করোনা ঝুঁকির মধ্যে সরকারি ছুটির দিনেও আজ শনিবার খোলা ছিল বেনাপোল কাস্টম হাউস। দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সচল থাকলেও ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। বেনাপোল বন্দর থেকে কিছু মালামাল খালাস হয়েছে। তবে তেমন একটা আশানুরূপ ফল আসেনি রাজস্ব আদায়ে।
কাস্টমস সুত্র বলছে, জুন ক্লোজিংয়ে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে সরকারি ছুটির দিনেও বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও স্থল বন্দর খোলা রাখার নির্দেশনা দেন কাস্টমস কমিশনার মো: আজিজুর রহমান। কাস্টমস কর্মকর্তারা অফিস খোলা রেখে সারাদিন তাদের দপ্তরে সামান্য কিছু বিল অফ এনট্রির কাজ করেছেন। কাস্টমস হাউসে পণ্যের শুল্কায়ন ও মালামাল কায়িক পরীক্ষা হয়েছে যথাসামান্য। বন্দর থকে অল্প পরিমাণ মালামাল খালাস হলেও ভারত থেকে ২১৮ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে। ভারতে রপ্তানি হয়েছে ১৪২ ট্রাক মালামাল।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জন্য। ভয়াবহ করোনার মধ্যেও বেনাপোল কাস্টমস হাউস ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে আজ শনিবার পর্যন্ত। যার প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫৭% ।
বেনাপোল কাস্টমস’র অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, সরকারি ছুটির দিনেও কাস্টমস ও বন্দর খোলা রাখা হয়েছে রাজস্ব আয়ের স্বার্থে। ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তবে দুই দুদেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য ছিল আশানুরূপ। দেশের স্বার্থে ছুটির দিনেও কাস্টমস ও বন্দর খোলা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ভায়াগ্রার চালান আটক
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান জানান, করোনার ঝুকির মধ্যেও সরকারি ছুটির দিনে কাস্টমস হাউস ও বন্দর খোলা রাখা হয়েছে শুধু মাত্র রাজস্ব আয় বাড়াতে। আজ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার আয় হয়েছে। ২১৮ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে ও রপ্তানি হয়েছে ১৪২ ট্রাক পণ্য।