প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সময় এই আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি ৮ এপ্রিল শুরু হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না কারণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত থেকে ভ্যাকসিন পাবে।
তিনি বলেন, চলমান ৭ দিনের কোভিড-১৯ লকডাউন বাড়ানো উচিত কি না তা সরকার আগামী বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা করে জানাবে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ হাজার ৭৫ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৩১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় একদিনে রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ৩১ হাজার ৯৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩০ হাজার ২৩৯টি নমুনা।
আরও পড়ুন: করোনা: বিশ্বে মৃত্যু ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়াল
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.৪০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোটসুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমকি ১৯ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশব্যাপী লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ এবং বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে সরকার সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য জনগণের চলাচল ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে যা ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।