ভ্যাকসিন
করোনায় আক্রান্ত হয়ে নায়ক আলমগীর হাসপাতালে ভর্তি
নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী বরেণ্য অভিনেতা আলমগীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে তার স্ত্রী ও কিংবদন্তি গায়িকা রুনা লায়লা এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে খবরটি শেয়ার করেছেন।
রুনা লায়লা ফেসবুকে লিখেন, ‘আলমগীর সাহেব করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিত্সা নিচ্ছেন। চিকিত্সক, নার্স এবং হাসপাতালের কর্মচারীরা খুব আন্তরিকতার সাথে তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। আলহামদুল্লিাহ তার মধ্যে দারুণ স্পিরিট রয়েছে এবং এখন ভালো আছেন।’
৭১ বছর বয়সী এই অভিনেতা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অভিনেতা ওয়াসিম মারা গেছেন
তিনি আরও লিখেন, ‘একটি পরিবার হিসেবে আমরা চাই আপনারা তার সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। আমাদের সম্মিলিত দোয়ায় তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ করুণাময়। আল্লাহ মহান, সকল পবিত্রতা আল্লাহর।’
১৪ ফেব্রুয়ারি আলমগীর, রুনা লায়লা তাদের মেয়ে সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। তারা ১৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ নেন।
আলমগীরকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম সেরা অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া সরকার তাদের টিকাদান কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত করার জন্য 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের একটি ডোজও কিনবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেন, জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিনটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের মতোই, যা অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে কেনার চুক্তি করেছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিশ্বে মৃত্যু ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ছাড়াল
অক্টোবরের মধ্যে ২৬ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে সকল যোগ্য প্রাপ্ত বয়স্কদের কমপক্ষে একটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ায় উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার উপর নির্ভর করে পরিকল্পনা করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
তবে দেশটির সরকার গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছিল, অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে ফাইজার ভ্যাকসিন এখন ৫০ বছরের নিচে কম বয়সীদের জন্য পছন্দসই বিকল্প।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
অস্ট্রেলিয়া ফাইজারের টিকার অর্ডারটি দ্বিগুণ করে ৪ কোটি ডোজে বাড়ায় এবং সোমবারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৩৭ লাখ ডোজ পেয়েছিল এবং ১২ লাখ ডোজ দেশটির জনগণকে প্রদান করেছিল।
ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
করোনা মহামারির শুরু থেকেই ভুগছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। কিন্তু বর্তমান এপ্রিল মাস দেশটির জন্য হয়ে উঠছে করোনার সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়।
একদিকে দেশটির হাসপাতালগুলোতে যেমন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা, অপরদিকে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে সমান গতিতে। টিকা সরবরাহের স্বল্পতার কারণে ল্যাটিন আমেরিকার সর্ববৃহৎ এই দেশটির টিকাদান কার্যক্রমও হুমকির মুখে রয়েছে।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এপ্রিল মাসেই তিন দফায় টিকা সরবরাহ কমিয়েছে, যা দেশটির বর্তমান চাহিদার অর্ধেক। এর ফলে দেশটির সর্ববৃহৎ দুটি ল্যাবরেটরি পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৩ কোটির ওপরে
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মুহূর্তে রূপান্তরিত করোনাভাইরাসের ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পি১ এ প্রতিদিন দেশটিতে গড়ে মারা যাচ্ছে ২ হাজার ৮২০ জন এবং এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে মারা গেছে ৩ লাখ ৫০ হাজারের মতো মানুষ।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাভাস মতে, ব্রাজিলে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে গড়ে প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ জন।
গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বর্তমান শোচনীয় পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসনারোকে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞরা লকডাউনসহ কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব করলেও প্রত্যাখ্যান করেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: চীনা টিকার কার্যকারিতা কম, দেশটির কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তি
করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পাশাপাশি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টিকা ব্যবস্থাপনাতেও চরম অদূরদর্শীতার প্রমাণ পাওয়া যায়। উৎপাদনকারীদের সরবরাহ ব্যবস্থার স্বল্পতার কারণে শুধুমাত্র চীনের করোনাভ্যাক টিকাকে ব্যাকআপ হিসেবে রেখেছে দেশটি।
দেশটির স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সাবেক প্রধান ক্লাউদিও মেরোভিচ জানান, পূর্বের বৃহৎ এবং সফল টিকাদান কর্মসূচির অভিজ্ঞতা থাকার কারণে ব্রাজিলে টিকাদান ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকার কথা। তিনি বলেন, “ব্রাজিল করোনার টিকা সংগ্রহের বিকল্প সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নেয়নি।” তিনি আরও বলেন, “যখন করোনার টিকার জন্য বিভিন্ন দেশগুলো নিজেদের মধ্যে চুক্তি করছিল এবং বিভিন্ন সংস্থার সাথে চুক্তি করছিল, তখনো ব্রাজিল টিকাদান কার্যক্রমকে করোনা মোকাবিলার পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করেনি।”
আরও পড়ুন: মহামারি পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশগুলোর আরও সৃজনশীল হওয়া দরকার, বললেন তিনি
দীর্ঘ সময় ধরেই ব্রাজিলে বোলসনারো প্রশাসন একাধিক প্রতিষ্ঠানের সাথে করোনা টিকা সংগ্রহের বিরোধিতা করে আসছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জনসম্মুখেই টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছিলেন। এমনকি ফাইজার ভ্যাক্সিন গ্রহণে অনুৎসাহিতও করেন।
স্যাবিন ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেনিস গ্যারেট এর মতে, ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো মধ্যেই স্বাস্থ্য ও টিকাদান কর্মসূচিতে সবসময়ই এগিয়ে থাকা ব্রাজিলের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। ব্রাজিল সরকারে টিকা ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত হতাশ এই টিকা বিশেষজ্ঞ।
চীনা টিকার কার্যকারিতা কম, দেশটির কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তি
করোনাভাইরাসের চীনের ভ্যাকসিনগুলোর দুর্বলতার এক বিরল স্বীকারোক্তি দিয়ে ওই দেশের শীর্ষস্থানীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা কম। একই সাথে সরকার এটি বৃদ্ধির জন্য তাদের দেশীয় ভ্যাকসিনে মিশ্রণের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংদুতে শনিবার এক সম্মেলনে চীনের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ডিরেক্টর গাও ফু বলেন, চীনের ভ্যাকসিনগুলোর উচ্চ সুরক্ষা হার নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব
পূর্বের পরীক্ষামূলক ম্যাসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে তৈরি ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রচার করার চেষ্টা করার সময় বেইজিং বিদেশে কয়েক’শ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন বিতরণ করেছে।
গাও বলেন, ‘টিকাদান প্রক্রিয়ার জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পন্থা থেকে বিভিন্ন ভ্যাকসিন ব্যবহার করা উচিত কিনা তা এখন আনুষ্ঠানিক বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।’
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা গাও এর মন্তব্য বা সরকারি পরিকল্পনার সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেয়নি।
আরও পড়ুন: সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন শিশুদের ক্ষেত্রে কার্যকর
তবে সিডিসির অপর এক কর্মকর্তা বলেন, বিশেষজ্ঞরা এমআরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ অব্যাহত রাখুন: ডব্লিউএইচও
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিনগুলো মিশ্রণ বা অনুক্রমিক টিকাদান রোগ প্রতিরোধ কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ব্রিটেনের গবেষকরা ফাইজার-বায়োএনটেক এবং ঐতিহ্যবাহী অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের একটি সম্ভাব্য সংমিশ্রণের বিষয়ে গবেষণা করছেন।
নাটোরে পৌঁছেছে করোনার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন
করোনার দ্বিতীয় ডোজের জন্য নাটোরে আরও ৩৩ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছেছে।
শুক্রবার সকাল ৭টায় পুলিশ প্রহরায় বেক্সিমকো ফার্মার বিশেষ ফ্রিজার ভ্যানে নাটোরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে করোনার ভ্যাকসিনের চালান এসে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব
সিভিল সার্জন ডা.কাজী মিজানুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাদিম সারোয়ার ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করেন। এরপর সেগুলো জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে ভ্যাকসিন স্টোরে ফ্রিজিং করা হয়।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ অব্যাহত রাখুন: ডব্লিউএইচও
বৃহস্পতিবার বিশেষ ব্যবস্থায় শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় ডোজ প্রদান। পর্যায়ক্রমে আরও ১৭ হাজার ভ্যাকসিন নাটোরে পৌঁছবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর পর নাটোরে ৪৯ হাজার ১৫৩ জনকে প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব চীনের
করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সময় এই আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি ৮ এপ্রিল শুরু হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না কারণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত থেকে ভ্যাকসিন পাবে।
তিনি বলেন, চলমান ৭ দিনের কোভিড-১৯ লকডাউন বাড়ানো উচিত কি না তা সরকার আগামী বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা করে জানাবে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ হাজার ৭৫ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৩১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় একদিনে রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ৩১ হাজার ৯৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩০ হাজার ২৩৯টি নমুনা।
আরও পড়ুন: করোনা: বিশ্বে মৃত্যু ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়াল
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.৪০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোটসুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমকি ১৯ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশব্যাপী লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ এবং বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে সরকার সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য জনগণের চলাচল ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে যা ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
নওগাঁয় ১০ দিনে টিকা নিয়েছেন ৩১০১৬ জন
নওগাঁও জেলায় কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের এক ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের সুপারিশ ফ্রান্সের
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের এক ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের সুপারিশ করেছে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আল জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আল জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন: আপনার যা জানা দরকার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্ট অন ইমিউনাইজেশন (এসএজিই) বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু অন্তর্বর্তীকালীন সুপারিশ করেছে।