দুর্নীতি
দুর্নীতি মামলা: আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন হাজী সেলিম
আওয়ামী লীগের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের রবিবার বিকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করার কথা রয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসার জন্য বিদেশ সফরে যাওয়ায় সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল।
হাজী সেলিমের আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ রাজা জানান, দুপুর ২টার দিকে তিনি বিশেষ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলামের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম গত ২ মে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যান এবং ৫ মে দেশে ফেরেন।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাংসদ আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে এবং তার জামিন আদেশ বাতিল করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই রায়ের পর সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাজী সেলিম এমপি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আইন মেনে দেশে ফিরেছেন হাজী সেলিম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন।
একই সঙ্গে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা একই মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য।
সেলিমের জরিমানা অর্ধেক কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করেছেন হাইকোর্ট। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও এক বছর জেল খাটতে হবে।
২০০৭ সালে সেলিমের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার একটি আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান সেলিম।
২০১১ সালে আদালত তার সাজা বাতিল করে, তবে দুদক পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টে আবেদনের পুনঃশুনানি করতে বলেন।
২০২০ সালে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার জন্য তার ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করার পর সেলিমের অনিয়ম আবারো আলোচিত হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় হাজী সেলিমের ১০ বছর দণ্ডের রায় হাইকোর্টে বহাল
হাজী সেলিমের ১৩ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৯ মার্চ
নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিনের আদেশ বৃহস্পতিবার
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় অভিযুক্ত চার আসামির করা পৃথক আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। বুধবার শুনানি গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার পুনরায় শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ শেষে এদিন আদেশ দেবেন। জামিন আবেদনকারী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য হলেন-এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল এবং ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন মানিক।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত ২৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন বলে কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানান।
মামলার আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ডের চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা দেয়। পরবর্তীতে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। পরবর্তীতে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। ‘অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।’
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ২০১০ অনুযায়ী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে ভারতকে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ: হাইকোর্ট
চট্টগ্রামে সস্ত্রীক সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুদকের আরও মামলা
এনামুল বাছিরের সাজা কেন বাড়ানো হবে না, জানতে হাইকোর্টের রুল
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালক এনামুল বাছিরকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের দেয়া পাঁচ বছরের সাজা কেন বাড়ানো হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: কোন কোন দেশে টাকা পাচার করেছেন পিকে হালদার, জানতে চান হাইকোর্ট
এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিচারিক আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ৬ এপ্রিল খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন এনামুল বাছির। পাশাপাশি তার সাজা বাড়াতে দুদক গতকাল সোমবার হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিলের ওপর মুনানি নিয়ে আজ রুল দেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানের তিন বছর ও দুদকের তৎকালীন পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আট বছর (তথ্যপাচারে তিন ও ঘুষ লেনদেনে পাঁচ বছর) কারাদণ্ডের রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেন মিজান।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে ভারতকে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ: হাইকোর্ট
সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দুদক
বিএনপির মুখে অর্থ পাচার নিয়ে কথা মানায় না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার ভাই অর্থ পাচারের দায়ে আদালতে দণ্ডিত, যাদের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কালো টাকা সাদা করেছেন, যাদের আমলে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, তাদের মুখে অর্থ পাচার নিয়ে কথা মানায় না।’পিকে হালদার ধরা পড়ার পর বিএনপি নেতারা অর্থ পাচার নিয়ে নানা কথা বলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অর্থ পাচারের বিষয়ে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দেয়, তার ভাইয়ের অর্থ পাচার সিঙ্গাপুরে উদঘাটিত হয় এবং সেই অর্থ ফেরত আনা হয় ও দুর্নীতির কারণে তারা তো বিশ্বচোর ছাড়া কিছু নয় এবং বয়সে আমার জ্যেষ্ঠ ফখরুল সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই আমি অপ্রিয় হলেও সত্য একটি কথা বলতে চাই, তিনি সেই বিশ্বচোরের মুখপাত্র।’সোমবার দুপুরে রাজধানী শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনঃ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুন:প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রে উত্তোলন এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো বিএনপি নেতারা আগেই পালিয়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রীড. হাছান আরও বলেন, ‘যারা এই ধরনের অর্থ পাচার করেছে, আমরা সেগুলো উদঘাটন করছি, তাদেরকে আইনের আওতায় আনছি এবং সেই কারণেই পিকে হালদার ধরা পড়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং তার ভাই ছাড়াও আরও কারা অর্থ পাচার করেছে আমাদের জানা আছে, আস্তে আস্তে সেগুলোও আপনারা জানতে পারবেন। আমরা সেগুলো উদঘাটন করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন এবং এটি অব্যাহত থাকবে।’সরকারকে শ্রীলংকার উদাহরণ দেয়াকে বিএনপির অনর্থক অপপ্রচার বলে বর্ণনা করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘শ্রীলংকার উদাহরণ বাংলাদেশকে দিয়ে লাভ নেই। যে দেশ নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে, যে দেশ শ্রীলংকাকে দুইশ’ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় এবং ফেরত দিতে পারছে না বিধায় ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আমরা বাড়িয়ে দিয়েছি, সেই দেশ, সেই সরকারকে এই উদাহরণ দেয়া অনর্থক এবং অপপ্রচার।’
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক ও অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের কথা বলে বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে নিজেরাই মারামারি করে। আমরা এখনও মাঠে নামি নাই, যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়, আমরা মাঠে নামবো। যারা উঁচু গলায় বক্তৃতা করেন, কি হলে, কি করলে তারা গর্তে লুকাবেন সেটা আমরা ভালো করেই জানি।’এর আগে বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিলো না, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যকন্যা যার ধমনিতে শিরায় বঙ্গবন্ধু রক্তস্রোত প্রবহমান, যার কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ প্রতিধ্বনি হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্রের অগ্নিবীণা, অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠকণ্ঠের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে: তথ্যমন্ত্রীড. হাছান বলেন, ‘গত ৪১ বছরে পথ চলায় সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকেছেন এবং আছেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র বাক্সবন্দি থেকে মুক্ত হয়েছে। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে।’আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে ও বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুস সামাদ, সামাজিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বিশিষ্ট কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায়।
দেশ এখন দুর্নীতির আখড়া: আবদুল আউয়াল
সরকার দেশকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেট ভারী হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি বিদেশে পাচার করছে।’
শনিবার (১৪ মে) চাঁদপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে সবাই আমাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চায়। কিন্তু আমাদের অপরাধটা কি? আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা বলতে চাই, এই সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর অপরাধ সীমাহীন। তিনি দিনের ভোট রাতে করেছেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছেন। অন্যায়ভাবে আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছেন। দেশটাকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা আমাদের দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে আটকে রাখার বিচার চাই। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না এই অবৈধ সরকার। আমরা এর বিচার চাই।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্লাহ সেলিমের পরিচালনায় এনডিপির চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের, বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান, এম এ হান্নান, মাহবুব আনোয়ার বাবলু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো বিএনপি নেতারা আগেই পালিয়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী
দেশে আওয়ামী দুঃশাসন চলছে: বুলু
এদিকে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী দুঃশাসন চলছে। মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, চলার স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমকে হুমকি-ধমকি দিয়ে দমিয়ে রাখা হয়েছে।
শনিবার ফেনী জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, দেশের দুঃশাসন রাজত্ব কায়েম করে সরকারের মন্ত্রী এমপি ও ক্ষমতাসীন নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশ পাচার করছে। কিন্তু দেশের মানুষ খেতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ কষ্টে আছে।
জেলা বিএনপি আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুন, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন প্রমুখ এসময় বক্তব্য দেন।
৩ বিদ্যুৎ প্রকল্পে জমি ক্রয়ে ৩৯০ কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি
দেশের দুটি কয়লা ভিত্তিক ও একটি এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে।
বুধবার উপস্থাপন করা টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমপক্ষে ৩৯০ দশমিক ৪৯ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে যা সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রতিনিধি ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া এতে বলা হয়, একই ধরনের প্রকল্পের তুলনায় বিদ্যুতের দামও বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় সাবেক ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন খারিজ
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো: পাওয়ারচীন কনসোর্টিয়ামের বরিশাল ৩৫০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এস আলম গ্রুপের বাঁশখালী এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এসএস বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির মাতারবাড়ি ৬০০ মেগাওয়াট এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় সাংবাদিকদের ভার্চুয়ালি ব্রিফিংকালে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুর্নীতি খুঁজে বের করতে আমাদের গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মান ও অনুশীলন বজায় রেখেছি...। অভিযোগ প্রমাণের জন্য আমাদের হাতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র রয়েছে।’
টিআইবির মাহ্ফুজুল হক ও নেওয়াজুল মাওলা ‘বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্প: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে: আপিল বিভাগ
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো ব্যক্তি বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে যেতে চাইলে সংস্থাটি সহযোগিতা করবে।
‘টিআইবি তার নীতি ও মান অনুযায়ী এই ধরনের উদ্যোগে সহযোগিতা করবে।’ সরকার ও অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে গবেষণাটি বিনিময় করবে বলেও জানায় দুর্নীতি পর্যবেক্ষক সংস্থাটি।
জমি ক্রয় ও সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি সই করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন-কানুন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে জানায় সংস্থাটি।
সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঈদে আমরা সব সময়ই আশা করি, দেশের সব মানুষ আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ঈদুল ফিতর আনন্দে উদযাপন করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের সংকটের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছে বিএনপি
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রার্থনা করেছি যাতে স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করতে সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং আরও ৬০০ জনকে গুম করা হয়েছে। মানুষ তাদের মৌলিক মানবাধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ব্যাংককে গেলেও সরকার দীর্ঘদিন ধরে শুধু রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাজী সেলিমের বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা প্রমাণ করে খালেদাকে রাজনৈতিক কারণে ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ফখরুলের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানসহ দলের সিনিয়র নেতারা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া পাঠ করেন।
আরও পড়ুন: হারানো অধিকার ফিরে পেতে সোচ্চার হউন: মির্জা ফখরুল
ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছে: ফখরুল
দুর্নীতির মামলায় সু চির ৫ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে। বুধবার সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত এই রায় দিয়েছেন।
যদিও গত বছর সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সু চি, একজন শীর্ষ রাজনৈতিক সহকর্মীর কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে স্বর্ণ এবং কয়েক হাজার ডলার গ্রহণ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তার সমর্থকরা এবং স্বাধীন আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ রায়ের মাধ্যমে সু চিকে অসম্মান এবং ৭৬ বছর বয়সী এ নেতাকে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় ফিরে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড
অনেকেই সু চির সাজার সিদ্ধান্ত সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেয়ার অন্যতম পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।
তিনি ইতোমধ্যে অন্যান্য মামলায় ছয় বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত আছেন এবং আরও ১০ টি দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
বুধবারের এ রায়ের খবর নাম প্রকাশে অপারগ এক আইনি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
সু চির এ বিচার কার্যক্রম গণমাধ্যম ও দর্শকদের দেখার সুযোগ দেয়া হয়নি। এছাড়া এই নেত্রীর পক্ষের আইনজীবীদেরও গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান
ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মাজনুন মিজান
সপ্তাহ পার হলেই ঈদুল ফিতর। আর শেষ সময়ে শোবিজ তারকাদের কাজের চাপ যেন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনই কর্মব্যস্ততায় সময় পার করছেন অভিনেতা মাজনুন মিজান।
এবার ঈদে মাজনুন মিজানের মূল আকর্ষণ থাকছে ওটিটি ঘিরে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘বিঞ্জ’-এ ঈদের দিন মুক্তি পাবে ওয়েব সিরিজ ‘আইজ্যাক লিটন’। যেখানে সাদা পোশাকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিজান। আর কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে।
আশরাফুজ্জামান পরিচালিত ওয়েব সিরিজটি প্রসঙ্গে মাজনুন মিজান ইউএনবিকে বলেন, ‘এটি ব্যাঙ্গাত্মক ঘরানার একটি গল্প। একজন বিজ্ঞানী দেশের দুর্নীতিবাজদের জন্য ভাইরাস আবিস্কার করেন। কিন্তু পরবর্তীতি তিনি নিজেই খুনের দায়ে ফেঁসে যান। যার দায়িত্ব পরে আমার ওপর।’
আরও পড়ুন: রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেও আমাকে কেউ চিনত না: জয়া আহসান
মিজান আরও বলেন, ‘ওয়েব সিরিজটি বিনোদনের জন্য নির্মাণ করা হলেও এখানে সামাজিক অনেক বাস্তবতা দেখানো হয়েছে। গল্পের জায়গা থেকে অনেকগুলো স্ট্রং পয়েন্ট আছে। আশা করি দর্শকদের ভালো লাগবে।’
অন্যদিকে একাধিক ঈদের বিশেষ নাটকেও অভিনয় করেছেন মাজনুন মিজান। এরমধ্যে ‘গোলাপজান রোড’ নাটকটির কথা উল্লেখ করে অভিনেতা বলেন, ‘একটি তরুণ টিমের সঙ্গে কাজ করলাম। যারা সিনেমা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। আর শুরুতে তাদের এতো গোছানো প্রোডাকশন দেখে দারুণ লেগেছে।’
আরও পড়ুন: মনোজ ও ফারিয়ার ‘লাভ জার্নি’
এবার ঈদে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মিজানের একাধিক সিনেমা প্রচার করা হবে। সেগুলো হলো ‘ভূবন মাঝি’, ‘গন্ডি’ ও ‘মিশন এক্সট্রিম।
সম্প্রতি এই অভিনেতা শেষ করেছেন ‘জ্যঁ ক্যয়ে’ সিনেমার শুটিং।
তিনি জানান, সিনেমাটি পোস্ট প্রোডকশনের কাজও প্রায় শেষ। শিগগিরই হয়তো মুক্তির ব্যাপরেও জানা যাবে। এছাড়াও মাজনুন মিজানের হাতে রয়েছে ‘গন্ডি ২’ সিনেমার কাজ।
আরও পড়ুন: ঈদে ‘ইত্যাদি’তে দর্শকের মুখোমুখি অপূর্ব-পূর্ণিমা
আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী দলগুলোর ঐক্য চান ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং ভুল বোঝাবুঝি দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ, যেখানে সর্বত্র দুর্নীতি এবং দ্রব্যমূল্য অসহনীয়।
এক ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই বিএনপি নেতা বলেন, দেশকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বের করে আনার বড় দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। আমাদের এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানবাধিকার, জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ কারণেই আমরা সব সময় জাতীয় ঐক্যের কথা বলি।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিবেদনে দেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত অবস্থা ফুটে উঠেছে: বিএনপি
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান ‘গণতন্ত্রবিরোধী’ শাসনব্যবস্থা ছাড়তে বাধ্য করতে হবে।
তিনি বলেন, তাদের দলের লক্ষ্য হচ্ছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠা করা।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারকে অপসারণে ভূমিকা পালনকারী সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে পরবর্তী সরকার গঠন করা হবে।
২০ দলীয় জোটের শরিক দলসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার আহ্বান বিএনপির