ইসলাম
পবিত্র শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও করণীয়
পবিত্র রমজান মাসের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ সময়টি হচ্ছে শবে কদর। ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই মহিমান্বিত রাতটির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে ইসলামী জীবন ব্যবস্থায়। প্রতি বছর এই সময়টিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগীতে নিজেদেরকে নিয়োজিত করেন। রমজানের ঠিক কততম দিনে এই রাতের আগমন ঘটে সে ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট করা তারিখ নেই। তবে হাদীস অনুসারে মাসের একটি নির্দিষ্ট পরিসরের রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অন্বেষণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। চলুন, তাৎপর্যপূর্ণ এই সৌভাগ্যের রাতের বিশেষত্ব বিশ্লেষণের পাশাপাশি জেনে নিই- কীভাবে এর সর্বোত্তম সদ্ব্যবহার করা যায়।
শবে কদর কী
আরবী ভাষায় ‘কদর’ বলতে ভাগ্যের পরিমাপ বা পরিধি বোঝানো হয়। আর শব শব্দটি ফার্সি ভাষার, যার অর্থ রাত। এছাড়া এই রাতের অন্যান্য নামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘লাইলাতুল কদর’ (সৌভাগ্যের রাত), ‘লাইলাতুল আযমা’ (মহত্বের রাত) এবং ‘লাইলাত আল-শরাফ’ (সম্মানের রাত)।
শবে কদরের সময়টি বিস্তৃত সূর্যাস্ত বা মাগরিবের ওয়াক্ত থেকে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত। তবে রাতটি আসলে ঠিক কোন তারিখের তা সুনির্দিষ্ট নয়। তবে বুখারি ও মুসলিম সহ বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থ অনুযায়ী এটি রমজানের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাতগুলোর যে কোনও একটি। অর্থাৎ সুস্পষ্টভাবে রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তম রাতগুলোর প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দশটি প্রাচীন মসজিদ: দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
শবে কদরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
৬১০ হিজরী সনের এই রাতে নাজিল হয়েছিল পবিত্র কুরআন শরীফের প্রথম ৫ আয়াত। মক্কার জাবালে নূর পর্বতের হেরা গুহায় ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে এসেছিলেন আল্লাহর বাণী নিয়ে। এটি ছিল আল কুরআনের ৯৬-তম সূরা আল আলাকের প্রথম ৫টি আয়াত। এরপর থেকে টানা ২৩ বছরে পুরো কুরআন নাজিল সম্পন্ন হয়।
এই মূল্যবান রাতটিকে উদ্দেশ্য করে কুরআন মাজিদের সম্পূর্ণ একটি সূরাই রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে, কদরের রাত্রি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ সময় সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে ফেরেশতারা পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং ভোর না হওয়া পর্যন্ত শান্তি বর্ষণ করতে থাকেন।
অর্থাৎ এই এক রাতের একটি মাত্র নেক আমল হাজার মাসের বরকত নিয়ে আসে। সারা জীবন ইবাদত করেও এ রাতের ইবাদতের মাধ্যমে যে বরকত পাওয়া যায় তার সমান হবে না। একই সঙ্গে এটি আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার রাত। এই সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর নৈকট্য এবং আশীর্বাদ লাভের পরম সুযোগ। যারা এই সময় ঈমানের সঙ্গে নামাজ পড়বে, তাদের পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পবিত্র শবে বরাতের তাৎপর্য, শিক্ষা ও করণীয়
মুহাম্মদ (সা.) এই সম্মানের রাতটির জন্য অপেক্ষা করতেন। রমজানের শেষ দশ দিন শুরু হতেই তিনি ইতিকাফে বসে যেতেন এবং সারা রাত ধরে নামায পড়তেন। নিজের অনুসারীদেরকেও তিনি এভাবে সৌভাগ্যের রাতকে সম্মানিত করতে অনুপ্রাণিত করতেন।
৮ মাস আগে
হেফাজত নেতা মাওলানা ইয়াহিয়া আর নেই
হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হযরত মাওলানা ইয়াহিয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন)।
শুক্রবার (৩ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন।
মৃত্যুকালে মাওলানা ইয়াহিয়ার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
মাওলানা ইয়াহইয়ার ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ জুনাইদ রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে চট্টগ্রাম নগরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মাওলানা ইয়াহিয়াকে। অবস্থার অবনতি হলে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হিসেবে ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাওলানা ইয়াহিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আবদুস সালামকে মহাপরিচালক ও ইয়াহিয়াকে সহকারী পরিচালক ঘোষণার পরপরই আবদুস সালাম অসুস্থ হয়ে পড়েন বৈঠকে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুফতি আবদুস সালামের জানাজার পরপরই সেদিন ইয়াহিয়াকে মহাপরিচালক ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: টাকা আত্মসাৎ মামলায় চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা কারাগারে
কর্মজীবন-
১৯৭৩ সালে তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে হাটহাজারীর গড়দুয়ারা মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। গড়দুয়ারা মাদরাসায় ১০ বছর শিক্ষকতার পরে তিন বছর মাদার্শা মাদরাসা ও হাজী ইউনুস সাহেব (রহ.) প্রতিষ্ঠিত ইছাপুর ফয়জিয়া তাজবিদুল কুরআন মাদরাসায় ছয় বছর শিক্ষকতা করেন। হাটহাজারী মাদরাসার মজলিশে শূরার ডাকে ১৯৯১ সালে উম্মুল মাদারিস খ্যাত হাটহাজারী মাদরাসায় যোগ দেন।
শিক্ষকতার শুরু থেকে আজ অবধি তার মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে উর্দুখানা থেকে তাফসির জামাত পর্যন্ত সব বিভাগের বিভিন্ন কিতাবের পাঠদান করে আসছেন।
২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত মজলিশে শূরার বৈঠকে মসলিশে এদারির (মাদরাসা পরিচালনা বোর্ড) সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
খেলাফত লাভ-
হাটহাজারী মাদরাসায় অধ্যায়নকালে শুধু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই তৃপ্ত হননি বরং আধ্যাত্মিক সাধনার জন্যও অস্থির ছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তাসবিহ তাহলিল আদায়ে সুষ্ঠু নিয়ম, উন্নত চরিত্রের অধিকারী, ইখলাস ও আমল-আখলাক দেখে শায়খুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানীর (রাহ.) খলিফা আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) চার তরিকার খেলাফত দান করে বাইয়াত ও মুরিদ করার অনুমতি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের আরও ৭ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
জঙ্গিবাদ ইসলামের মর্যাদা বাড়ানোর পরিবর্তে অসম্মানিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে নির্দেশনা দিতে আলেম ও ওলামাদের (ইসলামী পণ্ডিতদের) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধনের সময় বলেন, ‘এগুলো পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করছে।’
তিনি সবাইকে, বিশেষ করে শিশুদেরকে জঙ্গিবাদে না জড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ইসলামকে মর্যাদা দেয়ার পরিবর্তে অসম্মান করছে।’
শিশু ও যুবকরা জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও শিক্ষকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ইসলামের প্রকৃত অর্থ উপলব্ধির মাধ্যমে আমরা অপশিক্ষা, মতভেদ, দ্বন্দ্ব, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুছে দিয়ে আমাদের সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষ ইসলামী মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করবে।
এটি ধর্মের নামে বিভ্রান্ত না হওয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারীর ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে ব্যাপক অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ইসলামের নামে কেউ যাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সেজন্য সরকার মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদর্শ মসজিদ ইসলাম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করবে-যা শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের ধর্ম।
তিনি বলেন, ‘এটি সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও নারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করতে সাহায্য করবে। মানুষের মধ্যে ইসলামিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রকৃত জ্ঞান প্রদান করবে।’
আরও পড়ুন: ইসলামের মর্মবাণী প্রচারে আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আলেম ও ওলামাদের ‘ওরাসাতুল আম্বিয়া’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ মসজিদের খতিব ও ইমামদের সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত করুন কেউ যেন আমাদের ধর্ম ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খুতবা ও জুমার খুতবার মাধ্যমে মাদকাসক্তি, বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, খাদ্যে ভেজাল এবং দুর্নীতির মতো সামাজিক ব্যাধিতে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য মানুষকে শিক্ষিত করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ধর্মকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ধর্মকে ব্যবহার করে নির্যাতন ও নিপীড়নের অবসান ঘটানো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম সব ধর্মের মানুষের জন্য অবাধে ধর্ম পালন নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক পরিচয় ও মতামত নির্বিশেষে প্রতিটি ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে পারি।”
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই ‘ইসলামের সেবক’ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেস, জুয়া ও মদ বিক্রি বন্ধ করেছিলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামকে সমুন্নত রাখতে বঙ্গবন্ধু মাদরাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইজতেমা মাঠের জন্য জমি বরাদ্দ করেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং দেশকে ওআইসি’র সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।’
জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে তিনি বলেন, ইসলামের মর্যাদা রক্ষায় তারা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এ পর্যন্ত সারাদেশে ১০০টি মডেল মসজিদ খুলেছেন এবং বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়া হবে।
সরকার এখন প্রতি উপজেলায় তিনতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং প্রতি জেলায় চারতলা মসজিদ নির্মাণ করছে।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান বক্তব্য দেন।
কুমিল্লা জেলার রাজশাহী, শরীয়তপুর ও চৌদ্দগ্রাম থেকেও কর্মসূচিতে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
বিজয়ের মাসে ১০০ মহাসড়ক জাতির জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
ইসলামের অপব্যাখ্যা প্রতিহত করুন: হজ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজ থেকে এর অপব্যাখ্যা প্রতিহত ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের মর্মবাণীকে অন্তরে ধারণ করার মাধ্যমে আসুন আমরা সবাই সমাজ থেকে অন্ধকার, সংঘাত, নিরক্ষরতা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে নির্মূল করি এবং সেই সঙ্গে ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী শক্তিকে প্রতিহত করি।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ঢাকায় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় পর্যায়ের সম্মেলন ও মেলার উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কুয়েতের প্রস্তাবিত পেট্রোলিয়াম শোধনাগার দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা সম্মেলন-২০২২ এবং হজ ও ওমরাহ মেলা’-এর আয়োজন করে।
এই আয়োজনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হজযাত্রীদের যথাযথ হজ সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করা, তাদের বর্তমান প্রযুক্তিভিত্তিক হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করা, হজ এজেন্সির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে সক্ষম করা এবং মধ্যস্বত্বভোগী ও প্রতারকদের প্রভাব হ্রাস করা।
তিন দিনব্যাপী মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আগ্রহীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ধর্ম। ইসলামের শান্তিপূর্ণ গৌরব সমুন্নত রাখতে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক বাড়বে: শাহরিয়ার আলম
সক্ষমতা বাড়াতে জনগণকে যুক্ত করুন: অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ইসলামের জন্য শেখ হাসিনার সরকারের মতো কেউ কাজ করেনি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশে ইসলামের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার যে কাজ করেছে, অন্য কোনো সরকার তা করেনি। শুধু মুখে ইসলামের কথা বলে ফায়দা লোটা বিএনপি-জামাতসহ ইসলামের লেবাস ধরে যারা ইসলাম ও দেশের ক্ষতি করতে চায়, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও তাঁদের পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। যে দেশীয় অপশক্তি স্বাধীনতা চায়নি এবং যে আন্তর্জাতিক শক্তি ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অযথা দ্রব্যমূল্য বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা ইসলামের কথা বলে দেশের লাখ লাখ নিরীহ মুসলমানকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তিরিশ লাখ শহীদের মধ্যে ২৯ লাখ বা তার বেশি মানুষ মুসলমান। ইসলাম রক্ষার কথা বলে এদেশের যে নারীদের পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদেরকে 'গণিমতের মাল' বলে ফতোয়া দিয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষ নেয়ায় গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। অথচ এদেশের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে।’
বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষেরা বাগদাদ থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য এদেশে এসেছিলেন স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউণ্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, ইসলামী দেশগুলোর সংস্থা ওআইসি'র সদস্য হয়েছিলেন এবং দাবি তুলেছিলেন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের স্বীকৃতি দিতে হবে। আর তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ইসলামের জন্য অভূতপূর্ব অবদান রেখে চলেছেন। কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি অন্য কেউ দেয়নি, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় অন্য কেউ প্রতিষ্ঠা করেনি, জেলা-উপজেলায় মসজিদ-মক্তব নির্মাণ করে ইমাম, প্রশিক্ষকদের বেতন-ভাতা অন্য কেউ দেয়নি, বঙ্গবন্ধুকন্যা ও তাঁর সরকার দিয়েছে।’
দেশে প্রায় এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা, মক্তবপ্রতি শিক্ষককে মাসে পাঁচ হাজার দুইশত টাকা ভাতা দেয়া, পাশাপাশি বিশ হাজার দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের বারো হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেয়া শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে চালু করেছেন, জানান তথ্যমন্ত্রী।
‘সেকারণে বিএনপি-জামাত যারা শুধু নির্বাচন এলে মধুর মধুর কথা বলে, কিন্তু ইসলামের জন্য কোনো কাজ করে না, তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং ইসলামের লেবাস ধরে যারা ইসলাম ও দেশের ক্ষতি করতে চায়, তাদের বিষয়ে সদাসতর্ক থাকতে হবে,’ বলেন হাছান মাহমুদ।
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে ওলামারা সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের শক্তিতে বলীয়ান, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু: তথ্যমন্ত্রী
ফিলিস্তিন, মিয়ানমারে নজর দিন, অগ্নিসন্ত্রাসের শিকারদের কথা শুনুন: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশবাসীর জন্য দোয়া করুন, হজযাত্রীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘ইসলাম একটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও পবিত্র ধর্ম। সুতরাং এর মর্যাদা বজায় রাখা আমাদের সকলের কর্তব্য।’
শুক্রবার নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রাজধানীর আশকোনায় হজ কর্মসূচি-২০২২ উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারি থেকে দেশের জনগণ যাতে সুরক্ষিত থাকতে পারে এবং সম্মানজনক জীবন পেতে পারে সেজন্য প্রার্থনা করতে হজযাত্রীদের প্রতি তিনিআহ্বান জানান । পরে হজযাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নতি করছে। তাই দোয়া করবেন যাতে আমরা উন্নয়নের যাত্রায় এগিয়ে যেতে পারি এবং দেশের প্রতিটি মানুষ তাদের খাবার, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগ পেতে পারে এবং এভাবে একটি উন্নত ও শালীন জীবন পেতে পারে।’
আরও পড়ুন: হজের খরচ বাড়ল আরও ৫৯ হাজার টাকা
প্রধানমন্ত্রী হজযাত্রীদের সৌদি আরবের নিয়ম-কানুন মেনে সেখানে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখা আমাদের সকলের কর্তব্য। এটা মনে রাখবেন।’
বাংলাদেশ থেকে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম হজ ফ্লাইট আগামী রবিবার সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করবে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হওয়ায় এ বছর সারা বিশ্ব থেকে ১০ লাখ হজযাত্রী নিয়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৮ জুলাই)। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা শুরুর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রটোকল বজায় রেখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
হজ নিবন্ধনে জমা করা অর্থ ফেরত পাবেন যেভাবে
সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকৃত যেসব হজযাত্রী ইতোমধ্যে মারা গেছেন, অসুস্থ আছেন অথবা বয়সসীমার কারণে এ বছর হজে যেতে পারছেন না, তাদের প্রতিনিধি নিবন্ধন বাবদ জমা করা অর্থ আবেদন করে ফেরত নিতে পারবেন।
বুধবার (১৮) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মনোনীত প্রতিনিধিরা www.hajj.gov.bd-এ প্রবেশ করে ‘নিবন্ধন রিফান্ড সিস্টেমে’ আবেদন করে জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপিত হজযাত্রীকে প্যাকেজের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
হজ পালন করা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং সক্ষম মুসলিমরা তাদের সামর্থ্য থাকলে জীবনে অন্তত একবার এটি পালন করা ফরজ।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
পড়ুন: হাবের হজ প্যাকেজ ঘোষণা
হজের সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৪ লাখ ৬২ হাজার
২ বছর আগে
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়: প্রধানমন্ত্রী
সরকার সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে চায় জানিয়ে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করবে। কেননা আমাদের সংবিধানে সেই নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।’
মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১’ এর এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সভায় যোগদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামও সব ধর্মের রীতিনীতি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের উপদেশ দেয়। আমাদের নবীও (সা.) ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন। আমরাও চাই কেউ যেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে।’
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের লক্ষ্য হলো শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শিশুদের ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী
মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
ইসলামের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রবিবার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ধর্মের নামে জনগণ ইসলামবিরোধী কোন কার্যক্রম গ্রহণ করবে না। কয়েক জনের জন্য ইসলামের অপমান সহ্য করা হবে না। আমি দেশের মানুষকে ধৈর্য ধরতে বলব, সবাইকে ধৈর্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
একাদশ সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্য দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড, ভাঙচুর সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা তাদের ধ্বংসাত্মক ও অসামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে পবিত্র ধর্মকে পুরোপুরি ধ্বংস করছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে অনেক লোক প্রাণ হারায়, এমনকি ২৬ মার্চও বহু লোক প্রাণ হারিয়েছে, এর জন্য তারাই (হেফাজত) পুরোপুরি দায়ী।’
আরও পড়ুন: হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি শেখ সেলিমের
হেফাজতের পেছনে বিএনপি ও জামায়াত রয়েছে বলে শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘হেফাজত একা নয়, বিএনপি ও জামায়াত তাদের সাথে রয়েছে।’
৩ বছর আগে
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী শুক্রবার
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শুক্রবার সারা দেশে উদযাপিত হবে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুদিবস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী।
৪ বছর আগে