নোয়াখালীতে পুলিশের মেসে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল (মুন্সি) সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে নোয়াখালী জেলার সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজি চালক মো. কামরুল (২৫), সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নান (৪৯) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। জেলা শহরে অবস্থানকালে তার টাকা পয়সার সংকট দেখা দিলে তার পূর্ব পরিচিত সিএনজি চালক মো. কামরুলের সাথে দেখা করে।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ৫ দালাল গ্রেপ্তার
তিনি জানান, এক পর্যায়ে কামরুল ও তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভুক্তভোগীকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এসময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ওই তরেুণীকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী তরুণী পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় যুবক গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
তিনি জানান, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।