ঢাকা মেডিকেল কলেজ
যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ খুন
যাত্রাবাড়ীতে এক বৃদ্ধকে স্থানীয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী পাইকারি মাছের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুর রহমান যাত্রাবাড়ীর বাগিচা এলাকার থাকতেন। তবে তিনি মূলত বরিশাল জেলার বাসিন্দা।
আশরাফুরের ছেলে মেহেদী অভিযোগ করে বলেন, সোমবার বিকালে জুয়া খেলতে বাধা দেয়ায় স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত আশরাফুরের ওপর হামলা চালায়। ফলে বাবা গুরুতর জখম হন।
তিনি আরও বলেন, অপরাধীরা তার বাবাকে পুলিশ ইনফর্মার ভেবেছিল।
পরে আশরাফুরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
নকলায় ‘প্রেমিকে’র ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রী খুন, বাবা আহত
গুলশানে এরশাদ শিকদারের মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত জান্নাতুল নওরিন এশা (২২) এরশাদ শিকদারের মেয়ে। এরশাদ শিকদারকে অপরাধের দায়ে ২০০৪ সালে ফাঁসি দেয়া হয়।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এশাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার
তার চাচাতো ভাই রুশো জানান, এশা রাজধানীর সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গুলশানের সুবাস্তো টাওয়ারে মায়ের সঙ্গে থাকতো। সে তার প্রেম জীবনে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, এশা ও তার প্রেমিক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝগড়া করে। এরপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায় এশা। সকালে তার মা তাকে ডাকলে সে কোনো সাড়া দেয়নি। প্রতিবেশীদের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে তাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে আইন কলেজের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তার হাতে অনেক আঘাতের দাগ পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
যাত্রাবাড়ীতে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের তিন জন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- আব্দুর রহমান (৬৫), তার মেয়ে শারমিন (৩৮)ও তার স্বামী রিয়াজুল (৪৮)। এসময় আহত হয়েছে শারমিনের মেয়ে মিষ্টি (১১) ও অটোরিকশা চালক।
নিহত আব্দুর রহমানের ছেলে তানভীর আহমেদ জানান, তার মা মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি। মাকে দেখতে গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর থেকে বাবা, বোন, ভগ্নিপতি তাদের এক সন্তান নিয়ে ভোরে সদরঘাট নেমে আমার বাসায় মাতুয়াইলে আসার পথে যাত্রাবাড়ী সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তিন জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশ তিনটি হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
আহত শিশু মিষ্টি চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের সমাবেশ চলাকালে জসিমউদ্দিন হল ও ঢাকা কলেজের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশে সামনে থাকা নিয়ে তারা প্রথমে হাতাহাতি করে এবং পরে বাঁশের লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ থামাতে গেলে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আহত হন।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে সেখানকার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্রলীগ: খাদ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছরের পুরনো স্কুলের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ
পুলিশের জব্দ করা বাসের চাপায় ২ পথচারী নিহত
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বৃহস্পতিবার পুলিশের জব্দ করা বাসের চাপায় এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীসহ দুই পথচারী নিহত হয়েছেন। আর এ ঘটনার সময় বাসটি চালাচ্ছিলেন পুলিশের এক কর্মকর্তা।
নিহতরা হলেন- যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নারায়ণগঞ্জের শুক্কুর মাহমুদ (৫৮) ও নগরীর জুরাইন এলাকার বাসিন্দা রাইসুল কবির তুষার (৩৫)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আব্দুল আহাদ বলেন, গুলিস্তানে একটি দুর্ঘটনার পর জব্দ করা ‘শ্রাবণ পরিবহন’ এর বাসটি সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এমদাদুল চালাচ্ছিলেন। আর এ দুর্ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য আহত হন। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও সহযোগী পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২
এএসআই এমদাদুল বাসটিকে গুলিস্তানের নিকটস্থ পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় বিকাল ৪টার দিকে গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভিড়ের মধ্যে তুলে দেন। এতে দুই পথচারী আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে পৌঁছানোর পরই শুক্কুর মাহমুদকে নিহত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সন্ধ্যায় ঢামেকে তুষারও মারা যান।
এ ঘটনার পর এএসআই এমদাদুলকে আটক করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন ডিসি।
এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শুক্কুর মাহমুদের আত্মীয়রা পল্টন থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
লঞ্চের আগুনে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক: সামন্ত লাল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন শনিবার হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
শুক্রবার প্রায় ২১ জনকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিম হাসানের (৮) শরীরের ৩০ শতাংশ, বাচ্চু মিয়ার (৫১) চার শতাংশ, ইসরাত জাহান সাদিয়ার (২২) ২০ শতাংশ, শাহিনুর খাতুনের (৪৫) ২৫ শতাংশ, মারুফার (৪৮) ১৫ শতাংশ, সেলিম রেজার (৪৫)১৮ শতাংশ, লামিয়ার (১৩) ১০ শতাংশ, মমতাজের (৭০) ৮ শতাংশ, মোহাম্মদ রাসেলের (৩৮) ১৮ শতাংশ, বঙ্কিম মজুমদারের (৬০) ১২ শতাংশ, মনিকা রাণীর (৪০) ৩০ শতাংশ, গোলাম রাব্বানীর (২০) ৯ শতাংশ, বিকাশ মজুমদার (১৬), খাতিজার (২৭) ১৫ শতাংশ এবং বশিরের (৩৫) শরীরের ৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। শুক্রবার রাতে আহত হাবিব খান (৪৫) মারা যান।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাবিব শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য শুক্রবার ভোরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ যাত্রী দগ্ধ ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান ১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে বরগুনা সার্কিট হাউজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার পোটকাখালী কবরস্থানে নিহতদের দাফনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে, বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোট ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয় বরগুনা জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে সাত জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, এখনো পর্যন্ত কতজন নিখোঁজের নির্দিষ্ট তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই, তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য সেল গঠন করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের আহ্বান জানিয়েছি নিখোঁজের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। দু’একদিনের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানা যাবে। যদি কেউ ডিএনএ নমুনা নিয়ে আসেন তবে শনাক্ত করে তাকে পরবরর্তীতে কবর শনাক্ত করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছেছে
এর আগে রাত পৌনে ১২টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছায় লাশবাহি গাড়ি। সারিসারি মৃতদেহ নামিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যান স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন রেডক্রিসেন্ট বরগুনার সদস্যরা। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন অপেক্ষমান স্বজনরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও একজন মারা যান। এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রাজধানীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বড় বেরাইত এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আরেক জন আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবিনা বেগম (৫০) একই এলাকার শরীফ হোসেনের স্ত্রী এবং দুই ছেলের জননী ছিলেন।
নিহতের ছেলে জানান, তাদের জমি জোর করে দখল করার সময় তার মা বাধা দিলে সহিবুল, তার দুই ছেলে বাদশাহ ও ফয়সালসহ আরও চার-পাঁচ জন তার ওপর ধারালো অস্ত্র, লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেশার টাকা না পেয়ে মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে স্বামীকে হাতুড়ি পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক
চোর সন্দেহে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১০
রাজধানীতে কেমিকেল ড্রামসহ নিচে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় তিব্বত সাবান ফ্যাক্টরির কেমিকেলের গোডাউনে কেমিকেল ড্রামসহ নিচে পড়ে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শফিকুল ইসলাম (৩৫) নরসিংদীর রায়পুরা থানার কাচারিকান্দি গ্রামের মো. রবিউল্লার ছেলে। চাকরির কারণে পূর্ব নাখালপাড়ার একটি মেসে থাকতেন এবং দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা ছিলেন তিনি। নিহতের সহকর্মী রাশেদুল ইসলাম এ সব তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সারি করে কেমিকেল ড্রাম রাখার সময় ওপর থেকে পড়ে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে তার সহকর্মীরা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকাল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি ড্রামের ওজন দু’শ কেজি। সেখানে বেশ কয়েক জন শ্রমিক কাজ করছিল। প্রতিদিনই এসব ড্রাম আসে। পরে তা গাড়ি থেকে নামিয়ে সারি করে একটির ওপর আরেকটি গোডাউনে রাখতে হয়।
আরও পড়ুন: ২ হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুক্তরাজ্য প্রবাসী ঢাকায় গ্রেপ্তার
যশোরে ৬ যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার, ঢাকায় স্থানান্তর
ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনার প্রকোপ দিন দিন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই। এ কারণে সরকার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ সকল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।’
আরও পড়ুন: অধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় আংশিক লকডাউনের প্রস্তাব করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার অনলাইনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন ১০টি আইসিইউ বেড উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ সকল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির সরকারি পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি মার্কেটকে পুরোপুরি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়েছে। এই হাসপাতালে মোট ১ হাজার ২৫০ করোনা ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এখানে ৫০টি আইসিইউ বেড ও ২০০টি এসডিও বেড রয়েছে। এর পাশাপাশি ১ হাজার আইসোলেশন বেড রয়েছে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটির বাইরে অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের প্রতিটিতেই কোভিড শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০০টির মতো করোনা ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এখানে প্রতিটি বেডেই হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা সুবিধা রয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে আগের আইসিইউ, এসডিও’র সাথে আজ আরও ১০টি নতুন আইসিইউ বেড সংযুক্ত হলো। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও করোনা রোগীদের জন্য সুবিধাদি বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব মিলিয়ে হাসপাতালের এক ইঞ্চি জায়গা খালি থাকলেও কোন রোগীকে সেবাবঞ্চিত করা হবে না। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। যেভাবে প্রতিদিন করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে দেশে কোন হাসপাতালেই রোগী রাখার জায়গা থাকবে না। এজন্য এখনই করোনা বৃদ্ধি ঠেকাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ১৮টি নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নসহ সবস্থানে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে না পারলে আগামীতে এই প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হোসেনসহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভার শেষ পর্যায়ে অনলাইন ভিডিও’র মাধ্যমে নতুন স্থাপিত ১০টি আইসিইউ বেডের ভিডিও চিত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেখান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।