শাবিপ্রবি
শাবিপ্রবিতে প্রকৌশল গবেষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে ‘৭ম আন্তর্জাতিক প্রকৌশল গবেষণা, উদ্ভাবন ও শিক্ষা’ শীর্ষক তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বার্তা প্রদান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতির পরে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ সমানভাবে জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা কিছু বিকল্প সমাধান নিয়ে আসবে যা শিল্প উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।
তিনি আরও বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম সফল দেশ এবং এখন আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতিতে পরিণত করতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।
এসময় প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট জাতিতে পরিণত করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আব্দুল মোমেন বলেন, ডমেস্টিক রিসোর্স মোবিলাইজেশন ইন্ডাস্ট্রিয়াল-একাডেমিয়া সম্পর্ক বাড়াতে হবে, যা প্রকৌশল গবেষণা এবং উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বজায় রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে। এই ধরনের কনফারেন্স স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির জন্য আমাদের বিষয়গুলোতে যথেষ্ট মূল্য যোগ করবে, কারণ এটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে কাজ করে।
ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে সপ্তমবারের মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রকৌশলী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও শিক্ষার উন্নয়নের ওপর তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। নিবন্ধনকারীদের মধ্য থেকে ১৯০টির বেশি গবেষণাপত্র বাছাই করা হয়। তিনদিনে চারটি প্লেনারিসহ ৩৪টি টেকনিক্যাল সেশনে এসব গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শাবিপ্রবিতে সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জ-২০২২ প্রতিযোগিতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের ৯ শিক্ষার্থী সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জ'২২ এর শাবিপ্রবির তত্ত্বাবধায়ক গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে আন্তর্জাতিক ইয়ুথ ম্যাথ চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আমার তত্ত্বাবধানে গতবছর দুইজন অংশগ্রহণ করে পদক পেয়েছিলেন, এবার ৯জন; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক বড় অর্জন। আগামীতে আশা করি ছাত্র-ছাত্রীদের এই অর্জন আরও বৃদ্ধি পাবে। যার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আর ও বাড়বে বলে আমি মনে করি।’
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শাবিপ্রবিতে সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
শাবিপ্রবি থেকে সিলভার পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন মারুফ, ২০২০-২১ সেশনের মো. রায়হান আহমেদ রাফি।
ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মিনিহাজ আহমেদ সামি, হাবিবুর রহমান এবং ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ওয়াসেক আল আজাদ অভি, রায়হান ইকবাল, শুভ পাল, নাজমুন নাহার ও আবু শহীদ সালমান।
প্রসঙ্গত, এবারের আন্তর্জাতিক গণিত চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ৯৮ টি দেশের সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এতে তত্ত্বাধায়ক হিসেবে ছিলেন এক হাজার ৩০০ শিক্ষক। এ প্রতিযোগিতাটি কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড, প্রি-ফাইনাল, ফাইনাল এ তিন পর্বে সম্পন্ন হয়। প্রথম দুই রাউন্ড শেষে ফাইনালে মোট এক হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। ফাইনালে ২০টি প্রশ্ন ছিল। প্রত্যেক প্রশ্নের জন্য এক পয়েন্ট নির্ধারিত থাকে। এ থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্টের ভিত্তিতে গোল্ড-সিলভার-ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শাবিপ্রবিতে সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
হারলেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্বপ্ন এবারের মতো শেষ হত। সেই সঙ্গে শেষ হত বিশ্বসেরা ফুটবলার মেসির বিশ্বকাপ ছুয়ে দেখার স্বপ্ন। কনকনে শীত ও শিক্ষার্থীদের চলমান পরীক্ষার পড়াশোনা উপেক্ষা করে সমর্থকরা অধীর আগ্রহে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বড় পর্দায় খেলা দেখার জন্য। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর ফাইনাল খেলায় আর্জেন্টিনার জয়ে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মাতেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) সমর্থকেরা।
শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ নয়, এই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তন ও আবাসিক হলগুলোর টিভি রুমগুলোতেও।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
আর্জেন্টিনা সমর্থক সিভিল এনভায়রনমেন্টাল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাশিদ মুজাহিদ রাফি বলেন, আর্জেন্টিনা অবশ্যই ভালো খেলে। কিন্তু ভাগ্য তাদের বিশ্বকাপের বেলায় ভালোভাবে সঙ্গে থাকেনি। তাদের পরিশ্রমই বলে দেয় একটা বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার প্রয়োজন। আজকে তা পেয়ে গেলো। মেসিসহ আর্জেন্টিনার সকল খেলোয়াড়দের প্রতি শুভকামনা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের একটি কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা। জীবনে পরীক্ষার মতো অনেক বিষয় আসবে। তবে মেসির বিশ্বকাপ জয়ের খেলা দেখার সুযোগ জীবনে দ্বিতীয়বার হয়তো আসবেনা। আর্জেন্টিনার এই জয়টা বাড়তি আনন্দ দিয়েছে।
ক্যাম্পাসে মুক্তমঞ্চে বড় পর্দার খেলা দেখার আয়োজক শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা সজীবুর রহমান বলেন, খেলার মধ্যবর্তী পরিস্থিতি অনেক দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে শেষ বেলায় আর্জেন্টিনার জয় দিয়েছে আনন্দ। ফাইনাল খেলার পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছিলাম আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ী হলে দুইটি খাসি জবাইয়ের মাধ্যমে ভূড়িভোজের আয়োজন করবো। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে দুইটি খাসি জবাই দিয়ে ভূড়িভোজের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার এই জয় উদযাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
শাবিপ্রবির গবেষণা: হাওরের ইকোসিস্টেম সার্ভিসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ
শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’ এর আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী বই উৎসব শুরু হয়েছে।
রবিবার(০৬ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলায় এ বই উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত, খ্যাতিমান লেখক, অনুবাদক ও সাহিত্য বিশ্লেষক সুরেশ রঞ্জন বসাক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত (শুক্রবার ও শনিবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত) বইমেলা চলবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেমিনার
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, প্রক্টর মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল, কিনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন, অধ্যাপক হিমাদ্রি শেখর রায়, অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন, অধ্যাপক ড. নারায়ণ সাহা, অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা, সংগঠনটির সভাপতি ইফরাতুল হাসান রাহিম ও বই উৎসবের আহ্বায়ক মাধুর্য চাকমাসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের শিশু সন্তান আহমেদ হুসাইন আল মোস্তফা ‘বাইল্যাটারাল প্রোফাউন্ড হিয়ারিং লস’ রোগে আক্রান্ত।
তার দুই কানের শ্রবণশক্তি শূন্য হওয়ায় বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ের সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। মূলত তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এ বইমেলার আয়োজন করা হয়।
বইমেলা থেকে প্রাপ্ত অর্থ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ইফরাতুল হাসান রাহিম।
এবারের বই উৎসব ভাষা সৈনিক ও শিক্ষাবিদ প্রতিভা মুৎসুদ্দিকে উৎসর্গ করা হয়েছে। বইমেলায় দেশের জনপ্রিয় অন্যপ্রকাশ, আগামী পাবলিকেশন, অন্বেষা পাবলিকেশন, বাতিঘর ও অনলাইন প্রকাশনী রকমারি ডটকমসহ ২০টি প্রকাশনী অংশগ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
শাবিপ্রবির গবেষণা: হাওরের ইকোসিস্টেম সার্ভিসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ
মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রায় ৬২ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। বাকি ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তবে মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল তরুণ গবেষকের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।চলতি বছরের ১৭
অক্টোবর ‘হেলিয়ন’ নামের একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান ও সচেতনতা’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। শাবির পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা দলে ছিলেন একই বিভাগের চার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা হলেন মো. আবু বকর সিদ্দীক, মোসাদ্দিকুর রহমান অভি, তানভীর আহাম্মেদ ও মুহাম্মদ আব্দুল বাকের চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারকে যেভাবে সহযোগিতা করবে শাবিপ্রবি
অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘সাস্ট রিসার্চ সেন্টার’ এর অর্থায়নে দেশের ৯৬টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর ওপর অনলাইনে এই জরিপ চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির কারণ হিসেবে গবেষকেরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অস্বাস্থ্যকর আবাসন ব্যবস্থা, অবাধ ও সমস্যাগ্রস্ত ইন্টারনেটের ব্যবহার, পড়াশুনার চাপ, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিক চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা কম, কিন্তু সচেতনতা বেশি। ২২ বছরের অধিক বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে সচেতনতা রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে দেড় গুণ বেশি জানেন। আবার ব্যক্তিগত আয় ও পরিবার থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা পাচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান বেশি।
অন্যদিকে, শুধুমাত্র পরিবারের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নিয়ে পড়াশোনাসহ যাবতীয় খরচ নির্বাহ করছেন এমন ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান সবচেয়ে কম।
গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী সামাজিক সমস্যাকে ও ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পরিবেশ দূষণকে (শব্দ দূষণ, উৎকট দুর্গন্ধ ইত্যাদি) মানসিক সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছাত্র-ছাত্রী মনে করেন, মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী মানুষের ভাগ্য কিংবা কালো যাদু। ৪০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী মনে করেন, আধুনিক মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ধর্মীয় অনুশাসন মানসিক সমস্যার প্রতিকার করতে পারে।
আবার, ৯০ শতাংশেরও অধিক শিক্ষার্থীর মতে, পরিবারের সদস্যদের সহানুভূতি প্রদর্শন ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে তুলতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক সুরক্ষার জন্য প্রথম বর্ষ থেকে ক্যাম্পেইন, ওয়ার্কশপ, সেমিনার এবং কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করা ও কুসংস্কারে বিশ্বাস না করে মানসিক রোগের জন্য মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন বলে গবেষণায় মতামত দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ‘সি’ ইউনিটের গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
শাবিপ্রবিতে ‘সি’ ইউনিটের গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার ‘সি’ ইউনিটের সিলেট অঞ্চলের ভর্তি পরীক্ষা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ৮২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৭৫৯ জন যা শতকরা ৯২.৫ শতাংশ। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৬১ জন শিক্ষার্থী।
শাবিপ্রবি কেন্দ্রের ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল জানান, এ বছর শাবিপ্রবি কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮হাজার ৬৭৭ জন। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৫ হাজার ৫২৯জন, ‘বি’ ইউনিটে ২ হাজার ৩৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৮২০ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
ভর্তি পরীক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তায়, ডিজিটাল জালিয়াতি রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর এবং তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল জানিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আমিনা পারভীন।
এদিকে পরীক্ষা চলাকালে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
জ্বালানি সংকট: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ২দিন ছুটি ঘোষণা নিয়ে ভাবছে সরকার
শাবিপ্রবিতে শোকদিবসে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস পালিত হয়েছে। এতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
সোমবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শোক দিবসের অংশ হিসেবে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ ও কালো ব্যাজ ধারণ শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণের পর শোক র্যালির আয়োজন করা হয়। পুস্পস্তবক অর্পণে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখা মিললেও শোকর্যালিতে বেশিরভাগ জুড়েই ছিল বিএনসিসির উপস্থিতি। অধিকাংশ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দেখা যায়নি, ছিল না শিক্ষক নেতাদের একাংশ। শাবিপ্রবিতে মূলত জাতীয় শোক দিবস পালন করে থাকে আওয়ামী সমর্থিত দু’টি শিক্ষক প্যানেল। প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোকদিবস পালন করে থাকেন উভয় প্যানেলের শিক্ষকেরা। কিন্তু এ বছর জাতীয় শোক দিবসের শোক র্যালি ও শোকসভায় শিক্ষকদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
আরও পড়ুন: ‘ঝাড়ুর লাঠি’তে পতাকা: পাকিস্তানি ‘হাবিব ব্যাংকে’র বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ
দিবসটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চা ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ প্যানেলের শিক্ষকদের সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেলেও আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষক প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ শিক্ষকদের অধিকাংশই ছিল অনুপস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক র্যালি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরিবর্তে যেমন বিএনসিসির দখলে ছিল ঠিক শোকসভায় শিক্ষক কর্মকর্তাদের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়াম ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দখলে।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রোগ্রামে (ম্যূরালে পুস্পস্তবক) অংশগ্রহণ করেছি এবং নিজেদের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি।
শোকর্যালি ও শোকসভায় অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুপুরের ট্রেনে আমি ঢাকায় যাচ্ছি। এজন্য পুস্পস্তবকের পর সবাইকে বলে চলে আসা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের মাঝে নানা রকমের ব্যাপার-ক্ষোভ আছে সেইসব বলাও যায় না। আমরা আমাদের মতো অবজার্ব করলাম।
দিবসটিতে প্রশাসন কর্তৃক জানানো হয়েছে কিনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে একটি চিঠি ইস্যু করে সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। আমরা ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ নিজেদের প্রোগ্রাম নিজেরাই করি।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাতীয় শোক দিবস পালন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র অধ্যাপক বলেন, শাবিপ্রবিতে দুই আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকদের মধ্যে প্রতিযোগীতা সবসময় কাজ করে। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে দুই শিক্ষক গ্রুপ একসঙ্গে এই দিবসগুলো পালন করে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কাজে উপাচার্য ঢাকায় অবস্থান করায় জাতীয় শোক দিবসে একটি পক্ষ ম্যুরালে ফুল দিয়ে বাকি আনুষ্ঠানিকতাগুলোতে আগ্রহ দেখায়নি। তবে উচিৎ ছিল বঙ্গবন্ধু ইস্যুতে সবাই একত্রে এই দিবসটি পালন করা।
শাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হয়।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারকে যেভাবে সহযোগিতা করবে শাবিপ্রবি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করে সপ্তাহের একদিন অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওইদিন সশরীরে ক্লাসের পরিবর্তে অনলাইনে ক্লাস নিবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অনলাইনে এবং অন্য চারদিন সরাসরি ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে যা আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এছাড়া ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে এবং অন্যান্য দিনেও কিছু পরিবহন সেবা কিছুটা হ্রাস করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট জাতীয় এ সমস্যায় আমরা দেশবাসীর পাশে থাকতে চাই। আমাদেরকে দেশপ্রেমের সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় করোনা মহামারিতে ক্যাম্পাসে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেশের মানুষের পাশে ছিল। এবারও বিশভাগ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে তাদের পাশে থাকবো। তবে কোনকিছুতেই যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো.কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক যে সংকট তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি সাশ্রয় নীতি গ্রহণ করেছে। সেই হিসেবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান তাই বিশ্ববিদ্যালয় এটি মানতে বাধ্য।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারের যাতে কোনো রকম বিঘ্নতা না ঘটে এবং একই সঙ্গে সরকারের জ্বালানি সাশ্রয়ের নির্দেশ পালন করা হয় সেই লক্ষ্যেই আমাদের একদিনের অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের একটি উপদেষ্টা কমিটি আছে। উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, প্রতি বৃহস্পতিবার আমাদের পরিবহন দপ্তরের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিবহনগুলো (বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা) ও অন্যান্য জরুরি দপ্তরের গাড়ি চলাচল চালু থাকবে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যদি বলি যেহেতু একদিনের সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে সেক্ষেত্রে অনেক লাইট, ফ্যান ও এসিও বন্ধ থাকবে। এছাড়াও বৃহস্পতিবারের পর শুক্র ও শনিবার সাধারণ ছুটি হিসেবে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তর থেকে সাশ্রয়ী সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে হত্যার বিচার চাইলেন শাবির শিক্ষার্থী বুলবুলের মা
তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে নির্দেশনা আছে তা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বালানি ও বিদ্যুতের যে বাজেট সে জায়গাটিতে ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী করতে হবে। সেই আদেশ বাস্তবায়নে,সরকারকে সহযোগিতা করতে এবং একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নতা না ঘটাতে এই একদিনের অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমরান আহমেদ চৌধুরী জানান, বর্তমানে প্রতিদিন বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ৮টি বাস ৩৩টি, শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বাস ৩৭টি ও স্টাফদের জন্য ৪টি ট্রিপসহ মোট ৭৪টি ট্রিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর থেকে পরিচালিত হয়। সরকারের জ্বালানি সাশ্রয়ের সহযোগিতায় শাবিপ্রবি প্রশাসন এই বাসট্রিপ বন্ধ রেখে পাশে থাকার চেষ্টা করবে। তবে জরুরি খাতের পরিবহনগুলো সচল রাখা হয়েছে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করে সপ্তাহের একদিন অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অনলাইনে এবং অন্য চারদিন সরাসরি ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এছাড়া ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে এবং অন্যান্য দিনেও কিছু পরিবহন সেবা কিছুটা হ্রাস করা হবে।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট জাতীয় এ সমস্যায় আমরা দেশবাসীর পাশে থাকতে চাই। আমাদেরকে দেশপ্রেমের সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় করোনা মহামারিতে ক্যাম্পাসে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেশের মানুষের পাশে ছিল। এবারও ২০ শতাংশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে তাদের পাশে থাকবো।’
তবে কোনকিছুতেই যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন তিনি।
সভায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের প্রীতিভোজ আয়োজন
ঈদের ছুটির পর শাবিপ্রবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
শাবি অধ্যাপকের উদ্ভাবন: স্থলজ পরিবেশে হবে সামুদ্রিক শৈবাল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক মিয়ার গবেষণায় দেশে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক শৈবালের স্থলজ পরিবেশে চাষ প্রযুক্তির উন্নয়নের বিষয়টি উঠে এসেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র, কক্সবাজার পরিচালিত ‘সী উইড কালচার এন্ড সী উইড প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ কোস্ট’ রিসার্চ প্রজেক্টের অংশ হিসেবে প্রথম বারের মতো ‘সী উইড সীডলিং প্রোডাকশন থ্রো বায়োটেকনোলজি: হ্যাচারি টু ফিল্ড এসেসমেন্ট’ শিরোনামে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক মিয়া ও অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম একটি গবেষণা সম্পন্ন করেন।
জানা যায়, এই গবেষণায় ১১টি প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল যথা উলভা লেক্টোকা, উলভা ইন্টেস্টাইনালিস, হাইড্রোক্লেথ্রাস ক্লেথ্রাটাস, সারগেসাম অর্নোডিয়েনাম, কলারপা রেসিমোসা, এন্টেরোমর্ফা ক্লেথ্রাটা, হিপ্নিয়া ভেলেন্টেই, গ্রেসিলারিয়া ভেরোকোসা, গ্রেসিলারিয়া কর্টিকাটা, পাদিনা বরিয়ানা ও কল্পোমেনিয়া সাইনোসা এর ইনভিট্রো প্রক্রিয়ায় চারা উৎপাদন ও স্থলজ পরিবেশে চাষ পদ্ধতির উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনা করা হয়। প্রকল্পের পর্যবেক্ষকগণের নেতৃত্বে ২টি ভিন্ন পরিবেশে ২টি ল্যাবের মাধ্যমে গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
এতে সামুদ্রিক পানি ব্যবহার করে কক্সবাজারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র এবং কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত সামুদ্রিক পানি ব্যবহার করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে এই গবেষণার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
গবেষণা পর্যবেক্ষণের প্রধান পর্যবেক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক মিয়া বলেন, উভয় পরিবেশেই ইনভিট্রো পদ্ধতিতে সামুদ্রিক শৈবালের উৎপাদন সম্ভব। তবে স্বাভাবিকভাবেই সামুদ্রিক পানি সামুদ্রিক শৈবালের স্থলজ চাষে অধিক উপযোগী।
তিনি মত প্রকাশ করেন যে, ১১টি প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবালের মধ্যে বেশির ভাগই যেমন উলভা লেক্টোকা, উলভা ইন্টেস্টাইনালিস, কলারপা রেসিমোসা, এন্টেরোমর্ফা ক্লেথ্রাটা, হিপ্নিয়া ভেলেন্টেই, গ্রেসিলারিয়া ভেরোকোসা, গ্রেসিলারিয়া কর্টিকাটা এর ইনভিট্রো পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন ও স্থলজ পরিবেশে সারাবছরই সামুদ্রিক শৈবাল চাষ করা যেতে পারে।
পড়ুন: নিহত বুলবুলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দিচ্ছে শাবিপ্রবি প্রশাসন