রাজস্ব আয়
বেনাপোলে রাজস্ব আয় কমেছে ২৪০ কোটি টাকা
বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী বছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে এক হাজার ৩০৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সংসদে ৭.৯৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪.৮ লাখ কোটি টাকা
এ সময় পণ্য আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬১৫ মেট্রিক টন। আর রপ্তানি করা হয়েছে ৯ হাজার ৬৪৯ মেট্রিক টন।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি করা হয়েছিল ২৬ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। ২০১৯-২১ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি করা হয় ২০ লাখ ১১ হাজার ৬ মেট্রিক টন পণ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের দাম ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণ দেখিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়েছেন। বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পণ্য আমদানি কমিয়েছেন। তারা দেশের পরিস্থিতি দেখছেন। আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক গতি পাবে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক আনু জানান, গত আগস্ট মাসে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের পরিস্থিতি কীভাবে চলবে তা পর্যবেক্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা। অনুকূল পরিবেশ থাকলে সামনে বাণিজ্য গতি ফিরে আসবে।
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, দেশে জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলন চলায় ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সামনে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে। তখন রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে। সরকার পরিবর্তনে ব্যবসা বাণিজ্য কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা দেশের পরিস্থিতি কোথায় যায় সেটি দেখছেন। আবার ডলারের উচ্চমূল্যও একটি বড় ব্যাপার। তবে আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে বাণিজ্য গতি পাবে।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, গেল জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে আন্দোলন চলার কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি থেকে বিরত থেকেছেন। এখন ডলারের পরিস্থিতিও স্থিতিশীল। আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে ব্যবসায়ীরা পুরোদমে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু করবেন। তখন রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থল বন্দরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয়
৩ সপ্তাহ আগে
তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ আত্মা’র
রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকপণ্যের দাম ও কর কার্যকরভাবে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এই দাবি জানায় সংগঠনটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
এ সভায় আত্মা’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, কর ও মূল্য প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জন সম্ভব হবে। এই বর্ধিত রাজস্ব চলমান আর্থিক সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় পাঁচ লাখ তরুণসহ মোট ১১ লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।
সভায় বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন, তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত ৭টি মহানগরীর (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল এবং রংপুর) নিত্যপণ্যের গড় খুচরা মূল্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২১ সালের (৪ জুলাই) তুলনায় ২০২৩ সালে (৪ জুলাই) খোলা চিনির দাম বেড়েছে ৮৯ শতাংশ, আলু ৮৭ শতাংশ, খোলা আটা ৭৫ শতাংশ, পাঙ্গাস মাছ ৪৭ শতাংশ, ডিম ৪৩ শতাংশ, সয়াবিন তেল ৩৪ শতাংশ, গুঁড়ো দুধ ৩০ শতাংশ, এবং ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২৭ শতাংশ। অথচ একইসময়ে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম বেড়েছে মাত্র ৬ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনায় তামাকের দাম কমবে: প্রজ্ঞা
সভায় আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৬০ টাকা নির্ধারণ করে ৬৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব জানায় আত্মা। প্রতি ১০ শলাকা মধ্যম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা, উচ্চ স্তরের খুচরা মূল্য ১২৫ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এই তিনটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়াও ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়।
প্রাক-বাজেট সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে বাজেটে তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অ্যাডভেলোরেম-এর পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতি চালুর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
প্রাক-বাজেট সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তা, আত্মা’র প্রতিনিধি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলোক, আত্মা’র আহ্বায়ক মর্তুজা হায়দার লিটন ছিলেন।
আরও পড়ুন: তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে তামাক কোম্পানি!
৯ মাস আগে
রবির ৫ কোটি ৭৬ লাখ গ্রাহকের আস্থায় কর পরবর্তী মুনাফা ১০৬ কোটি টাকা
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রবি আজিয়াটা লিমিটেডের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অর্জিত আয়ের ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে কোম্পানিটি, যার পরিমাণ ১ হাজার ৩৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ফলে রবি আজিয়াটা লিমিটেড কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১০৬ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এল২৬০০ স্পেকট্রাম স্থাপনের মাধ্যমে সারাদেশে রবি'র নেটওয়ার্ক সেবা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। ফলে রবি’র নেটওয়ার্কের প্রতি গ্রাহকের আস্থা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এ কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৭৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ফলে তৃতীয় প্রান্তিকে ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ মার্জিন সহ রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) ১ হাজার ১৮৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শূন্য দশমিক ২০ টাকা।
আরও পড়ুন: সেলার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দারাজ সেলার সামিট-২০২৩
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এবছর তৃতীয় প্রান্তিকে ১২ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় রবি’র মোট গ্রাহক এখন ৫ কোটি ৭৬ লাখ যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশ।
একইসঙ্গে এই প্রান্তিকে রবি নেটওয়ার্কে ১১ লাখ নতুন ডেটা ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছে। ফলে রবি’র মোট ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৪ কোটি ৪২ লাখ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রবি নেটওয়ার্কে ১৮ লাখ নুতন ফোরজি গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় রবি’র ফোরজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৩ কোটি ৪২ লাখ যা মোট গ্রাহকের ৫৯ শতাংশ এবং মোট ডেটা ব্যবহারকারীর ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
এই প্রান্তিকে রবি’র ডেটা গ্রাহকরা প্রতি মাসে গড়ে ৬ দশমিক ৬৭ জিবি ডেটা ব্যবহার করেছেন এবং রবি’র মোট রিচার্জের ৪৬ শতাংশ ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ ওয়ালটনের
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি বলেন, দৃঢ় আর্থিক ভিত্তি, ফোরজি নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এবং ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে আমরা সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি। নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ক্রমাগত বিনিয়োগের ফলে রবি'র ওপর গ্রাহকের আস্থাও বাড়ছে। যার বড় প্রমাণ হলো এই প্রান্তিকে আমাদের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছেন ১২ লাখ গ্রাহক।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও বেগবান করতে এবং ফাইভজিসহ প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ধারায় তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের সামগ্রিক নীতিমালা ও কর আদায় প্রক্রিয়া সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবস্থাপনা এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবিষয়ে নজর দেবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবছরের তৃতীয় প্রান্তিক ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে তুলনা দেখানো হয় যেখানে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২০২৩) তুলনায় এবছরে তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) রবির আয় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ডাটা আয় ৬ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ইবিআইটিডিএ গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম প্রান্তিকে ২০২.০৭ কোটি টাকা মুনাফাসহ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে ওয়ালটন
১ বছর আগে
বেনাপোল স্থল বন্দরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয়
টানা ১১ বছর ঘাটতির পর বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি বাণিজ্যে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর কারণেই এমন সফলতা এসেছে বলে দাবি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।
দেশে সরকার অনুমোদিত ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র ১২টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে বেনাপোল বন্দর থেকে।
কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতায় গত ১১ বছর ধরে আমদানি বাণিজ্য থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছিল না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম প্রান্তিকে জিপির রাজস্ব আয় ৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বন্দরে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫৫৮ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা।
এছাড়া ২০১৯-২০, ২০১৮-১৯ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যথাক্রমে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা, ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা ও ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
আর ২০১৫-১৬, ২০১৪-১৫, ২০১৩-১৪, ২০১২-১৩ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে যথাক্রমে ২০৩ কোটি টাকা, ৮ কোটি ৭১ লাখ, ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ, ৪৫২ কোটি ৮৯ লাখ ও ১৯৪ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি ছিল।
তবে পেছনের সেই ব্যর্থতা ঘুচে ১১ বছরের রেকর্ড ভেঙে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে বন্দরটি থেকে সরকারের রাজস্ব এসেছে ৫ হাজার ৩৬০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ হাজার ২২৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালুর কারণেই এসেছে এমন সফলতা। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু বেনাপোল বন্দরের সাফল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বছরের তুলনায় রাজস্ব আয়ের পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়েছে।
এদিকে পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা যশোরের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরমুখী হচ্ছেন। পুরানো রেকর্ড ভেঙে আমদানি, রপ্তানিও বেড়েছে এ বন্দর দিয়ে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৪১৯ দশমিক ০৩ মেট্রিক টন পণ্য। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৯ হাজার ৫৫২ মেট্রিক টন বেশি। আর ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৯ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকারও বেশি পণ্য। যার পরিমাণ ৪ লাখ ৫২ হাজার ৩১০ দশমিক শূন্য ৭ মেট্রিক টন।
যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ বিপুল বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অনেক সহজ হয়েছে। এখন বেনাপোল থেকে পণ্য নিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছানো যায়।
এদিকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব বাড়ার ধারাবাহিক সফলতা আরও বাড়াতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দেয়ার কথা জানান বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। খুব শিগগিরই বন্দরটি আরও আধুনিক বন্দরে পরিণত হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজস্ব আয় কমেছে নাকুগাঁও স্থলবন্দরে
আগামী অর্থবছরে বাড়ছে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
১ বছর আগে
পদ্মা সেতু: প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৮২ লাখ টাকার বেশি টোল আদায়
বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু রবিবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এ দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতু পার হওয়া যানবাহন থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে ৮২ লাখ ১৯ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছে সরকার।
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘আজ (রবিবার) দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮২ লাখ ১৯ হাজার টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন: বাংলাদেশকে নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার অভিনন্দন
তিনি বলেন, এ সময়ে প্রায় ১৫ হাজার ২০০ যানবাহন সেতুটি অতিক্রম করেছে।
বিবিএ জানায়, আগামী ৩৫ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠে যাবে বলে আশা করছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় বিবিএকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং তা ৩৫ বছরের মধ্যে এক শতাংশ সুদের হারে পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন থামানো, হাঁটা ও ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এছাড়া সেতু পার হওয়ার সময় সবাইকে টোল দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
২ বছর আগে
সুন্দরবনে মধু আহরণ শুরু
দেশে মধু উৎপাদনের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র সুন্দরবনে আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকে মধু আহরণ শুরু হচ্ছে। এ বছর ১৫ দিন আগেই শুরু হচ্ছে মধু ও মোম সংগ্রহের কাজ।
এবার সুন্দরবনে মধু ও মোম সংগ্রহে বাড়তি রাজস্ব গুণতে হবে মৌয়ালদের। সুন্দরবন ভ্রমণ, মধু, মোমসহ প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে রাজস্ব আদায়ের হার বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারির গেজেট অনুযায়ী সুন্দরবনের প্রতি কুইন্টাল মধু সংগ্রহে রাজস্ব নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৬০০ টাকা। যা পূর্বে ছিল এক হাজার টাকা। ফলে প্রতি কুইন্টাল মধুতে রাজস্ব বেড়েছে ৬০০ টাকা। আর প্রতি কেজি মধুতে বেড়েছে ৬ টাকা।
একই সাথে প্রতি কুইন্টাল মোম সংগ্রহে রাজস্ব বেড়েছে ২০০ টাকা। আর প্রতি কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। পূর্বে প্রতি কুইন্টাল মোমে রাজস্ব দিতে হতো ২ হাজার টাকা। বর্তমানে বাড়িয়ে তা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা।
বন বিভাগের সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সুন্দরবন থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার ২৪০ কেজি মধু ও মোম সংগ্রহ করা হয়। মধু ও মোম থেকে থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৪৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪১৩ টাকা। এর মধ্যে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৫ কেজি মধু থেকে ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৩ টাকা এবং এক লাখ ৩৩ হাজার ৯০৫ কেজি মোম থেকে ১৩ লাখ ৩৯০ হাজার ৫০ টাকা রাজস্ব আয় হয়।
জানা গেছে, ১৮৬০ সাল থেকে সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করা হয়। বনসংলগ্ন একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বংশ পরম্পরায় মধু সংগ্রহ করে। এদের মৌয়াল বলা হয়। সুন্দরবনের সবচেয়ে ভালো মানের মধু খোলসী ফুলের ‘পদ্ম মধু’। মানের দিক থেকে এরপরেই গরান ও গর্জন ফুলের ‘বালিহার মধু’। মৌসুমের একেবারে শেষে আসা কেওড়া ও গেওয়া ফুলের মধু অপেক্ষাকৃত কম সুস্বাদু। মধু সংগ্রহের জন্য প্রতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে তিন মাসের (এপ্রিল, মে ও জুন) জন্য বন বিভাগ মৌয়ালদের অনুমতিপত্র (পাস) দেয়। মধু সংগ্রহ করতে যাওয়ার আগে বিশেষ প্রার্থনা করে নেন মৌয়ালরা। এবার ১৫ দিন আগেই অর্থাৎ ১৫ মার্চ থেকে মধু সংগ্রহের পাস পারমিট দিচ্ছে বন বিভাগ।
পড়ুন: সুন্দরবনের রাজস্ব বৃদ্ধিতে ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, আগে মৌয়ালদের পাস-পারমিট দেয়া হতো। কিন্তু কিছু মৌয়াল পাস-পারমিট না নিয়ে অবৈধভাবে আগেই বনে ঢুকে মধু আহরণ শুরু করেন। এর ফলে পাস-পারমিট নিয়ে বনে যাওয়া মৌয়ালরা তাদের কাঙ্ক্ষিত মধু আহরণ করতে পারেন না। বনের মৌচাকগুলোতে ১৫ মার্চ থেকেই মধু পাওয়া যায়। সে কারণে এ বছর ১৫ মার্চ থেকে মধু সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, এবার ১৫ মার্চ থেকে সুন্দরবনে মধু ও মোম আহরণের পাস দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, এবার মধু ও মোম সংগ্রহে রাজস্ব বেড়েছে। প্রতি কেজি মধুতে ৬ টাকা এবং প্রতি কেজি মোম সংগ্রহে ২ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
পড়ুন: সুন্দরবনে লবণাক্ততা বাড়ছে, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য
২ বছর আগে
ছুটির দিনেও খোলা ছিল বেনাপোল কাস্টম হাউস
করোনা ঝুঁকির মধ্যে সরকারি ছুটির দিনেও আজ শনিবার খোলা ছিল বেনাপোল কাস্টম হাউস। দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সচল থাকলেও ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। বেনাপোল বন্দর থেকে কিছু মালামাল খালাস হয়েছে। তবে তেমন একটা আশানুরূপ ফল আসেনি রাজস্ব আদায়ে।
কাস্টমস সুত্র বলছে, জুন ক্লোজিংয়ে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে সরকারি ছুটির দিনেও বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও স্থল বন্দর খোলা রাখার নির্দেশনা দেন কাস্টমস কমিশনার মো: আজিজুর রহমান। কাস্টমস কর্মকর্তারা অফিস খোলা রেখে সারাদিন তাদের দপ্তরে সামান্য কিছু বিল অফ এনট্রির কাজ করেছেন। কাস্টমস হাউসে পণ্যের শুল্কায়ন ও মালামাল কায়িক পরীক্ষা হয়েছে যথাসামান্য। বন্দর থকে অল্প পরিমাণ মালামাল খালাস হলেও ভারত থেকে ২১৮ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে। ভারতে রপ্তানি হয়েছে ১৪২ ট্রাক মালামাল।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জন্য। ভয়াবহ করোনার মধ্যেও বেনাপোল কাস্টমস হাউস ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে আজ শনিবার পর্যন্ত। যার প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫৭% ।
বেনাপোল কাস্টমস’র অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, সরকারি ছুটির দিনেও কাস্টমস ও বন্দর খোলা রাখা হয়েছে রাজস্ব আয়ের স্বার্থে। ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তবে দুই দুদেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য ছিল আশানুরূপ। দেশের স্বার্থে ছুটির দিনেও কাস্টমস ও বন্দর খোলা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ভায়াগ্রার চালান আটক
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান জানান, করোনার ঝুকির মধ্যেও সরকারি ছুটির দিনে কাস্টমস হাউস ও বন্দর খোলা রাখা হয়েছে শুধু মাত্র রাজস্ব আয় বাড়াতে। আজ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার আয় হয়েছে। ২১৮ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে ও রপ্তানি হয়েছে ১৪২ ট্রাক পণ্য।
৩ বছর আগে
প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অন্তরায়
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে সব ধরনের তামাকপণ্য আরও সহজলভ্য হবে এবং তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাকের ব্যবহার বাড়বে বলে জানিয়েছে তামাকবিরোধী আন্দোলনের নেতারা।
৩ বছর আগে
বছরের প্রথম প্রান্তিকে জিপির রাজস্ব আয় ৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা
গ্রামীণফোন (জিপি) ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
৪ বছর আগে