টিকা
চীনের ‘করোনাভ্যাক’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সাইন্স কোম্পানির তৈরি ‘করোনভ্যাক’ ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এম/এস ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিনের আবেদনের ভিত্তিতে রবিবার এই অনুমোদনের সিদ্ধান্ত জানায় সংস্থাটি। এর আগে গত ৩ জুন ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন এটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।
আরও পড়ুন: চীনা টিকার মূল্য প্রকাশ: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার
‘করোনভ্যাকের’ বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে এম/এস ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিন লিমিটেড।
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ব্যবহৃত এই করোনা ভ্যাকসিন ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।
ঔষধ প্রশাসনের প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনা কর্তৃপক্ষ গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই ভ্যাক্সিনটির অনুমোদন দেয়। বর্তমানে বিশ্বের ২২টি দেশে এই কোভিড-১৯ টিকার ব্যবহার হচ্ছে।
করোনভ্যাক বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত করোনার পঞ্চম ভ্যাকসিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে আগ্রহী চীন
এই ভ্যাকসিনটির দু’টি ডোজ দেয়া হবে। উল্লেখ্য যে, এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে।
এর আগে চীন সরকারের উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্মের করোনা টিকা গত ১২ মে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।
চীনের উপহার ছয় লাখ টিকা আসবে ১৩ জুন
জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে চীন সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দেয়া কোভিড-১৯ টিকার চালান দেশে আসবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে বলেন,‘ ১৩ জুনের মধ্যে উপহার হিসেবে ৬ লাখ টিকা দিতে প্রস্তুত চীন সরকার।’
তিনি বলেন, 'আশা করছি আমাদের বাংলাদেশি ভাই ও বোনেরা ওই তারিখের আগেই প্রয়োজনীয় টিকা পেয়ে যাবে।’
আরোও পড়ুন: করোনা মোকাবিলা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেডিকেল সামগ্রী দেশের পথে
এর আগে গত ১২ মে চীন বাংলাদেশকে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয়। এর ৯ দিন পর দ্বিতীয় দফায় আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেয়ার ঘোষণা দেয় চীন।
এদিকে, চীনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন সিনোফার্ম টিকার দাম প্রকাশের পর উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার।
বিভিন্ন কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে পূর্ব নির্ধারিত দামে দেড় কোটি টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত দাম প্রকাশের পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে।
সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘চীনা ভ্যাকসিন নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। আমরা সমস্যা নিরসনে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ইতোমধ্যেই পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এর সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
কোভিড-১৯: প্রতি মাসে ২৫ লাখ লোককে টিকা দেবে সরকার
দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে পর্যায়ক্রমে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকার প্রতি মাসে ২৫ লাখ লোককে টিকা দেবে।
বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনের সময় তিনি এই ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে ৮০ শতাংশ লোককে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের টিকা দেয়া হবে এবং প্রতি মাসে ২৫ লাখ টিকা দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী
সরকার সবার জন্য বিনামূল্যে টিকা দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রসঙ্গে কামাল বলেন, ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয় ডোজ সংগ্রহের জন্য যা ব্যয় হবে সেই তহবিল বরাদ্দ করব। বাজেটে এই লক্ষ্যে আমরা পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখব।
তিনি বলেন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী (ইপিআই) এবং কমিউনিকেশন ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
কামাল বলেন, কোভিড-১৯ থেকে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য ইপিআইয়ের আওতায় জাতীয় স্থাপনা ও টিকাদান পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়ার সরকার, আমেরিকা থেকে ফাইজার কোম্পানি, ফ্রান্স থেকে সানোফি এবং বেলজিয়াম থেকে জিএসকে ভ্যাকসিন ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। চীন থেকে সিনোফার্ম ভ্যাকসিন এবং রাশিয়া থেকে স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশেই এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে।
এদিকে, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৭০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। ভারত ও চীন সরকার উপহার হিসাবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের যথাক্রমে ৩২ লাখ ডোজ এবং ৫ লাখ ডোজ দিয়েছে বাংলাদেশকে।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পেতে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং টিকা প্রদান কার্যক্রম সহায়তার জন্য ১৪.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য এডিবি'র সাথে ৯৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক এবং এআইআইবির কাছ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সাহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যু সংখ্যা ১২ হাজার ৬৬০ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া একদিনে ১ হাজার ৭৬৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ২ হাজার ৩০৫ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জন মারা গেছেন। এছাড়া ১ হাজার ৭১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকার সুযোগ আছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৯.৬৭ শতাংশ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ২৫০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে আরও ৩৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৭.৯১ শতাংশ
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৭৯ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ৪২ হাজার ১৫১ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫০ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৮ শতাংশ।
এদিকে, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় ফাইজারের ১ লাখ ৬০২ ডোজ টিকা সোমবার রাতে ঢাকায় পৌঁছেছে।
বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. নাসরিন আক্তার বলেন, রাত ১১টা ১০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা টিকাগুলো গ্রহণ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গঠিত টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের এই টিকা দেশে আসল।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্ব জুড়ে করোনার টিকা কার্যক্রম পরিচালনার পরও দিন-দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। সেই সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ।
ইতোমধ্যেই বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ২৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯১৫ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৯২ ছাড়ালো
বিশ্বে এ পর্যন্ত ১৮৯ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৫৩৭ ডোজ ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৩৮০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬৮ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৪ জন এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ১০০ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৯১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫৫৪ জন।
মাগুরায় করোনার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ
সরবরাহের অভাবে মাগুরা জেলায় করোনা টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, করোনা টিকার মজুত শেষ হওয়ায় রবিবার জেলায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। টিকা নিতে এসে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেকেই। এ কারণে দ্বিতীয় দফায় টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন মানুষ।
আরও পড়ুন: চীন থেকে দেড় কোটি টিকা ক্রয় করবে সরকার
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ৭৯ হাজার ৯০৫ জন। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল, শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৬টি বুথে একযোগে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
টিকার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় ৩০ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই সময় পর্যন্ত জেলায় প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪৮ হাজার ৪৪৫ জন। আর ২৮ হাজার ৫৯৬ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজের টিকা। এরপরই টিকার মজুত শেষ হয়ে যায়। সেই হিসাবে নিবন্ধিত ১ হাজার ৬৫৫ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
সোমবার মাগুরা সদর হাসপাতালের করোনা টিকাদান বুথে গিয়ে দেখা যায়, ফটকে বিজ্ঞপ্তি ঝুলছে। তাতে লেখা আছে, ‘কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম আপাতত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। ধন্যবাদান্তে সিভিল সার্জন, মাগুরা।’
টিকা নিতে আসা বেরইল গ্রামের তাপস বিশ্বাস (৫৪) বলেন, ‘রবিবার মোবাইলফোনে টিকা নেয়ার তারিখ জানিয়ে মেসেজ দিল। সেই বার্তা পেয়ে সোমবার হাসপাতালে এসে দেখি টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কবে টিকা পাব, তাও কেউ খুলে বলছে না।’
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, গবেষণার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ৩৫০ জনের রক্ত নিয়েছে। তাদের জন্য টিকার ৩৫টি ভায়াল (শিশি) রাখা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুই বছর পর্যন্ত রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হবে।
সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেয়ান বলেন, জেলায় ৭৮ হাজার ২৫০ ভায়াল করোনা টিকা বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছিল; তা শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে রবিবার থেকে জেলায় করোনা টিকা দেয়ার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই আবার টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।
তবে, কবে নাগাদ তা আসবে তিনি জানাতে পারেননি।
এদিকে, মাগুরায় রবিবার পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ১ হাজার ২৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫.৯ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৩০ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। আর করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ২৪ জন। সংক্রমিত মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৯১।
ফরিদপুরে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় প্রায় ১৯ হাজার মানুষ
ফরিদপুর, ২৮ মে (ইউএনবি)- ফরিদপুরের নয় উপজেলায় ১৮ হাজার ৭শ ৩০ ব্যক্তি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকার অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। তবে জেলা প্রশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে অনিশ্চয়তার কোনও কারণ নেই, দ্রুতই দেওয়া হবে কোভিড-১৯ এর টিকা।
আরও পড়ুন: ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকার সুযোগ আছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাকের) সভাপতি অ্যাড. শিপ্রা গোস্বামী এ বিষয়ে বলেন, সরকার টিকা আমদানির চেষ্টা ত্রুটি করছে না, তবে প্রথম ডোজ দেওয়ার সময় পরিকল্পনা করার দরকার ছিলো দ্বিতীয় ডোক কত জনকে দেওয়া সম্ভব হবে। তাহলে মানুষের মাঝে অনিশ্চয়তায় সৃষ্টি হতো না।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছীদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত কোভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকার প্রথম ডোজ দেয়া সম্পন্ন হয়েছে ৬৩ হাজার ৬৬৩ জন ব্যক্তিকে। এর বিপরীতে দ্বিতীয় ডোজ টিকা এখন পর্যন্ত দেওয়া শেষ হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৩৪ ব্যক্তিকে। এরমধ্যে বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে ফরিদপুর সদর উপজেলাতে। সদরে দেওয়া হয়েছে প্রথম ডোজ ২০,৮৫৬ ব্যক্তিকে। এখন জেলায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া বাকি রয়েছে ১৮ হাজার ৭৩০ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন
তিনি বলেন, আমাদের সিরামের টিকা স্টক শেষ হয়েছে তিন দনি আগে। পরে গত দুইদিন পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৬০ ভাইরাল সংগ্রহ করে ৬শ ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। এখন (আজ) আমাদের কাছে কোনো টিকা নেই।
জেলার এই শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, টিকা আনার চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে চলে আসবে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার কোনও কারণ নেই উল্লেখ করে বলেন, এ ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
দেশে ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন
দেশে ফাইজার বায়োএনটেক উৎপাদিত কোভিড-১৯ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মহাপরিচালক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েয়েছেন।
দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত টিকার মধ্যে এটি চতুর্থ টিকা।
সম্প্রতি রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এবং চীনের সিনোফার্মের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: চীন থেকে দেড় কোটি টিকা ক্রয় করবে সরকার
এর আগে ৭ জানুয়ারির ভারতের সেরাম ইনিস্টিউটের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
গত ১৮ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশ কোভেক্স সুবিধার আওতায় কমপক্ষে ফাইজারের ১ লাখ ৬ হাজার ভ্যাকসিন পাবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনার টিকার সরাসরি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
অনুমোদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আগামী তিন মাসের মধ্যে- জুন, জুলাই এবং আগস্টে মোট ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) টিকা সংগ্রহ করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার বলেন, ‘প্রতি মাসে চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ লাখ ডোজ ক্রয় করা হবে।
করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪৫৭
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জন মারা গেছে। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ১২ হাজার ২৮৪ জনে দাঁড়াল।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৫৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৯৪ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনা: এক বছরে শাবির ল্যাবে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন মারা যায় এবং ১ হাজার ৬০৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৭.৫০ শতাংশ।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৭৮ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ২৭ হাজার ৫১০ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ মৃত্যু
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্ব জুড়ে করোনার টিকা কার্যক্রম পরিচালনার পরও দিন-দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। খুব শিগগিরই বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৫০ লাখের মাইলফলক ছাড়াতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৮১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৩৪ লাখ ১২ হাজার ৯২০ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ছাড়াল
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ ২৬ হাজার ২৯০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫৮ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৯১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ ১২ হাজার ৫৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটি। করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হবার পর গেল এপ্রিলেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখতে পায় ব্রাজিল।
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৩০ জন এবং মারা গেছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৪৮ জন।
কোভিড-১৯: সিনোফার্মার টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিল সরকার
চীন থেকে করোনাভাইরাসের সিনোফার্মের টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক বিফ্রিংয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার।
যদিও তিনি চীনা ভ্যাকসিন কী পরিমাণ সংগ্রহ করা হবে এবং কত টাকা লাগবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই জানাতে পারেন নি।
তিনি বলেন, 'এটা টিকা ক্রয়ের একটি প্রস্তাব। যখন এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাব কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে তখন এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।'
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে বেসরকারি খাতে ভ্যাকসিন উৎপাদনের বিপক্ষে বিশেষজ্ঞরা
ড. শাহিদা জানান, ভার্চুয়াল মিটিং চলাকালে তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন সিএমএসডি কর্তৃক কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীর ব্যবহারের জন্য ৪০টি অক্সিজেন জেনারেটর ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোর ডিপার্টমেন্ট এই অক্সিজেন ক্রয় করবে।
আরও পড়ুন: টিকা উপহার: বন্ধু চীনের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চলতি রাজস্ব বছর ২০২১-২০২২ সালে তিনটি দেশ থেকে ১.২৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন সার আমদানির আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
মুনতাজাত-কাতার কোম্পানির কাছ থেকে ৫ লাখ টন, সৌদি আরবের সাবিক এর কাছ থেকে ৫ লাখ টন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোবের কাছ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার সংগ্রহ করা হবে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি এবং চীনের সাথে চুক্তিবদ্ধ ৪০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন সহ ৯টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: চীনের উপহার ৫ লাখ টিকা বাংলাদেশে
এছাড়া পেট্রোবাংলার সুইজারল্যান্ডের এওটি ট্রেডিংয়ের কাছ থেকে ৩৪০ কোটি ৬২ লাখ ৪৫ হাজার ৩০১ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার একটি প্রস্তাব রয়েছে। এই প্রস্তাবে প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম পড়েছে ১০ দশমিক ১৯৯৭ ডলার।
চট্টগ্রামের রাউজানে পুরোনো উৎপাদন ইউনিট স্থানান্তর করে সেখানে ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামের রাউজানে চীনের সেপকো-থ্রি ইলেক্ট্রনিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশনস এর পাওয়া ৭৯৬ কোটি ৭২ লাখ ৫ হাজার ১৫০ টাকায় ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পুরনো প্রকল্পটির জায়গায় নতুন প্রকল্পটি প্রতিস্থাপন করা হবে।
এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য সার্ভেইলেন্স সিস্টেম চালু করতে ‘হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় একটি ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
চুক্তির আওতায় সিসিটিভি মনিটরিং সিস্টেম ও হাইওয়েতে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করা হবে।
এছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আরেও দুটি চুক্তি অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
দেশব্যাপী সব খাদ্য গুদামে ডেটা সেন্টার স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজ পেয়েছে বেক্সিমকো কম্পিউটার লিমিটেড, বাংলাদেশ এক্সপার্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড, ভারতের টেক মাহিন্দ্রার জয়েন্ট ভেঞ্চার এবং টেক ভ্যালি নেটওয়ার্ক। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণ সুবিধার জিডি-২৭ প্যাকেজের আওতায় এই প্রকল্পে ব্যায় হবে ২৬১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এছাড়া বরিশালে চাল সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশের কনফিডেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও যুক্তরাষ্ট্রের জিএসআই গ্রুপের অধীনে ৩৩০ কোটি ৮৬ লাখ ১৫ হাজার ৮২২ টাকায় একই প্রকল্পের ২১নং প্যাকেজের একটি স্টিলের সাইলো স্থাপন করার অনুমোদন পেয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।
ভারতকে দ্রুত টিকা পাঠানোর আহ্বান বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন ভারতকে দ্রুত অক্সফোর্ডের করোনা টিকা সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ড. মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সাথে ফোনালাপে টিকা পাঠানোর অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে বেসরকারি খাতে ভ্যাকসিন উৎপাদনের বিপক্ষে বিশেষজ্ঞরা
বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এর সাথে ৩কোটি ডোজ অক্সফোর্ডের করোনা টিকা সরবরাহের চুক্তি করেছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করার কথা ছিল।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, জরুরি ভিত্তিতে প্রতি মাসে অন্তত ৩০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: টিকা উপহার: বন্ধু চীনের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা বুঝে পেয়েছে। এছাড়া ভারত সরকারের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর জানান, তিনি বাংলাদেশের টিকার চাহিদার ব্যাপারে অবগত আছেন এবং বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন। এছাড়াও, তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বাংলাদেশে টিকা সরবরাহের অনুরোধ করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।