শহর রক্ষা বাঁধ
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের একাংশ ডেবে গেছে
৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের উত্তর পশ্চিম কোণা ডেবে গেছে। বাঁধের এ অংশটি চাঁদপুর মাদরাসা রোড এলাকার লঞ্চ ঘাটের পশ্চিমেই অবস্থিত।
এব্যাপারে বাসিন্দা গৃহিনী নাজমা বেগমসহ অন্যান্যরা ইউএনবিকে জানান, রবিবার ভোর ৬টায় মেঘনা নদীতে ঘূণির্পাকের সৃষ্টি হয়; আর তখনই ১০ মিনিটের মধ্যে এখানকার সিসি ব্লকগুলো একে একে তলিয়ে যায়। এসময় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে হঠাৎ ভাঙন
পানি উন্নয়ন বোর্রডের (পাউবো) কমর্কর্তারা জানান,বতর্মানে এখানে মেঘনা নদীর গভীরতা ২৭/২৮ মিটার।
খবর পেয়ে রবিবার দুপুর একটায় ডেবে যাওয়া অংশ পরিদর্শনে আসেন পাউবো এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।
তিনি ইউএনবিকে জানান, কমপক্ষে ২৫ মিটার এলাকার ব্লক ডেবে তলিয়ে গেছে মেঘনায়। আশপাশের অংশটুকুও ভালনারেবল। সোমবার সকাল থেকে দেবে যাওয়া অংশে ব্লক ডাম্পিং করা শুরু হবে। আমাদের স্টকে ১৪৭০০ সিসি ব্লক মজুদ আছে। ঠিক কি কারণে এখানটায় হঠাৎ ব্লক ডেবে গেলো, এখনই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। প্রচণ্ড ওয়েভ একশান হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হুমকির মুখে হাইমচরের নদীর তীর রক্ষা বাঁধ
তিনি আরও জানান, অবশ্য আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং বাঁধ রক্ষার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন এলাকাবাসীকে।
২ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে ধসে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধের ১’শ মিটার
সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকায় ভয়াবহ ধস নেমে প্রায় ১’শ মিটার বাঁধ যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
টানা প্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলের পানিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে এ ধস শুরু হয়েছে। এতে শহরবাসী ও বাঁধ এলাকায় বসতীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। ধস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : সিরাজগঞ্জে ৮ জনের জরিমানা
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শহর রক্ষা বাঁধের একাধিক স্থানের তলদেশে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে সকালে প্রবল বর্ষণের কারণে এ ভয়াবহ ধস শুরু হয়েছে। ধস ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক নিক্ষেপ করা হলেও এখনও এ ধস নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলতে গিয়ে সিরাজগঞ্জে শিশুর মৃত্যু
যমুনা নদীতে তীব্র স্রোতে ও বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড আগে থেকে এ বাঁধের দিকে নজর না দেয়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, যথানিয়মেই এ বাঁধ সার্ভে করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে বিকেলে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ ও জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি কে.এম. হোসেন আলী হাসানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ধস এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ধস প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ।
৩ বছর আগে
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে আবারও ভাঙন
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় আবারও মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
৪ বছর আগে
বন্যার পানির তোড়ে ফরিদপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন, ৫ গ্রাম প্লাবিত
ফরিদপুরের পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। পানির চাপে ভেঙে গেছে আলিয়াবাদ ইউনিয়নের শহর রক্ষা বাঁধ।
৪ বছর আগে