নোয়াখালী
ভাসানচরের পথে আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন শেড থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে ১৩তম দফায় রওনা দিয়েছে ৫০৭ পরিবারের ১ হাজার ৫৪৪ রোহিঙ্গা।
বুধবার (৩০ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক।
তিনি জানান, ১৩তম দফার দ্বিতীয় দিনের প্রথম ধাপে ১ হাজার ২২ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৫২২ জনসহ মোট ৫০৭ পরিবারের ১ হাজার ৫৪৪ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্সসহ ৩৭টি বাস দেয়া হয়।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন জানান, ১৩তম দফার প্রথম দিনে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ১ হাজার ৯৯৯ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন দুপুরে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ৩৯টি বাসে এসব রোহিঙ্গারা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল।
তিনি জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত নোয়াখালীর ভাসানচরে ২৬ হাজার রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সরকার ভাসানচরে ১ লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়েছে।
পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা বক্তাদের
ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে আরও ১ হাজার ৯৬ রোহিঙ্গা
ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে আরও ১ হাজার ৯৬ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ১৩তম দফায় আরও ১ হাজার ৯৬ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছে।
টেকনাফের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ২০টি বাসে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে তাদের ভাসানচর আশ্রয় প্রকল্পে নেয়া হবে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, ‘এবার ১ হাজার ৯৬ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে রাজি হয়েছে। তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার দুপুরে তারা ভাসানচর পৌঁছানোর কথা। আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচর যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
এর আগে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়।
১২তম দফায় ২৪ হাজার ৫৭৮ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত বছরের ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সমঝোতা চুক্তিতে সই করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।
পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর ও মানবিক সংস্থাগুলোর আহ্বান
টেকনাফে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, ২ রোহিঙ্গা আটক
চাঁদপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধষর্ণ, গ্রেপ্তার ১
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কৌশলে অপহরণ করে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মো. জাকির হোসেন (৩৫) নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার সাতরা এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে। স্বামী সৌদি প্রবাসী হওয়ায় তিনি তার বাবার বাড়ি রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে বসবাস করে।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে শিশু ধষর্ণ মামলায় যুবকের ৫ বছরের কারাদণ্ড
প্রায় এক বছর পূর্বে ওই গৃহবধূর সঙ্গে টিকটক লাইকির মাধ্যমে পরিচয় হয় জাকিরের। গত ১৭ জানুয়ারি জাকির হোসেন গৃহবধূকে কৌশলে অপহরণ করে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগীর স্বর্ণালংকার নিয়ে জাকির পালিয়ে যায়।
২৪ জানুযারি রাতে জাকির হোসেনকে কৌশলে ভুক্তভোগীর বাড়িতে ডেকে এনে পরিবারের লোকজন পুলিশকে সংবাদ দেয়। ওই রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ও গৃহবধূকে পুলিশি হেফাজতে নেয়। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ বাহার মিয়া জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণেরর কথা শুনে আমরা অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে কৌশলে গ্রেপ্তার করি এবং নারী নির্যাতন মামলায় আদালতে পাঠিয়েছি। এছাড়া ঘটনার শিকার ভুক্তভোগীকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলিতে শিশু ধষর্ণের অভিযোগ কিশোর আটক
ইসির নির্দেশে সুধারাম থানার ওসি প্রত্যাহার
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের দুই দিন আগে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে, একই দিন সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সহকারী সচিব মো. আশফাকুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচন কমিশনের এক অফিস আদেশ অনুসারে সুধারাম মডেল থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশে হামলা: হবিগঞ্জের এসপি ও দুই ওসির প্রত্যাহার দাবি বিএনপির
নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়, ‘উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী সদর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনকালীন প্রশাসনিক কারণে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিনকে প্রত্যাহার করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে।’
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী ওসি মো. সাহেদ উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে তার জায়গায় একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়ন করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হল।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী নিয়ে গঠিত প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গরুর খামারে ডাকাতি: ৬ পুলিশ প্রত্যাহার
বিমানের ধাক্কায় গরুর মৃত্যু: কক্সবাজার বিমানবন্দরের ৪ আনসার প্রত্যাহার
নোয়াখালীতে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৪
নোয়াখালীতে পুলিশের মেসে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল (মুন্সি) সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে নোয়াখালী জেলার সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজি চালক মো. কামরুল (২৫), সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নান (৪৯) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। জেলা শহরে অবস্থানকালে তার টাকা পয়সার সংকট দেখা দিলে তার পূর্ব পরিচিত সিএনজি চালক মো. কামরুলের সাথে দেখা করে।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ৫ দালাল গ্রেপ্তার
তিনি জানান, এক পর্যায়ে কামরুল ও তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভুক্তভোগীকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এসময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ওই তরেুণীকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী তরুণী পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় যুবক গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
তিনি জানান, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
নোয়াখালীতে জোড়া খুন: ৮ জন খালাস, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ডাকাতিকালে নোয়াখালী শহরের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে আট জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাকি চার জনের মধ্যে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি করে সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কামরুল হাসান প্রকাশ ওরফে সোহাগ, রাশেদ ড্রাইভার ও কামাল হোসেন প্রকাশ এলজি কামাল। এছাড়া আবদুস সবুরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে আদালত
হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-মোফাজ্জেল হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, সামছুদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, জাফর হোসেন, আলী আকবর, নাসির উদ্দিন ও আবু ইউছুফ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান, আশরাফুল হক জর্জ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান মিলন। আসামি পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া, ও মোহাদ্দেসুল ইসলাম টুটুল। পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী সাধন কুমার বণিক।
আইনজীবী আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া বলেন, আদালত ১২ জনের মধ্যে আট জনকে খালাস দিয়েছেন। অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে বলেছেন। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি বিবেচনায় নিয়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন। আরেকজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। তবে তিনজন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে নোয়াখালী শহরের জামে মসজিদ মোড় এলাকার দোকান বন্ধ করে দুই ভাই ফিরোজ কবির, সামছুল কবির এবং দোকান কর্মচারী সুমন পাল বাসায় ফিরছিলেন। পথে নাপিতের পোল এলাকায় তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতেরা তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সড়কের পাশে ফেলে দেন। সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, প্রি-পেইড কার্ডসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক সুমন পালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ফিরোজ কবির ও সামছুল কবিরকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফিরোজ কবির।
পরে ফিরোজ কবিরের বাবা আবু বকর সিদ্দিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে সুধারাম থানায় মামলা করেন।
এ মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নোয়াখালীর দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান।
ভাসানচর থেকে পালানোর সময় রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যু
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় এক রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যু হয়েছে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক তরিক জানান, মৃত সেতারা বেগম (৩০) ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১০নং ক্লাস্টারের ১৩নং কক্ষের নূর মোহাম্মদের মেয়ে। এসময় তার সাথে থাকা মা নূর বাহারকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ।
ওসি জানান, সেতারা বেগম গত ২০-২৫ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। এর মধ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর শনিবার দালালের মাধ্যমে ভাসানচর থেকে পালিয়ে কুতুপালং যাওয়ার উদ্দেশ্যে মাছ ধরার নৌকাযোগে পালিয়ে আসে। ওইদিন রাতের কোন এক সময় দালালরা তাদের কৌশলে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর মোজাম্মেল গ্রামের ঘাটে নামিয়ে দিয়ে যায়। পরে সেখানে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে রবিবার বিকালে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ভাসানচর আশ্রায়ণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পক্ষে একা রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেয়া উচিত না: জাতিসংঘ
১ বছর আগে অপহৃত রোহিঙ্গা মাঝির লাশ উদ্ধার, আটক ৩
অষ্টম ধাপে ভাসানচর পৌঁছেছে ৫৫২ রোহিঙ্গা
নানার বাড়িতে আর ছুটি কাটানো হলো না মিতুর!
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নানার বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসেছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী সাবরিনা আক্তার (মিতু)। কিন্তু ঘাতক ট্রাক তার প্রাণ কেড়ে নিলো। শনিবার বেলা ১২টায় উপজেলার নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়ক পার হওয়ার সময় কুমিল্লার দিক থেকে আসা দ্রুতগামী ট্রাকটি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত মিতু উপজেলার মর্তুজা ভূঁইয়ার মেয়ে। তিন বোনের মধ্যে সবার বড়। তিনি জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ছুটি কাটাতে ঢাকা থেকে নানার বাড়ি সোনাইমুড়ী পৌরসভার পশ্চিম রামপুর মোল্লা বাড়িতে যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক ইবরাহীম খলিল বলেন, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একটি ইটবোঝাই ট্রাক তাকে চাপা দিলে, তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ বিষয়ে আমরা হাইওয়ে থানার পুলিশকে জানিয়েছি, তারা এসে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি আটক করেছে,তবে ট্রাকের চালক পলাতক রয়েছে।
এদিকে সাবরিনার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। বিভাগের শিক্ষকরা শোক প্রকাশ করেছেন। এদিকে সহপাঠীর এমন মৃত্যুতে মর্মাহত শিক্ষার্থীরাও।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর শুনেছি৷ আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, থানায় কথা বলেছি। লাশ যেন ময়নাতদন্ত না করা হয়, সে বিষয়ে কথা বলছি।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষকের মৃত্যু: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
জবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দাবি
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাবরিনা আক্তার নিহত হয়েছেন। শনিবার বেলা ১২টায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাক চাপায় নিহত হন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবরিনার বাবা।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক ইবরাহীম খলিল বলেন, বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে একটি ইটবোঝাই ট্রাক তাকে চাপা দিলে, তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। এবিষয়ে আমরা হাইওয়ে থানার পুলিশকে জানিয়েছি, তারা এসে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর শুনেছি৷ আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, থানায় কথা বলেছি। লাশ যেন ময়নাতদন্ত না করা হয়, সে বিষয়ে কথা বলছি।
এদিকে সাবরিনার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। বিভাগের শিক্ষকগণ শোক প্রকাশ করেছেন। এদিকে সহপাঠীর এমন মৃত্যুতে মর্মাহত শিক্ষার্থীরাও।
আরও পড়ুন: দ্রুত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবি জবি শিক্ষার্থীদের
ব্লাড ক্যান্সারে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নোয়াখালীর বিবস্ত্র করে নির্যাতন মামলায় ১৩ আসামির কারাদণ্ড
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলায় ১৩ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২০মিনিটে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় স্বামীর কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন দেলু, নূর হোসেন বাদল, মোহাম্মদ আলী ওরফে আবুল কালাম, আনোয়ার হোসেন সোহাগ, সামছুদ্দিন সুমন, নূর হোসেন রাসেল, মাইন উদ্দিন সাজু, ইস্রাফিল হোসেন মিয়া, মো. রহিম, আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, জামাল উদ্দিন ও মিজানুর রহমান তারেক।
এদের মধ্যে আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, জামাল উদ্দিন ও মিজানুর রহমান তারেক পালতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মামুনুর রশীদ লাভলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । এর আগে ৯ আসামিকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সকাল পৌনে ১০টায় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জের দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন দেলুসহ ১৪ থেকে ১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত জোর করে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। পরে ওই নারীর স্বামীকে মারধর, নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা এবং পুরো ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। একপর্যায়ে ঘটনার ৩২ দিন পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর দেলোয়ার বাহিনীর ৯ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের ভার দেয়া হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে মামলার থেকে অব্যাহতি দিয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত।