করোনায় মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে ১২ মৃত্যু
করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জন ও উপসর্গ নিয়ে এক জন মারা যান।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৯ জন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে একদিনে করোনায় মৃত্যু ১৮, শনাক্ত ৮৪১
করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৯০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৩৬ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৪ জন।
এদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৬৬ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ । এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১৩ হাজার ৪৪২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩০৩ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫১৬ জন।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় ১০ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৪০
নতুন করে শনাক্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৯৭ জন, কুমারখালীর ৩১. দৌলতপুরের ২৯, ভেড়ামারায় ৩৩, মিরপুরে ২৬ ও খোকসায় সাত জন রয়েছেন। কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬২৪ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২১৭ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ৬২৪ জন।
বরিশালে একদিনে করোনায় মৃত্যু ১৮, শনাক্ত ৮৪১
বরিশাল বিভাগে নতুন করে করোনায় একদিনে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ৮৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ হাজার ৭৫২ জনে এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৪২৮ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা.বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ২৯ হাজার ৭৫২ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৬৪ জন।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় ১০ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৪০
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে দশ জনের এবং করোনা ওয়ার্ডে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৭৩৪ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ৭৩৪ জনের মধ্যে ৭১ জনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে করোনায় ইউপি সচিবের মৃত্যু
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৩ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ২৪ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৮৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬৬ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১১৭ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৯০ জন করোনা পরীক্ষা করান। শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
সিলেটে করোনায় ১০ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৪০
সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৪০ জনের।
রবিবার সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মৃত ১০ জনের মধ্যে সিলেটের ছয় জন, সুনামগঞ্জের এক ও মৌলভীবাজারের তিন জন রয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৭ জনে। এর মধ্যে কেবল সিলেট জেলাতেই মারা গেছেন ৪৯১ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জে ৪৪, হবিগঞ্জে ২৮,মৌলভীবাজারে ৫৩ ও ওসমানী হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে করোনায় ৬ মৃত্যু
গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হওয়া ৪৪০ জনের মধ্যে সিলেটের সর্বোচ্চ ২৪৩ জন। এছাড়া, ওসমানী হাসপাতালে ২৩ জন, সুনামগঞ্জে ৭৮, হবিগঞ্জে ৬৩ ও মৌলভীবাজারে ৩৩ জন রয়েছেন। এনিয়ে বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৬৪৬ জন।
সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় এই বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫১ জন। রবিবার পর্যন্ত বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৮৫ জন।
আরও পড়ুন: করোনা ও উপসর্গে বরিশালে ১৫ মৃত্যু
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ১,২২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। একই সময় সুস্থ হয়েছেন ৪৭৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২৮ হাজার ৪১৯ জন।
সাতক্ষীরায় আরও ৯ মৃত্যু, ঢিলেঢালা লকডাউন
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও নয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৫১০ জন ও করোনায় ৮৩ জন মারা গেলেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে করোনায় ৬ মৃত্যু
এদিকে, তৃতীয় দিনের মত জেলায় দায়সারাভাবে চলছে কঠোর লকডাউন। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও হাট বাজারগুলোতে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না।
আংশিক খোলা রেখে শহরের অধিকাংশ দোকান পাটে বেঁচা-কেনা করা হচ্ছে। সড়কে জরুরি পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি বেড়েছে ছোট ছোট যান চলাচল। তবে বন্ধ রয়েছে দুরপাল্লার সকল প্রকার গণপরিবহন।
আরও পড়ুন: করোনা ও উপসর্গে বরিশালে ১৫ মৃত্যু
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানায়, জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় মামলা দেয়া হয়েছে ৪৫টি এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
লালমনিরহাটে করোনায় ইউপি সচিবের মৃত্যু
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ওবায়দুল হকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত ওবায়দুল হকের বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নে। তিনি প্রায় এক বছর ধরে ওই ইউনিয়নে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন বিএনপি নেতা রুহুল আমিন চৌধুরী
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চলবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৬ জুলাই অসুস্থ হয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হন ইউপি সচিব ওবায়দুল হক। পরে তার শরীরের অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন করোনা উপসর্গ দেখা দিলে রবিবার ভোরে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন জাপা মহাসচিবের ভাই শিল্পপতি হাসান মাহমুদ
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, হাসপাতালে থাকাকালীন তার শরীরে করোনা উপসর্গ ছিল।
ঝিনাইদহে করোনায় ৬ মৃত্যু
ঝিনাইদহে আবারও করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৬ জন। এছাড়াও নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮৯জন।
আরও পড়ুন: করোনা ও উপসর্গে বরিশালে ১৫ মৃত্যু
সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, শনিবার সকাল ৮ টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সদর হাসপাতালে করোনায় দুই জন ও উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও ২৪ ঘন্টায় আসা ৭১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭৯ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। আক্রান্তের হার ৩৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৪ জন, শৈলকুপায় ১৫, হরিণাকুন্ডে ১৮, কালীগঞ্জে ৪৯, কোটচাঁদপুরে ৩৫ ও মহেশপুরের আট জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ১০৫ জনে।
আরও পড়ুন: করোনায় খুলনা জেলায় ১১ মৃত্যু
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, হঠাৎ করেই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীর চাঁপ বেড়েছে। গত দুই দিন হাসপাতালে রোগী ভর্তি বেশি হচ্ছে। গত ২৩ জুলাই হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ৮৭ জন। সেখানে বর্তমানে রোগী ভর্তি রয়েছে ১০৬ জন।
করোনা ও উপসর্গে বরিশালে ১৫ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চার জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। একই সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭৬৬ জন।
রবিবার সকালে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় খুলনা জেলায় ১১ মৃত্যু
তিনি জানান, বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪২০ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতদের মধ্যে সকলেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল জেলার ২৭৩ জন, পটুয়াখালীর ১০৬, ভোলার ১০২, পিরোজপুরের ৫৯, বরগুনার ১১৯ ও ঝালকাঠি জেলার ১০৭ জন রয়েছেন।
নতুনদের নিয়ে বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ৯১১ জননে।
আরও পড়ুন: করোনা ও উপসর্গে কুষ্টিয়ায় আরও ১৯ মৃত্যু
এদিকে, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০০ বেড বিশিষ্ট করোনা ইউনিটে রবিবার পর্যন্ত ৩৩০ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ১৩৬ জনের করোনা পজিটিভ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
করোনায় খুলনা জেলায় ১১ মৃত্যু
খুলনার চারটি হাসপাতালে করোনায় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালে পাঁচ জন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে দুই, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে এক ও গাজী মেডিকেল হাসপাতালে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১১ মৃত্যু
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আট জন করে।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন পাঁচ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৫ জন, তার মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।
আরও পড়ুন: করোনা ও উপসর্গে কুষ্টিয়ায় আরও ১৯ মৃত্যু
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ১১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাত জন।
করোনা ও উপসর্গে কুষ্টিয়ায় আরও ১৯ মৃত্যু
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪ জন।
আরও পড়ুন: বরিশালে করোনা ও উপসর্গে ১১ জনের মৃত্যু
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ২০৮ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৪৮ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৬০ জন।
এদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৪১ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯১ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১৩ হাজার ১৯৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬৫ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫০৪ জন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১১ মৃত্যু
নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ৫২ জন, কুমারখালীর ২৬. দৌলতপুরের ৮৯, ভেড়ামারার ৩০, মিরপুরের ৪৯ ও খোকসা উপজেলায় ১৪ জন রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬৫৪ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২২৬ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ৪২৮ জন।
দেশে করোনায় মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়াল
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৯৫ জন মারা গেছে। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ হাজার ৪৬ জনে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে আরও ৬ হাজার ৭৮০ জনের। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জনে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৮২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় শনাক্তের হার শতকরা ৩২.৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ। সুস্থতার হার বেড়ে ৮৫.৬৯ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে ৬৮ জন, চট্টগ্রামে ৩৬ জন, খুলনায় ৪১ জন, রংপুরে ১৬ জন, বরিশালে ৫ জন, সিলেটে একজন, রাজশাহীতে ১৮ জন এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
পড়ুন: জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আড়াই লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
বিশ্ব পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ফলে পুরো বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ১০৫ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ কোটি ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৬২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩৭৮ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৩ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৫৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১০ হাজার ৭২০ জন।
পড়ুন: চীন থেকে ২৬ বা ২৭ জুলাই সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা আসবে
বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু প্রায় সাড়ে ৪১ লাখ
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার ৪৪৩ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৬২ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৭০ জনে।