছয়জনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একজনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় মামলায় জেলহাজতে থাকা প্রধান আসামি উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজসহ পাঁচজন, জামিনে থাকা তিনজন মিলে মোট আটজনকে আদালতে এ হাজির করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ অপর পাঁচ আসামি পলাতক। এদিকে মামলা দায়ের হওয়ার পর পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে গত বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার ১৫ আসামির মধ্যে পাঁচজন গ্রেপ্তার ও চারজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন এবং বাকি পাঁচজন আসামি পলাতক ও একজন মারা গেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করা এপিপি দ্বিজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক জানান, রায়ে পুলিশের এএসআই মো. মাহফুজুর রহমান, এসআই মো. বিল্লাল হোসেন বেলাল, এসআই মো. আশিকুর রহমান আশিক, সালেহ আহমদ, ফরিদুল আলম ফরিদ ও মো. জাফরকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল মো. শাহীন, মো. আব্দুল মোতালেব মুহুরি, কনস্টেবল কাশেম আলী কাশেম, গিয়াস উদ্দিন গেসুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
এ মামলায় মো. জাবেদ আলীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও জানান, গত সাত বছরে ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এছাড়া গত ১ মার্চ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফের আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আটজন আসামি উপস্থিত ছিলেন। পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবুল কাশেম (পুলিশ), আব্দুল মোতালেব (মুহুরী), বিল্লাল হোসেন বেলাল, আশিকুর রহমান আশিক ও জাফর।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ জানান, গত বছরের ৬ মার্চ তৃতীয় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় তিন ম্যাজিস্ট্রেট, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মামলার বাদীসহ ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলার ১৩ আসামির মধ্যে আট জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পাঁচ আসামি পলাতক।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড